শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইউটিউব দেখে মাল্টা চাষ, ৪ বছরে ১২ লাখ আয়

বরগুনার আমতলীর কুকুয়া ইউনিয়নের হাবিবুর রহমান। নিজ গ্রামে ১৫ বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করে বাজিমাত করেছেন তিনি। এ ছাড়াও তার বাগানে রয়েছে আম, লিচু, লেবু, কলা ও পেঁপে এবং পুকুর ভর্তি রয়েছে নানা প্রজাতির মাছ।

খুব অল্প সময়ে আমতলীতে সফল এবং স্বাবলম্বী একজন কৃষক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন হাবিবুর রহমান মাতুব্বর। প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছেন তার বাগান ও পুকুর দেখার জন্য। মাল্টা বাগান দেখতে গিয়ে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হলে হাবিবুর বলেন, ২০ বছর সৌদি ছিলাম। ২০১৫ সালে দেশে ফিরে আসি। দেশে ফিরে বেকার হয়ে পড়ি। কি করব ভাবতেছিলাম। একদিন ইউটিউবে মাল্টা চাষে এক চাষীর সফলতার গল্প শুনে সিদ্ধান্ত নেই মাল্টা চাষ করব।

তিনি আরো বলেন, মাল্টা চাষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহায়তায় বাড়ির পাশে ১৫ বিঘা জমিতে ৫ হাজার মাল্টার চারা রোপনের পর পরিচর্যা শুরু করি। এক থেকে দেড় বছরের মাথায় অল্প কিছু ফল আসে তাতে আমি ১ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করি। কিন্তু বছর যেতেই আয় বাড়তেই থাকে। কারণ প্রতি বছর বাগানে ফলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এভাবে আমি গত চার বছরে অনন্ত ১২ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছি। এ বছর যে ফল ধরেছে তাতে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করা যাবে।

হাবিবুর মাল্টার পাশাপাশি বাগানের এক পাশে কাগজী লেবু, সবরি কলা, পেঁপে এবং রাজশাহী থেকে বোম্বাই জাতের লিচু এনে চাষ করেছেন। এ সকল ফসল থেকেও বছরে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা আয় করেন তিনি। বাড়ির ভেতরে রয়েছে ৩ বিঘার ২টি পুকুর সেখানে রুই, কাতলা, মৃগেল, চিরিংসহ নানা জাতের মা ছ চাষ করেছেন। মাছ থেকে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা আয় করেন বলে জানান তিনি।

এদিকে মাল্টা চাষে স্বাবলম্বী হাবিবুর রহমানকে এলাকার সবাই আদর্শ কৃষক হিসেবে কদর করেন। যেকোনও কৃষি কাজের জন্য স্থানীয়রা তার নিকট পরামর্শ নিতে আসেন। তার দেখা দেখি অনেকেই বাড়ির আঙ্গিনায় ফল চাষ করে পরিবারের খাবার চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি টাকা আয় করছেন।

প্রতিবেশী হারুন অর রশিদ বলেন, হাবিবুর রহমান এক সময় বিদেশ ছিলেন। দেশে ফিরে মাল্টা চাষ করে সফল কৃষক হয়েছেন। এটা আমাদের কাছে গর্বের বিষয়। তার কারণে আমাদের গ্রামটা এখন সাবাই চিনে। যেকোনও ফল চাষের আগে তার নিকট থেকে গ্রামের সবাই পরামর্শ নিয়ে থাকে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, হাবিবুর রহমান একজন সফল চাষি। মাল্টা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। পাশাপাশি পেঁপে, কলা, আম, লিচু, পেয়ারা এবং পুকুরে মাছ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। আমরা কৃষি অফিস থেকে তাকে সহ অন্যান্য কৃষকে উদ্ধুদ্ধ করছি ফল চাষে।

এসআইএইচ

 

Header Ad
Header Ad

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ তাদের একটি সমুদ্র আছে যা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে উদ্বুদ্ধ করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারে বিআইএএম অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের একটি সমুদ্র আছে। ব্যবসার জন্য সমুদ্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বাংলাদেশের দীর্ঘ সমুদ্রতীরের কথা উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রামের সমুদ্রতীরের যেকোনো স্থানে সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং এটি কেবল একটি পর্যটন শহরই নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রও। তিনি আরও বলেন, নেপাল ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সের কোনো সমুদ্র নেই, তাই তাদের জন্য বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ‘আমরা ব্যবসা করতে পারলে সবার ভাগ্য বদলে যাবে।’

ড. ইউনূস লবণ উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে জানতে চান বিদেশি আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে লবণ আমদানিতে আগ্রহী কিনা, কারণ কক্সবাজারের কৃষকদের উৎপাদিত লবণ এখন রফতানির সক্ষমতা অর্জন করেছে।

এছাড়া, তিনি পাইলট ভিত্তিতে কক্সবাজারে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা নিয়েও খোঁজ নেন।

প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় জনগণকে ভবিষ্যতের সুযোগগুলো কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কক্সবাজার অর্থনীতির একটি বৃহৎ শক্তি এবং এটি তথ্যপ্রযুক্তিরও একটি শহর হতে পারে।’

মতবিনিময় সভায় কক্সবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রধান উপদেষ্টার সামনে তাদের প্রস্তাব ও দাবি পেশ করেন।

Header Ad
Header Ad

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। এজন্য মিয়ানমারে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আমি দুটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছি। প্রথমত, আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমারে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিত করে বৈষম্যের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে আরও ভালো পরিবেশ চায়। দুর্ভাগ্যবশত, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে খাবারের রেশন কমাতে বাধ্য হয়েছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যতটা সম্ভব দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলব, যাতে করে ফান্ড পাওয়া যায় এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়।’

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবে না এমন আশা প্রকাশ করে গুতেরেস বলেন, ‘সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য এই সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।’

Header Ad
Header Ad

আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার

রূপালি । ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও শেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আয়েশা সিদ্দিকা রূপালিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোরে ঝিনাইগাতী উপজেলার তেঁতুলতলার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আয়শা সিদ্দিকা রূপালির বিরুদ্ধে ঝিনাইগাতী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলার আসামি হিসেবে তাকে তেঁতুলতলার আব্দুর রহিম পাগলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমীন জানান, গ্রেফতারের পর আয়েশা সিদ্দিকা রূপালিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট
দুই বছরের কন্যাকে হারালেন আফগান ক্রিকেটার হজরতউল্লাহ জাজাই
রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ
সুন্দরবনের গহীন থেকে বৃদ্ধা নারী উদ্ধার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো সাত লাশ উদ্ধার
জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
গালি দেয়া সেই উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান হাসনাতের
প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী
৬০তম জন্মদিনে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ভয়াবহ আগুন, ডানা দিয়ে নামলেন যাত্রীরা
চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সীমান্তে ৯ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানি মালামাল জব্দ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাক্ষাৎ
৩ ম্যাচ পর মাঠে ফিরেই মেসির দুর্দান্ত গোল, কোয়ার্টারে ইন্টার মিয়ামি (ভিডিও)
মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না: তারেক রহমান