শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নওগাঁয় পানির অভাবে পাট নিয়ে বিপাকে চাষিরা

বর্ষা মৌসুমেও পর্যাপ্ত পানি নেই নওগাঁর বিলগুলোতে। এ অবস্থায় চাষিরা সোনালি আঁশ পাট জাগ দিতে না পেরে জমিতেই ফেলে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকেই কাঁচা পাট পরিবহন করে বিলের নিচু এলাকায় নিয়ে জাগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে পরিবহন ও শ্রমিকবাবদ পাটের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে চাষিদের প্রণোদনাসহ সার্বিক সহযাগিতা দেওয়া হচ্ছে। জেলায় এ বছর দেশি, তোষা এবং মস্তা জাতের পাট চাষ হয়েছে। দেশি জাতের মধ্যে রয়েছে সিভিএল-১ ও ডি ১৫৪। তোষা জাতের মধ্যে রয়েছে ও-৪ এবং ৭২।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জেলায় ৫ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫ হাজার ৭২৫ হেক্টর, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ হাজার ৯৩৩ হেক্টর, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছিল। গত ৫ বছরের ব্যবধানে পাটের আবাদ কমেছে ১ হাজার ৬০০ হেক্টর।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, উপজেলা ভিত্তিক পাট চাষ হয়েছে- সদর উপজেলায় ৬০০ হেক্টর, রানীনগরে ৪০ হেক্টর, আত্রাইয়ে ২৫০ হেক্টর, বদলগাছিতে ১ হাজার ৪৬০ হেক্টর, মহাদেবপুরে ২০০ হেক্টর, পত্নীতলায় ১৫০ হেক্টর, ধামইরহাটে ৮৩০ হেক্টর এবং মান্দায় ১ হাজার ৮০০ হেক্টর। জেলার ১১টি উপজেলার মধ্য সাপাহার, পোরশা এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় এ বছর কোনো পাট চাষ হয়নি বলে জানায় কৃষি অফিস।

জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করতে খরচ পড়ে ১০ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে জমির আইল ঠিক করা ৪০০ টাকা, পানি সেচ ১ হাজার টাকা, হালচাষ ১ হাজার টাকা, সার ১২০০ টাকা, বীজ দেড়কজি ৪০০ টাকা, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচ ৫০০ টাকা, পোকা দমন কীটনাশক খরচ ৭০০ টাকা। ঘাস নিড়ানিতে ৫-৬ জন শ্রমিকের খরচ ১৫০০-১৮০০ টাকা। এরপর পাট কাটতে ৫-৬ জন শ্রমিকের খরচ হিসাবে ২৫০০-৩০০০ টাকা, পরিবহন খরচ ১৫০০ টাকা এবং জাগ দেওয়া ১৫০০ টাকা। সবশেষ ৬-৭ জন শ্রমিকের পাট পরিষ্কার খরচ পড়ে ৩০০০-৩৫০০ টাকা।

একসময় পাটকে বলা হতো সোনালি আঁশ। তবে পাটের সোনালি ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। পানি সংকটে জাগ দেওয়া সমস্যা, শ্রমিক সংকট ও মজুরি বেশি হওয়ায় এবং দাম না পাওয়ায় পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা। তবু উঁচু জমি ফেলে না রেখে বা অন্য ফসল না হওয়ায় বাধ্য হয়ে চাষিরা পাটের আবাদ করেছেন।

এদিকে পাটের আবাদ কমে যাওয়ায় গত দু’বছর থেকে বেড়েছে পাটের দাম। এক বিঘাতে ৮-১২ মণ পাটের ফলন হয়। প্রতিমণ পাট গত বছর ২৪০০-৩০০০ টাকায় বিক্রি করেছেন বলে জানান চাষিরা।

পলিথিন ব্যবহারের পরিবর্তে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বাড়ানো বিষয়ে সচেতনতা প্রয়োজন। সচেতনতা বাড়ানো গেলে মানুষ পাটজাত দ্রব্য ব্যবহারের উৎসাহিত হবেন। এতে করে পরিবেশ যেমন রক্ষা পাবে, তেমনি চাষিরা পাটের আবাদের দিকে ঝুঁকবেন।

নওগাঁ বদলগাছি উপজেলার কোলা ভান্ডারপুর গ্রামের পাটচাষি স্বপন কুমার বলেন, বিগত বছরগুলাতে ৩ বিঘা জমিতে ভালো (দেশি) জাতের পাটের আবাদ করতাম। পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়ার সমস্যায় এ বছর ১ বিঘাতে আবাদ করেছি। এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় পাট চাষিদের জন্য বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে। প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ট্রাক্টর দিয়ে পাট নিয়ে গিয়ে জাগ দিতে হবে। পরিবহন খরচ পড়বে দেড় হাজার টাকা। পাট কাটতে খরচ হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং ধোয়ার সময় খরচ হবে আরও ৪ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, পাট চাষে শ্রমিকের মজুরি ও উৎপাদন খরচ বেড়েছে। আবার দাম না পেয়ে লোকসান গুনতে হয়। প্রবাদ আছে, ‘পাটের টাকা পাট (শ্রমিক) খায়’। প্রতি বিঘায় ৮-১৪ মণ পাটের ফলন পাওয়া যায়। আবার পাটকাঠি পাওয়া যায়। দেখা যায় সব মিলিয়ে আয়-ব্যয় সমান হয়। আমাদের শুধু কষ্টই করা হয়। এসব কারণে পাট চাষ আগ্রহ কমেছে।

একই গ্রামের কামাল জোয়াদ্দার বলেন, দেড় বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। পাটের জমিতে ধান ভাল হয়। পাটের পাতা জমিতে পড়ে উর্বরতা বাড়ে। এতে করে সারের খরচও কম হয়। এ জমিতে বছরে তিনটি ফসল হয়। আগে খিরা চাষ করছিলাম। এরপর পাট লাগিয়েছি। পাট তুলে আমনের ধান রোপন করা হবে। পাটের আবাদ করে লাভ না হলেও লোকসান হয় না। পাট কাঠিও কাজে লাগে। বলা যায় পাটকাঠি লাভ।

মান্দা উপজেলার দক্ষিণ মৈনম গ্রামের ইয়াজ প্রামানিক বলেন, পাটের আবাদ করতে বিঘাপ্রতি প্রায় ৫-৬ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু পাট কাটা, পরিবহন, জাগ দেওয়া ও পাট পরিষ্কার করতে আরও ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয়। গত কয়েক বছর থেকে পাটের দাম পাওয়া যায়নি। কিন্তু গত দুই বছর থেকে সরকার আবারও দাম দিচ্ছে। পাটের রঙের ওপর দাম নির্ভর করে। প্রতি মণ পাট ২৫০০-৩০০০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। পানির অভাব এবার রঙ ভালো হবে না। ব্যবসায়ীরা দাম পেলেও আমরা পাই না। তবে দাম যদি আরেকটু বাড়ানো হয় তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে।

মান্দা উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের পাটচাষি আব্দুর রহমান বলেন, আগে পাটের দাম পেতাম না। পাট জমিতেই নষ্ট হয়ে গেছে। যা পরে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে দু’বছর ধরে আবারও সরকার পাটের দাম দিচ্ছে। এ বছর ২ বিঘা জমিতে দেশীয় জাতের পাট চাষ করেছি। পাট উঠানোর পর ওই জমিতে আতব ধান লাগানো হবে। তবে পাট জাগ দেওয়া বড় সমস্যা। অনাবৃষ্টিতে নদী-নালা ও ডোবায় পানি নেই।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক এ কে এম মঞ্জুরে মওলা বলেন, চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৪২৫ হেক্টর কম অর্জিত হয়েছে। পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়ায় সমস্যার কারণে কৃষকরা নিরুৎসাহিত হওয়ায় কম পরিমাণ আবাদ হয়েছে। বাজারে বর্তমানে পাটের দাম ভাল হওয়ায় কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, পাট একটি রপ্তানি পণ্য এবং এর বহু ব্যবহার রয়েছে। বাজারে এত পরিমাণ পলিথিন আছে যা পরিবেশের জন্য বিপর্যয়। পলিথিন ব্যবহারের পরিবর্তে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বাড়ানো গেলে পরিবেশ যেমন রক্ষা পাবে তেমনি পাটের হারানো ঐতিহ্য ও গৌরব ফিরে আসবে। পাট চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রণোদনাসহ কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

পানির সংকট নিরসনে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পুকুর খনন বা নদী ড্রেজিং (খনন) করে পানি ধরে রাখা যেতে পারে। এতে করে কৃষকরা পাট জাগ দেওয়া সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারে।

এসজি/

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির কাঁধে এখন অনেক দ্বায়িত্ব। এদেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা বিএনপি কে নিয়ে।  সুতারাং দেশের মানুষের আকাঙ্খা অনুযায়ী নেতা-কর্মীদের আচরন করতে হবে। তৈরী হতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন,  অন্তবর্তী সরকারকে বুঝতে হবে জনগন কি চায়। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সব সংস্কার অন্তবর্তী সরকারের দ্বারা সম্ভব নয়। তারা একটি অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের আয়োজন করে জনগণের সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। তারপর নির্বাচিত সরকার বাকী সংস্কার করবে।

এ সময় দ্রুত নির্বাচনের দেয়ার  দাবী জানান তারেক রহমান। 

বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন পর বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা এবং আনন্দ মুখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বেলা সাড়ে ১০ টার সময় স্থানীয় টাউন ফুটবল মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করতে যেয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এদেশে ফ্যাসিবাদের জনক শেখ মুজিবুর রহমান। তার হাত ধরেই অর্থাৎ তার নেতৃত্বেই এদেশে হত্যা, লুণ্ঠন, এবং অপরাজনীতি শুরু হয়। যুদ্ধ বিধ্বস্ত নতুন বাংলাদেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বদলে গনতন্ত্র হত্যা করে সকল দলকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে একটি রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির সৃষ্টি করে মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে একটি বদ্ধ কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল।

এসময় তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবের উত্তরসূরী ফ্যাসিবাদের চুড়ান্ত বাস্তবায়নকারী শেখ হাসিনা গত ১৭ বছর এদেশের জনগণের ঘাড়ে অবৈধভাবে চেপে বসে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে অবরুদ্ধ করে অসংখ্য খুন গুম ব্যাংক লুট এবং অনিয়ম দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করছিল। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বাংলাদেশকে দেউলিয়া এবং চরম দারিদ্র্যের শেষ সীমায় পৌঁছে দিয়ে গেছে।

মির্জা ফখরুল দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দাবি করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, দেশকে দেশি ও বিদেশি চক্রান্তের মোকাবেলা করে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। আর এটা করতে হলে অবিলম্বে দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার।

শুরুতে সম্মেলনের উদ্বোধক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পবিত্র কোরআন ও গীতা পাঠ করা হয়। এরপরে সম্মেলনের উদ্বোধক সহ আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। বিগত দিনে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন জেলা বিএনপি নেতা ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। সম্মেলনে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু, এড.নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগীয় সহ সভাপতি বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ মাসুদ অরুন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ, সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিথা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবু তালহা, জেলা জাসাসের সভাপতি সেলিমুল হাবিব, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক তবারক হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রউফুন নাহার রিনা, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, জেলা বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম মনি, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খাঁন খোকন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপ্টন, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিলিমা ইসলাম বিশ্বাস মিলি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু প্রমুখ।

সম্মেলনের একপর্যায়ে জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যারা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের হাতে তারেক রহমানের পক্ষে উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। 

সম্মেলনে একমাত্র প্রার্থী হিসাবে আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ইতিমধ্যেই চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় আজকের সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ৮০৮ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

Header Ad

'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচনি সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‌'স্থানীয় নির্বাচন করার ফলে আমাদের কমিশনের সক্ষমতা বাড়বে। টেস্ট হয়ে যাবে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যে সাপোর্ট দরকার হবে, তাও নিশ্চিত হয়ে যাবে।'

শনিবার (২৩ নভেম্বর) ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচনি সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ।

এ সময় তিনি বলেন, নাগরিক সমাজের অভিমত হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়া উচিত। কারণ, স্থানীয় নির্বাচন করার ফলে আমাদের কমিশনের সক্ষমতা বাড়বে। টেস্ট হয়ে যাবে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যে সাপোর্ট দরকার হবে, তাও নিশ্চিত হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, স্থানীয় নির্বাচনের আগে যদি জাতীয় নির্বাচনে যাই, তাহলে যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তা ঝুলে যাবে। কারণ এখন আমাদের যে চিন্তা-ভাবনা, স্থানীয় নির্বাচন যেটা আছে সেটা কোনো সিস্টেম না। আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান, আলাদা আলাদা আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। কোনো কমপ্রিহেন্সিভ সিস্টেম নাই। এই সংস্কারের বড় কাজ হবে একটা সিস্টেম ডেভেলপ করে দেওয়া। এখন সিস্টেম কী হবে? যে সিস্টেম আছে সেটা আইয়ুব খানের ভাবনায় রেখে করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের ১০ বছর পরে উপজেলা, তার ১০ বছর পর উপজেলা পরিষদ হয়েছে। এতে কম্প্রিহেন্সিভ কিছু হয়নি। এই সিস্টেম করার জন্য এখন মোক্ষম সময়। কেননা, বেশিরভাগ স্থানীয় সরকার কিন্তু নেই। কেবল ইউপি আছে। কাজেই ছবি আঁকার এটাই সময়। আমরা যদি সিস্টেম করতে পারি যে, একটা কম্প্রিহেন্সিভ আইন হবে। সেই আইনের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠান চলে আসবে। এতে একটা তফসিল দিয়ে সবগুলো নির্বাচন করতে পারব।

ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, কমিশন যে সংস্কার করতে চাচ্ছে, তাতে স্থানীয় সরকারের পাঁচ স্তরের নির্বাচন ব্যয় অনেক কমে আসবে। বাঁচবে সময়। অপেক্ষাকৃত অনেক কম জনবল লাগবে।

তিনি আরও বলেন, হিসাব করে দেখেছি, গত কমিশন যে স্থানীয় নির্বাচন করেছে এতে ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ১৯ থেকে ২০ লাখ লোক লেগেছে। ২২৫ দিনের মতো সময় লেগেছে। তাই স্থানীয় নির্বাচনে যদি পার্লামেন্টারি সিস্টেম নিয়ে আসি। তাহলে ইউনিয়ন, পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনে একই সিস্টেম করতে পারব। তাহলে খরচ চলে আসবে ৬০০ কোটি টাকার মধ্যে। লোক লাগবে আট লাখ। সময় লাগবে ৪৫ দিন। তাহলে এই সিস্টেমে যাওয়ার জন্য অধ্যাদেশ করে যদি যান তাহলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনে যাওয়া সম্ভব। বর্তমানে যা আছে তা দিয়ে যদি স্থানীয় নির্বাচন করতে চান, তাহলে পাঁচটা আইন দিয়ে পাঁচটা নির্বাচন করতে হবে। এতে জাতীয় নির্বাচনের আগে তা করা সম্ভব কি-না, তা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, পার্লামেন্টের যে মেম্বার তিনি স্থানীয় কোনো দায়িত্বের মধ্যে পড়েন না। তার কাজ হচ্ছে সরকারি কাজগুলো জবাবদিহিতার মধ্যে আনা। উনি যদি সমস্ত উন্নয়ন করেন তাহলে তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট হলো। তিনি জবাবদিহিতা করাবেন কাকে। সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী এমপিরা এটা পারে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ