ইউপি নির্বাচন সংঘর্ষ: মরদেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ
জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের গুলিতে দুই বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। বুধবার (২৭ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শিশুটির মরদেহ নিয়ে আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেছেন এলাকাবাসী। নিহত শিশুটির চাচা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, কী অপরাধে আমার ভাতিকে গুলি করে হত্যা করা হলো তার জবাব চাই। তা না হলে আমরা রাস্তা থেকে বাসায় যাব না।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সহিংসতায় পুলিশের গুলিতে শিশুটির মৃত্যু হয়। ঘটনার পর রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবালসহ তিন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এলাকাবাসী। নিহত শিশুটি বাচোর ইউনিয়নের মীরডাঙ্গী গ্রামের বাদশার মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোটের ফলাফল জানতে শিশুটিকে নিয়ে ওই কেন্দ্রে যান তার মা। এ সময় ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য প্রার্থী জলিল ও ফয়জুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিটি ওই শিশুর মাথায় লাগে। এতে মাথা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়। রাণীশংকৈল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল লতিফ শেখ জানান, ঘটনার পর রাণীশংকৈল থানার ওসি, এক এসআই ও এক কনস্টেবলকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে গ্রামবাসী। তাদের উদ্ধারে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।
আরো পড়ুন: পুলিশের গুলিতে নিহত শিশু, অবরুদ্ধ ওসি
এ দফায় জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও, বাচোঁর ও নন্দুয়ার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১২৭ জন, আর সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৪৩ জন প্রার্থী প্রতিদন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ৬১ হাজার ১৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩১ হাজার ৫৩৮ জন ও নারী ভোটার ২৯ হাজার ৬১০ জন। এ তিনটি ইউনিয়নেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এএজেড