সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দু'পক্ষের সংঘর্ষ
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দু'পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছিনতাই করা হয়েছে ব্যালট পেপার। সংঘর্ষে ৬ জন নির্বাচন কমিশনারসহ উভয়পক্ষের ১৪ জন আইনজীবী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকাল থেকে কয়েক দফায় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির প্রধান ভবনের দোতলায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে আদালত প্রাঙ্গনে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবি সমিতির এক পক্ষের নির্বাচন কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মোস্তফা নুরুল আলম বলেন, 'বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে অ্যাড. এম শাহ আলম-তোজাম গ্রুপের নির্বাচন চলছিল। ভোট গ্রহণের একপর্যায়ে অ্যাড. মজিদ-সবুজ সমর্থকরা ভোট বন্ধের দাবি জানিয়ে হট্টগোল শুরু করেন। এরপর হাতাহাতি থেকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে ৬ জন নির্বাচন কমিশনারসহ ৮ জন আইনজীবী আহত হয়েছে।'
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির অপর পক্ষের নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. শাহানাজ পারভীন মিলি জানান, 'গত ৬ মার্চ সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় সভাপতি নির্বাচত হন অ্যাড. আব্দুল মজিদ। সাধারণ সম্পাদক হন অ্যাড. আ ক ম রেজোয়ান উল্লাহ সবুজ। নির্বাচনে তাদের প্যানেলের ১১ সদস্যকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু, গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে অ্যাড. শাহ আলমসহ কয়েকজন নির্বাচন প্রক্রিয়া চালাচ্ছিল। আজকের এই নির্বাচনের কোনো বৈধতা না থাকায় সাধারণ ভোটাররা এতে বাধা দেয়।'
এ সময় তিনি বলেন, 'অ্যাড. মজিদ-সবুজ গ্রুপের কোনো আইনজীবী অ্যাড. এম শাহ আলম-তোজাম গ্রুপের কারো ওপরে হামলা করেনি। বরং অ্যাড. এম শাহ আলম-তোজাম গ্রুপের আইনজীবীরা অ্যাড সালাহউদ্দিনের ল’ চেম্বারে হামলা চালিয়ে অ্যাড. মজিদ-সবুজ গ্রুপের আইনজীবীদের মারধর করেছে। এ হামলায় মজিদ-সবুজ গ্রুপের ৬ জন আইনজীবী আহত হয়েছে।
সাতক্ষীরার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি বলেন, 'সংঘাতের কারণে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। বিবাদমান দু’গ্রুপকে আলোচনার মাধ্যমে ভোট গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।'
এমএসপি