উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর ঘুষ-বাণিজ্য গ্রহণের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। দীর্ঘদিন তিনি নলছিটিতে থাকায় সমাজসেবা কার্যালয়টি দুর্নীতির আখরায় পরিণত করেছেন এমনও অভিযোগ করেছেন অনেকে। গত ১০ এপ্রিল দীর্ঘ ৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের ঘুষ গ্রহণের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে সর্বসমহলে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে নলছিটিতে তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জনের ফেসবুক আইডিতে ওই ভিডিও দেখা যায়। তাতে কমেন্ট বক্সে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সম্পর্কে অনেকে মন্তব্য করেছেন, ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ সম্ভব হচ্ছে না এই দপ্তর থেকে।
ঘটনার তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের কায়েদাবাদ জামিয়াহ্ আযীযিয়া এতিমখানার পরিচালক আব্দুল জলিলের কাছ থেকে সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহায়ক মো. ফারুক হোসেন ১ হাজার টাকা, আরেকজন পিয়ন ৫০০ টাকা এবং খোদ সমাজসেবা কর্মকর্তা ৩ হাজার ৫০০ টাকা উৎকোচ নিয়েছেন। ভিডিওটা দেখলে এমনটাই প্রমাণ মেলে।
এসব অভিযোগের সত্যতার বিষয়ে জানতে চাইলে সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমার দপ্তরের পিয়নকে কিছু কাগজপত্র ফটোকপি করার জন্য ৫০০ টাকা দিয়ে গেছে এতিম খানার লোকজন। আর আমার টেবিলের উপর রাখা ফাইলের ভিতরে যে টাকার ভিডিও আপনারা দেখছেন সেটা আমার অন্য টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর অভিযোগ, নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি শেষে ছাড়পত্রে যে ওষুধ চিকিৎসক লিখেন সমাজসেবা কর্মকর্তা তার ২৫ % রোগীদের বিতরণ করেন। কিন্তু তিনি ১০০% ওষুধেরই বিল করেন।
নলছিটি উপজেলার সকলের একটাই দাবি, দুর্নীতি ও ঘুষখোর সমাজসেবা কর্মকর্তার দ্রুত শাস্তিযোগ্য অপসারণ।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহপার পারভীন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত । সঠিক প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসআইএইচ