বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৩ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভোলার ৪ আসনে আওয়ামী লীগের পাঁচ নতুনের গুঞ্জন

ভোলার রাজনীতিতে নতুন রাজনৈতিক নেতাদের মনোনয়ন প্রত্যাশা ঘনিভুত। ভোলার ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের নতুন ৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাশির নাম শুনা যাচ্ছে আওয়ামী রাজনীতির মাঠে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো বাকি প্রায় এক বছর। এরই মধ্যে ভোলায় শুরু হয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের নড়াচড়া। তবে স্বাধীনতার পর থেকে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের অভিভাবক হিসেবে খ্যাত জননেতা তোফায়েল আহাম্মেদ।

এক সময়ে দলটির সব কয়টি জয় পেতে, দলকে সুসংগঠিতসহ তৃণমূল পর্যন্ত শক্তিশালী করার অগ্রভুমিকা রেখেছেন তিনি। তোফায়েল আহাম্মেদ ভোলা-১ সদর আসন থেকে পাঁচবার এবং ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসন থেকে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী নির্বাচনেও তিনি ভোলা সদর আসনে একক প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন জেলার আওয়ামী নেতা-কর্মীরা।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে দলের জেলা শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা, ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহাবুবুর রহমান হিরণ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র নেতা হেমায়েত উদ্দিন হিমুর নামও আলোচনায় ভাষছে। তবে সাবেক ছাত্র নেতা হেমায়েত উদ্দিন হিমু বলেন আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা ১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলাম, আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বর্তমান সাংসদ তোফায়েল আহাম্মেদের সমর্থন করে নৌকার বিজয়ে প্রচার প্রচারণায় অংশ নেই। তবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় নেত্রীর একান্ত বিবেচনা ও নির্দেশনায় আমি ভোলা -১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি।

তবে নেত্রীর নির্দেশনা ও আশির্বাদে আমি নেতা হিসেবে নয় আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে থাকতে চাই। তবে মনোনয়নের বিষয়ে নেত্রীর নির্দেশনা আমি মেনে নিবো ইনশাআল্লাহ। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মীরা বলছেন, তোফায়েল আহম্মেদ বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার পর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন মূলককাজ করেছেন।

তিনি তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকায় এসে দলীয় ও জাতীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ কারণে দলের এ বর্ষীয়ান নেতা আগামী নির্বাচনেও ভোলা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান তাকে কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে মাত্র ২৬ বছর বয়সে ১৯৭০ সালে প্রথম মনোনয়ন দেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনে তিনি এমএলএ নির্বাচিত হয়েছেন। সেই থেকেই তোফায়েল আহাম্মেদের হাত ধরে বিজয়ের ধারা শুরু হয়েছে ভোলার আওয়ামী রাজনীতিতে ।

এর পর প্রার্থী হন ১৯৭৩, ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে। এর মধ্যে ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোলা-১ আসন থেকে জয় লাভ করেন দলটির এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ভোলা-২ আসন (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) থেকেও নির্বাচিত হন।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী তোফায়েল আহমেদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোলা-১ আসন থেকে নির্বাচন করার আশা ব্যাক্ত করেন দলটির জেলা ও উপজেলার নেতা কর্মীরা। আওয়ামী লীগ ভোলা-১ আসন থেকে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিবেন বলে জানিয়েছেন দলটির নেতা কর্মীরা।

অতীতে জেলার একাধিক আসনে তিনি ভোটের লড়াইয়ে নামলেও এবার শেষ বয়সে ভোলা-১ আসনকেই বেছে নিবেন বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীগন । অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলার তিনটি আসন থেকে দাঁড়িয়ে তিনটিতেই পরাজিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা। তবে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোলা-২ আসন থেকে নির্বাচন করেন।

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পান ভোলা-১ আসনে। এবারও এখান থেকেই তার ভোটের প্রস্তুতি থাকবে বলে জানিয়েছেন নেতা কর্মীরা। জনগণের মধ্যে প্রবীণ রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। ভোলার উন্নয়নের চিত্র পাল্টে দিতে যে কয়জন রাজনৈতিক ব্যাক্তি অবদান রেখেছেন তোফায়েল আহাম্মেদ তাদেরই অন্যতম একজন। আর এ কারণে ভোটের ময়দানে তিনি রয়েছেন শক্তিশালী অবস্থানে।

সূত্রে আরও জানা গেছে, দ্বীপজেলা ভোলার অন্যতম প্রধান সমস্যা নদীভাঙন রোধে গত ৫ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে তোফায়েল আহমেদের প্রচেষ্টায়। ইতিমধ্যে ইলিশা ও রাজাপুরে নদীভাঙন রোধে সিসি ব্লকের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভোলা-বরিশাল সড়ক পথে যাতায়াতের জন্য তেঁতুলিয়া নদীর ওপর নির্মাণ হবে সেতু। এরইমধ্যে যাচাই হয়েছে সম্ভাব্যতা। আর এসব উদ্যোগের সুফল পাওয়ার আশা করছে আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে ভোলার অপর ৩টি আসনের ভোলা ২ (বোরহানউদ্দিন -দৌলতখাঁন) তিনি হচ্ছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ভাইয়ের ছেলে আলী আজম মুকুল (এমপি)। যিনি জনপ্রিয়তা প্রমাণে সফল হওয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ভোলা ২ আসনে আলি আযম মুকুল দুই বারের সংসদ সদস্য থেকে তার নির্বাচনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তবে বর্তমানে ভোলা -২ আসনে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ এর সহোদর ভাই আশিকুর রহমান শান্ত ওএর নাম শুনা যাচ্ছে।

একইভাবে তৃতীয়বারের মতো মনোনয়ন প্রত্যাশি ভোলা-৩ আসনের বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশায় বিবিএস ক্যাবলসের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান এর নাম এখন এলাকায় শোনা যাচ্ছে। ইতি মধ্যে ভোলা -৩ (লালমোহন তজুমদ্দিন) এলাকায় ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান সামাজিক কর্মকান্ড সহ স্থানীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান বলেন, আমি ছাত্র জীবনে রুয়েট আওয়ামী লীগের ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম এবং কর্ম জীবনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছি থাকবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চাইলে আমি ভোলা -৩ আসনে মনোনয়ন প্রাপ্ত হলে ভোটের মাঠে লড়ে জয় সুনিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ। তবে ভোলা -৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশায় মেজর জশিমের নাম ও শোনা যাচ্ছে।

(অবঃ)মেজর জসিম ঢাকা প্রকাশকে বলেন আমি ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে ভোলা ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি অনাকাঙ্ক্ষিত কারনে উক্ত আসনে ২০১০ সালে উপনির্বাচনে আমি মনোনীত না হলে বর্তমান সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এর সাঙ্গে আওয়ামী লিগের একজন কর্মী হয়ে কাজ করেছিলাম।

আমি আশাকরি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যোগ্য বিবেচনা করে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা ৩ আসনে মনোনীত করলে আবারও নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। তবে আওয়ামীলীগ আমাকে মনোনয়ন না দিলেও দলের সাথে আছি এবং বাকিটা জীবন আওয়ামী লীগের সাথে থাকবো ।

ভোলা-৪ আসনে বর্তমান বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (এমপি)। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে সাবেক সচিব মেজবাহ উদ্দিন এর নাম ও এখন আলোচনায় ভাষছে। তবে উন্নয়নমুলুক কর্মকান্ড ও জনপ্রিয়তায় আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এগিয়ে ।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

খুলনায় ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাস, বুলডোজারের আঘাতে মাটিতে মিশে গেল ‘শেখ বাড়ি’

ছবি: সংগৃহীত

খুলনার ময়লাপোতা এলাকায় ‘শেখ বাড়ি’ নামে পরিচিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র আজ (বুধবার) রাতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের আহ্বানে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা সেখানে জড়ো হয়ে বাড়িটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং সিটি করপোরেশনের দুটি বুলডোজার দিয়ে বাড়িটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে গত ৪ আগস্ট ‘শেখ বাড়ি’তে প্রথম দফায় আগুন লাগানো হয়। সেদিন বাড়িটি খালি থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর আবারও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়। একসময় যেখান থেকে খুলনা অঞ্চলের আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হতো, আজ সেটির অস্তিত্ব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো।

প্রসঙ্গত, ‘শেখ বাড়ি’ ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচার মালিকানাধীন। এ বাড়িতে তাঁর চাচাতো ভাই, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সোহেল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন পরিবারের সদস্য বসবাস করতেন। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে এ বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা ছিল।

বুলডোজার চালানোর সময় ছাত্র-জনতার বিপুল উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যায়। তাঁদের দাবি, বৈষম্যমূলক রাজনৈতিক শাসনের প্রতীক হয়ে উঠেছিল এই বাড়ি, তাই এটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য।

Header Ad
Header Ad

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছে। আজ বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, সন্ধ্যা ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জড়ো হয়। তারা স্লোগান দিতে দিতে জাদুঘরের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ জাদুঘরের বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করে।

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণের বিরোধিতা করে এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২' নামে একটি কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়, যেখানে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়। তবে, বুলডোজার ছাড়াই তারা নিজ হাতে ভাঙচুর চালায়।

এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও বিক্ষোভকারীদের থামাতে ব্যর্থ হয়। বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে পরিচিত, যেখানে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার আগে বসবাস করতেন।

Header Ad
Header Ad

আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা কী করলাম বা করলাম না- ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেটি দিয়ে আমাদের বিচার করবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, দেশের রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং এর ভিত্তিতেই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। তিনি আরও বলেন, "এটি জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। আমি জাতির পক্ষ থেকে কমিশনের দুই চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।"

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "এই দুটি প্রতিবেদন দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে। আপনি দরিদ্র, মধ্যবিত্ত বা ধনী যেই হোন না কেন, এই সংস্কারের প্রভাব থেকে কেউই বাদ যাবেন না।"

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নাগরিকরা তাদের প্রকৃত অধিকার ফিরে পাবেন। আমরা যেন সত্যিকারের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পাই, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।"

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, "যাতে সবাই মনে করতে পারে, এখানে প্রকৃত সত্য বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। আমাদের তো পণ্ডিত হতে হবে না এটি বোঝার জন্য, কারণ প্রতিদিনই আমরা নানা অবিচারের শিকার হই।"

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "সংস্কার কমিশনের কাজ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশ্বের দরবারে এটি তুলে ধরতে হলে এর ইংরেজি অনুবাদ করা প্রয়োজন।"

কমিশনের সদস্যদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, "আপনাদের প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা ও গবেষণার সংমিশ্রণে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দলিল হয়ে থাকবে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা কী করলাম বা করলাম না, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের সেই কাজের জন্যই বিচার করবে। তারা প্রশ্ন করতে পারে, আপনারা তো পেয়েছিলেন, তাহলে বাস্তবায়ন করেননি কেন? কারণ, সবকিছু তো বইয়ের পাতায় লেখা আছে। এই কাজ জাতির জন্য এক মূল্যবান স্মারক হয়ে থাকবে।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খুলনায় ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাস, বুলডোজারের আঘাতে মাটিতে মিশে গেল ‘শেখ বাড়ি’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা
আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার বিচারের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান
মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কোপালেন আ'লীগের কর্মিরা
খুব দ্রুতই জবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে: ছাত্রদল সভাপতি
বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব