সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভোলার ৪ আসনে আওয়ামী লীগের পাঁচ নতুনের গুঞ্জন

ভোলার রাজনীতিতে নতুন রাজনৈতিক নেতাদের মনোনয়ন প্রত্যাশা ঘনিভুত। ভোলার ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের নতুন ৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাশির নাম শুনা যাচ্ছে আওয়ামী রাজনীতির মাঠে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো বাকি প্রায় এক বছর। এরই মধ্যে ভোলায় শুরু হয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের নড়াচড়া। তবে স্বাধীনতার পর থেকে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের অভিভাবক হিসেবে খ্যাত জননেতা তোফায়েল আহাম্মেদ।

এক সময়ে দলটির সব কয়টি জয় পেতে, দলকে সুসংগঠিতসহ তৃণমূল পর্যন্ত শক্তিশালী করার অগ্রভুমিকা রেখেছেন তিনি। তোফায়েল আহাম্মেদ ভোলা-১ সদর আসন থেকে পাঁচবার এবং ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসন থেকে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী নির্বাচনেও তিনি ভোলা সদর আসনে একক প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন জেলার আওয়ামী নেতা-কর্মীরা।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে দলের জেলা শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা, ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহাবুবুর রহমান হিরণ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র নেতা হেমায়েত উদ্দিন হিমুর নামও আলোচনায় ভাষছে। তবে সাবেক ছাত্র নেতা হেমায়েত উদ্দিন হিমু বলেন আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা ১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলাম, আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বর্তমান সাংসদ তোফায়েল আহাম্মেদের সমর্থন করে নৌকার বিজয়ে প্রচার প্রচারণায় অংশ নেই। তবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় নেত্রীর একান্ত বিবেচনা ও নির্দেশনায় আমি ভোলা -১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি।

তবে নেত্রীর নির্দেশনা ও আশির্বাদে আমি নেতা হিসেবে নয় আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে থাকতে চাই। তবে মনোনয়নের বিষয়ে নেত্রীর নির্দেশনা আমি মেনে নিবো ইনশাআল্লাহ। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মীরা বলছেন, তোফায়েল আহম্মেদ বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার পর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন মূলককাজ করেছেন।

তিনি তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকায় এসে দলীয় ও জাতীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ কারণে দলের এ বর্ষীয়ান নেতা আগামী নির্বাচনেও ভোলা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান তাকে কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে মাত্র ২৬ বছর বয়সে ১৯৭০ সালে প্রথম মনোনয়ন দেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনে তিনি এমএলএ নির্বাচিত হয়েছেন। সেই থেকেই তোফায়েল আহাম্মেদের হাত ধরে বিজয়ের ধারা শুরু হয়েছে ভোলার আওয়ামী রাজনীতিতে ।

এর পর প্রার্থী হন ১৯৭৩, ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে। এর মধ্যে ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোলা-১ আসন থেকে জয় লাভ করেন দলটির এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ভোলা-২ আসন (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) থেকেও নির্বাচিত হন।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী তোফায়েল আহমেদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোলা-১ আসন থেকে নির্বাচন করার আশা ব্যাক্ত করেন দলটির জেলা ও উপজেলার নেতা কর্মীরা। আওয়ামী লীগ ভোলা-১ আসন থেকে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিবেন বলে জানিয়েছেন দলটির নেতা কর্মীরা।

অতীতে জেলার একাধিক আসনে তিনি ভোটের লড়াইয়ে নামলেও এবার শেষ বয়সে ভোলা-১ আসনকেই বেছে নিবেন বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীগন । অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলার তিনটি আসন থেকে দাঁড়িয়ে তিনটিতেই পরাজিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা। তবে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোলা-২ আসন থেকে নির্বাচন করেন।

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পান ভোলা-১ আসনে। এবারও এখান থেকেই তার ভোটের প্রস্তুতি থাকবে বলে জানিয়েছেন নেতা কর্মীরা। জনগণের মধ্যে প্রবীণ রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। ভোলার উন্নয়নের চিত্র পাল্টে দিতে যে কয়জন রাজনৈতিক ব্যাক্তি অবদান রেখেছেন তোফায়েল আহাম্মেদ তাদেরই অন্যতম একজন। আর এ কারণে ভোটের ময়দানে তিনি রয়েছেন শক্তিশালী অবস্থানে।

সূত্রে আরও জানা গেছে, দ্বীপজেলা ভোলার অন্যতম প্রধান সমস্যা নদীভাঙন রোধে গত ৫ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে তোফায়েল আহমেদের প্রচেষ্টায়। ইতিমধ্যে ইলিশা ও রাজাপুরে নদীভাঙন রোধে সিসি ব্লকের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভোলা-বরিশাল সড়ক পথে যাতায়াতের জন্য তেঁতুলিয়া নদীর ওপর নির্মাণ হবে সেতু। এরইমধ্যে যাচাই হয়েছে সম্ভাব্যতা। আর এসব উদ্যোগের সুফল পাওয়ার আশা করছে আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে ভোলার অপর ৩টি আসনের ভোলা ২ (বোরহানউদ্দিন -দৌলতখাঁন) তিনি হচ্ছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ভাইয়ের ছেলে আলী আজম মুকুল (এমপি)। যিনি জনপ্রিয়তা প্রমাণে সফল হওয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ভোলা ২ আসনে আলি আযম মুকুল দুই বারের সংসদ সদস্য থেকে তার নির্বাচনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তবে বর্তমানে ভোলা -২ আসনে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ এর সহোদর ভাই আশিকুর রহমান শান্ত ওএর নাম শুনা যাচ্ছে।

একইভাবে তৃতীয়বারের মতো মনোনয়ন প্রত্যাশি ভোলা-৩ আসনের বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশায় বিবিএস ক্যাবলসের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান এর নাম এখন এলাকায় শোনা যাচ্ছে। ইতি মধ্যে ভোলা -৩ (লালমোহন তজুমদ্দিন) এলাকায় ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান সামাজিক কর্মকান্ড সহ স্থানীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান বলেন, আমি ছাত্র জীবনে রুয়েট আওয়ামী লীগের ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম এবং কর্ম জীবনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছি থাকবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চাইলে আমি ভোলা -৩ আসনে মনোনয়ন প্রাপ্ত হলে ভোটের মাঠে লড়ে জয় সুনিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ। তবে ভোলা -৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশায় মেজর জশিমের নাম ও শোনা যাচ্ছে।

(অবঃ)মেজর জসিম ঢাকা প্রকাশকে বলেন আমি ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে ভোলা ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি অনাকাঙ্ক্ষিত কারনে উক্ত আসনে ২০১০ সালে উপনির্বাচনে আমি মনোনীত না হলে বর্তমান সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এর সাঙ্গে আওয়ামী লিগের একজন কর্মী হয়ে কাজ করেছিলাম।

আমি আশাকরি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যোগ্য বিবেচনা করে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা ৩ আসনে মনোনীত করলে আবারও নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। তবে আওয়ামীলীগ আমাকে মনোনয়ন না দিলেও দলের সাথে আছি এবং বাকিটা জীবন আওয়ামী লীগের সাথে থাকবো ।

ভোলা-৪ আসনে বর্তমান বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (এমপি)। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে সাবেক সচিব মেজবাহ উদ্দিন এর নাম ও এখন আলোচনায় ভাষছে। তবে উন্নয়নমুলুক কর্মকান্ড ও জনপ্রিয়তায় আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এগিয়ে ।
এএজেড

Header Ad

হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক

হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) কড়া নিরাপত্তায় সকাল ১০টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, শাজাহান খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। অন্য একটি মামলায় রিমান্ডে থাকায় আব্দুর রাজ্জাককে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।

ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় আসামিদের অনেককেই হাসি মুখে দেখা যায়। তবে এর মধ্যে হাতজোড় করে দোয়া চাইতে দেখা গেছে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে হাত দিয়ে মোনাজাত ইঙ্গিত করে করে দোয়া চেয়েছেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় কারাবন্দি সাবেক দুই উপদেষ্টা, সাবেক ১০ মন্ত্রী, এক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক এক সচিব, এক বিচারপতিসহ ২০ জনকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। এর মধ্যে ১৪ জনকে ১৮ নভেম্বর হাজির করতে বলা হয়।

এ ছাড়া পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, আব্দুল্লাহ আল কাফি, আরাফাত হোসেন, আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্টে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান।

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ঢাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। এসময় তিনি শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর )সকাল সাড়ে ১১টায় শার্শা উপজেলার বেনাপোল বন্দর নগরীর বড় আঁচড়া গ্রামে আব্দুল্লাহর বাড়িতে পৌঁছান উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আজাহারুল ইসলাম, যশোর জেলা পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, শার্শা থানা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান, এসি ল্যান্ড নুসরাত ইয়াসিন, জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, বেনাপোল পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভারত, শার্শা উপজেলা ছাত্রদল নেতা সামসুজ্জোহা সেলিম প্রমুখ।

এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, আব্দুল্লাহর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেগবান হয়েছে। তার পরিবারের জন্য যা প্রয়োজন সরকার তা করবে।

উপদেষ্টা সেখানে পৌঁছানোর পর আব্দুল্লাহর মা মাবিয়া খাতুন, বাবা আব্দুল জব্বার কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা সন্তান হত্যা বিচার চান। মাবিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলেকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। যারা গুলি করেছে ও নির্দেশ দিয়েছে দ্রুত তাদের বিচার করতে হবে।’তবেই আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট কোটাবিরোধী আন্দোলনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ পুলিশের গুলিতে আহত হন। জানা যায়, ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর তাঁতীবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ। তার কপালের ঠিক মাঝ বরাবর গুলি লাগে। এমন অবস্থায় প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা তিনি রাস্তায় পড়ে থাকেন।

প্রথমে তাকে মিটফোর্ড এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার করে তার মাথা থেকে গুলি বের করা হয়। তবে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকলেও তাকে হাসপাতাল থেকে ১০ আগস্ট জোরপূর্বক ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

এরপর তাকে বেনাপোলে নিয়ে আসেন স্বজনরা। বাড়িতে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে ১১ আগস্ট রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় ডাক্তাররা দ্রুত আবারও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

গত ১২ আগস্ট সকাল ৭টায় তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা মাথার ভেতরে ইনফেকশন দেখতে পান যা তরল প্লাজমার মতো গলে গলে পড়তে থাকে। আবারও তার অপারেশন করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ২২ আগস্ট তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ দিকে মারা যান।

Header Ad

ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেও বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি আজারবাইজানের বাকুতে জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের ফাঁকে আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আল-জাজিরার সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. ইউনূস বলেন, এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বেশিরভাগ প্রোপাগান্ডার উৎস ভারত, তা সে যে কারণেই হোক, হতে পারে এই উত্তেজনা জিইয়ে রাখার জন্য। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই।

এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প ও তার প্রশাসনকে কীভাবে সামলাবেন জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অতীতে ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কখনো যোগাযোগ হয়নি। সুতরাং তার সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা নেই। কিন্তু যদি দলের কথা বলি, আমার রিপাবলিকান পার্টিতেও বন্ধু আছে, ডেমোক্রেটিক পার্টিতেও বন্ধু আছে। আমাকে কংগ্রেসনাল স্বর্ণপদক দেওয়ার ব্যাপারে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ ভোট দিয়েছিল, তাতে উভয় দল থেকে শতভাগ সম্মতি মিলেছিল। সেখানে কোনো সমস্যা নেই। সুতরাং, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়েছেন বলে হঠাৎ করে নতুন কোনো সমস্যার উদয় হবে, আমি তেমনটি মনে করি না।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, কে প্রেসিডেন্ট হলেন তার ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি বদলে যায় না। এটি অনেকটাই স্থিতিশীল। ফলে, এই অঞ্চলের জন্য ট্রাম্প ভিন্ন কোনো অবস্থান নেবেন না বলেই বিশ্বাস করেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান।

শেখ হাসিনার অভিযোগ, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে, যা বাইডেন প্রশাসন অস্বীকার করেছে। এ বিষয়ে ইউনূসের ভাষ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল।

জবাবে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনি যদি বাংলাদেশে থাকেন তাহলে আপনি এই ধরনের (তত্ত্ব) জিনিসের জন্য পাগল হয়ে যাবেন। এরা হল সেই ছাত্র- যারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে, জীবন দিয়েছে এবং চারদিক থেকে উন্মত্ত জনতা যখন তাদের (গণভবন) বাড়িতে ঢুকছে, তখন লক্ষ লক্ষ জনতা তাদের বাড়ির দিকে এগিয়ে গেছে।

তার পরিবার বলছিল, এবার পালানোর সময় হয়েছে, কারণ তা না হলে জনতা পুরো বাড়িটা দখল করে নেবে এবং এটা হয়ে যাবে। তাই তিনি (শেখ হাসিনা) সেনাবাহিনীকে আমন্ত্রণ জানান তাকে দেশের বাইরে যেতে সাহায্য করার জন্য এবং দেশত্যাগ করে তার ভারতে যেতে সহায়তা করে সেনাবাহিনী। কীভাবে (ক্ষমাতুচ্যত) হয়েছিল? এটাই হচ্ছে ঘটনা। সেনাবাহিনী বা কাউকে পাঠানোর বিষয়ে কেউ কাউকে নির্দেশ দিচ্ছে - ব্যাপারটা সেরকম নয়। এটি একটি ছাত্র আন্দোলন এবং দেশের সব মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

সঞ্চালক বলেন, শেখ হাসিনা এখনো নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখছেন।

তখন প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি নিজেকে অনেক কিছুই বলতে পারেন, কিন্তু বাস্তবতা তা নয়। এমনকি ভারতও বলছে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী; সুতরাং তাকে আশ্রয় দিলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কিছুই বলছে না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, হ্যাঁ, সেটার আইনগত প্রক্রিয়া চলছে এবং অভিযুক্ত হলে অবশ্যই তাকে প্রত্যর্পণের জন্য বলা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত
ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই: প্রধান উপদেষ্টা
সরকার চাইলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য
সৌদি আরবে কনসার্ট করবেন জেমস
৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য
গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ
প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখা কিসের ইঙ্গিত?
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
অগ্রাহায়নের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
শীতকালে যেসব ইবাদতের কথা বলেছেন নবীজি (সা.)
প্রেমের টানে বিয়ের দাবিতে ভারতীয় তরুণী বাংলাদেশে
মাল্টিপ্লেক্সে রেকর্ড আয় করল শাকিবের ‘দরদ’
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ জন ট্রাইব্যুনালে হাজির
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে: ড. ইউনূস
দর্শকদের ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে চলে গেলেন পরীমণি
সাকিবকে নিয়ে চেন্নাইয়ে জল্পনা!
নারায়ণগঞ্জে টিস্যুর গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট