সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইলিশা ফেরিঘাটের বড় আপদ ইউসুফ-আজিজের চাঁদাবাজি

ইউসুফ পাটোয়ারি ও আজিজের চাঁদাবাজি বড় আপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটের পরিবহন চালকদের জন্য। তাদের চাঁদাবাজিতেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ইলিশা ফেরিঘাট। আর এ চাঁদাবাজি কিছুতেই থামছে না। তাই এটি একটি অপ্রতিরোধ্য বিষয় বলেও দাবি তুলছেন ফেরি পারাপারের জন্য ঘাটে আসা যানবাহন চালকরা।

জানা গেছে, ইউসুফ পাটোয়ারি বিজেপির সাবেক নেতা এবং নব্য ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক।

ভুক্তভোগী ড্রাইভারদের অভিযোগ, ইউসুফ ও আজিজের নির্দিষ্ট পরিমাণ চাহিদা পূরণ না করলে ফেরিতে গাড়ি উঠতে দেওয়া হয় না। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে ফেরিঘাটে আসা যানবাহন চালকদের জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও উঠেছে।

ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে আশা ট্রাকচালকরা জানান, ইউসুফ পাটোয়ারির চাঁদার আতঙ্কে আমরা অতিষ্ঠ। তবে চালকরা প্রশংসা করেন সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহাম্মেদের । তারা বলেন, জাতীয় নেতা তোফায়েল আহাম্মেদের সুনাম বিনষ্ট করার জন্য ইলিশা ঘাটে এ রকম ধান্দার কাউন্টার বসান বিজেপির সাবেক নেতা ইউসুফ পাটোয়ারি ও আজিজ ।

ড্রাইভাররা জানান, গত দুই বছর আগে তোফায়েল আহাম্মেদের নির্দেশে ইলিশাঘাট থেকে এক চাঁদাবাজকে আটকের পরে কিছুদিন আমরা স্বস্তিতে ছিলাম। কিন্তু তিনি অসুস্থ হওয়ার পরে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ইউসুফসহ তার সহযোগীরা।

চাঁদাবাজরা নিজেদের স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করছে বলেও জানান ভুক্তভোগী একাধিক চালক ও হেলপাররা। জানা গেছে, চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে এ ঘাটে।

আরও জানা গেছে, ইলিশা ঘাটে পন্যবাহী ট্রাক আসলেই লাইন খরচের টাকার নাম করে হাত বাড়ায় ইউসুফ পাটোয়ারি। তবে মাছ বহনকারী গাড়ি হলে এক লাফে চাঁদার পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে একাধিকবার অভিযুক্তদের প্রতি ব্যবস্থা নিলেও বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজি, বেপরোয়া রয়েই গেছে ইউসুফ গংরা। এখানকার ফেরির উদ্দেশে আসা সকল যানবাহনকেই অপেক্ষা করা থেকে সব ধাপেই সংশ্লিষ্টদের চাহিদা পূরণ করতে হয় চালকদের। প্রশাসন বিভিন্ন সময় এর প্রতিকার নিলেও চাঁদাবাজি থামছে না কিছুতেই। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও পরে আবারও চাঁদাবাজি শুরু হয় নতুন কৌশলে। ধাপে ধাপে শুধু কৌশল পরিবর্তন হয় কিন্তু চাঁদামুক্ত হয় না।

এই ফেরিঘাটে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরা। তারপরও থামানো যায়নি ইউসুফদের চাঁদাবাজি। তাদের চাঁদাবাজির বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপ সংরক্ষিত রয়েছে প্রতিবেদকের হাতে। তবে সিসি ক্যামেরার সুফল না পাওয়ার কথাও ব্যক্ত করেন চালকরা। এক ভিডিওতে দেখা যায়, ইউসুফ পাটোয়ারি তার সহযোগীকে আদেশ দিচ্ছে রেডেক্স থেকে ৪০০ টাকা লও এক পয়সাও কম হবে না । আবার সোনার বাংলার আরেক চালককে বলছেন ওর কাছে টাকা দেন সমস্যা নাই । ইউসুফ নিজেও চাঁদা আদায় করছে এমন বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপও রয়েছে। তাতে প্রমাণ হয় যে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ঠেকানো যায়নি এ ঘাটের চাঁদার ধান্দা।

এদিকে ঘাটে চাঁদাবাজির ধরনেও ছোঁয়া লেগেছে নানা আধুনিকতার, পাল্টে গেছে চাঁদার পরিমাণ ও স্টাইল। প্রশাসনের লোক কিংবা সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেলেই নতুনরা তুলেন নির্ধারিত পরিমাণের টাকা।

ইলিশা ফেরিঘাটের অপেক্ষমান ট্রাক চালকরা বলেন, পরিবহন সেক্টরে বিস্তর চাঁদাবাজি। পরিবহন সেক্টরের এই চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য থামানোর সাধ্য যেন কারোই নেই।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন চালক বলেন, সাবেক বিজেপির ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা ইউসুফ এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের সঙ্গে মিশে এই চাঁদা কালেকশন করেন। কেউ তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলেন, আমি পুল্টনের টোল ইজারাদার । কিন্তু পুল্টনের টোল আদায়ের ৭৫ টাকা আদায় রশিদের মাধ্যমে বিআইডব্লিউটিসির ফেরি ভাড়া আদায়ের সঙ্গেই নেওয়া হয় এমনটাই দেখা গেছে সরেজমিনে। তাহলে ইউসুফ পাটোয়ারি লাইনের দোহাই ও পার্কিং দোহাই দিয়ে যে টাকা নেন তা চাঁদা নয় কি? এমন প্রশ্ন চালকদের কিন্তু ইলিশার প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়াই থাকা ইউসুফ কে থামাবে কে?

চালকরা জানান, চাঁদাবাজ ইউসুফের পক্ষে স্থানীয় নেতা ও ঘাট ইজারাদারের অসাধু কর্তাব্যাক্তি অবস্থান নেওয়ায় প্রশাসনের সব উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে । এ পয়েন্টের চাঁদাবাজি এখন অপ্রতিরোধ্য বিষয়ে রূপ নিয়েছে।

চালকরা বলেন, জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বেড়েছে এখানকার চাঁদার হার । দেশের পূর্ব-দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাসমূহের একটি প্রবেশদ্বার ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি। এ রুটে চলাচলরত দুই সহস্রাধিক যানবাহন থেকে চলছে ইউসুফদের আদায় বানিজ্য ।

ইউসুফের টাকা কালেকশনের বিষয়ে ঘাট ইজারাদার হোসেন সহিদ সোহরাওয়ার্দী মাষ্টার বলেন, আসলে আমাদের মাসে ৪ লাখ টাকা কালেকশন দরকার। পদ্মা সেতু হওয়াতে কালেকশন কম হচ্ছে ।

তিনি আরও বলেন, গাড়ি প্রতি আদায়কৃত টাকা আমি একা পাই না। বিষয়টি পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিসি ওদের দিয়ে কালেকশন করে আমাদেরকে একটি অংশ দেয় ।

তবে বিআইডব্লিউটিসি’র টোল ইজারার বাহিরে ইউসুফ রশিদ ছাড়া যে টাকা তুলেন সেই বিষয়টি কিভাবে দেখছেন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা তা নিশ্চিত নয় যানবাহন চালকরা। এ বিষয়ে জানতে ভোলা বিআইডব্লিউটিসির ইনচার্জ পারভেজ আহাম্মদের ফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ইলিশা ফেরিঘাটে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে ভোলা সদর সার্কেলের এএসপি মো. ফরহাদ সরদার বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি জেনেছি । এখানে চাঁদা আদায়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

এসআইএইচ 

Header Ad

হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক

হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) কড়া নিরাপত্তায় সকাল ১০টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, শাজাহান খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। অন্য একটি মামলায় রিমান্ডে থাকায় আব্দুর রাজ্জাককে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।

ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় আসামিদের অনেককেই হাসি মুখে দেখা যায়। তবে এর মধ্যে হাতজোড় করে দোয়া চাইতে দেখা গেছে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে হাত দিয়ে মোনাজাত ইঙ্গিত করে করে দোয়া চেয়েছেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় কারাবন্দি সাবেক দুই উপদেষ্টা, সাবেক ১০ মন্ত্রী, এক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক এক সচিব, এক বিচারপতিসহ ২০ জনকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। এর মধ্যে ১৪ জনকে ১৮ নভেম্বর হাজির করতে বলা হয়।

এ ছাড়া পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, আব্দুল্লাহ আল কাফি, আরাফাত হোসেন, আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্টে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান।

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ঢাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। এসময় তিনি শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর )সকাল সাড়ে ১১টায় শার্শা উপজেলার বেনাপোল বন্দর নগরীর বড় আঁচড়া গ্রামে আব্দুল্লাহর বাড়িতে পৌঁছান উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আজাহারুল ইসলাম, যশোর জেলা পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, শার্শা থানা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান, এসি ল্যান্ড নুসরাত ইয়াসিন, জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, বেনাপোল পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভারত, শার্শা উপজেলা ছাত্রদল নেতা সামসুজ্জোহা সেলিম প্রমুখ।

এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, আব্দুল্লাহর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেগবান হয়েছে। তার পরিবারের জন্য যা প্রয়োজন সরকার তা করবে।

উপদেষ্টা সেখানে পৌঁছানোর পর আব্দুল্লাহর মা মাবিয়া খাতুন, বাবা আব্দুল জব্বার কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা সন্তান হত্যা বিচার চান। মাবিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলেকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। যারা গুলি করেছে ও নির্দেশ দিয়েছে দ্রুত তাদের বিচার করতে হবে।’তবেই আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট কোটাবিরোধী আন্দোলনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ পুলিশের গুলিতে আহত হন। জানা যায়, ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর তাঁতীবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ। তার কপালের ঠিক মাঝ বরাবর গুলি লাগে। এমন অবস্থায় প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা তিনি রাস্তায় পড়ে থাকেন।

প্রথমে তাকে মিটফোর্ড এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার করে তার মাথা থেকে গুলি বের করা হয়। তবে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকলেও তাকে হাসপাতাল থেকে ১০ আগস্ট জোরপূর্বক ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

এরপর তাকে বেনাপোলে নিয়ে আসেন স্বজনরা। বাড়িতে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে ১১ আগস্ট রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় ডাক্তাররা দ্রুত আবারও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

গত ১২ আগস্ট সকাল ৭টায় তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা মাথার ভেতরে ইনফেকশন দেখতে পান যা তরল প্লাজমার মতো গলে গলে পড়তে থাকে। আবারও তার অপারেশন করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ২২ আগস্ট তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ দিকে মারা যান।

Header Ad

ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেও বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি আজারবাইজানের বাকুতে জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের ফাঁকে আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আল-জাজিরার সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. ইউনূস বলেন, এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বেশিরভাগ প্রোপাগান্ডার উৎস ভারত, তা সে যে কারণেই হোক, হতে পারে এই উত্তেজনা জিইয়ে রাখার জন্য। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই।

এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প ও তার প্রশাসনকে কীভাবে সামলাবেন জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অতীতে ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কখনো যোগাযোগ হয়নি। সুতরাং তার সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা নেই। কিন্তু যদি দলের কথা বলি, আমার রিপাবলিকান পার্টিতেও বন্ধু আছে, ডেমোক্রেটিক পার্টিতেও বন্ধু আছে। আমাকে কংগ্রেসনাল স্বর্ণপদক দেওয়ার ব্যাপারে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ ভোট দিয়েছিল, তাতে উভয় দল থেকে শতভাগ সম্মতি মিলেছিল। সেখানে কোনো সমস্যা নেই। সুতরাং, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়েছেন বলে হঠাৎ করে নতুন কোনো সমস্যার উদয় হবে, আমি তেমনটি মনে করি না।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, কে প্রেসিডেন্ট হলেন তার ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি বদলে যায় না। এটি অনেকটাই স্থিতিশীল। ফলে, এই অঞ্চলের জন্য ট্রাম্প ভিন্ন কোনো অবস্থান নেবেন না বলেই বিশ্বাস করেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান।

শেখ হাসিনার অভিযোগ, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে, যা বাইডেন প্রশাসন অস্বীকার করেছে। এ বিষয়ে ইউনূসের ভাষ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল।

জবাবে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনি যদি বাংলাদেশে থাকেন তাহলে আপনি এই ধরনের (তত্ত্ব) জিনিসের জন্য পাগল হয়ে যাবেন। এরা হল সেই ছাত্র- যারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে, জীবন দিয়েছে এবং চারদিক থেকে উন্মত্ত জনতা যখন তাদের (গণভবন) বাড়িতে ঢুকছে, তখন লক্ষ লক্ষ জনতা তাদের বাড়ির দিকে এগিয়ে গেছে।

তার পরিবার বলছিল, এবার পালানোর সময় হয়েছে, কারণ তা না হলে জনতা পুরো বাড়িটা দখল করে নেবে এবং এটা হয়ে যাবে। তাই তিনি (শেখ হাসিনা) সেনাবাহিনীকে আমন্ত্রণ জানান তাকে দেশের বাইরে যেতে সাহায্য করার জন্য এবং দেশত্যাগ করে তার ভারতে যেতে সহায়তা করে সেনাবাহিনী। কীভাবে (ক্ষমাতুচ্যত) হয়েছিল? এটাই হচ্ছে ঘটনা। সেনাবাহিনী বা কাউকে পাঠানোর বিষয়ে কেউ কাউকে নির্দেশ দিচ্ছে - ব্যাপারটা সেরকম নয়। এটি একটি ছাত্র আন্দোলন এবং দেশের সব মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

সঞ্চালক বলেন, শেখ হাসিনা এখনো নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখছেন।

তখন প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি নিজেকে অনেক কিছুই বলতে পারেন, কিন্তু বাস্তবতা তা নয়। এমনকি ভারতও বলছে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী; সুতরাং তাকে আশ্রয় দিলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কিছুই বলছে না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, হ্যাঁ, সেটার আইনগত প্রক্রিয়া চলছে এবং অভিযুক্ত হলে অবশ্যই তাকে প্রত্যর্পণের জন্য বলা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত
ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই: প্রধান উপদেষ্টা
সরকার চাইলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য
সৌদি আরবে কনসার্ট করবেন জেমস
৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য
গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ
প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখা কিসের ইঙ্গিত?
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
অগ্রাহায়নের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
শীতকালে যেসব ইবাদতের কথা বলেছেন নবীজি (সা.)
প্রেমের টানে বিয়ের দাবিতে ভারতীয় তরুণী বাংলাদেশে
মাল্টিপ্লেক্সে রেকর্ড আয় করল শাকিবের ‘দরদ’
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ জন ট্রাইব্যুনালে হাজির
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে: ড. ইউনূস
দর্শকদের ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে চলে গেলেন পরীমণি
সাকিবকে নিয়ে চেন্নাইয়ে জল্পনা!
নারায়ণগঞ্জে টিস্যুর গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট