শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

স্মৃতি

বিকেল বেলা চেয়ার নিয়ে বসে আছি বাড়ির বাইরের আঙ্গিনায়। হঠাৎ দেখি স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়ে বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে হাতে হাত রেখে প্রেমালাপ করে যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে মনে পড়ে গেলো আমার কলেজ জীবনের সেই ১৯৮৮ সালের স্মৃতির কথা। সেই সময় প্রেম করতে হৃদয় গহিনে নাড়া দিলেও লাগতো বড় ভয়, লোক সমাজে কি জানি কি কয়

মনের অজান্তে বলে ফেললাম ওগো প্রেয়সী আজও মনে পড়ে তোমার কথা,তোমার কথা মনে করে পাচ্ছি সারা জীবন ব্যথা। পাশেই বসা ছিল আমার বড় এক চাচাতো ভাইয়ের নাতি নাম আসাদ।সেও কলেজে পড়ে, বলছে ও কবি দাদু তোমার কথা শুনেছি আমি চমকে উঠলাম কি বলতে কি বলে ফেললাম বললাম- না ও কিছু না। কবি দাদু আমি কিন্তু শুনেছি তুমিও নিশ্চয় বয়সকালে প্রেম করেছিলে। দাদা সত্যি বলতো তুমি কি কখনও প্রেম করনি। আমার সেই স্মৃতির কথা মনে করে চোখ যেনো ছলছল করে চোখের কোণায় পানি ভাসছে।

বললাম হ্যাঁ দাদুভাই।

বললো কোথায় আর ওই মেয়েটির নাম কি ছিল।

রূপালী - যেমন নাম তেমন ছিল রূপে গুণে ভরপুর আর সে পড়তো দশম শ্রেণিতে।আমি কলেজের হোস্টেলে থাকতাম।আমার রুমমেট ছিল তিনজন।

হঠাৎ একদিন কাজের বুয়া আসেনি আর ঐ দিন ছিল শুক্রবার কলেজ বন্ধ থাকায় রুমমেট সবাই বাড়ি গিয়েছিল। তাই আমি নিজেই রান্নার কাজে ব্যস্ত এমন সময় মেয়েটি পাশে দিয়ে যাচ্ছে আমার চোখে চোখ পড়তেই ও নিজে থেকেই বলে ফেললো আপনাদের কাজের বুয়া আসেনি।ইতস্ততঃ হয়ে বললাম না আসে নি। আপনি কি রান্না করতে পারেন? বললাম একটু একটু।মেয়েটি ছিল সরলমনা বলল দেন আমি রান্না করে দিচ্ছি। আমি বললাম না না ও জোর করে রান্না করে দিচ্ছে এমন সময় ওর ছোট বোন শিউলি এসে বলল আপু তোমাকে আম্মু খুঁজছে। রূপালী বলল আমি যে এখানে আসছি তা মাকে বলোনা প্লীজ লক্ষী বোনটি একথা বলে মুচকি হাসি দিয়ে রূপালী তার বোনকে নিয়ে চলে গেলো। দুই বোন মিলে পরের দিন আবার আসলো শিউলি পড়ে পঞ্চম শ্রেণীতে একটি অংক করার উছিলায়। দুই বোন মিলে রান্না করে দিয়ে চলে যাওয়ার সময় বাই বাই বলে বিদায় জানালো, ওর চাহনি, মুচকি হাসে ও রূপের ঝলকানি যেন আমার মনে ভাসতে লাগলো কিছুই ভালো লাগছে না। দেখলাম নাতি আসাদ মনোযোগে শুনতেছে এমন সময় আমার মেয়ে জুঁই ডাকছে আব্বু আম্মু তোমাকে বাসায় আসতে বললো নাতিকে বললাম বাকি কথা আরেক দিন।

আমার গৃহিণী বলল এতক্ষণ আসাদের সাথে কি কথা হলো,বললাম খোশগল্প গিন্নি বললো ও আচ্ছা।

ঠিক পরেরদিন আসাদ ওই জায়গায় আসলো আমার স্মৃতিময় কথা শুনতে, কবি দাদু বাকি কথা কর না শুরু। শোনো দুই দিন পর রুপালী স্কুলে যাচ্ছে সাথে ওর ছোট বোন শিউলিও। জানালার পাশে দিয়ে যাওয়ার সময় একটি গোলাপ ফুল ছুঁড়ে দিয়ে হাত ও চোখের ভাষায় বলে গেলো ভালোবাসি।একদিন বিকেল বেলা ওর এক উপজাতি বান্ধবী নাম রেবা ও ছোট বোন শিউলিকে নিয়ে বেড়াতে এসে পানি খাওয়ার উছিলায় সবাই ঘরে ঢুকলো। বন্ধুরা ইতিমধ্যে বুঝে গেছে তাই সুযোগ দিয়ে ওরা বেড়াতে বাইরে চলে গেলো। রূপালী শিউলীকে বলল তুমি বাড়ি যাও মা আবার খোঁজবে তাই শিউলী মুচকি হেসে বাই বাই বলে চলে গেলো। চানাচুর বাদাম খেতে খেতে গল্প রেবা বললো আপনাদের দু'জনকে বেশ মানিয়েছে তাই আপনাদের ভালোবাসা চিরস্থায়ী হোক।আমি বললাম আমরাতো গরীব মানুষ। রূপালী বলল কে গরীব আর কে ধনী গায়ে তো লেখা নাই আমি তোমাকে ভালোবাসি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না আমি তখন বললাম আই লাভ ইউ টু।

এভাবে চললো মাস তিনেক শীতের শেষে বসন্তের আগমন মনটা করছে উড়ো উড়ো বিকেলে চেয়ার নিয়ে বসে রূপালীদের বাসার দিকে তাকিয়ে আছি। পিছন থেকে শিউলী এসে দুচোখ ধরে দুলাভাই বলে সম্বোধন করে বলল মা আপনাকে এখন আমার সাথে যেতে বলছে।

আমি যেনো বিস্মিত মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি আমতা আমতা করে না না বললাম শিউলী নাছোড়বান্দা কিছুতেই ছাড়লো না। গিয়ে দেখলাম ডাইনিং টেবিলে নাস্তা ও ফলের সমারোহ তার মা আসলো সালাম দিয়ে আন্টি বলে ডাকলাম নাস্তা খাওয়ার ফাঁকে ফ্যামিলিতে কে কে আছে বিভিন্ন জিঙ্গাসাবাদ করলো এক পর্যায়ে আন্টি বললো দেখ বাবা আমাদের বড় ছেলে নেই তুমি আজ থেকে আমার ছেলে হয়ে থাকবে আর রূপালীকে আমি তোমার হাতে তুলে দিতে চাই। বললাম আন্টি আমি তো বর্তমানে বেকার তাই কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে তাছাড়া রুপালি এস,এস,সি পাস করুক আর দেখি আমি কিছু করতে পারি কিনা। আন্টি বলল আর নয় আন্টি বলো মা, লজ্জায় যেনো লাল হয়ে গেলাম সামনে ছিল শিউলী ব্যাচকি দিল। ঠিক আছে মা আজ আসি। এখন বন্ধু মহল সবাই জানে আমি হলাম এই বাড়ীর জামাই। ভালো কিছু রান্না হলে প্রায়ই বাসা থেকে শিউলী দিয়ে যায় আর মাঝে মধ্যে রূপালীও নিয়ে আসতো। ফাইনাল পরীক্ষা আরেক দিকে বিয়ের জন্য চলছে পিরাপিরি কি করবো ভেবে উঠতে পারছিনা সম্পর্কে যেনো চলছে টানাপোড়নের খেলা না পারছি সইতে না পারছি কইতে। ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি আসলাম আর ওদিকে জানতে পারলাম রূপালীর বিয়ের পাকা কথা ছেলে নাকি কাপড়ের ব্যাবসা করে।

রূপালীর একটি চিঠি আদৌ বুকের ভিতর কান্নার ঝড় বয়ে বেড়ায়। চিঠি পাঠিয়েছিল রক্তের ছাপ দিয়ে বলে ছিল আমাকে বাঁচাও তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না, তুমি রাজি থাকলে আমি তোমার সাথে পালিয়ে যাবো তার ওই আকুতি আমার চোখের পানি ছলছল করে বের হয়েছিল কিন্তু কি করব বেকার। বাপের আর্থিক অবস্থাও ভালো ছিল না।সবে ইন্টার মিডিয়েট পরীক্ষা দিয়েছি কিছুদিন পর রিজাল্ট হলো পাশও করলাম।জানতে পারলাম রূপালীর বিয়ে হয়ে গেছে তাই হৃদয়টা যেনো পাথর হয়ে গেলো - মনমরা কিছুই ভালো লাগেনা শেরপুর সরকারি কলেজে বি,এ ভর্তি হলাম পাস করলাম সরকারি চাকরি হলো সেই চট্টগ্রামে পোস্টিং প্রায় তিন চার মাস পরপর বাড়ি আসতাম বুঝলে নাতি। তখন ছিল রেডিওর যুগ বিরহের গান শুনতাম আর মাঝে মধ্যে কবিতা লিখে সময় পার করতাম আর এখনকার মতন মোবাইল ছিলনা বাবা চিঠি লিখতো সাত/ আট দিন পরে পেতাম আমি লিখলেও সেভাবেই পেত আর তীর্থের কাকের মতন চেয়ে থাকতাম কবে আসবে চিঠি এই অপেক্ষাটাও যেনো অনেক আনন্দের ছিল।

যাই হোক বাড়ি আসলাম পঁচানব্বই সালের মে মাসে বাবা আর মামা মিলে পঁচিশে মে বৃহস্পতিবার নয়আনী বাজার শেরপুর টাউনে তোমার দাদীর সাথে বিয়ে ঠিক করে এসে আমাকে বললেন মেয়ে দেখতে যাব। যাওয়ার সময় বন্ধু সম্রাটকে পেলাম নিউমার্কেট মোড়ে ওরে বললাম চল বন্ধু মেয়ে দেখতে যাব ও এমনিতেই রাজি হয়ে গেলো।

গিয়ে দেখলাম বিয়ের সমস্ত ব্যবস্থা করেই তারা আমাকে মেয়ে দেখার কথা বলে নিয়ে আসছে কারণ আমি বিয়ের বাপারে উদাসীন ছিলাম।

এখানে মজার ব্যাপার কি জানো বিয়ের পর জানতে পারলাম তোমার দাদীও নাকি কলেজ থেকে ফেরার পথে ওর এক বান্ধবীর নিকট জেনেছিল তোর বিয়ে তুই কোথায় থেকে আসলি ও বলেছিল কি বলিস আমার বিয়ে আর আমি জানতাম না।

তোমার দাদী চিঠি দিত সাত/ আট দিন পরে পেতাম যেনো সেই চিঠির মধ্যে ভালোবাসার নিবেদন, মনে হতো না মাছুমা আমার স্ত্রী মনে হতো এক যুগের প্রেমিকা।

 এখনতো মোবাইলের যুগ চিঠির প্রয়োজন নেই বললেই চলে কপোত কপোতির কথ হয় দিবারাত্রি।

আজকে তোমাদের চিঠির দিন শেষ,

মোবাইল নেমে সুখে আছ বেশ।

 

ডিএসএস/ 

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি