শনিবার, ১১ মে ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

স্মৃতি

বিকেল বেলা চেয়ার নিয়ে বসে আছি বাড়ির বাইরের আঙ্গিনায়। হঠাৎ দেখি স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়ে বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে হাতে হাত রেখে প্রেমালাপ করে যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে মনে পড়ে গেলো আমার কলেজ জীবনের সেই ১৯৮৮ সালের স্মৃতির কথা। সেই সময় প্রেম করতে হৃদয় গহিনে নাড়া দিলেও লাগতো বড় ভয়, লোক সমাজে কি জানি কি কয়

মনের অজান্তে বলে ফেললাম ওগো প্রেয়সী আজও মনে পড়ে তোমার কথা,তোমার কথা মনে করে পাচ্ছি সারা জীবন ব্যথা। পাশেই বসা ছিল আমার বড় এক চাচাতো ভাইয়ের নাতি নাম আসাদ।সেও কলেজে পড়ে, বলছে ও কবি দাদু তোমার কথা শুনেছি আমি চমকে উঠলাম কি বলতে কি বলে ফেললাম বললাম- না ও কিছু না। কবি দাদু আমি কিন্তু শুনেছি তুমিও নিশ্চয় বয়সকালে প্রেম করেছিলে। দাদা সত্যি বলতো তুমি কি কখনও প্রেম করনি। আমার সেই স্মৃতির কথা মনে করে চোখ যেনো ছলছল করে চোখের কোণায় পানি ভাসছে।

বললাম হ্যাঁ দাদুভাই।

বললো কোথায় আর ওই মেয়েটির নাম কি ছিল।

রূপালী - যেমন নাম তেমন ছিল রূপে গুণে ভরপুর আর সে পড়তো দশম শ্রেণিতে।আমি কলেজের হোস্টেলে থাকতাম।আমার রুমমেট ছিল তিনজন।

হঠাৎ একদিন কাজের বুয়া আসেনি আর ঐ দিন ছিল শুক্রবার কলেজ বন্ধ থাকায় রুমমেট সবাই বাড়ি গিয়েছিল। তাই আমি নিজেই রান্নার কাজে ব্যস্ত এমন সময় মেয়েটি পাশে দিয়ে যাচ্ছে আমার চোখে চোখ পড়তেই ও নিজে থেকেই বলে ফেললো আপনাদের কাজের বুয়া আসেনি।ইতস্ততঃ হয়ে বললাম না আসে নি। আপনি কি রান্না করতে পারেন? বললাম একটু একটু।মেয়েটি ছিল সরলমনা বলল দেন আমি রান্না করে দিচ্ছি। আমি বললাম না না ও জোর করে রান্না করে দিচ্ছে এমন সময় ওর ছোট বোন শিউলি এসে বলল আপু তোমাকে আম্মু খুঁজছে। রূপালী বলল আমি যে এখানে আসছি তা মাকে বলোনা প্লীজ লক্ষী বোনটি একথা বলে মুচকি হাসি দিয়ে রূপালী তার বোনকে নিয়ে চলে গেলো। দুই বোন মিলে পরের দিন আবার আসলো শিউলি পড়ে পঞ্চম শ্রেণীতে একটি অংক করার উছিলায়। দুই বোন মিলে রান্না করে দিয়ে চলে যাওয়ার সময় বাই বাই বলে বিদায় জানালো, ওর চাহনি, মুচকি হাসে ও রূপের ঝলকানি যেন আমার মনে ভাসতে লাগলো কিছুই ভালো লাগছে না। দেখলাম নাতি আসাদ মনোযোগে শুনতেছে এমন সময় আমার মেয়ে জুঁই ডাকছে আব্বু আম্মু তোমাকে বাসায় আসতে বললো নাতিকে বললাম বাকি কথা আরেক দিন।

আমার গৃহিণী বলল এতক্ষণ আসাদের সাথে কি কথা হলো,বললাম খোশগল্প গিন্নি বললো ও আচ্ছা।

ঠিক পরেরদিন আসাদ ওই জায়গায় আসলো আমার স্মৃতিময় কথা শুনতে, কবি দাদু বাকি কথা কর না শুরু। শোনো দুই দিন পর রুপালী স্কুলে যাচ্ছে সাথে ওর ছোট বোন শিউলিও। জানালার পাশে দিয়ে যাওয়ার সময় একটি গোলাপ ফুল ছুঁড়ে দিয়ে হাত ও চোখের ভাষায় বলে গেলো ভালোবাসি।একদিন বিকেল বেলা ওর এক উপজাতি বান্ধবী নাম রেবা ও ছোট বোন শিউলিকে নিয়ে বেড়াতে এসে পানি খাওয়ার উছিলায় সবাই ঘরে ঢুকলো। বন্ধুরা ইতিমধ্যে বুঝে গেছে তাই সুযোগ দিয়ে ওরা বেড়াতে বাইরে চলে গেলো। রূপালী শিউলীকে বলল তুমি বাড়ি যাও মা আবার খোঁজবে তাই শিউলী মুচকি হেসে বাই বাই বলে চলে গেলো। চানাচুর বাদাম খেতে খেতে গল্প রেবা বললো আপনাদের দু'জনকে বেশ মানিয়েছে তাই আপনাদের ভালোবাসা চিরস্থায়ী হোক।আমি বললাম আমরাতো গরীব মানুষ। রূপালী বলল কে গরীব আর কে ধনী গায়ে তো লেখা নাই আমি তোমাকে ভালোবাসি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না আমি তখন বললাম আই লাভ ইউ টু।

এভাবে চললো মাস তিনেক শীতের শেষে বসন্তের আগমন মনটা করছে উড়ো উড়ো বিকেলে চেয়ার নিয়ে বসে রূপালীদের বাসার দিকে তাকিয়ে আছি। পিছন থেকে শিউলী এসে দুচোখ ধরে দুলাভাই বলে সম্বোধন করে বলল মা আপনাকে এখন আমার সাথে যেতে বলছে।

আমি যেনো বিস্মিত মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি আমতা আমতা করে না না বললাম শিউলী নাছোড়বান্দা কিছুতেই ছাড়লো না। গিয়ে দেখলাম ডাইনিং টেবিলে নাস্তা ও ফলের সমারোহ তার মা আসলো সালাম দিয়ে আন্টি বলে ডাকলাম নাস্তা খাওয়ার ফাঁকে ফ্যামিলিতে কে কে আছে বিভিন্ন জিঙ্গাসাবাদ করলো এক পর্যায়ে আন্টি বললো দেখ বাবা আমাদের বড় ছেলে নেই তুমি আজ থেকে আমার ছেলে হয়ে থাকবে আর রূপালীকে আমি তোমার হাতে তুলে দিতে চাই। বললাম আন্টি আমি তো বর্তমানে বেকার তাই কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে তাছাড়া রুপালি এস,এস,সি পাস করুক আর দেখি আমি কিছু করতে পারি কিনা। আন্টি বলল আর নয় আন্টি বলো মা, লজ্জায় যেনো লাল হয়ে গেলাম সামনে ছিল শিউলী ব্যাচকি দিল। ঠিক আছে মা আজ আসি। এখন বন্ধু মহল সবাই জানে আমি হলাম এই বাড়ীর জামাই। ভালো কিছু রান্না হলে প্রায়ই বাসা থেকে শিউলী দিয়ে যায় আর মাঝে মধ্যে রূপালীও নিয়ে আসতো। ফাইনাল পরীক্ষা আরেক দিকে বিয়ের জন্য চলছে পিরাপিরি কি করবো ভেবে উঠতে পারছিনা সম্পর্কে যেনো চলছে টানাপোড়নের খেলা না পারছি সইতে না পারছি কইতে। ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি আসলাম আর ওদিকে জানতে পারলাম রূপালীর বিয়ের পাকা কথা ছেলে নাকি কাপড়ের ব্যাবসা করে।

রূপালীর একটি চিঠি আদৌ বুকের ভিতর কান্নার ঝড় বয়ে বেড়ায়। চিঠি পাঠিয়েছিল রক্তের ছাপ দিয়ে বলে ছিল আমাকে বাঁচাও তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না, তুমি রাজি থাকলে আমি তোমার সাথে পালিয়ে যাবো তার ওই আকুতি আমার চোখের পানি ছলছল করে বের হয়েছিল কিন্তু কি করব বেকার। বাপের আর্থিক অবস্থাও ভালো ছিল না।সবে ইন্টার মিডিয়েট পরীক্ষা দিয়েছি কিছুদিন পর রিজাল্ট হলো পাশও করলাম।জানতে পারলাম রূপালীর বিয়ে হয়ে গেছে তাই হৃদয়টা যেনো পাথর হয়ে গেলো - মনমরা কিছুই ভালো লাগেনা শেরপুর সরকারি কলেজে বি,এ ভর্তি হলাম পাস করলাম সরকারি চাকরি হলো সেই চট্টগ্রামে পোস্টিং প্রায় তিন চার মাস পরপর বাড়ি আসতাম বুঝলে নাতি। তখন ছিল রেডিওর যুগ বিরহের গান শুনতাম আর মাঝে মধ্যে কবিতা লিখে সময় পার করতাম আর এখনকার মতন মোবাইল ছিলনা বাবা চিঠি লিখতো সাত/ আট দিন পরে পেতাম আমি লিখলেও সেভাবেই পেত আর তীর্থের কাকের মতন চেয়ে থাকতাম কবে আসবে চিঠি এই অপেক্ষাটাও যেনো অনেক আনন্দের ছিল।

যাই হোক বাড়ি আসলাম পঁচানব্বই সালের মে মাসে বাবা আর মামা মিলে পঁচিশে মে বৃহস্পতিবার নয়আনী বাজার শেরপুর টাউনে তোমার দাদীর সাথে বিয়ে ঠিক করে এসে আমাকে বললেন মেয়ে দেখতে যাব। যাওয়ার সময় বন্ধু সম্রাটকে পেলাম নিউমার্কেট মোড়ে ওরে বললাম চল বন্ধু মেয়ে দেখতে যাব ও এমনিতেই রাজি হয়ে গেলো।

গিয়ে দেখলাম বিয়ের সমস্ত ব্যবস্থা করেই তারা আমাকে মেয়ে দেখার কথা বলে নিয়ে আসছে কারণ আমি বিয়ের বাপারে উদাসীন ছিলাম।

এখানে মজার ব্যাপার কি জানো বিয়ের পর জানতে পারলাম তোমার দাদীও নাকি কলেজ থেকে ফেরার পথে ওর এক বান্ধবীর নিকট জেনেছিল তোর বিয়ে তুই কোথায় থেকে আসলি ও বলেছিল কি বলিস আমার বিয়ে আর আমি জানতাম না।

তোমার দাদী চিঠি দিত সাত/ আট দিন পরে পেতাম যেনো সেই চিঠির মধ্যে ভালোবাসার নিবেদন, মনে হতো না মাছুমা আমার স্ত্রী মনে হতো এক যুগের প্রেমিকা।

 এখনতো মোবাইলের যুগ চিঠির প্রয়োজন নেই বললেই চলে কপোত কপোতির কথ হয় দিবারাত্রি।

আজকে তোমাদের চিঠির দিন শেষ,

মোবাইল নেমে সুখে আছ বেশ।

 

ডিএসএস/ 

Header Ad

বৃষ্টি ভেজা স্নিগ্ধ বৈশাখের সকালের দেখা পেল রাজধানীবাসী

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝুম বৃষ্টি হয়ে গেল। শনিবার (১১ মে) সকাল সাতটার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। নতুনবাজার, বাড্ডা, রামপুরা, পল্টন, মতিঝিল, গুলিস্তানসহ অনেক এলাকায় বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কোথাও কম আবার কোথাও বেশি। সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টির কারণে নগরজুড়ে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

রাজধানীসহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হতে পারে সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। ভোর থেকেই রাজধানীর আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে। সঙ্গে আকাশের গর্জন। সকালেও রাজধানীতে বিরাজ করে রাতের আবহ। দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়িগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যায়। এমন অবস্থার মধ্যে সাতটার একটু পরেই আকাশ ভেঙে নেমে আসে বৃষ্টি।

এমন বৃষ্টি রাজধানীবাসীর জীবনে স্বস্তি এনে দিলেও অনেককে আবার ভোগান্তিতেও পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে সকালে জরুরি কাজে যারা ঘরের বাইরে বেরিয়েছেন তাদের পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে। বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে মানুষ যে যেখানে পেরেছেন আশ্রয় নিয়েছেন। কেউবা বিভিন্ন দোকান মার্কেটের বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছেন। তারপরেও বৃষ্টিতে মানুষের মধ্যে স্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

অনেককে বৃষ্টির দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে দেখা গেছে। অনেকে সকালে হলেও বাসার বারান্দা, রাস্তায়, বৃষ্টিতে ভিজে উল্লাস করেছেন। এমন বৃষ্টি জাগিয়ে তুলেছে অনেকের ছেলেবেলার আবেগ।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি, কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হারাল আয়ারল্যান্ড

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপের প্রস্তুতির শুরুতেই বড় ধাক্কা হজম করতে হলো পাকিস্তানকে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হারের মুখ দেখেছে বাবর আজমের দল। অধিনায়ক বাবরের ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিং আরও একবার পড়েছে প্রশ্নের মুখে। আইরিশদের বিপক্ষে ১৮২ রান তোলার দিনেও হারতে হলো ২০০৯-এর টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নদের।

অ্যান্ডি বালবার্নির ৭৭ রানের সঙ্গে হ্যারি টেক্টরের কার্যকরী ৩৬ রান আইরিশদের রেখেছিল জয়ের কক্ষপথে। দরকার ছিল ভালো ফিনিশিং। ক্যাম্ফারের ৭ বলে ১৫ রানের ক্যামিও শেষ পর্যন্ত সেই কাজও সহজ করে দেয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের জয় ৫ উইকেটে।

ডাবলিনের ক্যাসেল অ্যারেনায় টস জিতে আগে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং। বেশ কিছুদিন ধরেই পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তবে আজও সেই সাইম আইয়ুব এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান জুটিই শুরু করেছে পাকিস্তানের ইনিংস। তাতে অবশ্য খুব একটা রান ওঠেনি। ৪ বলে ১ রান করেই বিদায় নেন রিজওয়ান।

এরপরেই ক্রিজে বাবর আজম এবং সাইম আইয়ুবের জুটি। দুজনের জুটিতে রান খারাপ ওঠেনি। রান এসেছে ওভারপ্রতি ৯ করে। তবে এতে সাইমের কৃতিত্বই বেশি। আউট হওয়ার আগে ১৫৫ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ২৯ বলে তুলেছেন ৪৫ রান। পাকিস্তানকে বড় স্কোরের ভিত দিয়েছে সেই ইনিংসটিই। ৯২ রানে তার আউট হওয়ার পর বাবর তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩৪তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি। তবে এমন ইনিংসেও সমালোচনা এড়ানো যায়নি। ৪৩ বলে ৫৭ রানের ইনিংসটি পাকিস্তানের রানের চাকাই বরং খানিক ধীর করে রেখেছিল।

যদিও এসময় পাকিস্তানের হয়ে রান করতে পারেননি কেউই। ১৮ বলে ২০ রানের আরেকটি ধীরগতির ইনিংস খেলেন ফখর জামান। আর আজম খান এবং শাদাব খান দুজনেই ফিরেছেন ডাক মেরে। শেষদিকে ইফতিখান ৩ চার এবং ৩ ছক্কায় ১৫ বলে ৩৭ রান করে দলের রানের চাকা ঘোরান। আর তাকে সঙ্গ দেন শাহিন আফ্রিনি। তার ৮ বলের ইনিংসে এসেছে ২০ রান। তাতেই পাকিস্তান পেয়ে যায় ১৮২ রানের বড় পুঁজি।

ব্যাট হাতে আইরিশদের সূচনাও খুব একটা ভালো হয়নি। দলীয় ১৪ রানে নাসিম শাহের বলে পল স্টার্লিং আর ২৭ রানে আব্বাস আফ্রিদির বলে আউট হন লকরান টাকার। দুজনেই ক্যাচ আউটের শিকার। এরপরেই টেক্টরকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন ম্যাচসেরা বালবার্নি। পার হয় দলীয় শতরান। হ্যারি টেক্টর ফিরে যান ১৩তম ওভারে। স্কোরবোর্ডে তখন ১০৪ রান।

আয়ারল্যান্ডের জন্য জয় তখনো দূরের বাতিঘর। এ সময় ১২ বলে ২৪ রানের দ্রুতগতির এক ইনিংস উপহার দেন জর্জ ডকরেল। ছোট এই ক্যামিওটাই ম্যাচ নিয়ে আসে হাতের মুঠোয়। দলীয় ১৪৩ রানে ডকরেল ফিরে গেলেও বিপদ হয়নি। বালবার্নি ফিফটির পরেও ধরে রেখেছিলেন রান তোলার গতি।

১৯তম ওভারে থামে তার ৫৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস। কিন্তু ততক্ষণে ঠিকই জয়ের কাছাকাছি চলে যায় আয়ারল্যান্ড। আর শেষ ওভারে দুই চার মেরে দলকে জয় এনে দেন কার্টিস ক্যাম্ফার।

 

বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত, দুদিন পর মরদেহ ফেরত

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়া দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ২ দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন ও ভারতের ফুলবাড়ি সীমান্তে ওই দুই যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।

নিহত বাংলাদেশিরা হলেন উপজেলার মাগুড়া গ্রামের জুনু মিয়ার ছেলে জলিল (২৪) ও একই উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ব্রমতোল গ্রামের কেতাব আলীর ছেলে ইয়াসীন আলী (২৩)।

এর আগে, গত ৮ মে তেঁতুলিয়া উপজেলা রনচন্ডি বিওপি আওতাধীন এলাকা সীমান্ত পিলার ৪৪৬/১৪ আর এর নিকট খয়খাটপাড়া এলাকার ভারতের ১৭৬/ফকির পাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদলের গুলিতে তারা মারা যান। ঘটনার পর ভারতীয় থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজিবি। দুই জনের মরদেহ শণাক্তসহ মরদেহ ফেরত পেতে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেয় বিজিবি। পরে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি সুজয় কুমার বলেন, বিকেলে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে নিহত দুই যুবকের মরদেহ এসআই আশরাফুল ইসলাম গ্রহণ করেছেন। ভারতে মরদেহ ময়নাতদন্ত হওয়ায় ময়নাতদন্ত প্রয়োজন হয়নি। মরদেহ দুই পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ

বৃষ্টি ভেজা স্নিগ্ধ বৈশাখের সকালের দেখা পেল রাজধানীবাসী
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হারাল আয়ারল্যান্ড
বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত, দুদিন পর মরদেহ ফেরত
সব সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ক্যান্টিন ও ফার্মেসি বন্ধের নির্দেশ
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস
আইপিএলের ইতিহাসে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করলেন গিল
হোয়াইটওয়াশের পথে জিম্বাবুয়ে, চতুর্থ ম্যাচেও জিতল বাংলাদেশ
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সাবেক স্ত্রী নাসিম পারভীনের লাশ উদ্ধার
পানি শুন্য ছোটযমুনা নদীর বুকে ধান চাষ!
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্জনে অর্জন দেখছে বিএনপি
ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের রক্ষা করুন, বললেন পলক
বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নি সন্ত্রাস ও রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
চড়া সবজির দাম, নাগালের বাইরে নিত্যপণ্য
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন গোবিন্দগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ
ইসরায়েলের তীব্র হামলার মুখে রাফা ছাড়ল ৮০ হাজারের বেশি মানুষ
টাঙ্গাইলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ
ভারতীয় নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করছি না : যুক্তরাষ্ট্র
বাবা হওয়ার খুশিতে আবারও বিয়ে করলেন জাস্টিন বিবার
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ ইস্যুতে ভোট আজ
মানিকগঞ্জে পাইলট আসিমের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল