শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চম্পা বকুল তলে

আমার স্কুল সহপাঠী নারায়ণ পূজা পার্বনে প্রায়ই ওদের বাড়িতে আমাকে নিয়ে যেত। নারায়ণের মা নারিকেলের নাড়ু আর গুড়ের বাতাসা খেতে দিত। সেবার ম্যাট্রিক পরীক্ষার পর লক্ষীপূজায় গিয়েছিলাম ওদের বাড়িতে। নাড়ু আর বাতাসার সাথে মাসীমা ক্ষীরও খেতে দিয়েছিল। ক্ষীর খেয়ে বলেছিলাম, ' দারুণ মজা হইয়াছে।' মাসীমা এই কথা শুনে বলেছিল, 'তুমি আবার আসিও। তোমাকে আরও ভাল করে ক্ষীর রান্না করে খাওয়াব। ' কিন্তু আমার আর যাওয়া হয় নাই। সেইটাই ছিল শেষ যাওয়া। পরে শুনেছি, সেই মাসীমা ইহলোক ত্যাগ করেছেন।

এই নারায়ণের সাথে আমার দেখা হয় তিরিশ বছর পরে কূঁড়াগাছা মেলায়। ও আমাকে জোর জবরদস্তি করে নিয়ে যায় ওদের বাড়ি। স্কুল থেকে আগে যে পথ দিয়ে ওদের বাড়ি যেতাম, সে পথ ছিল ধূলির। সেই পথই দেখলাম ইট সুরকি বিছানো। একটি রিক্সায় করে চলে যাই ওদের ব্রহ্মগাছা গ্রামে। পথে দিয়ে চলছিলাম, আর দেখছিলাম পথের দুইপাশের চিত্রগুলি। সবকিছুই কেমন যেন অচেনা লাগছিল। সেইসময়ে পথের ধারে পাকুড় গাছতলায় দেখেছিলাম, খালি মাঠের উপরে একটি নাট্যশালা। আজ দেখলাম --- সেই নাট্যশালাটি সেখানে নেই। ভেঙে সেখানে স্কুল করা হয়েছে।
নারায়ণদের বাড়িতে পৌঁছে মনটা কেমন যেন খারাপ হয়ে গেল। বাড়িতে নতুন কোনো ঘর দুয়ার ওঠে নাই। যা দেখেছিলাম তাই আছে। সবকিছুই কেমন জীর্ণ পুরাতন হয়ে গেছে। মুখর করা বাড়িটি কোলাহলহীন মনে হচ্ছে। সাদা ধূতি শাড়ি পড়ে কোনো পৌঢ়া মহিলা আজ আর বের হলো না। কাছে এসে মায়ের মতো আদর করে বলল না --- ' বাবা, তুমি কেমন আছ?'
একটু পরে নারায়ণ ওর স্ত্রীকে আমার সামনে নিয়ে এসে পরিচয় করিয়ে দেয়। সাথে ওর দুটো বাচ্চাকেও। আমি ওর স্ত্রীর মুখের দিকে ভাল করে একবার দৃষ্টি মেলে তাকালাম, যাকে ভেবে এই চেয়ে থাকা, সেই মেয়ে এই মেয়ে নয়। তারপরেও তাকেই দেখলাম, বললাম, বৌদি, 'আমি নারায়ণের স্কুল সহপাঠী বন্ধু। তিরিশ বছর পর আমাদের দেখা। '
বাড়িতে তেমন কাউকে না দেখতে পেয়ে নারায়নকে বলি, অপর্ণা দিদির কোথায় বিয়ে হয়েছে? নারায়ণ বলে, দিদি এখন জলপাইগুড়িতে থাকে। ওখানেই তাঁর ঘর সংসার। '
---- সুধীন দাদা কোথায়?
---- সেও ওপারে চলে গেছে। শিলিগুড়িতেই বিয়ে করেছে।
---- তোর ছোট ভাই নৃপেন কোথায় থাকে?
---- ও কোলকাতায় চিৎপুরে থাকে। আমি এই পুরো বাড়িতে এখন একাই থাকি।
নারায়ণ আরও বলছিল, জানিস, কেমন যেন শ্মশানের মতো শূন্যতার মনে হয় -- এই বাড়ি। এই লোকালয়। কতো আপন মানুষ যে স্বর্গীয় হয়ে গেল। কতো আত্মজন যে চলে গেল এই দেশ পারাপার ছাড়িয়ে ওপারে, অন্য পরভূমে। অন্তর হাহাকার করে ওঠে। তোকে যখন মেলায় দেখলাম, মনটা কি যে আনন্দে ভরে উঠল। কতো কথা মনে হচ্ছে তোকে দেখে। কতো স্মৃতি। '

আমি নারায়ণের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি, কেমন যেন বিষাদে ছেয়ে উঠেছে ওর মুখখানি। আমি ওকে বলি --- তোদের বাড়ির পিছনে তো ইছামতী নদী আছে, চল্, একটু বেড়িয়ে আসি তীর থেকে। তখন সন্ধ্যা নেমে আসছিল। আমি আর নারায়ণ হাঁটতে হাঁটতে চলে যাই ইছামতীর তীরে । হায়! নদী আর নদী নেই। হয়ে গেছে মরা খাল। সামান্য কিছু জল স্থির হয়ে আছে তলাতে। সেই কাজল জল, সেই স্রোতধারা, সেই উথাল ঢেউ কিছুই আজ আর নেই।
ভেবেছিলাম মনটা আমাদের ভাল হবে নদী দেখে। তা আর হলো না। চৈত্রের এই সন্ধ্যা রাতে আকাশে উঠেছিল একাদশীর চাঁদ। বুনো জোনাকিরা জ্বলে উঠেছিল নদীর কাশবনে। ঝিঁ-ঝির ডাক শুনতে শুনতে আকুল হয়ে নারায়ণকে বলছিলাম --- 'তোর সেই দীপা বর্মণের খবর কী, যাকে তুই ভালবেসেছিলি। বৌঠানের মুখের দিকে চেয়ে দেখলাম -- এই তো দীপা নয়।'
আমরা নদীর কূল থেকে সন্ধ্যার আঁধারে হেঁটে হেঁটে ফিরে আসছিলাম। যে পথ দিয়ে গিয়েছিলাম নদীর কূলে, সেই পথ দিয়ে নারায়ণ আমাকে আনলো না। অন্য একটি পথ দিয়ে সে আমাকে নিয়ে আসছিল। পথের দুপাশটা খুব পরিচিত মনে হচ্ছিল। জ্যোৎস্নার আলো আঁধারিতে চিনতে পারছিলাম পরিচিত গাছগুলো। আজ থেকে তিরিশ বছর আগের সেই বকুলের গন্ধ, পথের পাশের ঝাড় থেকে আসছিল চম্পা ফুলের সেই সুবাস। আমার মনে পড়ছিল এই রকম সুবাস পেয়েছিলাম তিরিশ বছর আগে দীপা বর্মণদের বাড়ি যেতে।
নারায়ণ যে বাড়িটির সামনে আমাকে নিয়ে আসে, সে বাড়িও আমার চেনা। ইটের এই বাড়িটি তখনও পুরনো ছিল। আজ দেখলাম, এর পলেস্তারা সব খসে গেছে। ভাঙ্গা ইটের ফাঁকে পরগাছা জন্মে গেছে। নারায়ণ আমাকে বলে --' চিনতে পারছিস বাড়িটি?' আমি বললাম, চিনতে পারছি । এই বাড়ি দীপাদের। সেইবার লক্ষীপূজায় এখানে কীর্তণ গানের আসর বসেছিল। সেদিন আকাশে ছিল কোজাগরী চাঁদ। সারা পৃথিবী খাঁ-খাঁ জ্যোৎস্নায় ভরে উঠেছিল। পূজার প্রসাদ সেদিন দীপা তোকে না দিয়ে আমাকে দিয়েছিল। আজ তোকে বলছি --- সেদিন সেই অসম্ভব সুন্দর জ্যোৎস্নায় দীপা গোপনে ধরেছিল আমার একটি হাত। দীপা বলেছিল -- ' দাদা, তুমি আমাকে একটু চম্পা বকুলের ছায়াতলে নিয়ে যাবে? এই কোজাগরী চাঁদ, এই রাত, রাতের এই রোশনাই তোমার জন্য মায়াময় মনে হচ্ছে।' আমি জানি, দীপা ছিল তোর। তাই দীপার সেই হাত আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম সেদিন।'

নারায়ণ আমাকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। দেখি, চল্লিশোর্ধ্ব একজন রমণী বারান্দায় শীতল পাটি বিছিয়ে বসে আছে। তার পাশে লন্ঠন জ্বলছে। নারায়ণ লন্ঠনটি তুলে ধরে সেই রমণীর মুখের দিকে। এবং বলে, দেখত চিনতে পারিস কিনা এই মুখ। ' আমি চিনেছিলাম, সেই মুখ। এ যে দীপা বর্মণ। সে কোনো কথা বলল না, নির্বাক তাকিয়ে থাকল আমার মুখের দিকে। ফুরিয়ে যাওয়া কেরোসিনের লণ্ঠনটি নিভু নিভু করে জ্বলছিল তখন। একটা ক্ষীণ দীর্ঘশ্বাস আমার বুকের গভীরে থেকে ঝরে পড়ল। দীপা ওর অপলক দৃষ্টি নীচে নামিয়ে নিল। হয়ত চোখের কোণে অশ্রুকণা চিকচিক করছিল। সেই আধো আঁধার রাত্রিতে তা আমি দেখতে পাইনি।
গন্ধে আকুল করা চম্পা বকুল তলা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সেই রাতে বাড়ি ফেরার সময় নারায়ণ বলছিল --- ' তিরিশ বছর ধরে জানতে পারিনি -- দীপা কেন এমন বদ্ধ পাগল হয়েছে। আজ তোর কাছ থেকে জানতে পারলাম, দীপা কেন এমন পাগল হয়ে গেছে।'

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

মধ্যরাতে ডাকসু নিয়ে উত্তাল ঢাবি, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিন্ডিকেটে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) বিষয়ে আলোচনা না করতে উপাচার্যের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার অভিযোগ উঠে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভের ডাক দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকসুর রূপরেখা প্রণয়নের আল্টিমেটাম দেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা এমন আল্টিমেটাম দেন।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‌‌‘যারা ডাকসু বন্ধের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা রাস্তায় আছি। আমরা লীগকে বিতাড়িত করেছি, কোনো ছাত্রসংগঠনের ভয়ে ডাকসু থেকে পিছু হটব না। যারা ডাকসুর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, কবরস্থান, টেম্পুস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করে তাদের আমরা ১৭ জুলাই লাল কার্ড দেখিয়েছি। প্রশাসনের কাছে বলব, আপনারা তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবি জোবায়ের বলেন, ‘ঢাবি শিক্ষার্থীরা হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছে। সুতরাং নতুন করে যদি দানব তৈরি হয় শিক্ষার্থীরা তাদের পালাতে বাধ্য করবে। ঢাবি শিক্ষার্থীরা আর কোনো দানবকে দেখতে চায় না। ছাত্রদল যখন দেখেছে তারা ডাকসুতে জিততে পারবে না, তখন তারা ভিসি স্যারের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করার সাহস দেখিয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা এই প্রশাসনের সঙ্গেই আছি। অনতিবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দিয়ে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার বক্তব্যের শুরুতেই ছাত্রদল কর্তৃক হেনস্তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। তিনি বলেন, উপাচার্যকে অপমান করার মাধ্যমে ছাত্রদল পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কেই অপমান করেছে। উপাচার্যকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। আমরা শিক্ষার্থী নির্যাতনের আর পুনরাবৃত্তি চাই না।

Header Ad
Header Ad

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধুর অপ্রয়োজনীয় ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণে সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে, সাবেক সরকারের কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে দুদকের কমিশন বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান সংস্থার মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গার সাবেক এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৩৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএফআইইউ-এর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের প্রায় দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধেও মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে, ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক শুধাংশ শেখর ভদ্রের বিরুদ্ধে ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুদক। এছাড়া বিদেশে পালানোর আশঙ্কায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ঋণের নামে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। পাশাপাশি, সাংবাদিক মুন্নি সাহার বিরুদ্ধে ১৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭১ জন ফিলিস্তিনি। ইহুদিবাদী দেশটি এই সময়ে গাজায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে।

এখন পর্যন্ত এই সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৬০০ জনে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় আহত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এই তথ্য জানিয়েছে।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে। গাজা উপত্যকাজুড়ে নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে গাজার মিডিয়া অফিস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।

গাজার মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চিকিৎসা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলকে নিহতদের লাশ সরিয়ে নেওয়ার জন্য হামলাস্থলে পৌঁছাতে বাধা দিয়েছে এবং বিশেষ করে গাজা এবং উত্তর গাজায় রাস্তায় লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।”

“নৃশংস এই অপরাধের” জন্য মিডিয়া অফিস ইসরায়েলকে দায়ী করেছে এবং গণহত্যা বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে তাদের আইনি ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মধ্যরাতে ডাকসু নিয়ে উত্তাল ঢাবি, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি