শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অবশেষে সে আমার প্রেমিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শেষ করে চড়ে বসলাম কুষ্টিয়া-ঝিনাইদাহগামী একটা বাসে। আমার সাথে আমার বন্ধু শুফম আছে। সে নিয়মিত বাসের জানালার পাশে বসে। তাই বাধ্য হয়ে বাসের ভিতরের সিটে বসতে হল আমার। দু'জনের-ই মন খারাপ। এত টাকা খরচ করে কোচিং করলাম, অথচ পরীক্ষায় ভালো করতে পাড়লাম না। আমি নিশ্চিত আমরা চান্স পাচ্ছি না।
বাসের মধ্যেই আমার বন্ধু আবার বই নিয়ে পড়তে বসলো। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে, যে করেই হোক চান্স পেতে হবে। আমিও বই নিয়ে পড়তে বসলাম। কী পড়বো! সব তো মুখস্থ। কিন্তু কনফিউশনের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ভালো করতে পারি নি। বই রেখে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলাম। পড়তে মন বসছে না। হঠাৎ আমার পাশে অপজিট সিটে বসা মেয়েটির চোখ চোখ পরে গেলো আমার। সাথে সাথে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে সামনের দিকে তাকালাম আমি। কিন্তু অন্য দিকে কিছু সময় পরে আমার মন আমাকে বলছে, মুতালেব আবার তাকা। আমি আবার তাকালাম। আবার মেয়েটির চোখ চোখ পরে গেলো। আমি আবারো চোখ ফিরিয়ে নিলাম। নিজে নিজেই লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম। বুকের মধ্যে দরফর দরফর করতে লাগলো। হাটবিট বেড়ে গেলো। আমি ভয়ে ভয়ে আবার তাকালাম। দেখি মেয়েটি অন্য দিকে চেয়ে আছে। আমার দিকে সে অনেক সময় পর একবার তাকালো। এবার মেয়েটি নিজেই মুখ ফিরিয়ে নিল। আমি ওর দিয়ে একপলকে চেয়ে আছি। চোখ অন্য কোন দিকে ঘুরিয়ে নিচ্ছি না। মেয়েটি মাঝে মাঝেই আমার দিকে তাকাচ্ছে এবং চক্ষুলজ্জায় সে বার বার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু আমাকে হতাশ করছে না। আমাদের বাস যখন ঈশ্বরদীর পাকশী লালন শাহ ব্রিজের উপর তখন মেয়েটি আমার দিকে অনেক সময় ধরে চেয়ে আছে। সবাই চেয়ে আছে পদ্মার দিকে, হাডিং ব্রিজের দিকে। শুধু আমি চেয়ে আছি ঐ মেয়েটির দিকে আর মেয়েটি চেয়ে আছে আমার দিকে। হঠাৎ ওর ডানে বসে থাকা বৃদ্ধ মানুষটি কেমনে যেন বুঝে গেলো আমাদের মধ্যে কিছু একটা চলছে। বৃদ্ধ মানুষটি সিট পরিবর্তন করলো। বৃদ্ধ মেয়েটিকে উঠিয়ে জানালার দিকে বসিয়ে দিয়ে, সে মেয়েটির সিটে বসে আমার দিয়ে চেয়ে রইলো। আমি যখনই ঐ দিকে তাকাই তখনই দেখি বৃদ্ধ আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এ কী মুশকিলে পড়ে গেলাম। অবশেষে বাধ্য হয়ে আমি আমার বন্ধু শুফমকে বললাম, "দেখতো বন্ধু, বৃদ্ধ আমার দিকে তাকিয়ে আছে কী না।" বন্ধু বললো, হমম। আমি যতবার বললাম বন্ধু ততবার বললো, হমম চেয়ে আছে তোর দিকে। আমি আর ভয়ে তাকালাম না।


বাসের হেল্পার ডাকতে লাগলো ভার্সিটি গেট। ভার্সিটি গেট, আপনারা নামেন।
নামার সময় কেবলি একবার মেয়েটির দিকে তাকিয়েছি। ওমনি বৃদ্ধ মানুষটি আমার দিকে তেড়ে এলো। আর বললো, "এ দিকে কী। হুম, এ দিকে কী। আবার তাকালে চোখ উপরে নিব।"
চক্ষুলজ্জায়, আমার প্রাণ যেন যায় যায় অবস্থা। ভার্সিটির গেট থেকে সরে যেন সময় পাই নি আমি। দুই বন্ধু দৌড়াতে দৌড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝখানে চলে গেলাম। বন্ধু শুফম, আমাকে রাগাইতে লাগলো, "এ দিকে কী। হুম এ দিকে কী।" বলে।

পরের দিন পরীক্ষার হলে বসে আছি। আমার ডানে একটা সিট ফাঁকা আছে। পরীক্ষা আর মাত্র মিনিট দশেক দেরি আছে। আমাদের উত্তর পত্র দিয়ে দিছে। ঠিক ভাবে নাম রোল পূরণ করার জন্য। আমার অন্য কোন দিকে মন নেই। মনযোগ দিয়ে পূরণ করছি। হঠাৎ একটি মেয়ের কণ্ঠ পেলাম। একটু যেতে দিবেন ভাই, ঐ সিট টি আমার।
আমি মেয়েটির দিকে না তাকিয়ে পথ ক্লিয়ার করে দিলাম। মেয়েটি সিটে গিয়ে বসলো। কিন্তু আমি ততটা ভ্রুক্ষেপ করলাম না। আপন মনে বৃত্ত ভরাট করছি। টাইম হয়ে গেছে। প্রশ্নও পেলাম। প্রশ্ন পড়ে পড়ে আবারো বৃত্ত ভরাট করছি। এক ঘন্টা টাইম। আশিটা বৃত্ত। পঞ্চান্নটি দাগিয়েছি। আর পারছি না। দাগালেই ভুল হবে। সময়ও আছে আরো তের মিনিট। বাম দিকের ছেলেকে দুইটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলাম। ও বললো পাড়ি না। আমাকেও ঐ ছেলে পরে দুইটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলো। আমিও রাগে রাগে বললাম পারি না। আর মিনিট দশেক সময় আছে। অবশেষে আমার ডানে বসা মেয়েটির দিকে তাকালাম। ও মা এ কী! তুমি? বাসের সেই মেয়ে আমার ডানে বসে আছে অথচ আমি ওর দিকে এবারও তাকাই নাই। না তাকিয়ে ভালোই হয়েছে। পরীক্ষা ভালো করেছি। ওর দিকে তাকালে আল্লাহ্ জানে কী হত!
মেয়েটি খুব করুন দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালো। আমি বুঝতে পারলাম। ওর প্রশ্ন কমন পড়ে নাই। বললাম, তোমার প্রশ্ন এবং উত্তর পত্র আমাকে দেও। আর আমার টা তুমি নেও।
মেয়েটি বললো, "যদি ধরা পরি?"
রাখো তোমার ধরা পড়া। আমি ওর টা নিয়ে, খুব দ্রুত উত্তর পত্রের বৃত্ত ভরাট করতে লেগে গেলাম। আমার মনে হল দশ মিনিটে কম করে হলেও প্রায় ত্রিশটি বৃত্ত ভরাট করে দিলাম।
উত্তরপত্র জমা দিয়ে ও মন খারাপ করে চলে যাচ্ছিল। আমি ওর পিছু পিছু এলাম। কথা বললাম। কথায় কথায় জানতে পারলাম ঐ বৃদ্ধ নাকি ওর বাবা। ওর রোল নাম্বার নিলাম। ওর মোবাইল নাম্বার চাইলাম। ও দিলো। তারপরে যখন আমি ওর Facebook ID চাইবো তখন সামনে তাকিয়ে দেখি ঐ বৃদ্ধ হরকাবানের মত আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে। কিসের FB ID. আমি পালিয়ে সময় পাই। চোখের পলকে পালিয়ে গেলাম।
অবশেষে দশ দিন পরে রেজাল্ট পাবলিশ হল। প্রথমে আমি ওর রোল ধরে রেজাল্ট দেখতে লাগলাম। ও দেখি দশম হয়েছে। আমি ওর রেজাল্ট দেখে উকে কল দিলাম। নাম্বার টা ভুল দেখাচ্ছে। তার মানে আমি দশটা নাম্বার তুলে ছিলাম। একটা ডিজিট কম আছে।
মন খারাপ করে নিজের রেজাল্ট দেখলাম। আমি একশত সাত নাম্বারে আছি।

পরের সপ্তাহে, ভাইভা। আমি ভাইভা দিতে গিয়ে নোটিশ বোর্ডে সন্ধান নিলাম। দেখি ওর ভাইভা যেখানে তার আগের রুমে আমার ভাইভা বোর্ড। আমি সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে ওর সন্ধান করছি।ওদের কেবল তিন নাম্বার পর্যন্ত ডেকেছে। কিন্তু ও সিরিয়ালে দাঁড়ায় নাই। আমার কেমন যেন লাগছিল। মনে মনে ভাবছিলাম। ও যদি ভাইভা দিতে না আসে তাহলে আমিও এখানে ভর্তি হবো না। এলাকার কলেজেই অনার্স করবো। আমাদের ভাইভা বোর্ডে আমার সিরিয়াল সাত। আমার ডাক এলো। আমি ভাইভা দিয়ে বের হচ্ছি আর ওদের সিরিয়ালের দিকে তাকিয়ে আছি যে, দেখি ও আসছে কী না। তবুও দেখচ্ছি ও সিরিয়ালে দাঁড়ায় নাই। ওদের সিরিয়ালে। দশম বলে কে যেন ডাকছে। সেই সময় মনে হল কে যেন পিছন থেকে ছুটে এসে আমাকে ধাক্কা মেরে দিলো। ধাক্কা লেগে ওর কাগজপাত্রের ফাইল ছুটে গেলো। পিছন ফিরে কেবলি গালি দেবো। ওমনি দেখি, এ আর কেউ না, আমার সেই মেয়েটি। আমি তখন জোরে করে রেসপন্স করলাম। দশম আছি। এবং ওর ছুটে পড়া ফাইল উঠি দিয়ে ভাইভার রুম অবধি এগিয়ে দিলাম। ভাইভা শেষ করে ও রুম থেকে বের হল। আমাকে দেখে ও মহা খুশি। অবশেষে ওর থেকে সঠিক নাম্বার আর FB ID পেলাম।

ভাইভা শেষে, পনেরো দিন পরে আমাদের ভর্তির তারিখ নির্ধারিত হল। আমার এলো লোকপ্রশাসন। ওর এলো ইংরেজি। আমার ভীষণ মন খারাপ হল। হয় তো ও আমার সাথে সম্পর্ক রাখবে না। কারণ ওর সাবজেক্ট ভালো। কিন্তু না। ভর্তি হবার পরে দেখি, ও আমাকে ছাড়া কিছুই বোঝে না। ক্লাস টাইম আর ঘুমের টাইম বাদে সব সময় ও আর আমি একসাথে। কখনো লেকের পারে। কখনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে। কখনো রবীন্দ্রনাথ বাড়ি। কখনো লালনের মাজারে। সব সময় একসাথে। একটি ভালো কাপল হিসেবে সবার সামনে মুখ পরিচিত হয়ে উঠলাম আমরা। ছয় মাস যেতে না যেতেই হঠাৎ একদিন, ও উধাও। এক'দিন, দু'দিন চলে যায় আমি ওর সন্ধান পাই না। ফোন, FB সব বন্ধ ওর। ঘটনা কী! অবশেষে ওর ডিপার্টমেন্টের বন্ধুদের নিকট খোঁজ নিলাম। তারাও বলতে পারে না। সাত দিন চলে যায়। আমার অবস্থা টাইট। আমি দিশাহারা।

অবশেষে আমার ডিপার্টমেন্টের সবাই জেনে গেলো, আমি ক্লাস করছি না। লেকের পারে বসে সারাদিন সিগারেট খাই। রাতে রুমেও ফিরি না। মাঝে মাঝে নেশাও করি। বিষয়টি শিক্ষকেরা অবধি জেনে গেলো। অবশেষে ২০ দিনের মাথায় শিক্ষকদের মারুফতে জানতে পারলাম, ওর বাবা মারা গেছে। তাই ও এখন নিজের এলাকাতে আছে। ও ক‍্যাম্পাসে কবে আসবে তা কেউ বলতে পারে না। ২৫ দিনের মাথায় ওর বাড়ির ঠিকানা যোগার করলাম; ওদের ডিপার্টমেন্টের অফিস সহকারী নিকট থেকে। ২৬ দিনের দিন রওনা হলাম ওদের বাড়িতে। ওদের বাড়িতে গিয়ে দেখি কেউ নেই। আমি ওদের ঘরের বারান্দায় গিয়ে বসে রইলাম। একজন দু'জন করে অনেক লোক জড় হয়ে গেলো। ওদের মুখ থেকে শুনতে পেলাম কাসেম প্রধানের পরিচিত কোন এক নাতি আমার বন‍্যাকে বিয়ে করে বিদেশ নিয়ে গেছে আজ থেকে ছয় দিন আগে। বিষয়টি আমি কোন ভাবে মেনে নিতে পারছিলাম না। বন‍্যা বিদেশ যেতে পারে না। কারণ ওর পাসপোর্ট নেই। এত তাড়াতাড়ি এত কিছু কেমনে সম্ভব। আরো জানতে পারলাম ওদের পরিবারের অন‍্যান‍্য সদস্যরা সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক আগেই মারা গেছে। আপন বলতে এই পিতা ছাড়া আর কেউ ছিল না ওর।
পরিস্থিতি অস্বাভাবিক দেখে অবশেষে কাসেম প্রধান এসে আমাকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন। কাসেম প্রধান এলাকার মোড়ল ও বিশাল রাজনৈতিক নেতা। পুলিশ আমাকে থানায় তুলে নিয়ে গেলো। তারপরের দিন আমার পিতা-মাতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার বিভাগের একজন শিক্ষক খবর পেয়ে থানায় এসে অজ্ঞান অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করেন। তারপরে কতদিন পরে আমার জ্ঞান ফিরে ছিল তা আমার জানা নেই। আমার এই অজ্ঞান অবস্থা নিয়ে বিশাল একটা কাণ্ড ঘটে যায়। থানার ওসি প্রত‍্যাহার হয় এবং কাসেম প্রধান আটক হয়ে জেলে যায়। অথচ আমাকে কেউ কিন্তু ফুলের টুকাও দিছিল না।

যাইহোক, আমার পড়াশোনা গ‍্যাপ পড়ে গেল। আমি আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যেতে চাই ছিলাম না। অবশেষে, বাবা-মায়ের অনুরোধে এক বছর গ‍্যাপ দিয়ে আবার প্রথম বর্ষে ক্লাস শুরু করতে বাধ্য হলাম। পড়াশোনা নামে মাত্রা চলতে থাকে। সব সময় সাহিত্যচর্চায় আমি বিভোর। কবিতা আর কবিতা। আমি কবি।
অবশেষে কোন মত করে অনার্স শেষ করলাম।বড় কবি হব বলে ঢাকায় আসলাম। এখানে এসে পড়লাম আরেক বিপদে। কে কারে চেনে। কিসের কবি। কবি এখন ঘরে ঘরে। কোন পত্রিকার অফিস আমারে নিলো না। কেউ নেওয়া তো দূরের কথা। আমাকে মূল‍্যায়ন অবধি করলো না।
কী আর করার। দিন শেষে, একটা ফুটঅভার ব্রিজের উপর শুয়ে পরলাম। মাঝ রাতে চেতন পেয়ে দেখি আমার গায়ে প্রচণ্ড জ্বর। পাশ দিয়ে কে যেন যাচ্ছিল। হাত দিয়ে তার পা চেপে ধরে বললাম, আমি বাঁচতে চাই। আমাকে বাঁচান। পা টা খুব নরম মনে হচ্ছিল। কোন এক মেয়ে মানুষের পা হয় তো হবে।


তারপরে কী ঘটেছিল তা আমি বলতে পারবো না। পরের দিন চেতন পেয়ে দেখি আমি একটা হাসপাতালের বেডের উপর শুয়ে আছি। শরীর অনেকটাই সুস্থ। আমি উঠে বসতেই কোন এক নার্স এসে আমাকে বললো, আপনি শুয়ে থাকুন। বিকেলে আপনার স্ত্রী এসে নিয়ে যাবে।
আমার স্ত্রী? কে সে? নিজেই নিজেকে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন আমার আবার বার বার বন‍্যার কথা মনে পরে যাচ্ছিল। বন‍্যার কথা ভাবতে ভাবতে আমি আবার ঘুমিয়ে গেলাম। ঘুম থেকে জেগে দেখি আমার পাশে একটি মেয়ে বসে আছে। ধীরে ধীরে মেয়েটির মুখের দিকে তাকালাম। মুখের দিকে তাকিয়ে লাফিয়ে উঠলাম। কে? বন‍্যা, তুমি?
- হমমম, আমি বন‍্যা।
- এত দিন কোথায় ছিলে?
- সে অনেক কথা। পড়ে বলবো। এখন চল বাড়িতে যাই।
- আমাদের বাড়ি কোথায়?
হাসপাতাল থেকে রওনা হলাম। রিকশায় উঠে ও সব বললো। রাতে আমি নাকি ওর পা চেপে ধরে বাঁচতে চেয়ে ছিলাম।
অবশেষে আমি জানতে চাইলাম ওর বিদেশ যাওয়া নিয়ে। ও কিছুই বলতে চাচ্ছিল না। আমার জোড়াজুড়িতে অবশেষে মুখ খুললো।
কাসেম প্রধান ও ওনার নাতি বিয়ের নাটক সাজিয়ে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। সেখানে প্রায় দুই বছর ছিল। সেখান থেকে ঢাকার কোন এক হোটেল মালিক তাকে কিনে নিয়ে এসেছে। ওখানে প্রায় আড়াই বছর থাকার পরে আজ দের বছরের মত হল ও মুক্তি পেয়েছে। হোটেল মালিক রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে জেলহাজতে আছে। ওনার সব ব‍্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আপনা আপনি মুক্তি পেয়েছে ও। এখন ও স্বাধীন ভাবে বারে (মদের ক্লাবে) কাজ করে। পাশাপাশি একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করছে।
আমি সব শুনে উকে বললাম, আমাকে বিয়ে করতে পারবা?
ও আমাকে বললো, বিয়ের কী দরকার! আজীবন আমি তোমার প্রেমিকা হিসেবে থাকতে চাই। রাখবা না?
আমি কিছু না বলে ওর হাসিমাখা উজ্জ্বল মুখের দিকে ফ‍্যালফ‍্যাল করে তাকিয়ে রইলাম।

 

 ডিএসএস/ 

 

 

Header Ad
Header Ad

বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, জেঁকে বসেছে শীত

ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে তীব্র শীতের দাপট বেড়েছে। টানা দুদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই, আর কুয়াশা ঝরছে যেন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে হিমেল হাওয়ার দাপট। উত্তরের হিমশীতল বাতাসে পুরো দেশ কাঁপছে শীতের কনকনে ঠান্ডায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই পরিস্থিতি আরও দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পুরো দেশ। সকাল ১০ টায়ও সূর্যের দেখা মেলেনি। রাজধানীতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে যানবাহন। ছুটির দিন হওয়ায় পথেঘাটে মানুষের আনাগোনা তুলনামূলক কম। তবে যারাই বের হচ্ছেন, বৃষ্টির মত কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় ভোগান্তিতে পড়ছেন।

বরাবরের মতোই শীতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় খেটে খাওয়া আর ছিন্নমূল মানুষ। এক টুকরো গরম কাপড় আর সূর্যের মান ভাঙার দিকে তাকিয়ে আছেন তারা।

বিদ্যমান আবহাওয়া আরও কিছুদিন অপরিবর্তিত থাকবে জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। যদিও ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশের কোথাও কোথাও তীব্র শীত অনুভূত হতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, এ সময় মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড় যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

একদিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ সময়ের শুরুর দিকে দেশের উত্তরাংশে হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পারে। আর এ সময়ের শেষের দিকে তাপমাত্রা কমতে পারে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঝরে গেল ৪ প্রাণ, আহত ২০

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছে আরো ২০ জন। শুক্রবার ভোরে এক্সপ্রেসওয়ের হাসাড়া এলাকায় ঢাকামুখী লেনে বাস ও ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে নিহত হন দুইজন, অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় মিনিবাসের ধাক্কায় দুজন নিহত হন।

নিহতরা হলেন, আব্দুল্লাহ পরিবহনের হেলপার শ্রীনগর উপজেলার কল্লিগাও গ্রামের বাসিন্দা মো. জীবন (৪৪) ও সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের দেবিপুরা গ্রামের বাসিন্দা বাসযাত্রী মো. রায়হান (২৭)। নিহতদের মরদেহ শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নিহত দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও শুক্রবার ভোরে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ঘাতক কাভার্ডভ্যানটিকে আটক করা হয়েছে বলে জানান হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি আব্দুল কাদের জিলানী। তবে কাভার্ডভ্যানের চালক পালিয়ে গেছেন বলে জানান ওসি।

এর আগে গত শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসের চাপায় নারী ও শিশুসহ দুই পরিবারের ৬ জন নিহত ও ৪ জন গুরুতর আহত হন।

Header Ad
Header Ad

মধ্যরাতে ডাকসু নিয়ে উত্তাল ঢাবি, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিন্ডিকেটে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) বিষয়ে আলোচনা না করতে উপাচার্যের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার অভিযোগ উঠে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভের ডাক দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকসুর রূপরেখা প্রণয়নের আল্টিমেটাম দেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা এমন আল্টিমেটাম দেন।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‌‌‘যারা ডাকসু বন্ধের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা রাস্তায় আছি। আমরা লীগকে বিতাড়িত করেছি, কোনো ছাত্রসংগঠনের ভয়ে ডাকসু থেকে পিছু হটব না। যারা ডাকসুর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, কবরস্থান, টেম্পুস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করে তাদের আমরা ১৭ জুলাই লাল কার্ড দেখিয়েছি। প্রশাসনের কাছে বলব, আপনারা তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবি জোবায়ের বলেন, ‘ঢাবি শিক্ষার্থীরা হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছে। সুতরাং নতুন করে যদি দানব তৈরি হয় শিক্ষার্থীরা তাদের পালাতে বাধ্য করবে। ঢাবি শিক্ষার্থীরা আর কোনো দানবকে দেখতে চায় না। ছাত্রদল যখন দেখেছে তারা ডাকসুতে জিততে পারবে না, তখন তারা ভিসি স্যারের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করার সাহস দেখিয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা এই প্রশাসনের সঙ্গেই আছি। অনতিবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দিয়ে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার বক্তব্যের শুরুতেই ছাত্রদল কর্তৃক হেনস্তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। তিনি বলেন, উপাচার্যকে অপমান করার মাধ্যমে ছাত্রদল পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কেই অপমান করেছে। উপাচার্যকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। আমরা শিক্ষার্থী নির্যাতনের আর পুনরাবৃত্তি চাই না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, জেঁকে বসেছে শীত
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঝরে গেল ৪ প্রাণ, আহত ২০
মধ্যরাতে ডাকসু নিয়ে উত্তাল ঢাবি, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক