সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

অবশেষে পাওয়া (দ্য কনক্লুসিভ উইনস অফ লাভ)

অপুর চতুর্থ বর্ষের প্রথম ক্লাস আজ শুরু । আকাশে মেঘের ছড়াছড়ি, যেকোন সময় নেমে আসবে বৃষ্টির ফোয়ারা । তড়িঘড়ি করে ভার্সিটি এর লাল দোতলা বাসে উঠে পড়ল অপু । বাসে উঠতেই শুরু হয়ে গেল অবিরাম ধারায় বৃষ্টি । বৃষ্টির তালেতালে বাস এসে থামল একেবারেই ভার্সিটি এর মেইন গেইটের সামনে । সেখানেই বৃষ্টিসিক্ত নীল রঙয়ের ছাতা মাথায় দাড়িয়ে আছে সহজ-সরল প্রকৃতির চেহারার একটি মেয়ে । এতোটা মায়া জড়িয়ে আছে ওই চেহারায় যে, দেখেই অপুর ভেতরে কেমন একটা অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে সেটা বলে বোঝানো যাবে না । অপু দেরি না করে কাগজ বের করে লেখেছে “রিমঝিম বৃষ্টি, সহজ-সরল প্রকৃতির চেহারা সাথে সুস্পষ্ট বিরক্তির ছাপ সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ লাগছে আপনাকে” আর ফেলে দিয়েছে ওই অপরিচিতার সামনে । মেয়েটি কাগজটিকে তার সামনে পড়তে দেখে তুলে নিয়ে কিছুক্ষন ভাবুক মনে তাকিয়ে থেকে রেখে দিল ব্যাগের ভেতরে ।

 

প্রথম দেখাতেই অপু মেয়েটিকে ভালবেসে ফেলেছে কিনা জানে না, তবে ও ওই অপরিচিতার সাথে কথা বলবে । আর তাই প্রতিনিয়ত খুঁজে চলেছে ভার্সিটি এর প্রত্যেক প্রান্তে প্রান্তে । এভাবেই নিজের অজান্তে অপরিচিতার খোঁজে কেটে গেছে অনেক দিন । হঠাৎই একদিন আকাশের বুক চিরে নেমে এসেছে বৃষ্টির ধারা । সবুজের সমারোহে ঘেরা বৃষ্টিস্নাত বিশ্ববিদ্যালয় সেদিন ঈর্ষনীয় সৌন্দার্যে সেজেছে । মাঠে বেধে যাওয়া পানির উপরে দেখা যাচ্ছে দূর্বাঘাসের শাখা-প্রশাখাগুলো আনন্দচিত্তে ঝিরিঝিরি বাতাসে নৃত্তে মেতে আছে । দুপাশে ফুলগাছের সারি আর মাঝে পিচঢালা রাস্তা নিয়েছে এক অপরূপ । সবকিছু কেমন যেন বৃষ্টি পেয়ে আনন্দ প্রকাশে বিন্দুমাত্র কৃপণতা করছে না । এমনই সময়ে ক্লাস শেষ করে বের হয়েছে অপু । প্রতিদিনের মতই রক্তিম চোখে খুঁজে চলেছে সেই অপরিচিতাকে । দূরত্ব যাইহোক অপুর দৃষ্টি সহসাই চলে যায় বৃষ্টিতে গাড় হওয়া লাল বাসের নিচে । আর সেখানেই প্রথম দেখায় মনের আকোকে আশ্রিত সেই সহজ সরল প্রকৃতির চেহারার কাউকে দেখা যাচ্ছে । নিজের অজান্তেই কেন যেন আজ বুকের মাঝে ধুক- ধুকানি শুরু করেছে । প্রতিনিয়ত যাকে খুজেছে, দিনশেষে তাকে খুঁজে না পেলও এমন হয়নি । যতটা ওর দিকে আগাচ্ছে ধুক-ধুকানি যেন ততটা বেড়েই চলেছে । যে সুযোগ আজ অপু পেয়েছে সেটাকে ও হাতছাড়া করবে না । যেভাবেই হোক কথা বলতেই হবে । বুকে অনেকটা সাহস নিয়ে অপু এগিয়ে গেল ওর দিকে---

অপুঃ এইযে আপু-----

অপরিচিতাঃ জ্বি আমাকে বলছেন----!!!!

অপলক দৃষ্টিতে অপু তাকিয়ে আছে আর ভাবছে গাম্ভীর্যবিহীন সহজ-সরল চেহারার কোন মানুষ এতোটা মনোমুগ্ধকর হতে পারে !!!

অপুঃ হ্যাঁ, যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আপনার সাথে একটু কথা বলা যাবে ?

অপরিচিতাঃ জ্বি বলুন ।

অপুঃ আসলে আমি আপনাকে অনেক দিন ধরেই খুঁজে চলেছি একটা কথা বলার জন্য ।

অপরিচিতাঃ কি কথা?

অপুঃ আপনি ঐশী নামে কাউকে চেনেন?

অপরিচিতাঃ না, কেন বলেন তো??

অপুঃ না ... আমি ঐশী নামে একজনকে চিনতাম যার সাথে আপনার চেহারার অনেক মিল । (যদিও অপু ঐশী নামে কাউকে চিনত না) ।

অপুর কথাগুলো শুনে ওর আর বুঝতে বাকি রইল না যে, এই সেই মানুষটা যে তাকে গেইট এর সামনে থাকা অবস্থায় কাগজে লেখে দিয়েছিল কিছু একটা ।

অপরিচিতাঃ আপনি অপু তাই না?

অপুঃ হ্যাঁ । আপনি কি করে জানেন ?

অপরিচিতাঃ একজন মানুষ প্রতিদিন কোন একজনের প্রোফাইল ঘাটাঘাটি করবে আর সে জানবে না……!!!!

অপুঃ আপনার চেহারা অনেক সরল আর সরলের ভেতর দিয়ে কতটা সৌন্দার্য ফুটে ওঠে সেটা বলে বোঝাতে পারব না।

অপরিচিতাঃ আমাকে ডেকে কথা বলে আবার লজ্জা দিচ্ছেন কেমন হয়ে যাচ্ছে না ...? আর একথা তো একবার লিখেই দিয়েছেন ।

অপুঃ আচ্ছা আপনি অপরিচিতা মিথিলা কেন ?

অপরিচিতাঃ সবকিছু একদিনে না জানলে হবে না ?

 অপরিচিতার মুখে যে লজ্জার অক্রমে আনন্দের ফোয়ারা ছুটছিল সেটা আর অপুর বুঝতে বাকি রইল না । বাস ছেড়ে দেওয়ার সময় হয়ে গেছে । মিথিলা চলে গেল । জানা হল না ওর আসল নাম । অপুর মনে আজ আনন্দের জোয়ার বইছে । এতদিন যার খোঁজ করে আসছে আজ তার সাথে দেখা হয়েছে এবং কথাও হয়েছে ।

 দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা নেমে এসেছে । আজ আর ভয় কিসের । নোটিফিকেশন বক্স এর দিকে চাতকের মত চেয়ে আছে অপু। অপরিচিতা শুধু রেকুয়েস্ট অ্যাকছেপ্টই করে নি, লেখে দিয়েছে কি করছিলেন ...?

অপুঃ অপেক্ষা । আচ্ছা অপরিচিতা মিথিলা কেন বললেন নাতো-----

অপরিচিতাঃ ইচ্ছা হয়েছিল তাই নাম দিয়েছিলাম । আর নাম জেনেও কি হবে---সবাই কেন এক নামেই মানুষকে চিনবে—আপনি অন্য নামে চিনুন না---

অপুঃ তাহলে আপনাকে আমি অমি বলি---

অপরিচিতাঃ অমি কেন ?

অপুঃ অপরিচিতা মিথিলা থেকে অমি ।

অপরিচিতাঃ আপনি তো দেখি মানুষের খুব সুন্দর নামও দিতে পারেন ।

অপুঃ কিছু মনে না করলে আপনাকে একটা কথা বলি ?

অমিঃ কি কথা ?

অপুঃ আমরা কি কাল দেখা করতে পারি ?

অমিঃ আপনি আমাকে আপনি করে না বলে তুমি করে বললে আমি খুশি হব । কোথায় দেখা হবে আমাদের ?

অপুঃ গন্ধরাজ বাগানের পাশে যেখানে অদৃশ্যে থেকে ওরা কিছু পাওয়ার আশা ছাড়াই সুবাস বিলিয়ে যায় ।

 পরদিন অপু আটটি নতুন ফোঁটা বকুল ফুল নিয়ে অমির সাথে দেখা করেছে ।

অমিঃ আপনি তো সুন্দর লেখালেখি করেন ।

অপুঃ পড়েছ তুমি ?

আমিঃ হুম ।

আপুঃ অনেক ধন্যবাদ । আচ্ছা অমি, কেউ যদি তোমার সৌন্দর্য তোমার কাছে থেকে অবলোকন করে তোমাকে তার লেখনির উপকরণ করতে চাই তাহলে তাকে সেই অধিকার দেবে ?

অমিঃ ভেবে দেখতে হবে ।

 মাঝে মাঝে দেখা আর ফেইসবুকে কথা এভাবেই চলে যাচ্ছে অপু-অমির দিন ।

কিছুদিন পর হঠাৎই অমি লেখেছে----

শুনেছি যারা লেখালিখি করে তারা নাকি অনেক সুরেলাও হয় । আমি কি বলতে চাইছি আপনি অবশ্যই বুঝেছেন । কারণ আমি জানি আপনি অনেক মেধাবী একজন মানুষ ।

গান শুনতে চাইছো তাইনা ?

একি আপনি তো দেখি আমার মনকেও পড়তে শুরু করেছেন ।

পুরোটা সময় যে মস্তিস্কের সবটুকু জায়গা দখল করে থাকে তার কথা শুনলেও তো অনেক কিছু বোঝা যায় ।

নিজে নিজে সবাই গান গায় । অপুও গেয়েছে কিন্তু কাউকে কোনদিন শুনাইনি ।

অপুঃ সুরের ভুবনে আমি এখনও নবীন পথচারী । সুতরাং তোমার মনের মত করে যদি আমি গান না শুনাতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাকে ক্ষমা করে দিতে হবে । বল কি গান শুনবে ?

অমিঃ আপনার ইচ্ছা তবে বিশেষ কিছু হলে ভাল, যেটা সবার থেকে আলাদা, কারণ আমি চাই আপনার সবকিছু সবার থেকে আলাদা হোক ।

অমির ইচ্ছা পুরন করতেই অপু আজ গান শুরু করেছে ।

 

দূর থেকে দেখা …

দূর থেকে দেখা

পানি বিহীন ওই সমুদ্র---

আমি ভরেছি আমার ভালবাসায়

শুধু যে তোমার জন্য

আমি ভরেছি আমার ভালবাসায়

শুধু যে তোমার জন্য

আহা-হা-হা-হা-হা

আমি ভালবাসি তোমায়

আমি ভালবাসি তোমায় ---------------------------

 এ সুর আর কথার গান অমি আগে কখনও শোনে নি । ওর বুঝতে বাকি রইল না যে অপু অমির জন্যই এই গান রচনা করে নিজেই সুর করেছে ।

অমিঃ এক কথায় অসাধারণ ।

অপুঃ তোমাকে ঘিরেই তো আমার সব কিছু । আর তোমার জন্য এই গানটি ছোট্ট একটা উপহার । অমি-অপু হয়তো একদিন থাকবে না এই পৃথিবীতে, কিন্তু অমিকে নিয়ে অপুর রচনা করা গানটি আজীবন থেকে যাবে এইবিশ্বসংসারে 

অমিঃ অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । আপনার মত একজন মানুষ পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত ।

আজ অনেক খুশি অমি । তাইতো কিছুক্ষণ পরে সাজুগুজু করে অনেকগুলো ছবি তুলে পাঠিয়ে দিয়েছে অপুর কাছে । অপু লিখে দিয়েছে আজ আমি আকাশকে বলে দিব ও যেন প্রদীপ না জ্বেলে, বাতাসকে বলে দিব ও যেন নয়ন না খোলে । আমার পাখি আজ যে অপরূপ সৌন্দার্যে সেজেছে তাতে লজ্জা ওকে ছেয়ে ধরতে পারে ।

 ঈদের ছুটি হয়েছে,অমি অনেক আগেই বাড়িতে চলে গেছে । ঈদের কয়েকদিন আগে অপু বাড়ি পৌঁছেছে । বাড়িতেও আজ মেঘের ঘনঘটা । বৃষ্টি এসে গেছে । বৃষ্টিতে সিক্ত হচ্ছে উষ্ণ মাটির বুক । বৃষ্টি পেয়ে আনন্দচিত্তে কদম তার সুবাস ছড়িয়ে দিচ্ছে আর দেখতেও অসাধারণ লাগছে । অপু যে ওর রঙ্গিন পৃথিবীর চারিপাশে গাছগাছালির ভেতর ছোট্ট একটা ঘর বাধবে আর সেই ঘরের উত্তরের জানালার পাশে রোপন করবে সারিসারি কদমের গাছ । বর্ষায় সিক্ত কদমের সৌন্দার্য অমি পাশে থাকলে নিশ্চয় হাজারগুন বেড়ে যাবে । এরকম ভাবতে ভাবতে আর অমিকে অনুভব করতে করতেই নতুন এক সপ্নজগতে বিচরন করতে থাকে অপু ।

 যেই অনুভূতির নাম ভালবাসা সেটা কখনও বলে বোঝানো সম্ভব না । এ যে এক অদৃশ্য শক্তির মায়াজালে বাধা পড়েছে অপু যার জন্য সম্পূর্ণ অপরিচিতা থেকে অমি এমনই একজনে রূপান্তরিত হয়েছে যে অমি এখন অপুর রঙ্গিন পৃথিবীর অবিচ্ছেদ্য অংশ । অপরিচিতা থেকে অমিই এখন অপুর জীবনের ধ্যান-জ্ঞান, সবকিছু । সব চিন্তা চেতনা অমিকে ঘিরেই ।

 

এভাবে ভালই চলছিল অমি-অপুর রসায়ন । ওরা যেন একটা রঙ্গীন জগত তৈরী করে ফেলেছে যেই রাজ্যের একমাত্র রাজা অপু আর একমাত্র রাণী অমি । আশেপাশের সবকিছুকে ছাড়িয়ে ওদের মায়ার বন্ধনে মাধুর্য যেন দিনদিন বেড়েই চলছিল ।

 

চতুর্থ বর্ষের প্রায় শেষ প্রান্তে চলে এসেছে অপু। নামের পাশে জমা হয়েছে থিসিস এবং কয়েকটা প্রোজেক্ট । দিনে ক্যাম্পাস, সন্ধা থেকে রাত্রি অবধি টিউশনি আর বাসায় ফিরে সবকিছুর চাপ অপুর কাছে দিন যেন এখন ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার হলে ভাল হয় । ব্যস্ত অপু এখন আর আগের মত ওতটা সময় অমিকে দিতে পারছে না । দিনে দু-একবার কথা আর মাঝে মাঝে ফেইসবুকে এস. এম. এস. । এভাবেই দিন পার হচ্ছে ওদের । দিনে-দিনে অমি বুঝতে পারছে অপু আর আগের মত ওর সাথে কথা বলছে না । অনেকটা একাকিই দিন পার করছে ও । অমি এখন তার পাশের মানুষগুলোকে দেখছে । যারা ভালবাসার মানুষটি, যার সাথে ঘর বেধে আজীবন কাটিয়ে দেবে তারা কতটা রঙ্গীন সময় পার করছে । অমি কথা বলবে অপুর সাথে, এরকম তার আর ভাল লাগছে না । দিনশেষে ক্লান্ত অপুর কাছে অমির কল এসেছে । অপুও অমির আবেগকে বুঝতে না পেরে উল্টাপাল্টা কথা বলেছে । অমি রাগে-অভিমানে কল কেটে দিয়েছে । অপুকে একটা কথা খুবই আলোড়িত করছে সেটা হল, যাকে আমি এতো ভালবাসি সে কেন আমার পরিস্থিতি বুঝার চেষ্টা না করে আমাকে অবিশ্বাস করে অন্য মানুষের সাথে তুলনা করবে ।

 

বিন্দুমাত্র অনবশিষ্ঠ্য বিশ্বাসে যদি একদিন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে তাহলে বিশ্বাস বিহীন ভালবাসা সে তো এক ক্ষণস্থায়ী মরীচিকা ছাড়া আর কিছুই না । কষ্টের তীব্রতা এতোটা বেড়েছে যে ও আজ পোস্ট করেছে “যোগ্যতার তুলনায় অর্জিত সম্পদকে বিবেচনা না করে মানুষ নিজেকে উৎসর্গ করলেও অহংকারকে বেধে রাখে আজীবন” । অভিমানী অমি তার আভিমানকে এতটাই বাড়িয়েছে যে অপুর দেওয়া কলের অপেক্ষা করেছে কিন্তু অপুকে কল দেইনি । এভাবেই কেটে গেছে কয়েকটা দিন । প্রকৃতির কি নিয়ম এর মাঝে অমির বাড়ি থেকে কল এসেছে তারা অমির জন্য ছেলে দেখেছে । অমি তার অভিমানকে এতোটা প্রসিদ্ধ করেছে যে কোন কিছু না ভেবেই হ্যাঁ বলে দিয়েছে । কষ্টের তীব্রতা এতোটা বেড়েছে যে অপু আর সহ্য করতে না পেরে অমিকে কল দিয়েছে । কল রিসিভ হতেই ও পাশ থেকে শোনা যাচ্ছে "আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, আপনি আমাকে কল না দিলে আমি অনেক খুশি হব" । অভিমান থেকে এখন রাগটা মনে হয় আরও বেড়ে গেছে অপুর । ও শুধু বলেছে আবেগের বশীভূত হয়ে এখন তুমি যেটা করবে সেটা ভুল আর এখনের একটা ভুল হতে পারে সারা জীবনের কান্না । যা করবে অবশ্যই ভেবে করবে । ভালো থেকো । আর হ্যাঁ আমি তোমার জন্য অপেক্ষা নয় প্রতিক্ষা করব ।

 

এভাবেই কেটে যাচ্ছে প্রেমহীন, আপন হওয়া অপরিচিতা অমি বিহীন অপুর জীবন ।

যেই মায়াবী হাসিতে সকলে মুগ্ধ হয়ে যেত, সেই হাসিই অপুর মুখে আর দেখা যায় না । ছোট ছোট আনন্দের মুহূর্তগুলো যেন বিষাদে রূপান্তরিত হয়েছে । এমন কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত যেগুলো জীবনে একবারের বেশি আসবে না জেনেও, সেগুলোর মাঝে বিন্দু পরিমান সুখ খুঁজে পায় না অপু । পাখি হয়ে উড়তে চেয়েছিল যেই পৃথিবীতে সেই পৃথিবীই আজ অপুর কাছে কারাগার বিবেচিত হচ্ছে । এ যেন প্রদীপ জ্বেলে কারো জন্য অপেক্ষা করে হাজার বছর পার করে সে আসার আগেই প্রদীপকে নিভিয়ে ফেলা ।

 সময় চলে যেতে থাকে, দিন থেকে মাস । এভাবেই লুকানো কষ্ট আর অমিকে পাওয়ার আশা নিয়েই শেষ হয়ে যায় অপুর বি. এস. সি. ইঞ্জিনিয়ারিং । কিছুদিনের ভেতর ভালো একটা চাকরিও পেয়ে যায় অপু । এখন দিনগুলো ব্যস্ত পার হলেও নিঃশব্দ রজনীতে পুরো মাথাটা দখল করে নেয় অমি । এভাবেই চলে গেছে অনেকগুলো মাস এবং বছর ।

 আজ ১৪-ফেব্রুয়ারি । আজ অপুর বিয়ে । হ্যাঁ, আসল নাম না জানা সেই অমির সাথেই । ভাবছেন কিভাবে এটা সম্ভব তাই না ?

 কয়েকদিন আগে অপুর মোবাইলে একটা এস. এম. এস. এসেছিল যদি সত্যিই আমার জন্য প্রতিক্ষা করে থাকেন আর আমাকে ভালবেসেই থাকেন তাহলে আমার পরিবারের সাথে কথা বলে ২৫ এপ্রিল-ই বিয়ের তারিখ ঠিক করুন । আর একটা অনুরোধ থাকবে আপনার কাছে, আপনি বিগত দিনের কোন কিছু আমার কাছে জানতে চাইবেন না, শুধু এতটুকু জেনে রাখুন সেদিন আমার বিয়ে হয় নাই । অমির সেই আগের নাম্বার থেকেই এস এম এস এসেছিল, ভাষা ছিল পরিচিত, লেখার ধরন ছিল সেই  অপরিচিতার মতই । পিপাসিত অপুর মনে আজ শান্তির ফোয়ারা ছুটছে নাকি কোন প্রভাব পড়ছে না সেটাও বুঝতে পারছে না । শুধু মনে হচ্ছে “সেই অভিমানটাই প্রিয়জনের উপর করা উচিত যার জন্য প্রিয়জন প্রিয় থেকে অধিক অধিক আপন হতে পারে । সামান্য কিছু ভুল যদি কারো চোখের কান্নার জন্য দ্বায়ী হয় তাহলে সেই ভুলগুলো না করলেই তো সুখের ক্ষণস্থায়ী জীবনগুলো তৃপ্তিতে ভরে ওঠে” ।

 

ডিএসএস/ 

 

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু