সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

অপ্সরা

লিলির বাম গালে একটা তিল ছিল। হাসলে ওকে বেশ সুন্দর লাগতো। যখন ও হাসতো, তখন ওকে জয়সলমীরের অস্তমিত সূর্যের মতো মনে হতো! তিলের জন্য লিলিকে আমি আদর করে নায়িকা বলে ডাকতাম। লিলি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সহপাঠী ছিল। খুব ঠান্ডা মেজাজ আর সহনশীলতা ছিল ওর মাঝে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম থেকেই লিলিকে আমার ভাললেগে যায়। আমি ওর পিছু নেই এবং সফল হই।

লিলির বাবা ছিলেন একজন অধ্যাপক। জ্ঞান আর নীতির ভান্ডার! আমার কাছে ওনার কথা কখনও পছন্দ হতো না। আর, লিলির মা ছিল প্রচন্ড ধার্মিক। লিলির পরিবারের সাথে আমার ম্যাচিং না হলেও আমি লিলিকে পছন্দ করতাম। আমি আমার ছা'পোষা পরিবারকেও যে পছন্দ করতাম তাও নয়। আমি সব সময় সাধারণ বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছি। নিজের মতো করেই নিজে বড় হতে চেয়েছি। লিলির বাবা শুধু মাত্র একটা কারণে লিলিকে আমার সাথে বিয়ে দিতে রাজি হয়েছিল। তা' হল মধ্যবিত্ত সেন্টিমেন্ট! দুই পরিবারেরই অভিন্ন সংস্কৃতি।

যখন প্রথম বার আমার শ্রীঘরে যাওয়া হয়, লিলি তখন বাবার বাড়ি চলে গেল। তার বাবা নাকি আমার জন্য সমাজে মুখ দেখাতে পারছিলেন না! আরে বাবা মানুষ বড় হতে গেলে একটু-আধটু ওসব না করলে চলে? লিলি তা' বোঝেনি আর লিলির বাবা-মা তারাও কি বুঝেছেন? আমার পরিবারের মানুষরাও কম কিসে? আমার এগিয়ে যাবার অন্তরায় আমার বড় ভাই তার সাথে সম্পর্ক চ্যুত করেছি। মাকে প্রায়ই ভুলে গিয়েছিলাম। আমার সাথে মা' দেখা করতে নারাজ; আমারও দেখা করার সুযোগ নেই। কিন্তু, লিলিকে ভুলিনি! কি দোষ ছিল আমার? আমার ভালোবাসায় তো' কোন ভুল ছিল না।

আমার পঞ্চম বার গারদে থাকার সময় ছিল দীর্ঘ। লিলি আর তার পরিবার মেনে নিতে পারেনি। চালান শেষ করার সময় সাদা পোশাক পড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা গ্রেপ্তার করে। আমি চিন্তাও করিনি কেউ আমাকে ধরতে পারবে। এবারের পরিকল্পনা নিচ্ছিদ্র ছিল। সফল হলেই মালয়েশিয়াতে একটা ফ্ল্যাট পেতাম। মানুষ তো এভাবেই বড় হয় নাকি? আমার উন্নতি মানুষের সহ্য হল আর কই!

মামলাটি আন্ডার ট্রায়াল ছিল এক বছরের বেশি সময়। শাস্তি হলে ১৪ বছর জেল! লিলি ও তার পরিবার মেনে নিতে পারেনি। আমি জানতাম ট্রায়ালে যাই হোক না কেন, জেল থেকে বেরুতে খুব বেশি সময় আমার লাগবে না। সবই সময়ের ব্যাপার! আমাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ন্যুনতম সময় দেওয়া উচিৎ ছিল। লিলি অপেক্ষা করেনি। আমার অনিবার্য ভবিষ্যৎ আন্দাজ করে, অন্যর বুকে সুখ খুঁজেছে। আমিও পারতাম আরও উপপত্নী রাখতে। আমি কি রেখেছি? আমি শুধু লিলিকে চিনেছি। আমি অস্ত্রের চালানের কাজ ধরেছিলাম লিলিকে নিয়ে মালয়েশিয়া সেটেল্ড হব বলে। আমার প্রেম লিলি বোঝেনি!

আমি তৃতীয় বার জেল থেকে বেরোলে আমার বড় ভাই আমাকে শাসন করেছিলেন! আমাকে জীবন ধারা পরিবর্তন করে স্বাভাবিক হতে বলেন! আমি কি অস্বাভাবিক মানুষ? এই পথে আরও অনেকেই হাঁটছে। তারা সফল হচ্ছে বলেই না আমরা তাদের উত্তরসূরী। আর, একবার মানিয়ে নিতে পারলেই যা আয়েশি জীবন! এরপর বড় ভায়ের সামনে আর কখনো যাইনি। আমার মা বলেছিলেন, সুন্দর করে সংসার করার জন্য। একটা ভালো পরিবারে বিয়ে হয়েছে, তাদেরও সম্মান রয়েছে। ওরা সবাই আমাকে বুঝতে ভুল করে! আমি তো প্রতিনিয়ত আমার উন্নতির জন্যই কাজ করে যাচ্ছি।

আমি দ্বিতীয় বার গ্রেফতার হবার কয়েক দিনের মাথায় জামিন পাই। এরপর লিলি আমাকে সাথে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। কারও কোন কথা শোনার আগেই শ্বশুড়বাড়িতে পুলিশ! অভিযান নেতৃত্বদানকারি ডিবির অফিসার আমার শ্বশুরের ছাত্র ছিলেন। অফিসারের খুব কষ্ট হচ্ছিল আমাকে পাকড়াও করার সময়। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল স্মাগলিং। এতে কোন প্রমাণ ছিল না। শুধুই সন্দেহ করেই হেনেস্তা করা।

আমি তখন জেলে। মামলার শুনানির দিনের অপেক্ষায়। একদিন শুনলাম রুবেলের সাথে লিলির বিয়ের কথা! ডিভোর্স এর কাগজ এসেছিল। তবে লিলি অপেক্ষা করতে পারতো। শেষ বার আমাকে বলে বিদায় নিয়ে পারতো। কিছুই করেনি; আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। আমি করার জন্য, কি করে যাচ্ছি!

লিলির তিলকে চুমু খেয়েছিল রুবেল! সেই তিলে! সাহস কত হারামজাদার? এই তিলকের দাম কোটি টাকার বেশি!
ঐ তিলকে শুধু আমার অধিকার! আর কারো না। তুই তিলক অপবিত্র করে দিয়েছিল। এই তিলক আর থাকবে না। আমি জেলে আর লিলি অন্যজনকে বিয়ে করেছে! ওর তিল থাকে কি করে? আপনারাই বলুন? আমি কি অন্যায় বলছি? আমি লিলিকে শেষ দেখা দেখছিলাম। আমার শিষ্য শূট্যার মিজান অস্ত্র তাক করে ফেলেছে। লিলি সব ব্যাখ্যা করতে চাইছে, ভুল ছিল কোথায়? বার বার ওর বর্তমান স্বামী রুবেলের জীবন ভিক্ষা চাইছে। লিলি তোমাকে ক্ষমা চাওয়া মানায় না! তুমি আমার স্ত্রী; তুমি টর্নেডো কামালের বউ! একটু হাস লিলি। আমি তোমার তিলকটা আবার দেখি। লিলির তিলক রক্তে লাল হয়ে গেল! সে লুটিয়ে পড়লো রাস্তায়। কখন যে মিজান মেশিন চালিয়েছে মনে নেই। লিলি লাল রক্তে লাল!! আমার লিলির শরীর লাল হয়ে গেছে। লিলির রক্তে রাস্তাও লাল হয়ে গেল।

বস লোকজন আসছে। মিজানের সাথে আমিও গাড়িতে ঊঠে বসি। আমাকে ধরে কোন শালা?

লিলির বাম গালে তিলক ছিল। হাসলে গালে টোল পড়তো। আমি পাগল হয়ে যেতাম! লিলির তিলটা ছিল বাংলাদেশের নায়িকা দিতির মতোই! সব মিলিয়ে লিলি আমার কাছে অপ্সরা ছিল। ওর মতো সুন্দর মেয়ে জীবনেও দেখিনি! হয়তো সুন্দর দেখেছি, কাঊকেই লিলির মতো মনে হয়নি। আমার জীবনে লিলি চক্রাকারে ঘূর্ণনায়মান বাসের মতো।
মরুভূমিতে দিনশেষে তপ্ত বালিতে হিমেল হাওয়া বয়। আমার জীবনের শেষে হিমেল হাওয়া হয়ে লিলি কখনো আসবে না। অপ্সরা লিলির জন্য ভালোবাসা অফুরান।

 

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু