সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আধি

 

মিমি, মিমি ফারজানা নামটি দেখেই সেলিম ফেসবুকে রিকুয়েস্ট পাঠায়। ফেসবুকে কোনো ছবি দেয়া ছিল না, তবে মিমি নাম দেখলেই সেলিমের মনটা কেমন কেমন করে। এক সপ্তাহ পরে রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করে মিমি। হুম এই সেই মিমি!

মিমি ও সেলিম দুইজন দু’জনার ভালো বন্ধু ছিল। দু’জনকে দু’জনাই ভালোবাসতো। পারিবারিক কারণে তাদের পরিণয় হয়নি। সেলিম মেধাবী ছাত্র ছিল, বাম রাজনীতির সাথেও যুক্ত ছিল। সে গ্রামের সাধারণ পরিবারের ছেলে। সেলিম যতটা বন্ধু বাৎসল ছিল, ততটা মিমিকেও ভালোবাসতো। সেই সময় সেলিম-মিমিকে একসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকেই দেখেছে। তাদের বিচ্ছেদ ভালো ছিল না; দু’জনার মনেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিলেন। মিমি ঢাকার মেয়ে। আর, সেলিম এখন সুইডেন প্রবাসি। মিমি এখন বাংলাদেশে থাকে। মিমির স্বামী রুশো বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা।

সেলিম মিমিকে ভোলেনি। কাকতালীয় ১৫ বছর পরে আবার যোগাযোগ হয়। সেদিন মিমির সাথে সেলিমের দীর্ঘ সময় কথা হ’ল। অনেক কথা জমা ছিল মিমির মনে! অনেক কথা বলেও বলা হল না। সেলিম আরও কথা বলতে আগ্রহী। মিমি অপেক্ষায় রইল সেলিম আবার কবে কল করে, আর সেলিম মিমির সাথে কথা বলার জন্য ব্যাকুল হয়ে রইলো।

তবে এখানে মিমিই ব্রেক দিল। মিমি সেলিমকে কল করে পরিবারের খোঁজ নিল। সেলিমের ছেলে আর মিমির ছেলে একই বয়সী। ছোটবেলায় মিমির বিদেশে যাবার প্রচন্ড আগ্রহ ছিল; আজও রয়েছে বিদেশ ভ্রমণের। মিমির স্বামী অত্যন্ত কর্ম পাগল মানুষ। তিনি মিমিকে তেমন সময় দিতে পারেন না। মিমির অবশ্যি আক্ষেপ নেই। আর, আক্ষেপ করেই লাভ কি? স্বামীর সাথে সম্পর্ক মিমির বরাবরই ভালো।

সেলিমের সাথে নতুনভাবে যোগাযোগ হবার পরে মিমির মনের জমে থাকা কালো মেঘ বেশ খানিকটা সড়েছে। এখন মাঝে মাঝে মিমি সেলিমের সাথে কথা বলে। সেলিম মিমির ছেলের খবর নেয়। মিমির ছেলে এ লেভেল শেষ করেছে। এখন বিদেশে এডমিশন নিতে আগ্রহী। মিমিও চায় তার ছেলে বিদেশে গিয়ে লেখাপড়া করুক। কিন্তু, মিমির স্বামী ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে তেমন আগ্রহী নন।

একদিন অচেনা মোবাইল নম্বর থেকে মিমির মোবাইলে কল আসে। অপর প্রান্তে পরিচিত কণ্ঠস্বর! সেলিম হোটেল পূর্বানীতে মিমির জন্য অপেক্ষা করছে! মিমি ভাবতেও পারেনি সেলিম এভাবে তাকে সারপ্রাইজ দেবে। অতঃপর সেলিমের সাথে মিমির দেখা হয়। অনেকটা সময় তারা এক সাথে ছিল, অনেক গল্পও করেছে।

সুইডেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মিমির ছেলের এডমিশন হতে পারে। সেলিম স্পসরশিপ দেবে। তাতে ছেলের কাছে মিমিও মাঝে মাঝে যেতে পারবে। তবে একমাত্র ছেলেকে ছাড়তে চায়নি মিমির স্বামী। দশ বছর পর সেলিম দেশে এসেছে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু -বান্ধব সবার সাথেই সে যোগাযোগ করেছে। সেলিমের কোন পিছুটান নেই। সে বিদেশে স্থায়ী হয়েছে, আর দেশে ফিরবে না। অবশ্য দেশে এতো দিন পরে এসে কি করবে? নতুন করে শুরু করা মুশকিল বটে। বরং যে দেশে আছে সেটাই ভালো। সেলিম অল্প দিনেই সুইডেন ফিরে যাবে। যাবার পূর্বে সে তার সময়ের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, প্রশাসনের উচ্চ্কর্তাসহ অনেক প্রভাবশালীর সাথেই সৌজন্য সাক্ষাৎ করে নিল। অতঃপর একদিন ফ্লাইটের সময় হয়ে গেল। মিমির কাছে বিদায় নিয়ে সেলিম নিজ ভুমি ত্যাগের জন্য প্রস্তুতি নিল। যাবার সময় মিমিকে কানে কানে বলে গেল তোমার ছেলেকে সুইডেন পাঠানোর মন স্থির কর। আমি পাশে থাকব।
রুশোর এই মাসেই বিদেশ যাবার ছিল। তা' আর যাওয়া হল কই? গত মাসেই তিনি দিল্লি থেকে ফিরেছেন সাথে মিমিও ছিল। রুশো চৌধুরী দেশের একটা লিডিং কোম্পানিতে নির্বাহী পদে চাকুরীরত রয়েছেন। তিনি ফিন্যান্স ও প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টের হেড। অফিসে দক্ষ আর বিশ্বাসী হিসেবে রুশোর পরিচিত রয়েছে। টেন্ডার ও ব্যয় নিয়ে তার অনেক সময় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। অফিসের কাজে অনেকের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে, তবুও রুশো নিজ কাজে সাহসী ছিলেন।

ড্রইং রুমের ছোফাতে মিমি নির্বাক বসে রয়েছে। মিমিকে ঘিরে অনেক পুলিশ। মিমির ছেলের ঘুম এখনো ভাংগেনি। রুশোর কোম্পানির মালিক অন দ্যা ওয়ে। মিমির মোবাইলটা বেজে উঠলো। ওপাশ থেকে বলা হল, সব মালিকের ইচ্ছে, মন খারাপ কর না। ধৈর্য ধর; আমি তো রয়েছি না! অল্প কথা বলে সেলিম লাইন কেটে দিল। ঘটনাটি প্রিন্ট আর ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় কল্যাণে সবার জানা হয়ে গেছে। মিমির প্রচন্ড মন খারাপ। সে ভেংগে পড়েছে। রুশোর এভাবে চলে যাওয়া সে মেনে নিতে পারছে না। স্বামী, সংসার আর পুত্রকে নিয়ে মিমি অনেক স্বপ্ন ছিল। রুশো চলে যাবে এভাবে কেন? রুশো খুন হবে তা' মিমি কখনও কল্পনাও করেনি। কে খুন করেছে? কেন খুন করেছ? রুশোর তো কোন শত্রু ছিল না।

রুশোর মার্ডার কেস নিয়ে পুলিশ বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রুশো মারা যাবার পরে প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পাওয়া যাচ্ছে না, যা রুশো চৌধুরীর কাছে ছিল। এখন কি উপায়? মিমি রুশোর অফিসের কিছুই জানতো না। কেউ কি প্রফেশনাল জেলাসির জন্য রুশোকে মেরে দিল? মার্ডার কেসটা স্পর্শকাতর মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হল।
মিমি মাঝে মাঝে কোর্টে হাজিরা দিতে যায়। আবার কখনো উকিলের কাছে, কখনো থানা থেকে ডেকে বসে। এখনো হত্যার কোন ক্লু না পেলেও মিমি হত্যার বিচার পাবার ব্যাপারে আশাবাদি। এই খুনের মামলায় সবাই মিমিকে সহায়তা করছে।

সময় ও নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। মিমির ছেলের সেমিস্টার লস হতে চলেছে। মিমি সেলিমের সাথে যোগাযোগ করে। এখন ছেলের সাথে বাইরে যেতে মিমির আর কোন বাধা নেই। সেলিম এমনটাই চেয়েছিল। মিমির কোনো পিছুটান না থাকুক, সে শুধু সেলিমের হয়ে যাক। সেলিম কিছুদিন সময় নিল আর ছেলেকে আবেদন করতে বলল। ছেলে আগেই আবেদন করেছে মিমি জানায়। মিমি বিদেশে যাবার মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছে। কয়েকমাস ছেলের সাথে থেকে তারপর আবার দেশে ফিরবে। এর মধ্যে মামলাও এগিয়ে যাবে। ছেলের মেইলে কনফার্মেশান লেটার এসেছে। এখন অর্থনৈতিক দুরবস্থায় সেলিম সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। আসলে বিপদেই বন্ধুর পরিচয়।

একটা মোবাইল নম্বর যা থেকে রুশো চৌধুরীর সাথে কথা বলা হয়েছে ভিন্ন নামে, ভিন্ন পরিচয়ে। সেই মোবাইল থেকে ভিন্ন ভিন্ন সিম ব্যবহার করেও কথা বলা হয়েছে। এই মোবাইল থেকে মিমির বন্ধু সেলিমকেও কল করা হয়েছে। আইপি এড্রেস মিলে গেছে! পুলিশের সন্দেহভাজনের তালিকায় এখন সেলিমের নামও চলে এসেছে। মিমিকে পুলিশ সন্দেহ করছে কি না তা' আপাতত বোঝা যাচ্ছে না। তবে সেলিমের ব্যবহৃত সিম থেকে মিমির সাথেও কথা বলার প্রমাণ মিলেছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ বিষয়টি গোপন রেখেছে।

এদিকে বিমানের টিকেট মিমির হাতে এসে গেছে। এখন শুধু বিদেশ যাবার পালা। বিদেশে থাকাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা সেলিম করেছে। বিদেশ যাত্রার ব্যাপারে মিমিকে কোন বেগ পেতে হয়নি। সব কাজ সেলিম করে দিয়েছে। এখন শুধু দিন গণনার পালা, আর মাত্র তিন দিন পরে মিমির ফ্লাইট। চোখের পলকে তিন দিন চলে যাবে।

গাড়ি চলছে এয়ারপোর্টে অভিমুখে। বিদেশ যাত্রা মিমির ব্যক্তিগত, তাই পুলিশকে ইনফর্ম করেনি। আর, বিদেশ যাত্রা তো মাত্র কয়েক মাসের জন্য। গাড়ি চলমান থাকা অবস্থায় মিমির মোবাইলটা বেজে উঠলো। মিমি কল ধরতে পারেনি। এয়ারপোর্টে যাবার পরে মিমি কল ব্যাক করলো। পুলিশ সেলিম সম্পর্কে মিমিকে তথ্যগুলো শেয়ার করলো। মিমির শরীর ঘেমে উঠলো! মিমি পুলিশের তথ্য বিশ্বাস করতে চাইছিল না। কোথাও ভুল হচ্ছে মনে হয়। মিমি আর তার ছেলে বিমানের অভিমুখে রওনা হল। মিমি এই মুহুর্তে তার ছেলের ভবিষ্যত নষ্ট করতে চায় না।

 

ডিএসএস/

 

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু