রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আধি

 

মিমি, মিমি ফারজানা নামটি দেখেই সেলিম ফেসবুকে রিকুয়েস্ট পাঠায়। ফেসবুকে কোনো ছবি দেয়া ছিল না, তবে মিমি নাম দেখলেই সেলিমের মনটা কেমন কেমন করে। এক সপ্তাহ পরে রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করে মিমি। হুম এই সেই মিমি!

মিমি ও সেলিম দুইজন দু’জনার ভালো বন্ধু ছিল। দু’জনকে দু’জনাই ভালোবাসতো। পারিবারিক কারণে তাদের পরিণয় হয়নি। সেলিম মেধাবী ছাত্র ছিল, বাম রাজনীতির সাথেও যুক্ত ছিল। সে গ্রামের সাধারণ পরিবারের ছেলে। সেলিম যতটা বন্ধু বাৎসল ছিল, ততটা মিমিকেও ভালোবাসতো। সেই সময় সেলিম-মিমিকে একসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকেই দেখেছে। তাদের বিচ্ছেদ ভালো ছিল না; দু’জনার মনেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিলেন। মিমি ঢাকার মেয়ে। আর, সেলিম এখন সুইডেন প্রবাসি। মিমি এখন বাংলাদেশে থাকে। মিমির স্বামী রুশো বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা।

সেলিম মিমিকে ভোলেনি। কাকতালীয় ১৫ বছর পরে আবার যোগাযোগ হয়। সেদিন মিমির সাথে সেলিমের দীর্ঘ সময় কথা হ’ল। অনেক কথা জমা ছিল মিমির মনে! অনেক কথা বলেও বলা হল না। সেলিম আরও কথা বলতে আগ্রহী। মিমি অপেক্ষায় রইল সেলিম আবার কবে কল করে, আর সেলিম মিমির সাথে কথা বলার জন্য ব্যাকুল হয়ে রইলো।

তবে এখানে মিমিই ব্রেক দিল। মিমি সেলিমকে কল করে পরিবারের খোঁজ নিল। সেলিমের ছেলে আর মিমির ছেলে একই বয়সী। ছোটবেলায় মিমির বিদেশে যাবার প্রচন্ড আগ্রহ ছিল; আজও রয়েছে বিদেশ ভ্রমণের। মিমির স্বামী অত্যন্ত কর্ম পাগল মানুষ। তিনি মিমিকে তেমন সময় দিতে পারেন না। মিমির অবশ্যি আক্ষেপ নেই। আর, আক্ষেপ করেই লাভ কি? স্বামীর সাথে সম্পর্ক মিমির বরাবরই ভালো।

সেলিমের সাথে নতুনভাবে যোগাযোগ হবার পরে মিমির মনের জমে থাকা কালো মেঘ বেশ খানিকটা সড়েছে। এখন মাঝে মাঝে মিমি সেলিমের সাথে কথা বলে। সেলিম মিমির ছেলের খবর নেয়। মিমির ছেলে এ লেভেল শেষ করেছে। এখন বিদেশে এডমিশন নিতে আগ্রহী। মিমিও চায় তার ছেলে বিদেশে গিয়ে লেখাপড়া করুক। কিন্তু, মিমির স্বামী ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে তেমন আগ্রহী নন।

একদিন অচেনা মোবাইল নম্বর থেকে মিমির মোবাইলে কল আসে। অপর প্রান্তে পরিচিত কণ্ঠস্বর! সেলিম হোটেল পূর্বানীতে মিমির জন্য অপেক্ষা করছে! মিমি ভাবতেও পারেনি সেলিম এভাবে তাকে সারপ্রাইজ দেবে। অতঃপর সেলিমের সাথে মিমির দেখা হয়। অনেকটা সময় তারা এক সাথে ছিল, অনেক গল্পও করেছে।

সুইডেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মিমির ছেলের এডমিশন হতে পারে। সেলিম স্পসরশিপ দেবে। তাতে ছেলের কাছে মিমিও মাঝে মাঝে যেতে পারবে। তবে একমাত্র ছেলেকে ছাড়তে চায়নি মিমির স্বামী। দশ বছর পর সেলিম দেশে এসেছে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু -বান্ধব সবার সাথেই সে যোগাযোগ করেছে। সেলিমের কোন পিছুটান নেই। সে বিদেশে স্থায়ী হয়েছে, আর দেশে ফিরবে না। অবশ্য দেশে এতো দিন পরে এসে কি করবে? নতুন করে শুরু করা মুশকিল বটে। বরং যে দেশে আছে সেটাই ভালো। সেলিম অল্প দিনেই সুইডেন ফিরে যাবে। যাবার পূর্বে সে তার সময়ের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, প্রশাসনের উচ্চ্কর্তাসহ অনেক প্রভাবশালীর সাথেই সৌজন্য সাক্ষাৎ করে নিল। অতঃপর একদিন ফ্লাইটের সময় হয়ে গেল। মিমির কাছে বিদায় নিয়ে সেলিম নিজ ভুমি ত্যাগের জন্য প্রস্তুতি নিল। যাবার সময় মিমিকে কানে কানে বলে গেল তোমার ছেলেকে সুইডেন পাঠানোর মন স্থির কর। আমি পাশে থাকব।
রুশোর এই মাসেই বিদেশ যাবার ছিল। তা' আর যাওয়া হল কই? গত মাসেই তিনি দিল্লি থেকে ফিরেছেন সাথে মিমিও ছিল। রুশো চৌধুরী দেশের একটা লিডিং কোম্পানিতে নির্বাহী পদে চাকুরীরত রয়েছেন। তিনি ফিন্যান্স ও প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টের হেড। অফিসে দক্ষ আর বিশ্বাসী হিসেবে রুশোর পরিচিত রয়েছে। টেন্ডার ও ব্যয় নিয়ে তার অনেক সময় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। অফিসের কাজে অনেকের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে, তবুও রুশো নিজ কাজে সাহসী ছিলেন।

ড্রইং রুমের ছোফাতে মিমি নির্বাক বসে রয়েছে। মিমিকে ঘিরে অনেক পুলিশ। মিমির ছেলের ঘুম এখনো ভাংগেনি। রুশোর কোম্পানির মালিক অন দ্যা ওয়ে। মিমির মোবাইলটা বেজে উঠলো। ওপাশ থেকে বলা হল, সব মালিকের ইচ্ছে, মন খারাপ কর না। ধৈর্য ধর; আমি তো রয়েছি না! অল্প কথা বলে সেলিম লাইন কেটে দিল। ঘটনাটি প্রিন্ট আর ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় কল্যাণে সবার জানা হয়ে গেছে। মিমির প্রচন্ড মন খারাপ। সে ভেংগে পড়েছে। রুশোর এভাবে চলে যাওয়া সে মেনে নিতে পারছে না। স্বামী, সংসার আর পুত্রকে নিয়ে মিমি অনেক স্বপ্ন ছিল। রুশো চলে যাবে এভাবে কেন? রুশো খুন হবে তা' মিমি কখনও কল্পনাও করেনি। কে খুন করেছে? কেন খুন করেছ? রুশোর তো কোন শত্রু ছিল না।

রুশোর মার্ডার কেস নিয়ে পুলিশ বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রুশো মারা যাবার পরে প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পাওয়া যাচ্ছে না, যা রুশো চৌধুরীর কাছে ছিল। এখন কি উপায়? মিমি রুশোর অফিসের কিছুই জানতো না। কেউ কি প্রফেশনাল জেলাসির জন্য রুশোকে মেরে দিল? মার্ডার কেসটা স্পর্শকাতর মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হল।
মিমি মাঝে মাঝে কোর্টে হাজিরা দিতে যায়। আবার কখনো উকিলের কাছে, কখনো থানা থেকে ডেকে বসে। এখনো হত্যার কোন ক্লু না পেলেও মিমি হত্যার বিচার পাবার ব্যাপারে আশাবাদি। এই খুনের মামলায় সবাই মিমিকে সহায়তা করছে।

সময় ও নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। মিমির ছেলের সেমিস্টার লস হতে চলেছে। মিমি সেলিমের সাথে যোগাযোগ করে। এখন ছেলের সাথে বাইরে যেতে মিমির আর কোন বাধা নেই। সেলিম এমনটাই চেয়েছিল। মিমির কোনো পিছুটান না থাকুক, সে শুধু সেলিমের হয়ে যাক। সেলিম কিছুদিন সময় নিল আর ছেলেকে আবেদন করতে বলল। ছেলে আগেই আবেদন করেছে মিমি জানায়। মিমি বিদেশে যাবার মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছে। কয়েকমাস ছেলের সাথে থেকে তারপর আবার দেশে ফিরবে। এর মধ্যে মামলাও এগিয়ে যাবে। ছেলের মেইলে কনফার্মেশান লেটার এসেছে। এখন অর্থনৈতিক দুরবস্থায় সেলিম সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। আসলে বিপদেই বন্ধুর পরিচয়।

একটা মোবাইল নম্বর যা থেকে রুশো চৌধুরীর সাথে কথা বলা হয়েছে ভিন্ন নামে, ভিন্ন পরিচয়ে। সেই মোবাইল থেকে ভিন্ন ভিন্ন সিম ব্যবহার করেও কথা বলা হয়েছে। এই মোবাইল থেকে মিমির বন্ধু সেলিমকেও কল করা হয়েছে। আইপি এড্রেস মিলে গেছে! পুলিশের সন্দেহভাজনের তালিকায় এখন সেলিমের নামও চলে এসেছে। মিমিকে পুলিশ সন্দেহ করছে কি না তা' আপাতত বোঝা যাচ্ছে না। তবে সেলিমের ব্যবহৃত সিম থেকে মিমির সাথেও কথা বলার প্রমাণ মিলেছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ বিষয়টি গোপন রেখেছে।

এদিকে বিমানের টিকেট মিমির হাতে এসে গেছে। এখন শুধু বিদেশ যাবার পালা। বিদেশে থাকাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা সেলিম করেছে। বিদেশ যাত্রার ব্যাপারে মিমিকে কোন বেগ পেতে হয়নি। সব কাজ সেলিম করে দিয়েছে। এখন শুধু দিন গণনার পালা, আর মাত্র তিন দিন পরে মিমির ফ্লাইট। চোখের পলকে তিন দিন চলে যাবে।

গাড়ি চলছে এয়ারপোর্টে অভিমুখে। বিদেশ যাত্রা মিমির ব্যক্তিগত, তাই পুলিশকে ইনফর্ম করেনি। আর, বিদেশ যাত্রা তো মাত্র কয়েক মাসের জন্য। গাড়ি চলমান থাকা অবস্থায় মিমির মোবাইলটা বেজে উঠলো। মিমি কল ধরতে পারেনি। এয়ারপোর্টে যাবার পরে মিমি কল ব্যাক করলো। পুলিশ সেলিম সম্পর্কে মিমিকে তথ্যগুলো শেয়ার করলো। মিমির শরীর ঘেমে উঠলো! মিমি পুলিশের তথ্য বিশ্বাস করতে চাইছিল না। কোথাও ভুল হচ্ছে মনে হয়। মিমি আর তার ছেলে বিমানের অভিমুখে রওনা হল। মিমি এই মুহুর্তে তার ছেলের ভবিষ্যত নষ্ট করতে চায় না।

 

ডিএসএস/

 

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি