সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নাম না জানা মেয়েটি

কলেজে সবাই আসছে। কিন্তুু কোথায় খুঁজতে লাগলাম। কলেজের স্মৃতিসৌধের কাছে খুলা জায়গায় বসে সবাই সময় কাটাতাম। হয়তো এখানে সবাই। এ দিকে আসতেই কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম। একটুখানি এগিয়ে গেলাম। অবাক হয়ে ভাবতে লাগলাম।এখানে হচ্ছে কী? কেউ কাঁদে আবার কেউ হাসে। ইচ্ছে হলো ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করি সে কাঁদে আর তোমরা হাসছো কেন?

তাকিয়ে দেখি আমার বন্ধু বান্ধবী কেউ নেই, এরা সবাই স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের। তাই ক্লাসের দিকে চলে যাচ্ছি। কান্নার আওয়াজটা বেড়েই চলছে। তবুও চলে যাচ্ছি, তবে মন কিছুতেই বসছে না। ভাবতেছি ছোট ভাই বোনদের বিষয়ে জড়ানো কী উচিৎ হবে। এই ভেবে হাঁটতেছি। হঠাৎ হাবিব উল্লাহ পাঠাগারের দিকে যেতে বলল। তর একটা উপন্যাস দেতো পড়ি। তার হাতে উপন্যাস দিয়ে চলে আসছি। কিরে বস এখানে, না তুই পড় আমার একটা কাজ আছে। অহ! কবিদের কত কাজ, আচ্ছা যা সময়মতো চলে আসিস। বারবার মেয়ে টার কান্নার আওয়াজ কানে ভাসছে আর মনে প্রশ্ন জাগছে মেয়েটি কাঁদে আর তার বন্ধু বান্ধবীরা হাসে কেন? অহ! তাতে আমার কী? যায় আসে আমি কেন? এত ভাবছি।মেয়েটিকে প্রশ্ন করলে যদি রেগে যায়, না,না যাব না আর এদিকে। এই ভাবতে ভাবতে মেয়েটার কাছেই চলে গেলাম। নিজেকে সামলাতে না পেরে জিজ্ঞেস করলাম কেন? কাঁদো কী? হলো।
উত্তর নেই। আবার জিজ্ঞেস করলাম, কাঁদছ কেন? কান্না বেড়ে গেল।

মহা মুশকিল, বলো আমায় কাঁদ কেন? আবারও উত্তর দেয়নি। আরে কাঁদো কেন? বলো। কী? সমস্যা বলো যেভাবেই হোক সমস্যা সমাধান করব।তবুও কিছু বলে না শুধু কাঁদে। বিরক্ত হয়ে মনে কষ্ট নিয়ে চলে যেতে লাগলাম। এত আগ্রহ নিয়ে আসলাম আর কী হলো জানতে পারলাম না। ঐ পাশের ছেলে মেয়ে গুলির হাসি আরও বেড়ে গেল।তারা বলতে লাগল দেখ দেখ ভাইয়ার কত মায়া তার জন্য, কিন্তুু সেতো ভাইয়াকে পাত্তাই দিল না।
রাগ এলো বটে তবুও নিজেকে সামাল দিলাম। আগ্রহটা মন থেকে সরছে না কী? হলো কেন? কাঁদে আমার জানতেই হবে। আবার মনে মনে এটাও ভাবি মেয়েটাকে তো আমি কোনো দিন দেখিওনি তাহলে তার কান্নাতে আমার কী? আমার কেন? কষ্ট হচ্ছে। কেন? তার জন্য এত মায়া আমার।
ভাবতে ভাবতে আবার গেলাম।
এই শেষ বার জিজ্ঞেস করছি কী হলো বলো, কেন? কাঁদো।
কাঁদো কাঁদো কাঁপা কন্ঠে বলতে লাগল কেন? আপনারও আমায় নিয়ে হাসার ইচ্ছে হলো।সবাই তো অন্যের সমস্যায় আনন্দ পায়। আচ্ছা হাসেন, এত জনের হাসি সহ্য করতে পারছি আর আপনার হাসি কেন সহ্যতে পারব না।
সামান্য বিষয় হতে পারে কিন্তুু আমার জন্য সেটা অনেক লজ্জার।সবার উচিৎ ছিল আমার পাশে দাঁড়ানো কিন্তু তারা উল্টোটা করল যদিও খুব ভালো বন্ধু বান্ধবী ওরা।আর আপনি ত অপরিচিত। হাসার জন্যই ত বারবার আসছেন হাসেন যত ইচ্ছে আমায় নিয়ে মজা করেন।
একদম না! আমি তোমার কান্না সহ্য করতে না পারায় বারবার আসছি।
আগে বলবা তো কেন? কাঁদো।
ভাইয়া আমার!
বলতেই হঠাৎ বৃষ্টি নেমে আসলো সবাই ছুটা ছুটি করে হলে চলে গেলো। চলো আমরাও কোনো রুমে যায়। না হয় বৃষ্টিতে ভিজে যাব।এক পাও সরছে না। আরে কী? হলো।
ভাইয়া আপনি যান আমি যাব না।
কিন্তুু কেন?এখনি মনে হচ্ছে মুশলধারে বৃষ্টি নেমে আসবে চল।
আমি সবার সামনে এভাবে হাটতে পারব না।

সঙ্গে সঙ্গেই ভারী বৃষ্টি,তাকে রেখে যেতে পারলাম না। দুজনেই বৃষ্টি ভেজা। আপনি আমার জন্য বৃষ্টিতে ভিজবেন কেন? জানি না তোমায় ছেড়ে যেতে মন চাইছে না। মেয়েটির ব্যাগে ছাতা ছিল। আমায় বলে নেন আপনি ছাতার নিছে দাঁড়ান। না তুমি দাঁড়াও আমার লাগবে না। তাহলে আমার জন্য ভিজতেছেন কেন? আচ্ছা আসেন দুজনেই দাঁড়ায়, একটু সংকোচ হলো তবুও দাঁড়ালাম। কারও কোনো কথা নেই। বৃষ্টি থেমে গেল।
আবার প্রশ্ন আচ্ছা তুমি কাঁদছিলে কেন। কান্না শুরু, কাদো কেন? বলবা তো। আমি কীভাবে বাড়ি যাব।
অসহ্য! হলো কী? বলো আমি বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্তা করব।
ভাইয়া আমার না, জুতো ছিঁড়ে গেছে!!!
অহ! নো! এ সামান্য বিষয়ে এত কিছু, কেমন মেয়ে তুমি।
মোটেও সামান্য না। ছেলেদের জন্য সামান্য মেয়েদের জন্য না। ওরা অধিক লজ্জাশীলা হয়, খালি পায়ে বা ছেঁড়া জুতো পায়ে দিয়ে হাঁটতে পারে না। আমি একটু বেশি লজ্জা পাই।
আচ্ছা ঠিক আছে আমার জুতো পায়ে দাও ২০০ টাকা নাও বাজারে যেতে দু মিনিট সময় লাগবে।
জুতো কিনে তারপর আমায় এখান থেকে নিয়ে যেও। অপেক্ষায় রইলাম।
ভাইয়া! মানে। কোনো মানে চলবে না যাওতো।
মেয়েটি চলে গেলে অপেক্ষায় রইলাম, হঠাৎ কল আসলো লজিং হতে, মেয়েটি কে? নাম কী? বাড়ি কোথায় কিছুই জানা হলো না চলে আসতে হলো। বাসায় আসার পর শুরু হলো অস্থিরতা, বারবার মেয়েটির কথা মনে পড়তে লাগল। রাত ২.৫০ মিনিট।

একটুও ঘুম আসেনি চোখে। এ পাশ ওপাশ করতে লাগলাম। মোবাইল সাইলেন্ট আলো ভাসছে ভাবলাম অ্যালার্ম। একবার আলো ভাসার পর মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি কল। ৪৫ টা কল,অবাক কাণ্ড কে সে এত রাতে এতগুলো কল দিল। ব্যাক করলাম বন্ধ। ফেসবুক এ ডুকে দেখি ইনবক্সে নক করা, ভাইয়া আপনি কোথায় হারিয়ে গেলেন। সন্ধ্যা নেমে আসল আঁধারে চার দিক ডেকে যাচ্ছে তাই আর অপেক্ষা করতে না পেরে চলে আসলাম। খুব সকাল সকাল কলেজে চলে আসব। আপনি না আসা পর্যন্ত এক পাও নড়ব না। কখন সকাল হবে মেয়েটির সঙ্গে দেখা হবে। আনন্দের বন্যা বয়ে চলছে মনে।সকাল হতেই কলেজে চলে গেলাম।ঠিক আগের জায়গায় মেয়েটি বসা,কাছে যেতেই রেগেমেগে বললো আপনি এত পাষাণ কেন?
ভোর হতেই চলে আসছি আর আপনি এখন আসলেন। আচ্ছা কে তুমি, তোমার নাম কী? আর আমার জন্যই বা এত সকাল কেন? আসছো।
অনেকক্ষণ চুপ করে রইলো, তারপর জানি না বলে দৌড়ে চলে গেলো যেতে যেতে বললো আপনার জুতোটা আর দিবো না।

নিজেকে কত বোকা মনে হচ্ছে কেন? এ প্রশ্ন করলাম সারারাত তো আমারও ঘুম হয়নি। মেয়েটা হয়তো কিছু বলতো।আবার আসলো, একটা ফুল হাতে দিয়ে চলে গেলে। আরে নামটা ত বলে যাও। শুনলই না লাফাতে লাফাতে যেন আনন্দের সাগরে ভাসছে। বিকালে আমার হাত ধরে হাঁটবে, কলেজর পেছনের পুকুরে শাপলা তুলবে, জোনাকি পোকার আলোয় আলোকিত হতে নিশীথে ঝোপের আড়ালে যাবে। আমরা যখন গল্প করতে বসবো কলেজের সব গাছের কচি পাতা আমাদের জন্য নব সাজে সজ্জিত হবে। পাখিরা উরে এসে আমাদের পাশে বসবে। নদীর পানিতে আনন্দের ডেউ আসবে। বাগানে নতুন পাপড়ি ধরবে। চারদিক যেন উল্লাসে ভেসে উঠবে। এই বলে চলে গেল।
দেখা হবে আগামীকাল। পরের দিন সকাল সকাল চলে আসলাম এসে দেখি যেখানে দাঁড়িয়ে কাঁদছিল সেখানে একটা চিরকুট,

ভাইয়া, আপনাকে জানি না কেন এত ভালো লাগে। এটা ভালো লাগা নাকি ভালবাসা বলে, জানি না। যত সময় যাচ্ছে ততই আপনাকে কাছে পেতে মন চাচ্ছে, সারাক্ষণ আপনার ছবি আমার দু-চোখে ভেসে উঠে। আমি জানি আপনারও আমার মতো মনে হচ্ছে যেন, দু-জন সারাক্ষণ এক সঙ্গে থাকি। দূরে যেতে মন মানে না। কিন্তুু আমি আমার অবহেলিত জীবনে আপনাকে জড়াব তা মানতে পারি না। আমি প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছি। আমার জীবনে আছে শুধু হতাশা, ব্যর্থতা,লাঞ্জনা,যাতনা খুব সাধারণ পরিবারের মেয়ে আমি। আমার এ ব্যর্থ জীবনের সাথে জড়িয়ে আপনার জীবনে হতাশা,ব্যর্থতা নেমে আসুক তা আমি চাই না, তাই কিছু না বলে কলেজ হতে বিদায় নিলাম। হয়তো আর কোনো দিন দেখা হবে না। ভাইয়া, পারলে আমায় মাফ করে দিয়েন।

ইতি, কলেজের নাম না জানা মেয়েটি।

এর পর থেকে আমার মনে নেমে এলো হতাশা, শান্তি নামক জিনিসটা জীবন থেকে হারিয়ে গেল। সারাক্ষণ পাগলপারা হয়ে ঘুরে ফিরি। খোঁজতে থাকি কোথাও যেনো তার দেখা পাই।আর আজও হাঁটছি তার সন্ধানে।

 

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু