পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা
প্রকৃতি দেখেছ কখনো গভীরভাবে আজ দেখো কী অপরূপ কী তার মায়া, বিলাসীতা। প্রকৃতির এই জমকালো আয়োজনে নিজেকে খুঁজে পাই। প্রকৃতির সবটুকু সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে আমাদের মাঝে। এখান থেকে শিখতে পারা যায়, প্রেমের কবিতা লিখা যায়। তোমাকে সাজিয়েছি গুছিয়েছি ঠিক অপরূপ প্রকৃতির মত।ঠিক সেখান থেকে শিখেছি ভালোবাসা,ভালোবাসার মানে।
যত্ন করে ভালোবেসেছি অযত্নে ফেলে রাখিনি তোমাকে। বিন্দু বিন্দু ভালবাসা দিয়ে গড়ে তুলেছি ভালোবাসার সাগর। সেই সাগরে ডুব দিয়ে দেখোই না শীতল করে দেব। চাতক পাখি যেমন বৃষ্টির এক ফোঁটা পানির অপেক্ষা করে ওরকম আমার ভালোবাসার অপেক্ষা। চাঁদের জোসনা ছড়িয়ে তোমার জীবনে প্রবেশ করতে চাই। সেই অধিকারটুকু আমায় দেবে না?
আজ তোমাকে কেন জানি না এত অচেনা মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে বড্ড একা আমি। জীবনের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি,গল্পে কবিতায় শুধু তোমারি স্থান। প্রেম ভালোবাসা মায়া, মুগ্ধতা সবই তোমাকে সপেছি। আকাশ কুসুম ভাবছি না, ভাবছি তোমাকে নিয়ে। তুমি আসবে বলে ফুল ফুটেছে ডালে ডালে। ভালোবাসা উপলব্ধি করার বিষয় সেই উপলব্ধি করাটা শিখে নিও। ভালোবাসার পৃথিবীতে তুমি শুধু একজনই। অধীর আগ্রহেে তোমার সাড়ায়, ইশারা দিয়ে বলবে কখন? মম ,ভালোবাসা তুমি। খুব করে কাছে কাছে পেতে মন চাচ্ছে সে কি মোর অপরাধ বলে যাও তুমি। ভাসবে না ভাল কি প্রকৃতির ওই অপরূপ জমকালো ভালোবাসার মতো?
কিচিরমিচির পাখির শব্দ শোনে মনে বড় সাধ জাগে কানে কানে ফিসফিস করে তুমি বলবে কাজলটা কী পড়েছ আর মুগ্ধ হয়ে চেয়ে দেখবে এটা আমার মনের ভাবনা। ভালোবাসার চাদরে জড়িয়ে রাখার ক্ষমতা আমার আছে। মেঘে ডাকা চাঁদ আমি আমার এ বিষাদগ্রস্ত জীবনে তুমি এক ফালি চাঁদের আলো। ভালোবাসার অপরূপ শক্তিকে হৃদয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করেছি তোমায়, সেটা তো ভেঙে ফেলার নয়। জানো প্রিয়, তোমাকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখেছি। প্রচণ্ডভাবে ভালোবাসাটা আমি তোমাকে প্রকাশ করতে চাইনি। ভালোবাসা হয় হৃদয় ও হৃদয়ের স্পন্দন থেকে যেটা শুধু আমার মনই জানে।
তোমার চোখে তাকাতে গিয়ে কতবার যে চোখ সরিয়ে নিয়েছি সে যেন এক অদ্ভুত অনুভূতি। সেই চোখের প্রশংসা করেছি আমি আড়ালে, পৃথিবীর সমস্ত সুখ তোমার চোখে আমি দেখেছি। তুমি জানো প্রিয় তোমার কফি বানানোর দায়িত্ব নিতে চেয়েছি। তুমি যখন কফিতে আলতো করে চুমুক দেবে তখন আমি ভয়ে ভয়ে, কিন্তু হঠাৎ তুমি বলে ফেলবে চমৎকার। আমার সিংহাসনের প্রয়োজন ছিল না শুধু তোমার ভালোবাসা। দূর থেকে আমি ভালোবাসা চাই না, কাছে এসে হাত বুলিয়ে দেওয়ার ভালোবাসাটা চেয়েছি। আমার এই স্বপ্নগুলো কি তোমার কাছে সস্তা মনে হয়? সবাই নীল শাড়ি পরতে পছন্দ করে কিন্তু আমি গোলাপী রঙের শাড়ি পড়ে তোমার সঙ্গে রাস্তায় হাটতে বের হব তুমি বলবে কপালে টিপটা পড়ে নাও।
আমি তোমার কাছ থেকে খুব বেশি প্রশংসা চাইনি শুধু হাসি মুখে মিষ্টি করে বলবে পাগলি মেয়ে। তোমাকে সারাজীবন খোঁপায় দেওয়া লাল টুকটুকে গোলাপের মতে বেঁধে রাখতে চেয়েছি। যখন আমি বুঝতে পেরেছি তুমি দূরে চলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছ নির্জনতা, নীরবতা, বিষন্নতা, একাকীত্ব আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। বুকের বা পাশটা কেঁপে উঠেছে এই চলে গেলে আমার কাছ থেকে। চাঁদের দিকে যখন তাকাই তখন চুপচাপ বসে থাকি, আর ভাবি তুমি কি আমার জীবনে চাঁদের আলোর মতো আসতে পারো না কি।
আমি কেন একা? কেন নিশ্চুপ? কেন ভাবনাতে প্রাণ নেই আমার? স্থির হয়ে ভাবি তখন আমার মনের আঙ্গিনায় অন্ধকার নেমেছে, আর যদি ভালোবাসার ছোঁয়া আমি পেয়ে যাই মনের আনন্দে বসন্তের কোকিল সুরে গান গাওয়ার চেষ্টা করি প্রেমের কবিতা লিখি, কৃষ্ণচূড়া ফুলের মতো নিজেকে ভাবতে শুরু করি। প্রিয়, ভালোবাসা আকড়ে ধরে রাখা নয়।
ভালোবাসাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। কথায় আছে যে থাকার সে থাকবে আর যে থাকার নয় সে এক যুগ পরেও চলে যাবে। প্রিয়, আমি সেই আশায় আছি তুমি আমাকে বলবে সমুদ্রের বিশালতার মতো আমি তোমাকে ভালোবাসি।
লেখক: তাহমিনা আক্তার, অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী, এিশাল, ময়মনসিংহ