সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঈদুল ফিতরে করণীয় ও বর্জনীয়

ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। ঈদুল ফিতর মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এটি মুসলমানদের জন্য পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির দিন। এই দিনের বেশ কিছু আদব ও সুন্নত যেমন রয়েছে, তেমনি সুন্নাহবহির্ভূত কাজকর্ম থেকে বেঁচে থাকারও প্রয়োজন রয়েছে। এখানে ঈদের দিনের করণীয় ও বর্জনীয় কাজগুলো তুলে ধরা হলো।

ঈদের দিনে করণীয়-

১. গোসল ও পবিত্রতা অর্জন করা:

ঈদের নামাজের জন্য গোসল করা ও মিসওয়াক করা সুন্নত। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী কারিম (স.) ঈদুল ফিতর ও আজহার দিন গোসল করতেন। (বুখারি: ১/১৩০)

২. উত্তম পোশাক পরিধান করা:

ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সুন্দর ও সাধ্যের ভেতরে সবচেয়ে উত্তম পোশাক পরিধান করা সুন্নত। ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেন, নবীজি (স.) দুই ঈদের দিন সবচেয়ে সুন্দর ও উত্তম জামাটি পরিধান করতেন। তাঁর একটা বিশেষ পোশাক ছিল, যা তিনি দুই ঈদে ও জুমায় পরিধান করতেন। হাদিসে এসেছে, নবী কারিম (স.) প্রতিটি ঈদে ডোরাকাটা পোশাক পরিধান করতেন। (বায়হাকি: ৬৩৬৩)

৩. ঈদগাহে যাওয়ার আগে পানাহার করা:

আনাস (রা.) বলেন, নবীজি (স.) ঈদুল ফিতরের দিন সকালে কিছু খেজুর খেতেন। অন্য এক বর্ণনা মতে, তিনি বিজোড় সংখ্যক খেজুর খেতেন। (বুখারি: ৯৫৩)

৪. ঈদগাহে যাতায়াতের সময় তাকবির বলা:

ঈদগাহে যাতায়াতের সময় ঈদুল ফিতরের দিন তুলনামূলক নিম্নস্বরে তাকবির বলা এবং ঈদুল আজহার দিন উচ্চৈঃস্বরে তাকবির পাঠ করা সুন্নত। ইমাম জুহরি থেকে বর্ণিত, নবীজি (স.) ঈদুল ফিতরের দিন তাকবির পাঠ করতে করতে ঈদগাহের দিকে গমন করতেন। নামাজ পড়া পর্যন্ত এই তাকবির অব্যাহত রাখতেন। নামাজ শেষ হলে তাকবির পাঠ বন্ধ করে ফেলতেন। (সিলসিলাতুল আহাদিস আস-সহিহা: ১৭১)

৫. ঈদগাহে আসা-যাওয়ার রাস্তা পরিবর্তন করা:

ঈদগাহে যাতায়াতের রাস্তা পরিবর্তন করা সুন্নত। যাওয়ার সময় এক রাস্তা দিয়ে গমন করা। আর প্রস্থানের সময় অন্য রাস্তা ব্যবহার করা সুন্নত। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, নবীজি (স.) ঈদের দিন ঈদগাহে আসা-যাওয়ার রাস্তা পরিবর্তন করতেন। (বুখারি: ৯৮৬)

৬. হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া:

কোনো ধরনের অপারগতা ও অক্ষমতা না থাকলে, হেঁটে ঈদগাহে গমন করা সুন্নত। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (স.) হেঁটে ঈদগাহে গমন করতেন এবং হেঁটে ঈদগাহ থেকে প্রত্যাগমন করতেন। (তিরমিজি: ১২৯৫)

৭. ঈদগাহে যেতে শিশুদের সঙ্গে নেওয়া:

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) দুই ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার সময় ফজল ইবনে আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আব্বাস, আলী, জাফর, হাসান, হুসাইন, উসামা বিন জায়দ, জায়েদ বিন হারিসা, আইমান ইবনে উম্মু আইমান রাদিয়াল্লাহু আনহুমকে সঙ্গে নিয়ে উচ্চৈঃস্বরে তাকবির ও তাহলিল পাঠ করতে করতে বের হতেন। অতঃপর তিনি কামারদের রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে উপস্থিত হতেন এবং প্রত্যাবর্তনের সময় মুচিদের রাস্তা দিয়ে ঘরে আসতেন। (সুনানে কুবরা বায়হাকি: ৬৩৪৯)

৮. ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা:

ঈদের দিন একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে শুভেচ্ছা বিনিময় করা সুন্নত। হাদিসে বর্ণিত আছে, জুবায়ের বিন নুফাইর (রা.) বলেন, নবীজি (স.) ও সাহাবায়ে কেরাম ঈদের দিন পরস্পর সাক্ষাৎ হলে বলতেন তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়ামিন কুম অর্থাৎ আল্লাহ আমার ও আপনার যাবতীয় ভালো কাজ কবুল করুক। (ফাতহুল কাদির: ২/৫১৭)

৯. ঈদের খুতবা শোনা:

ঈদের নামাজ শেষে খুতবা মনোযোগ সহকারে শোনা। হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ বিন সায়িব (রা.) বলেন, নবীজি (স.)-এর সঙ্গে আমি ঈদগাহে উপস্থিত হলাম। এরপর তিনি আমাদের নামাজ পড়িয়েছেন। অতঃপর তিনি বলেন, আমরা নামাজ শেষ করেছি। যার ইচ্ছা সে খুতবা শোনার জন্য বসবে, আর যে চলে যেতে চায়, সে চলে যাবে। (ইবনে মাজাহ: ১০৭৩)

১০. ঈদগাহ থেকে ফিরে নফল আদায় করা:

ঈদের নামাজের আগে-পরে ঈদের নামাজের স্থানে যেকোনো ধরনের নফল নামাজ আদায় করা মাকরুহ। ঈদের নামাজের পরে ঈদগাহ থেকে বাড়ি ফিরে দুই রাকাত নফল আদায় করা সুন্নত। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, নবী কারিম (সা.) ঈদের নামাজের আগে কোনো নামাজ পড়তেন না। তবে নামাজের পর ঘরে ফিরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। (ইবনে মাজাহ: ১২৯৩)

ঈদের দিনে বর্জনীয়-

১. বিজাতীয় সংস্কৃতি কাম্য নয়:

ঈদুল ফিতরের মতো ধর্মীয় উৎসবগুলো মুসলমানদের জন্য নিজস্ব সংস্কৃতিতে সম্পন্ন করা বাঞ্ছনীয়। বিজাতীয় সংস্কৃতি পালন করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কেননা এ ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসুল (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো কওমের (সম্প্রদায়ের) অনুসরণ-অনুকরণ করবে সে তাদের দলভুক্ত হবে। (আবু দাউদ: ৩৯৮৯)

২. বিদআত থেকে সতর্ক থাকা:

ঈদের দিন অনেকে না জেনে কবর বা মাজারে গিয়ে বিদআতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। কবর জিয়ারত নিঃসন্দেহে একটি নেক আমল। কিন্তু ঈদের দিনে কবর জিয়ারতে বিশেষ সাওয়াব আছে বলে বিশ্বাস করা বা এটিকে একটি প্রথা বানিয়ে নেয়া শরিয়তসম্মত নয়। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন- ‘তোমরা আমার কবরে ঈদ উদযাপন করবে না বা ঈদের স্থান বানাবে না.. ‘ (আবু দাউদ: ২০৪২)

৩. অশ্লীলতার ব্যাপারে সতর্ক থাকা:

সিয়াম সাধনার মাসে সবাই যেমন গুনাহর ব্যাপারে সতর্ক ছিল, ঠিক তেমনি সারাবছর থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে ঈদের দিনগুলোতে অশ্লীলতার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হয়। কেননা ঈদ উপলক্ষে এগুলো বেশি প্রকাশিত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এক শ্রেণির লোক আছে, যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং তাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।’ (সুরা লুকমান: ৬)

৪. গান-বাজনা-সিনেমা থেকে দূরে থাকা:

ঈদের দিনের একটি স্বাভাবিক গুনাহ হলো- গান-বাজনা শোনা ও এতে জড়িত হওয়া। শরিয়তে এটি নিষিদ্ধ এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আবার যদি হয় অশ্লীল গান বা সিনেমা তাহলে তো তা হারাম হওয়ার ব্যাপারে কোনো ভিন্নমত নেই। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মাঝে এমন একটা দল পাওয়া যাবে যারা ব্যভিচার, রেশমি পোশাক, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল [বৈধ] মনে করবে।’ (বুখারি: ৫৫৯০)

৫. অপচয় না করা:

অপচয় এমন খরচকে বলা হয় যার কোনো উদ্দেশ্য নেই, যার কোনো ফায়দা নেই। ঈদের দিনকে ঘিরে অনেকে অযথা খরচ করেন। অথচ আল্লাহ তাআলা অপচয় করতে নিষেধ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা অপচয় করো না। নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদের ভালবাসেন না।’ (সুরা আনআম: ১৪১)

৬. ঈদের দিনের নিষিদ্ধ কাজ:

ঈদের দিন মহান আল্লাহ সবাইকে মেহমানদারি করেন। এদিন নিজে খাওয়া এবং অন্যকে খাওয়ানোর দিন। তাই এদিন রোজা রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আবু সাঈদ (রা.) বলেন, রাসুল (স.) ঈদুল ফিতরের দিন ও কোরবানির ঈদের দিন রোজা পালন করা থেকে, সাম্মা ধরনের কাপড় পরিধান করা থেকে, এক কাপড় পরিধানরত অবস্থায় দুই হাঁটু তুলে নিতম্বের ওপর বসতে (কেননা এতে সতর প্রকাশ পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে) এবং ফজর ও আছরের পর নামাজ আদায় করতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি: ১৮৬৮; মুসলিম: ২৫৪৪)

উল্লেখ্য, ঈদের রাতে সাধ্যমতো নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ ইত্যাদি করা যায়। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেন, যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাতে আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে ইবাদত করবে তার অন্তর ওই দিন মরবে না, যেদিন অন্তরসমূহ মুর্দা হয়ে যাবে। (ইবনে মাজাহ: ১৭৮২)

Header Ad
Header Ad

হেনরী ও তার স্বামীর ৪৯ ব্যাংক হিসাবে লেনদেন পৌনে ৪ হাজার কোটি

সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী ও তার স্বামী শামীম তালুকদারের ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৩ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া প্রায় ৭৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনেরও প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

গত ২৫ নভেম্বর দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে জান্নাত আরা হেনরী, তার স্বামী ও মেয়ের দেশত্যাগে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। হেনরীর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয় গত ২০ আগস্ট। পরে গত ১ অক্টোবর মৌলভীবাজার থেকে স্বামীসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৫৭ কোটি ১৩ লাখ ৭ হাজার ২২৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে তার স্বামীর অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ২০ কোটি ৪৭ লাখ ৩৩ হাজার ২১৫ টাকা। অবৈধভাবে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে ৩৫টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২ হাজার ২ কোটি ৬৬ লাখ ৫৭৭ টাকা ও ১৩ কোটি ৭৮ লাখ ৪৬ হাজার মার্কিন ডলারের (১১৫ টাকা হিসাবে প্রায় ১৫৮৫ কোটি টাকা) সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন হেনরী।

 

Header Ad
Header Ad

স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমলো

ছবি: সংগৃহীত

স্বর্ণের বাজারে হাওয়া যেনো হাওয়া বদল হচ্ছে, আজ এই বাড়ছে তো কাল কমছে? এবার দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৮৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৯৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৫ হাজার ৩০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৪ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে।

Header Ad
Header Ad

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বাতিল হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় এ প্রকল্পটি বাতিল করা হয়েছে।

সভাশেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, সভায় ৬টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেকের সদস্যদের অবহিত করা হয়। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (১ম পর্যায়) প্রকল্পটি বাতিলের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়েছিল এবং প্রকল্পটি বাতিল করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির কথা চিন্তা করে প্রকল্পটি বাতিল করা হয়েছে।

এমন একটি প্রকল্প কীভাবে নেয়া হলো তা আশ্চর্যের ব্যাপার উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বন্যপ্রাণীদের চলাচল এবং জীবনযাপনে বিরূপ প্রভাব পড়ত। এই প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জায়গাটি পশু-পাখির জন্য সংরক্ষিত।

উল্লেখ্য, একনেক সভায় প্রাকৃতিক গ্যাসের অনুসন্ধান, উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের তিন প্রকল্পসহ ১ হাজার ৯৭৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৬৪২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ৩৩১ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হেনরী ও তার স্বামীর ৪৯ ব্যাংক হিসাবে লেনদেন পৌনে ৪ হাজার কোটি
স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমলো
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল
ভোটাধিকার আদায়ে ৫ আগস্টের মতো রাস্তায় নামতে হবে: মির্জা ফখরুল
শিল্পকলার সাবেক ডিজি লাকীসহ ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মিউজিক ফেস্ট মঞ্চে বিপিএল উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা  
দর্শনা সীমান্তে ভারতে পাচারকালে দুই নারী উদ্ধার; পাচারকারী আটক
১৫ বছরে বিএনপি আন্দোলনে ছিল বলেই শেখ হাসিনা পালিয়েছে: ফখরুল
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল
শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতিতে লেখা জয় বাংলা মুছে দিলো ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল
বাংলাদেশের কাছে ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী
হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসিতে ঝোলার জন্য: নাহিদ
চাঁদপুরে জাহাজ থেকে ৫ মরদেহ উদ্ধার: চিকিৎসাধীন আরও ২ জনের মৃত্যু  
সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি এস আলমের
রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ: ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি ঘেরাও করলেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা
সাদা পোশাকে সেঞ্চুরিতে জ্যোতির ইতিহাস
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীসহ ৩ জন নিহত
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে দিল্লিকে কূটনৈতিক চিঠি
বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব: আসিফ নজরুল