শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নিয়মিত নামাজ পড়ার শারীরিক যত উপকার

ছবি সংগৃহিত

ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম হচ্ছে- নামাজ। ঈমানের পরেই নামাজের মর্যাদাগত অবস্থান। রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে এ সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন, ‘বলুন! আমার বান্দাদেরকে, যারা ঈমান এনেছে তারা যেন নামাজ প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি যা তাদেরকে দান করেছি তা হতে ব্যয় করে।’

আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন মুসলমানের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে ফরজ করেছেন। নামাজ দুনিয়ায় সব ধরনের অন্যায় কাজ থেকে আমাদের বিরত রাখে। কর্মক্ষম উজ্জীবিত মানসিকতা লাভে নামাজ আল্লাহর এক মহা নেয়ামত। বান্দার জন্য অন্যতম রহমতও বটে। তাইতো আল্লাহ তাআলা মানুষকে সার্বিকভাবে উজ্জীবিত করতে নামাজের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। আর নামাজ না পড়লে শাস্তির বিধানও রেখেছেন।

এছাড়া নামাজ আদায়ের মাধ্যমে অনেক শারীরিক উপকার পাওয়া যায়। তাহলে চলুন কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কেগুলো জানি:

অজু: নামাজের জন্য মানুষকে প্রতিদিন পাঁচ বার অজু করতে হয়। আর এতে মানুষের ত্বক পরিষ্কার থাকে। অজুর সময় মানুষের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার হয়। এতে জীবাণু থেকে ত্বক সুরক্ষা থাকে। এছাড়া চেহারার লাবণ্যতাও বাড়ে ও মুখের বলিরেখা কমে যায়।

নামাজে দাঁড়ানো: মানুষ যখন নামাজে দাঁড়ায়, তখন চোখ সিজদার স্থানে স্থির থাকে। ফলে মানুষের একাগ্রতা ও মনোযোগ বাড়ে।

রুকু: নামাজি ব্যক্তি যখন রুকু করেন আবার রুকু থেকে ওঠে সোজা হয়ে দাঁড়ান তখন মানুষের কোমর ও হাঁটুর ভারসাম্য রক্ষা হয়। রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে কোমর ও হাঁটু ব্যথা কমে।

সিজদা: নামাজে যখন সেজদা করা হয় তখন নামাজি ব্যক্তির মস্তিস্কে দ্রুত রক্ত প্রবাহিত হয়। ফলে তার স্মৃতি শক্তি বহুগুণে বাড়ে। আবার সেজদা থেকে ওঠে যখন দুই সেজদার মাঝখানে বসে এতে তার পায়ের উরু ও হাঁট সংকোচন এবং প্রসরণ ঘটে। এতে করে মানুষের হাঁটু ও কোমরের ব্যথা উপশম হয়।

ওঠা বসা: নামাজের সময় নামাজি ব্যক্তিকে দাঁড়ানো, রুকুতে যাওয়া, রুকু থেকে ওঠে সোজা হয়ে স্থির দাঁড়ানো, আবার সিজদায় যাওয়া, সিজদা থেকে ওঠে স্থিরভাবে বসা, আবার সিজদা দিয়ে দাঁড়ানো বা বসা। এ সবই মানুষের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। এতে মানুষের শারীরিক বহুবিদ উপকার সাধিত হয়।

সালাম ফেরানো: নামাজ শেষে বসা অবস্থায় ডান ও বাম দিকে সালাম ফেরানো হয়। এতে শরীরের শুধু মাথা ও ঘাড় ডান দিকে ও বাম দিকে ফেরানো হয়। এটা ঘাড়ের উত্তম ব্যায়াম, যা নামাজের মাধ্যমে সাধিত হয়।

বিনয়ী হওয়া: নামাজ মানুষকে সময় সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। বান্দা সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য সময় মতো নামাজে বিনয়ী হয়ে দাঁড়ায়। আর এখান থেকেই কীভাবে বিনয়ী হতে হয় তার শিক্ষাগ্রহণ করা যায়।

স্বাস্থ্য উপকারিতা: নামাজ মানুষের দেহের কাঠামোগত ভারসাম্যতা বজায় রাখে। ফলে স্থুলতা কমে। নামাজে নড়া-চড়া করায় অঙ্গগুলো স্থানভেদে সংবর্ধিত, সংকুচিত হয়ে বিশেষ কাজ করে থাকে। অঙ্গ ও জোড়াগুলোর বর্ধন ও উন্নতি এবং শক্তি বাড়ায়।

মানসিকতার পরিবর্তন: নামাজের মাধ্যমে মানুষের মন ও মানসিকতায় অসাধারণ পরিবর্তন আসে। গোনাহ, ভয়, নীচুতা, হতাশা, অস্থিরতা, পেরেশানি ইত্যাদি দূরভীত হয়। ফলে বিশুদ্ধ মন নিয়ে সব কাজে সম্পৃক্ত হওয়া যায়।

দেহের কাঠামোগত উন্নতি: নামাজ মানুষের দেহের কাঠামোগত ভারসাম্যতা বজায় রাখে। ফলে স্থুলতা ও বিকলঙ্গতা হার কমে যায়। মানুষ যখন নামাজে নড়াচড়া করে তখন অঙ্গগুলো স্থানভেদে সংবর্ধিত, সংকুচিত হয়ে বিশেষ কাজ করে থাকে। অঙ্গ ও জোড়াগুলোর বর্ধন ও উন্নতি এবং শক্তি বৃদ্ধি পায়।

পরিচ্ছন্ন রাখে: নামাজের জন্য মানুষকে প্রতিদিন পাঁচবার অজু করতে হয়। আর এতে মানুষের ত্বক পরিষ্কার থাকে। ওজুর সময় মানুষের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার হয় য দ্বারা বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে মানুষ সুরক্ষিত থাকি।

চেহারার লাবন্যতা বৃদ্ধি: নামাজের জন্য মানুষ যতবার অজু করে, ততবারই মানুষের মুখমণ্ডল ম্যাসেস হয়ে থাকে। যাতে মুখমণ্ডলে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ফলে মানুষের চেহারার লাবন্যতা বৃদ্ধি পায়, মুখের বলিরেখা ও মুখের দাগ কমে যায়।

বিশেষ করে…

নামাজ মানুষের মানসিক, স্নায়ুবিক, মনস্তাত্ত্বিক, অস্থিরতা, হতাশা-দুশ্চিন্তা, হার্ট অ্যাটাক, হাড়ের জোড়ার ব্যাথা, ইউরিক এসিড থেকে সৃষ্ট রোগ, পাকস্থলীর আলসার, প্যারালাইসিস, ডায়াবেটিস মেলিটাস, চোখ এবং গলা ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

হার্টের রোগীদের প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা উচিত,নামাজ মানুষকে সব সময় সতেজ রাখে, অলসতা এবং অবসাদগ্রস্ততাকে শরীরে বাড়তে দেয় না।

পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মের মধ্যে নামাজের মতো এমন সামগ্রিক ইবাদত আর নেই। নামাজির জন্য এটা একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য যে, এটা একান্তই সামগ্রিক ব্যায়াম। যার প্রভাব মানুষের সব অঙ্গগুলোতে পড়ে এবং মানুষের প্রতিটি অঙ্গ নড়াচড়ার ফলে শক্তি সৃষ্টি হয় এবং সুস্বাস্থ্য অটুট থাকে।

পরিশেষে...

নামাজের উপকারিতায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ শুধু তাই নয়, নামাজ মানুষের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক পবিত্রতা সাধনের অনন্য হাতিয়ার।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সময়মতো নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। নামাজ আদায়ের মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক উপকারিতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

Header Ad

জুমার দিন ভুলেও যে পাঁচটি কাজ করা যাবে না

ছবি: সংগৃহীত

জুমাবার মুমিনের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে হাদিসে। সৃষ্টিজগতের শুরু থেকে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। জুমা নামে পবিত্র কোরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা আছে। তাই এই দিনের পবিত্রতা রক্ষা করা সব মুসলমানের জন্য বাঞ্ছনীয়।

আজ শুক্রবারে জুমার নামাজ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। মোটামুটি সব মুসলমান জুমার নামাজ আদায় করেন। কিন্তু এই নামাজের সময় আমরা কিছু ভুল হয়ে যায়। সে রকম পাঁচটি ভুল নিয়ে সংক্ষিপ্ত কথা বলা হয়েছে নিচে।

পরিচ্ছন্ন না হয়ে জুমায় যাওয়া:

জুমার নামাজে যাওয়ার আগে গোসল করা জরুরি। অনেকে এই দিনে এত বেশি ব্যস্ত থাকেন যে, কোনো রকম জুমার ফরজ দুই রাকাত আদায় করে চলে আসেন। অথচ আবু সাইদ খুদ্‌রি (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি এ মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিন প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্কের জন্য গোসল করা ওয়াজিব (জরুরি)। আর মিসওয়াক করবে এবং সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করবে। ’ (বুখারি, হাদিস: ৮৮০, মুসলিম, হাদিস: ৮৪৬)

তাই সবার উচিত জুমার দিন গোসল করা এবং মিসওয়াক করা। যদি সামর্থ্য থাকে, সুগন্ধি ব্যবহার করা। এছাড়াও ভাল ও পরিচ্ছন্ন জামা পড়ে মসজিদে যাওয়া। রাসুল (সা.) নিজেও এই দিন ভাল ও পরিচ্ছন্ন পোশাক পরতেন।

মসজিদে দেরি করে যাওয়া:

জুমার নামাজ কেবল দুই রাকাত নামাজ আদায়ে যথেষ্ট নয়। জুমার খুতবা শোনাও জরুরি। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন জানাবাত (সহবাস পরবর্তীকালে) গোসলের মতো গোসল করে এবং নামাজের জন্য আগমন করে, সে যেন একটি উট কোরবানি করলো। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে, সে যেন একটি গাভী কোরবানি করলো। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে, সে যেন একটি শিং-বিশিষ্ট দুম্বা কোরবানি করলো। চতুর্থ পর্যায়ে যে আগমন করলো সে যেন একটি মুরগি কোরবানি করলো। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করলো, সে যেন একটি ডিম কোরবানি করলো। (বুখারি, হাদিস: ৮৮১)

তাই জুমার নামাজের দিন পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া উত্তম। তাহলে সময়মতো ও সঠিকভাবে নামাজ আদায় সম্ভব।

জুমার নামাজের সময় অন্য কাজ করা:

জুমার নামাজের সময় অন্য কাজ করা নিষিদ্ধ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মসজিদের দিকে যাওয়া জরুরি। জুমার প্রথম আজান শোনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায় কিংবা অন্য কাজ বন্ধ করে দেওয়া অথবা নামাজের জন্য বিরতি দেওয়া উচিত। ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাইদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, আয়েশা (রা.) বলেছেন, লোকজন নিজেদের কাজকর্ম নিজেরাই করতেন। যখন তারা দুপুরের পরে জুমার জন্য যেতেন, তখন সে অবস্থায়ই চলে যেতেন। তাই তাদের বলা হলো, যদি তোমরা গোসল করে নিতে ভালো হতো...। (বুখারি, হাদিস: ৯০৩, মুসলিম, হাদিস: ৮৪৭)

মনোযোগ দিয়ে খুতবা না শোনা:

খুতবা শোনা জুমার নামাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই ঠিকভাবে খুতবা শোনাও জরুরি। তবে যদি মুসল্লি বেশি হওয়ার কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে খুতবার আওয়াজ না শোনা যায়, তবে নিরব থাকা নিয়ম।

আবু হুরায়রাহ্‌ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমভাবে ওজু করে জুমার নামাজে এলো, নীরবে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনলো, তাহলে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং আরও অতিরিক্ত তিন দিনের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি (অহেতুক) কঙ্কর স্পর্শ করলো, সে অনর্থক, বাতিল, ঘৃণিত ও প্রত্যাখ্যানযোগ্য কাজ করলো। (মুসলিম, হাদিস: ১৮৭৩) প্রসঙ্গত আরবি ও বাংলায় দেওয়া উভয় খুতবাই মনোযোগ দিয়ে শোনা জরুরি।

খুতবার সময় কথা বলা:

খুতবা শোনা ওয়াজিব। রাসুল (সা.) খুতবার সময় কথা বলতে নিষেধ করেছেন। আবু হুরায়রাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিন যখন তোমার পাশের মুসল্লিকে চুপ থাকো বলবে, অথচ ইমাম খুতবা দিচ্ছেন, তা হলে তুমি একটি অনর্থক কথা বললে। (বুখারি, হাদিস: ৯৩৪, মুসলিম, হাদিস: ৮৫১)

খুতবার সময় কেউ কথা বললে তাকে চুপ থাকতে বলাও উচিত নয়। অর্থাৎ খুতবার সময় মুখ পুরোপুরি বন্ধ রাখা চাই। আল্লাহ তাআলা আমাদের সঠিকভাবে জুমার নামাজ আদায়ের তাওফিক দান করুন।

Header Ad

রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মসজিদের ইমাম ও সেনা সদস্য নিহত

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও নসিমনের সংঘর্ষে মসজিদের ইমাম ও সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আব্দুল কুদ্দুস (৪০) ও মো. পলাশ (২২)। তাদের মধ্যে আব্দুল কুদ্দুস মোহনপুর উপজেলার স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম। তিনি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার উপর তালিমপুর গ্রামের মৃত তোতা হাজির ছেলে। আর পলাশ সেনাবাহিনীর সৈনিক হিসেবে সাভার সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার দাসপাড়া গ্রামের মমতাজুল ইসলামের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুদ্দুস ও পলাশ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নওগাঁর দিকে যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি মোহনপুরের সইপাড়া মেডিকেল কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে একটি মাহেন্দ্রা গাড়িটিকে ওভারটেক করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ইঞ্জিনচালিত ভটভটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অটোরিকশার যাত্রী কুদ্দুস ও পলাশ ছিটকে রাস্তার ওপর গিয়ে পড়েন। কুদ্দুসের মাথায়, ডান হাতে গুরুতর জখম হয় এবং পলাশ মাথায়, ডান হাত, মুখ, ডান পায়ে জখম হয়। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

মোহনপুর থানার ওসি আব্দুল হান্নান জানান, দুর্ঘটনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে গেছে। ভটভটিটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।

Header Ad

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৯৫, লেবাননে ৪৫

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪২ হাজার ৯২০ ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া লেবাননেও নিরলস হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় আরও ৪৫ লেবানিজ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬ স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছেন।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বৃহস্পতিবার গাজা ভূখণ্ডজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে মেডিকেল সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগ ফিলিস্তিনিই প্রাণ হারিয়েছেন অবরুদ্ধ উত্তর গাজায়।

মূলত গাজার উত্তরাঞ্চলের বেইত লাহিয়া এলাকায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। আবার তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।

আল জাজিরা বলছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে উত্তর গাজাজুড়ে একাধিক বিমান হামলায় অন্তত ৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর ফিলিস্তিনের এই ভূখণ্ডজুড়ে অন্যান্য স্থানে আরও অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন।

এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ২০৪ জনে পৌঁছেছে বলে বৃহস্পতিবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এছাড়া এক বছরেরও বেশি সময় চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

অন্যদিকে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, বৃহস্পতিবার সারাদেশে ইসরায়েলের বর্বর হামলায় কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দক্ষিণ লেবাননে পৃথক হামলায় কমপক্ষে ছয়জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন।

মূলত গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী বৈরুতের পাশাপাশি লেবাননজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অপারেটিভস, অবকাঠামো এবং অস্ত্রাগারকে লক্ষ্য করে এই হামলা চলছে।

হিজবুল্লাহও পাল্টা আঘাত হানছে। গত সপ্তাহে লেবাননে অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর ৭০ জন সেনাকে হত্যার দাবি করেছে শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। অবশ্য ঠিক কত দিনে এই সেনারা নিহত হয়েছেন, তা এই বিবৃতিতে উল্লেখ করেনি গোষ্ঠীটি।

লেবাননের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮৬৫ জন নিহত এবং ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জুমার দিন ভুলেও যে পাঁচটি কাজ করা যাবে না
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মসজিদের ইমাম ও সেনা সদস্য নিহত
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৯৫, লেবাননে ৪৫
অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হতে ২ মাস সুযোগ দিল আমিরাত
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির গ্রেপ্তার
গুলিতে ঝাঁঝরা ছিল আবু সাঈদের বুক, ৬ বার পরিবর্তন করা হয় প্রতিবেদন: চিকিৎসক
এসআইবিএল থেকে ‘এস আলমের নিয়োগ দেওয়া’ ৫৭৯ কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত
ডিজেল-কেরোসিনের দাম কমল
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬৫৩১
সাফজয়ী নারী দলকে ১ কোটি টাকা পুরস্কার দিল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর
সাফজয়ী মেয়েদের জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা বিসিবির
নির্বাচনে যেতে ১২ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা: নুর
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মাসুদ আলী খান মারা গেছেন
৩ বার নয়, বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে ৪ বার
ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রজ্ঞাপন জারি, দায়িত্ব পেলেন যারা
৩০০ কোটি টাকা নিয়ে নিরুদ্দেশ নওগাঁর ৮ সমবায় সমিতি!
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
অন্য বিষয়ে নয়, নির্বাচনের দিকে ফোকাস রাখুন: সরকারকে মির্জা ফখরুল
ছাদখোলা বাসে সাফ চ্যাম্পিয়নদের যাত্রা শুরু