বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

যে কারণে নামাজে কাতার সোজা করতে হয়

নামাজের শাব্দিক অর্থ দোয়া, ক্ষমা প্রার্থনা, রহমত ইত্যাদি। নামাজের আরবি সালাত। পারিভাষিক ভাবে ইসলামি শরীয়ত নির্দেশিত নামাজ হলো নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে একান্ত বিশ্বাসের সঙ্গে বিশেষ প্রার্থনা বা ইবাদত। নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ।

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। ‘বিশেষ কারণ’ ছাড়া নামাজ পড়তে হয় জামাতের সঙ্গে। জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়া উত্তম। জামাতবদ্ধভাবে এবং কাতার সোজা করে নামাজ পড়ার নির্দেশ দেওয়ার কারণ হলো, যাতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে একতা তৈরি হয়।

এ একতা বাস্তব জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই কাতার সোজা করে সম্মিলিতভাবে নামাজ পড়ার নির্দেশ বাস্তবায়ন করার জন্য ইসলামে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

বলা হয়েছে, পায়ের সঙ্গে পা এবং কাঁধের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে কাতার সোজা করে নামাজ পড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে একে অন্যের সঙ্গে মিলেমিশে দাঁড়াবে, যেন পরস্পর একই ব্যক্তি ও একই দেহে পরিণত হয়। এবং একজনের চলাচল যেন অন্য জনের ওপর প্রভাব ফেলে আর পরস্পরের মধ্যে অহংকার ও বিদ্বেষ না থাকে।

কাতার সোজা করে নামাজে দাঁড়ানো মুস্তাহাব, সুন্নাত বা ওয়াজিব; যাই হোক না কেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাতার আঁকা-বাকা করে দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক করে দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত নোমান ইবনে বশির রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সারিসমূহ সোজা করতেন এমনভাবে যেন তার সাথে তিনি তীর সোজা করছেন। তিনি এরূপ করতেন যতক্ষণ না তিনি বুঝতে পারতেন যে, আমরা বিষয়টি তার নিকট হতে পুরোপুরি বুঝতে পেরেছি।

একদিন তিনি ঘর হতে বের হয়ে আসলেন এবং নামাজে দাঁড়ালেন, এমনকি তাকবিরে তাহরিমা বলতে উদ্যত হলেন, এমন সময় দেখলেন এক ব্যক্তি সারি হতে সম্মুখে সিনা বাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে; তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহর বান্দাগণ! হয় তোমরা তোমাদের সারি সোজা করে দাঁড়াবে; নতুব আল্লাহ তাআলা তোমাদের মুখমণ্ডলসমূহে পার্থক্য সৃষ্টি করে দিবেন। (মুসলিম)

অন্য হাদিসে এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুই জনের মাঝের ফাঁক বন্ধ করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করবেন এবং এর দ্বারা তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।

সত্যিই ইসলামের প্রতিটি বিধান মানুষের কল্যাণের জন্য—আলহামদুলিল্লাহ।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ    

শেখ হাসিনা। ছবিঃ সংগৃহীত

তিন দশক আগে পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণা করা হবে।

বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

এর আগে, গত ৩০ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের আবেদন) শুনানি শেষ হয়েছে।

আলোচিত এ মামলায় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোস্তম আলী ৯ জনের ফাঁসির আদেশ দেন।

এ ছাড়া ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১৩ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজার আসামিদের ৩ লাখ টাকা এবং ১০ বছরের সাজার আসামিদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। বিচারের সময় ৩২ জন আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায়ের পর ১৪ জুলাই যাবজ্জীবন সাজার আরো ৭ আসামি আত্মসমর্পণ করেন।

ফাঁসির আসামিরা হলেন এ কে এম আক্তারুজ্জামান, মো. জাকারিয়া পিন্টু, মোখলেছুর রহমান বাবলু, রেজাউল করিম শাহীন, শহীদুল ইসলাম অটল, আজিজুর রহমান ফড়িং, শ্যামল, মাহাবুবুর রহমান পলাশ ও শামসুল আলম।

এ রায়ের পর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়।পাশাপাশি আসামিরাও আপিল করেন। ওই বছর ১৯ আগস্ট হাইকোর্ট মোট ৪৩ আসামির আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। সেই সব আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের চূগান্ত শুনানির পর মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য রাখলেন উচ্চ আদালত।

উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা। ওই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ট্রেন মার্চ করেন তিনি। ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌঁছালে শেখ হাসিনার অবস্থা লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয় বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সুইডেনে স্কুলে বন্দুক হামলা নিহত ১০ জন  

ছবিঃ সংগৃহীত

সুইডেনের একটি বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রে বন্দুকহামলার ঘটনায় প্রায় ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে সন্দেহভাজন হামলাকারীও রয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, তাদের বিশ্বাস হামলাকারী নিহতদের মধ্যেই রয়েছে এবং তিনি পুলিশের কাছে পরিচিত ছিলেন না।

তবে তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও কিছু স্পষ্ট হয়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি একাই এই হামলা চালিয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত চারজনের অস্ত্রোপচার চলছে। পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে যে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

প্রথমে পুলিশের রিপোর্টে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা বলা হলেও পরে স্থানীয় গণমাধ্যমে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে জানানো হয়। শেষ পর্যন্ত, পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে নিহতের সংখ্যা প্রায় ১০ জন। যদিও তারা এখনো নির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করতে পারেনি।

তদন্তকারীরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে কোনো সন্ত্রাসী উদ্দেশ্যের যোগসূত্র নেই।

ঘটনাটি ঘটে দুপুর স্থানীয় সময় সাড়ে ১২টার দিকে রিসবার্গস্কা স্কুলে, যা মূলত প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শিক্ষা কেন্দ্র। এটি একটি বড় ক্যাম্পাসের অংশ যেখানে সাধারণত যারা আগে তাদের প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করতে পারেননি তারা পড়াশোনা করেন।

এই ঘটনার পর স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, আর আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কাজ করছে হাসপাতালগুলো। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে এর প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা যায় এবং ভবিষ্যতে এমন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

Header Ad
Header Ad

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত গ্রেফতার  

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত ইসলাম। ছবিঃ সংগৃহীত

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, (মঙ্গলবার) রাত ৯টার দিকে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে পলাতক ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা ও সালমান এফ রহমানের সঙ্গে আঁতাত করে লাখ লাখ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত ২০২০ সালের ১৭ মে প্রথম দফায় বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। পুনর্নিয়োগ পেয়ে গত বছরের ১৬ মে তিনি আবারও বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ১০ আগস্ট বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন শিবলী রুবাইয়াত। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বিভাগে ফিরে যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শিবলী রুবাইয়াত সশরীর না গিয়ে এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে বিভাগে যোগদানপত্র জমা দেন। তবে তিনি ক্লাস নেন না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ    
সুইডেনে স্কুলে বন্দুক হামলা নিহত ১০ জন  
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত গ্রেফতার  
জাবিতে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের ঘোষণা  
মুসলিম লীগ যেমন বিলুপ্ত হয়েছে, আওয়ামী লীগও বিলুপ্ত হবে : সলিমুল্লাহ খান
ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৮ বুয়েট শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার  
জীবননগর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি যুবক আটক
নগদের সাবেক চেয়ারম্যান-এমডিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা জালিয়াতির মামলা
৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে নতুন মার্কিন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
ক্যাম্পাসের মসজিদে কোরআন পুড়িয়েছে রাবি ছাত্র, জানা গেল পরিচয়
মার্কিন ভিসার জন্য প্রার্থনা করতে মন্দিরে ভিড় ভারতীয়দের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন আটক
পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়ন
বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে ২১ কোম্পানির বাস চলবে টিকিট-কাউন্টার ভিত্তিতে
পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কানাডার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
২০ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে হবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
নিহত যুবদল নেতা তৌহিদুলের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস সেনাবাহিনীর
১৭ বছর পর বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই সাকিব
সিরিয়ায় নির্বাচন হতে লাগবে আরও ৪-৫ বছর: অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা
ভোটার তালিকা হালনাগাদে যুক্ত হচ্ছে ৫০ লাখ নতুন ভোটার: ইসি সচিব