রাজধানীর বিভিন্ন মন্দিরে কল্পারম্ভ ও বিহিতপূজা অনুষ্ঠিত
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় সকালে কল্পারম্ভ ও বিহিতপূজার মাধ্যমে শুরু হয়েছে মহা নবমীর আনুষ্ঠানিকতা। এ দিনে আনন্দের মাঝে বিষাদের ছায়াও পড়েছে দেবী ভক্তদের মনে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকালে শুরু হওয়া কল্পারম্ভ ও বিহিতপূজা শেষে ভক্তরা দেবীর চরণে অঞ্জলি নিবেদন করেন যা এখনো চলমান রয়েছে।
সনাতন ধর্মমতে, দেবীদুর্গা আর একদিন পরেই কৈলাসে ফিরে যাবেন। দশমীর দিন দেওয়া হবে প্রতিমা বিসর্জন, অশ্রুশিক্ত চোখে ভক্তরা বিদায় দেবেন দেবীদুর্গাকে।
দেখা গেছে, রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির, কালী মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন মন্দির, রমনা কালী মন্দির, বনানী পূজা মণ্ডপ ও মহাখালী মন্দির সহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ অক্টোবর) ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর আমন্ত্রণের মধ্যদিয়ে শুরু হয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। দেবীর বাহন এবার গজ বা হাতি। আর দশমীতে বুধবার (৫ অক্টোবর) নৌকায় চড়ে কৈলাসে ফিরবেন দেবী।
সনাতন ধর্মমতে, নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবী দুর্গা।
নবমী তিথি শুরু হয় সন্ধিপূজার মধ্যদিয়ে। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট সর্বমোট ৪৮ মিনিটে সন্ধিপূজা হয়।
মূলত দেবী চামুণ্ডার পূজা করা হয় এ সময়। এ সময়েই দেবীদুর্গার হাতে বধ হয়েছিল মহিষাসুর, আর রাম বধ করেছিলেন রাবণকে।
এদিনই দুর্গাপূজার অন্তিম দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ পরের দিন কেবল বিসর্জনের পর্ব। নবমীর রাতেই মূলত শেষ হয় উৎসব। এ সময় মণ্ডপে মণ্ডপে বাজে বিদায়ের ঘণ্টা।
কেএম/আরএ/