নার্স দিবসে মহান ধাত্রীদের প্রতি জানাই শ্রদ্ধা
আন্তর্জাতিক নার্স দিবস আজ। আধুনিক নার্সিং পেশার রূপকার ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ১২ মে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস উদযাপন করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশেও প্রতিবছর দিবসটি উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশে এবারে নার্স দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আমাদের নার্স: আমাদের ভবিষ্যত’।
১৮২০ সালের এই তারিখে আধুনিক নার্সিং পরিসেবার রূপকার ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্ম হয়েছিল। এই দিবস পালনের মধ্য দিয়ে সম্মান জানান হয় সেই নারীকে যিনি তার কর্মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেছেন 'নার্সিং পেশা নয়, সেবা'। ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের প্ৰতি শ্ৰদ্ধা জানাবার সাথে আজ বিশ্বের ধাত্রীদের রোগীদের প্ৰতি দেওয়া স্বাস্থ্যসেবার জন্য কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশ করা হয়।
সাধারণভাবেই আমাদের মনে হয়, রোগীদের সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে ডাক্তারদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তবে একজন রোগীকে সুস্থ করতে যেমন ডাক্তারের পরামর্শ জরুরি, ঠিক তেমনভাবে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য প্রয়োজন নার্সের সহায়তা। একজন নার্স রোগীর নিয়মিত যত্ন নেন ও সুরক্ষা দেন।
ডাক্তার রোগ সারান কিন্তু নার্স রোগীর দেখাশোনা করেন। মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়া সে সমস্ত রোগী যারা জানতে পারে যে তাদের এক দীর্ঘস্থায়ী রোগ হয়েছে বা খুব শিগগিরই মারা যাবেন, নার্সরা তাদের গড়ে তুলেন।
ডাক্তারদের থেকে একজন নার্সের সহ্যশক্তি ও সহানুভূতি থাকতে হয় বেশি। কখনো নার্স মায়ের ভূমিকাও পালন করে। রোগীর রোগ সারানোর জন্য যেমন ওষুধ দরকার তেমনি রোগীর দেখাশোনা ও মানসিক শক্তি প্রদানে সাহায্য করে নার্স।
অতএব, এটা স্পষ্ট যে নার্স হতে গেলে প্রচুর আত্মত্যাগ করতে হয়। এই মহৎ পেশায় যে কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তা কেবল একজন নার্সই জানেন।
একইসঙ্গে একজন ভেঙে পড়া অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তোলার মধ্যে রয়েছে তৃপ্তি। নিশ্চিত মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীকে জীবনের আলোর সন্ধান কিংবা স্বপ্ন দেখাতে পারেন কেবল একজন নার্স।
এসজে/এএস