কৃষক বাঁচাও, দুর্ভিক্ষ ঠেকাও
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে। যারা গ্রামে বাস করে বেশিরভাগ মানুষ কৃষি পেশার সঙ্গে যুক্ত।
মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে খাদ্য প্রধান। আর সেই খাদ্যের উৎপাদক ও যোগান দাতা কৃষকরা। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কৃষকদের ভূমিকা অসামান্য।
কৃষিখাত আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকা, তাহলে সেই খাত সচল রাখতে রাষ্ট্রের ভাবনা কতদূর? অর্থনীতির চাকা যদি সচলই থাকে, তাহলে একটি দেশে দুর্ভিক্ষের মতো কঠিন পরিস্থিতি তৈরি কখনো হবে না। তাহলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে- কেন এই কৃষি খাত বেহাল?
কৃষি কাজের প্রধান উপকরণ- বীজ, সার। এসব কৃষি উপকরণের দাম দিন দিন হু হু করে বাড়ছে। উৎপাদন খরচের সঙ্গে বিক্রয় মূল্য আশানুরূপ না হওয়ায় চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে বহু কৃষক। বন্যাকবলিত এলাকার কৃষকরা চরম পর্যায়ে ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হন। কোনো কোনো কৃষক একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়। এর অন্যতম কারণ বন্যা, খরা প্রতিরোধকারী বীজ উৎপাদনে প্রযুক্তি প্রয়োগে অগ্রসরতা। সেই সঙ্গে কৃষি ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে এসব কৃষক পায় না তেমন কোনো সুবিধা।
এ ছাড়াও রয়েছে উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতির স্বল্পতা। কৃষকদের দেওয়া হয় না হাতে কলমে প্রশিক্ষণ। আসন্ন মহামারি ঠেকাতে কৃষিখাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাট, তুলা, আখ, ফুল, ধান ও রেশম গুটির চাষ সম্প্রসারণ করতে হবে। মাছ চাষ, সবজি পশু সম্পদ উন্নয়ন, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি, বীজ উন্নয়ন ও বিতরণ ইত্যাদি বিষয়সমূহ কৃষি বিভাগের আগ্রহী ভূমিকা পালন করতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করতে হবে। প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা ও গবেষণা বাড়াতে হবে। সার, বীজ, সেচ খরচসহ কৃষি উপকণের দাম কমাতে হবে। কৃষকদের ন্যায্য মূল্য দিতে হবে। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, দুর্ভিক্ষ ঠেকানো যাবে।
এসএন