নিউ ইয়র্কের ওজন পার্কে আরও এক বাংলাদেশি খুন
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি অধ্যুষিত 'ওজন পার্ক' এলাকা অপরাধের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। এ ওজন পার্ক এলাকায় ৯০ দশক থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় আট বাংলাদেশিকে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। ওজন পার্কে আহাদ আলী নামে প্রথম বাংলাদেশি খুন হয়েছিলেন ৯০-এর দশকে এবং সর্বশেষ খুনের ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার (৯ জানুয়ারি)। এসব ঘটনায় নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গত বুধবার কুইন্স ও ব্রুকলিনের সীমান্তবর্তী ওজন পার্ক এলাকায় রাত ১২টার দিকে গ্লেনমোর এভিনিউয়ের কাছে ফরবেল স্ট্রিটে বন্দুকধারীর গুলিতে প্রবাসী বাংলাদেশি মোদাসসার খন্দকার (৩৬) নিহত হন।
পুলিশ জানায়, জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত ছিলেন মোদাসসার। কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে বাড়ির কাছে পার্কিংলটে গাড়িটি পার্ক করার সময় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তার গাড়ির চাবি চেয়ে বসেন। তিনি চাবি দিতে অস্বীকার করলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার মাথায় গুলি করেন বন্দুকধারী। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে জ্যামাইকা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ব্রুকলিন পুলিশ।
নিহত খন্দকার মোদাসসারের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ বলে জানা গেছে। তিনি ওজন পার্কের ২০০ ফরবেল স্ট্রিটের বাসায় মা, স্ত্রী ও চার বছরের সন্তান নিয়ে বাস করছিলেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট ওজন পার্ক এলাকায় গ্লেনমোর এভিনিউয়ের আল ফোরকান জামে মসজিদে জোহরের নামাজ শেষে ইমাম আলাউদ্দিন আকঞ্জি ও মুয়াজ্জিন তারা উদ্দিন মিয়া এক সঙ্গে বাড়ি ফেরার সময় অজ্ঞাত এক দুর্বৃত্ত এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন স্থানীয় মসজিদের ইমাম আলাউদ্দিন আকঞ্জি। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তার মুয়াজ্জিন তারা উদ্দিন মিয়া।
২০১৪ সালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের পর শ্বাসরোধ করে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নাজমুল ইসলামকে। এ ছাড়াও ওজন পার্ক এলাকায় আরও দুই বাংলাদেশি খুন হন। এরা হলেন শিবলি ও সাদ উদ্দিন। ওজন পার্ক এলাকায় বাংলাদেশিরা আশির দশক থেকে বসতি শুরু করেন। ওই সময় ওজন পার্কে সিলেট অঞ্চলের লোকজন বেশি ছিলেন। ৯০’র দশক থেকে সব অঞ্চলের বাংলাদশিরা ওজনপার্কে ব্যাপক সংখ্যায় বসবাস শুরু করেন।
এসএন