বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আলতাব আলী পার্ক

এটি ‘আলতাব আলী পার্ক’, এখন যেভাবে আছে, তেমনটি রয়েছে ১৯৯৮ সাল থেকে। তার আগে একে বলা হতো “সেন্ট মেরি’জ পার্ক”। এই জায়গাটি ১৪ শতকের একটি সাদা গীর্জার, তাকে ডাকা হতো সেন্ট মেরি’জ। স্থানীয়রা সাদা গীর্জার মাধ্যমে পার্ককেও এই নামে বলতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, ১৯৪০ সালে এখানে বিদুৎ গতিতে বোমাবষণ করা হয়েছিল। এই উল্লেখযোগ্য কীর্তিটিও আছে ঐতিহাসিক গীর্জাটির গায়ে। যুদ্ধ শেষ হবার কয়েক বছরে পর থেকে গীর্জাটির ঘন্টাধ্বনির ধর্মঘট শুরু হলো। এরপর তো থেমেই গিয়েছে। ফলে এখন কয়েকটি সমাধি পাথরই অবশিষ্ট আছে। যেখানে শুরু আছেন নানা বয়সের খ্রিস্টান মানুষরা।

এই ব্রিটেনে কঠোর অভিবাসন আইন চালু হলো ষাটের দশক থেকে এবং পরের দশক এই ভাবনাটির বৈধতা দিলো যে, স্পিটালফিল্ডসে নতুন বসতি স্থাপন করা বাঙালিরা এই জায়গাটির অন্তর্গত নন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জারি হলো তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক, তাতে অভিবাসীরা আক্রমণের একটি সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়ে গেলেন এবং তাদের সবকিছুর জন্য দায়ী করা যেত।

১৯৭৮ সালে সত্যিকারের রক্ত এই পার্কে ঝরেছে। ৪ মে স্থানীয় রাজনীতিগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার সন্ধ্যায়, মাগারেট থ্যাচার ক্ষমতায় আসার আগের ক্ষণে, সেই দিনটিতে; স্থানীয় একজন বস্ত্রকলের শ্রমিক, যার নাম আলতাব আলী; জন্মেছেন বাংলাদেশে; খুন হয়েছিলেন একটি বর্ণবাদী আক্রমণে। এরপর তিনি পড়েছিলেন একটি রক্তের পুকুরে হোয়াইট চ্যাপেল রোডে। তিনি হানবুরি স্ট্রিটে কাজ করতেন, ব্রিক লেন থেকে সামান্য দূরে। এই পার্ক পেরিয়ে ক্যানন স্ট্রিটে গেলে তার বাসা। বাসার দিকে যেতেই তিনি একদল বর্ণবাদীর আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। যখন তিনি মারা যান বয়স ছিল মোটে ২৫ বছর। তিনজন কিশোর সন্ত্রাসী তাকে বাড়িতে কাজ সেরে ফেরার সময় খুন করেছিল।

বাস্তবে, পুরো সত্তর জুড়ে বাঙালি সমাজের প্রতি বর্ণবাদী আক্রমণ বেড়ে গিয়েছিল। তাদের বাড়ির দিকে ইট পর্যন্ত ছুঁড়ে মারা হতো-এতটাই ঘৃণার পাত্র হয়ে গিয়েছিলেন তারা। মানুষ, পশুর মল তাদের দরজাগুলোতে লাগিয়ে দেওয়া হতো। গালাগাল, হামলা চলতো জনে-জনে। ফলে প্রতিটি বাঙালি পরিবারই যত দ্রুত সম্ভব তাদের সারাজীবনের সাধনার বাড়িঘর ফেলে অন্য কোথাও চলে যেতে বাধ্য হতেন।

রাজনীতিবিদরা ও স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এই সহিংসতার জন্য বেশিরভাগ খোঁচা দিয়েছে উগ্র-প্রতিক্রিয়াশীল জাতীয় ফ্রন্টের স্কিনহেডদের। এই স্কিনহেডরা আসলে লন্ডনের শ্রমজীবি তরুণের দল। দ্বিতীয় শ্রেণীর এই মানুষদের আন্দোলন পরে সারা বিশ্বে কম, বেশি ছড়িয়ে গিয়েছিল। তারা এছাড়াও অভিবাসীদেরও দোষ দিয়েছিলেন সাদা চামড়ার মানুষদের সঙ্গে না মেশার আগ্রহকে। এমনকি তারা পুলিশ যখন তাদের পরিবারগুলোর নিরাপত্তার জন্য বাড়িতে প্রয়োজনে আগুন জ্বালানোর মাধ্যমে জানানোর প্রস্তাব দিয়ে নিরাপদে রাখার নিশ্চিয়তা দিয়েছিল; সেসবও ভালোভাবে গ্রহণ না করার দোষে দুষেছে। এই কৈফিয়তগুলো অবশ্যই কেবলমাত্র লুকিয়ে রেখেছিল মূলধারাকে বলির পাঁঠা হওয়া থেকে, তাতে ষাটের শেষেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর গম্ভীর গর্জন প্রশমিত না হয়ে বিস্ফোরিত হয়েছে এবং মন্দাও আঘাত করেছে ব্রিটেনকে।

শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর নেতারা ও টিইউসি (ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস) অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার জন্য কড়া পরিমাপন দাবী করেছিলেন। তারা সরকারের ব্যর্থতার কথা না বলে বা সেদিকে তত মনোযোগ না এনে কালো ও এশিয়দের কম দামে আরো বেশি কাজের জন্য নিয়ে সাদাদের চাকরি থেকে বের করে দেওয়ার হিড়িকের দৃষ্টিভঙ্গিটির দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করছিলেন। বেশি শ্রমিক কম কাজ আছে-এমন একটি অবস্থায় বেপরোয়া ছুটে চলছেন, এই ধারণাটিও ব্রিটেনে জনপ্রিয় হয়ে গেল। এই সময় ব্রিটিশদের চাকরি ব্রিটিশদের জন্য-এটি জনপ্রিয় শ্লোগানেও পরিণত হয়ে গেল। মতবাদগুলো সেই দেশের ভূমিতে সহিংস বর্ণবাদী আক্রমণগুলোকে অনুপ্রাণিত করেছে।

৭০’র দশকের মধ্যভাগে বর্ণবাদবিরোধীদের ছায়ায় দি এশিয়ান ইয়ুথ মুভমেন্টের, স্থানীয় তরুণদের কয়েকটি আন্দোলন হয়ে গেল। সেগুলো এই বিশ্বাস এনে দিল-নিজেদের রক্ষা তাদেরই করতে হবে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের মৌলবাদী কালোদের সংহতি আন্দোলনগুলোর ধারণা থেকে উদ্দীপ্ত হয়েছিলেন। এরপর তারা বর্ণবাদীদের কাছ থেকে রাস্তাগুলো পুণরুদ্ধার করতে কাজ করেছেন। হোয়াইট চ্যাপেল রোডে ও ব্রিক লেনে যখন বর্ণবাদীরা বাঙালিদের দোকানগুলো ভেঙে গুড়িয়ে দিতে গেলেন, তখন বাঙালি যুবক, এশীয় তরুণ ও বণবাদবিরোধী ব্রিটিশরা তাদের মুখোমুখি হয়ে গেলেন। ব্রিটেনের ইতিহাসের এই পর্বে সম্পদ আসলে কোনো অথ বহন করতে পারেনি, এই কালে বর্ণবাদবিরোধীতা মানে হলো, আপনি কেবল একটি জাতে বিশ্বাস করেন, সেটি ‘মানবতাবাদ’। বণবাদবিরোধীরা মৌলবাদীতার সঙ্গে তাদের পার্থক্যগুলো মানুষের কাছে প্রচারণায় নিয়ে এসেছিলেন। কেবল তাই নয়, তারা যেকোনো ও সব ধরণের বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্বোচ্চারভাবে; দাবী তুলেছেন, সব মানুষের জন্য; তার গায়ের রঙ, পেশা; দেশ; অবস্থান; নাগরিকতার সার্টিফিকের উধ্বে উঠে সবার জন্য সমান চিকিৎসার; আর যখন এটি চাকরি ও মজুরির প্রশ্ন হলো-এই তারুণ্যের শক্তি সাদা, কালো ও এশিয় নাগরিকদের জন্য সমভাবে বন্টনের দাবী করেছেন।

আলতাব আলীর হত্যাকাণ্ডের পর তার কফিন একটি লম্বা ও দীর্ঘ শোক যাত্রার মাধ্যমে নিয়ে আসা হলো হোয়াইট হলের পথ ধরে। হোয়াইট হল আছে লন্ডনের কেন্দ্রের ওয়েষ্ট মিনিস্টার শহরের একটি রাস্তা। তাতে ছিলেন ও প্রতিবাদ করেছেন হাজার হাজার এশিয় তরুণ, তরুণী এবং ব্রিটেনের বর্ণবাদবিরোধীরা। তারা তখন তুলে ধরেছেন, এই ক্ষোভ ও উত্তাপ নতুন সরকারের পতন ঘটিয়ে দিতে পারে, কেননা বর্ণবাদী আক্রমণগুলো থেকে এখন যেকোনো কিছুই সম্ভব। আবার পুলিশের একটি অবস্থায় বর্ণবাদী আচরণ ও অভিবাসীদের দেশগুলোর সরকারদের তাদের নাগরিকদের জন্য অপরাধ করার সুযোগ নেওয়াও বিচিত্র নয়। এই ধারণাগুলো মিথ্যে নয়।

আবার এ এমন গণ সংহতি, যেটি স্থানীয় বর্ণবাদবিরোধীদের, সেটি ব্রিক লেনে বড় আকারের বণবাদী কমকাণ্ডকে বেড়ে উঠতে দেয়নি। সেগুলোকে দমিয়ে দিয়েছে। যদিও স্থানীয় এলাকায় সহিংসতা চলেছে। পরের দশক ১৯৮০ তেও দাঙ্গার ভয় থেকেছে বলে অবশেষে এই সময়ে ব্রিটেনের বিভাজনকারী, মানুষের কাছ থেকে মানুষকে আলাদা করে দেওয়া বর্ণবাদী রাজনীতিবিদ ও দলগুলোকে এবং তেমন ধারণার মানুষদের আগের যুগ, যেটিতে আলতাব আলী মারা গিয়েছেন; সেটি থেকে মৌলবাদের একটি নব দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আলতাব আলীকে সম্মানিত করেছেন ব্রিটেনের সরকার ও সাধারণ মানুষ তার নামে পাকটি করে। ছোট্ট এই পার্কটি আছে ১০, অ্যাডলার স্ট্রিট, হোয়াইট চার্চ লেন ও হোয়াইট চ্যাপেল রোডের মাঝে; লন্ডন ই ১-এ। এখানে শুয়ে আছেন রিচাড পার্কার, রিচাড ব্রানডন, স্যার জন কাস, স্যার জেফরি ডানস্ট্যান (এই পরচুলা বিক্রেতা ১৮ শতকে ব্রিটেনের নির্বাচনী আনন্দ শোভাযাত্রা বা কার্নিভালের মাধ্যমে মুখে, মুখে নির্বাচিত করার সময়-গ্যারেট নামে পরিচিত; তাতে ‘গ্যারেট’ মেয়র হয়েছিলেন)।

১৯৯৮ সালে এই সেন্ট মেরি’জ পাকের নাম রাখা হয় আলতাব আলীর নামে-‘আলতাব আলী পাক’। সেই মানুষটিকে স্মৃতিতে রাখা হলো চিরদিনের জন্য। ইস্ট এন্ডে আলতাবকে মারা হয়েছে, যেখানে এর চেয়ে কম সহিংসতার অনেক আক্রমণ ঘটেছে। পার্কের প্রবেশ পথে একটি খিলান আছে, সেটি বানিয়েছেন ডেভিড পিটারসেন; তৈরি করেছেন বর্ণবাদী আক্রমণগুলোতে আলতাব ও অন্য শিকারদের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে। খিলানটিতে বাঙালি স্টাইলও আছে। তাতে পূর্ব লন্ডনের নানা ধরণের সংস্কৃতিও একত্রে চলা ফুটেছে। রবীন্দ্রনাথের অমর উক্তি খোদিত আছে। আছে লন্ডনের বাঙালিদের একুশের শহীদ ও বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অর্ঘ্য একটি শহীদ মিনার। পাশেই আছে পাতাল রেল সড়ক।

বর্ণবাদের শিকার শহীদ আলতাব আলীর নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বা ৫০ বছর উপলক্ষে লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিল একটি বিশেষ ভবন উৎসগ করেছেন। তার নামে ভবনটি আছে।

ইংরেজি থেকে অনুবাদ, ওমর শাহেদ; ২৫-১-২০২২।

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত