মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আলতাব আলী পার্ক

এটি ‘আলতাব আলী পার্ক’, এখন যেভাবে আছে, তেমনটি রয়েছে ১৯৯৮ সাল থেকে। তার আগে একে বলা হতো “সেন্ট মেরি’জ পার্ক”। এই জায়গাটি ১৪ শতকের একটি সাদা গীর্জার, তাকে ডাকা হতো সেন্ট মেরি’জ। স্থানীয়রা সাদা গীর্জার মাধ্যমে পার্ককেও এই নামে বলতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, ১৯৪০ সালে এখানে বিদুৎ গতিতে বোমাবষণ করা হয়েছিল। এই উল্লেখযোগ্য কীর্তিটিও আছে ঐতিহাসিক গীর্জাটির গায়ে। যুদ্ধ শেষ হবার কয়েক বছরে পর থেকে গীর্জাটির ঘন্টাধ্বনির ধর্মঘট শুরু হলো। এরপর তো থেমেই গিয়েছে। ফলে এখন কয়েকটি সমাধি পাথরই অবশিষ্ট আছে। যেখানে শুরু আছেন নানা বয়সের খ্রিস্টান মানুষরা।

এই ব্রিটেনে কঠোর অভিবাসন আইন চালু হলো ষাটের দশক থেকে এবং পরের দশক এই ভাবনাটির বৈধতা দিলো যে, স্পিটালফিল্ডসে নতুন বসতি স্থাপন করা বাঙালিরা এই জায়গাটির অন্তর্গত নন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জারি হলো তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক, তাতে অভিবাসীরা আক্রমণের একটি সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়ে গেলেন এবং তাদের সবকিছুর জন্য দায়ী করা যেত।

১৯৭৮ সালে সত্যিকারের রক্ত এই পার্কে ঝরেছে। ৪ মে স্থানীয় রাজনীতিগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার সন্ধ্যায়, মাগারেট থ্যাচার ক্ষমতায় আসার আগের ক্ষণে, সেই দিনটিতে; স্থানীয় একজন বস্ত্রকলের শ্রমিক, যার নাম আলতাব আলী; জন্মেছেন বাংলাদেশে; খুন হয়েছিলেন একটি বর্ণবাদী আক্রমণে। এরপর তিনি পড়েছিলেন একটি রক্তের পুকুরে হোয়াইট চ্যাপেল রোডে। তিনি হানবুরি স্ট্রিটে কাজ করতেন, ব্রিক লেন থেকে সামান্য দূরে। এই পার্ক পেরিয়ে ক্যানন স্ট্রিটে গেলে তার বাসা। বাসার দিকে যেতেই তিনি একদল বর্ণবাদীর আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। যখন তিনি মারা যান বয়স ছিল মোটে ২৫ বছর। তিনজন কিশোর সন্ত্রাসী তাকে বাড়িতে কাজ সেরে ফেরার সময় খুন করেছিল।

বাস্তবে, পুরো সত্তর জুড়ে বাঙালি সমাজের প্রতি বর্ণবাদী আক্রমণ বেড়ে গিয়েছিল। তাদের বাড়ির দিকে ইট পর্যন্ত ছুঁড়ে মারা হতো-এতটাই ঘৃণার পাত্র হয়ে গিয়েছিলেন তারা। মানুষ, পশুর মল তাদের দরজাগুলোতে লাগিয়ে দেওয়া হতো। গালাগাল, হামলা চলতো জনে-জনে। ফলে প্রতিটি বাঙালি পরিবারই যত দ্রুত সম্ভব তাদের সারাজীবনের সাধনার বাড়িঘর ফেলে অন্য কোথাও চলে যেতে বাধ্য হতেন।

রাজনীতিবিদরা ও স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এই সহিংসতার জন্য বেশিরভাগ খোঁচা দিয়েছে উগ্র-প্রতিক্রিয়াশীল জাতীয় ফ্রন্টের স্কিনহেডদের। এই স্কিনহেডরা আসলে লন্ডনের শ্রমজীবি তরুণের দল। দ্বিতীয় শ্রেণীর এই মানুষদের আন্দোলন পরে সারা বিশ্বে কম, বেশি ছড়িয়ে গিয়েছিল। তারা এছাড়াও অভিবাসীদেরও দোষ দিয়েছিলেন সাদা চামড়ার মানুষদের সঙ্গে না মেশার আগ্রহকে। এমনকি তারা পুলিশ যখন তাদের পরিবারগুলোর নিরাপত্তার জন্য বাড়িতে প্রয়োজনে আগুন জ্বালানোর মাধ্যমে জানানোর প্রস্তাব দিয়ে নিরাপদে রাখার নিশ্চিয়তা দিয়েছিল; সেসবও ভালোভাবে গ্রহণ না করার দোষে দুষেছে। এই কৈফিয়তগুলো অবশ্যই কেবলমাত্র লুকিয়ে রেখেছিল মূলধারাকে বলির পাঁঠা হওয়া থেকে, তাতে ষাটের শেষেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর গম্ভীর গর্জন প্রশমিত না হয়ে বিস্ফোরিত হয়েছে এবং মন্দাও আঘাত করেছে ব্রিটেনকে।

শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর নেতারা ও টিইউসি (ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস) অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার জন্য কড়া পরিমাপন দাবী করেছিলেন। তারা সরকারের ব্যর্থতার কথা না বলে বা সেদিকে তত মনোযোগ না এনে কালো ও এশিয়দের কম দামে আরো বেশি কাজের জন্য নিয়ে সাদাদের চাকরি থেকে বের করে দেওয়ার হিড়িকের দৃষ্টিভঙ্গিটির দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করছিলেন। বেশি শ্রমিক কম কাজ আছে-এমন একটি অবস্থায় বেপরোয়া ছুটে চলছেন, এই ধারণাটিও ব্রিটেনে জনপ্রিয় হয়ে গেল। এই সময় ব্রিটিশদের চাকরি ব্রিটিশদের জন্য-এটি জনপ্রিয় শ্লোগানেও পরিণত হয়ে গেল। মতবাদগুলো সেই দেশের ভূমিতে সহিংস বর্ণবাদী আক্রমণগুলোকে অনুপ্রাণিত করেছে।

৭০’র দশকের মধ্যভাগে বর্ণবাদবিরোধীদের ছায়ায় দি এশিয়ান ইয়ুথ মুভমেন্টের, স্থানীয় তরুণদের কয়েকটি আন্দোলন হয়ে গেল। সেগুলো এই বিশ্বাস এনে দিল-নিজেদের রক্ষা তাদেরই করতে হবে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের মৌলবাদী কালোদের সংহতি আন্দোলনগুলোর ধারণা থেকে উদ্দীপ্ত হয়েছিলেন। এরপর তারা বর্ণবাদীদের কাছ থেকে রাস্তাগুলো পুণরুদ্ধার করতে কাজ করেছেন। হোয়াইট চ্যাপেল রোডে ও ব্রিক লেনে যখন বর্ণবাদীরা বাঙালিদের দোকানগুলো ভেঙে গুড়িয়ে দিতে গেলেন, তখন বাঙালি যুবক, এশীয় তরুণ ও বণবাদবিরোধী ব্রিটিশরা তাদের মুখোমুখি হয়ে গেলেন। ব্রিটেনের ইতিহাসের এই পর্বে সম্পদ আসলে কোনো অথ বহন করতে পারেনি, এই কালে বর্ণবাদবিরোধীতা মানে হলো, আপনি কেবল একটি জাতে বিশ্বাস করেন, সেটি ‘মানবতাবাদ’। বণবাদবিরোধীরা মৌলবাদীতার সঙ্গে তাদের পার্থক্যগুলো মানুষের কাছে প্রচারণায় নিয়ে এসেছিলেন। কেবল তাই নয়, তারা যেকোনো ও সব ধরণের বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্বোচ্চারভাবে; দাবী তুলেছেন, সব মানুষের জন্য; তার গায়ের রঙ, পেশা; দেশ; অবস্থান; নাগরিকতার সার্টিফিকের উধ্বে উঠে সবার জন্য সমান চিকিৎসার; আর যখন এটি চাকরি ও মজুরির প্রশ্ন হলো-এই তারুণ্যের শক্তি সাদা, কালো ও এশিয় নাগরিকদের জন্য সমভাবে বন্টনের দাবী করেছেন।

আলতাব আলীর হত্যাকাণ্ডের পর তার কফিন একটি লম্বা ও দীর্ঘ শোক যাত্রার মাধ্যমে নিয়ে আসা হলো হোয়াইট হলের পথ ধরে। হোয়াইট হল আছে লন্ডনের কেন্দ্রের ওয়েষ্ট মিনিস্টার শহরের একটি রাস্তা। তাতে ছিলেন ও প্রতিবাদ করেছেন হাজার হাজার এশিয় তরুণ, তরুণী এবং ব্রিটেনের বর্ণবাদবিরোধীরা। তারা তখন তুলে ধরেছেন, এই ক্ষোভ ও উত্তাপ নতুন সরকারের পতন ঘটিয়ে দিতে পারে, কেননা বর্ণবাদী আক্রমণগুলো থেকে এখন যেকোনো কিছুই সম্ভব। আবার পুলিশের একটি অবস্থায় বর্ণবাদী আচরণ ও অভিবাসীদের দেশগুলোর সরকারদের তাদের নাগরিকদের জন্য অপরাধ করার সুযোগ নেওয়াও বিচিত্র নয়। এই ধারণাগুলো মিথ্যে নয়।

আবার এ এমন গণ সংহতি, যেটি স্থানীয় বর্ণবাদবিরোধীদের, সেটি ব্রিক লেনে বড় আকারের বণবাদী কমকাণ্ডকে বেড়ে উঠতে দেয়নি। সেগুলোকে দমিয়ে দিয়েছে। যদিও স্থানীয় এলাকায় সহিংসতা চলেছে। পরের দশক ১৯৮০ তেও দাঙ্গার ভয় থেকেছে বলে অবশেষে এই সময়ে ব্রিটেনের বিভাজনকারী, মানুষের কাছ থেকে মানুষকে আলাদা করে দেওয়া বর্ণবাদী রাজনীতিবিদ ও দলগুলোকে এবং তেমন ধারণার মানুষদের আগের যুগ, যেটিতে আলতাব আলী মারা গিয়েছেন; সেটি থেকে মৌলবাদের একটি নব দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আলতাব আলীকে সম্মানিত করেছেন ব্রিটেনের সরকার ও সাধারণ মানুষ তার নামে পাকটি করে। ছোট্ট এই পার্কটি আছে ১০, অ্যাডলার স্ট্রিট, হোয়াইট চার্চ লেন ও হোয়াইট চ্যাপেল রোডের মাঝে; লন্ডন ই ১-এ। এখানে শুয়ে আছেন রিচাড পার্কার, রিচাড ব্রানডন, স্যার জন কাস, স্যার জেফরি ডানস্ট্যান (এই পরচুলা বিক্রেতা ১৮ শতকে ব্রিটেনের নির্বাচনী আনন্দ শোভাযাত্রা বা কার্নিভালের মাধ্যমে মুখে, মুখে নির্বাচিত করার সময়-গ্যারেট নামে পরিচিত; তাতে ‘গ্যারেট’ মেয়র হয়েছিলেন)।

১৯৯৮ সালে এই সেন্ট মেরি’জ পাকের নাম রাখা হয় আলতাব আলীর নামে-‘আলতাব আলী পাক’। সেই মানুষটিকে স্মৃতিতে রাখা হলো চিরদিনের জন্য। ইস্ট এন্ডে আলতাবকে মারা হয়েছে, যেখানে এর চেয়ে কম সহিংসতার অনেক আক্রমণ ঘটেছে। পার্কের প্রবেশ পথে একটি খিলান আছে, সেটি বানিয়েছেন ডেভিড পিটারসেন; তৈরি করেছেন বর্ণবাদী আক্রমণগুলোতে আলতাব ও অন্য শিকারদের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে। খিলানটিতে বাঙালি স্টাইলও আছে। তাতে পূর্ব লন্ডনের নানা ধরণের সংস্কৃতিও একত্রে চলা ফুটেছে। রবীন্দ্রনাথের অমর উক্তি খোদিত আছে। আছে লন্ডনের বাঙালিদের একুশের শহীদ ও বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অর্ঘ্য একটি শহীদ মিনার। পাশেই আছে পাতাল রেল সড়ক।

বর্ণবাদের শিকার শহীদ আলতাব আলীর নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বা ৫০ বছর উপলক্ষে লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিল একটি বিশেষ ভবন উৎসগ করেছেন। তার নামে ভবনটি আছে।

ইংরেজি থেকে অনুবাদ, ওমর শাহেদ; ২৫-১-২০২২।

 

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ছবি: সংগৃহীত

বারবার নিলাম ডেকেও এস আলম গ্রুপের বন্ধকী সম্পত্তির কোনো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না দেশের ব্যাংকগুলো। ফলে ঋণ আদায়ে এখন বাধ্য হয়ে অর্থ ঋণ আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে তারা। এতে পুরো প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত ও জটিল হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগোষ্ঠী ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জনতা ব্যাংক ১০,৭০০ কোটি টাকার বিপরীতে ছয়বার নিলাম ডেকেও কোনো সাড়া পায়নি। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকও সাত দফা নিলাম আয়োজন করেও ব্যর্থ হয়েছে, যার মধ্যে আইডিয়াল ফ্লাওয়ার মিলসের ১,১০০ কোটি টাকার ঋণ সংক্রান্ত নিলামও অন্তর্ভুক্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে এস আলম গ্রুপের একাধিক স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জমি নিলামে তোলা হলেও দরপত্র জমা পড়েনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া পূরণের জন্যই তারা এসব নিলাম ডাকছেন, যদিও আগ্রহী ক্রেতার দেখা মিলছে না। অনেকেই এই বিষয়টিকে ভয় পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপ সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণ জব্দ করে।

বর্তমানে এস আলম গ্রুপের ওপর কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ১৪ সদস্যের বিশেষ লিগ্যাল টিম। একই সঙ্গে তাদের জব্দকৃত শেয়ার বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য