মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘মানুষের ভেতরের শক্তিকে কখনো দুর্বলভাবে দেখবেন না’

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষ্যে ব্রিটেনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল পাঁচ বিশিষ্ট অভিবাসী বাংলাদেশীর নামে সেখানে পাঁচটি ভবনের নামকরণ করেছে। তাদের অন্যতম সমাজসেবক তাসাদ্দুক আহমেদ এমবিই। এই মানুষটি কে ছিলেন? কেমন ছিলেন?

১৯৬০ সালে, জার্মান স্ত্রী রোজমেরিকে নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মী তাসাদ্দুক আহমেদ প্রতিষ্ঠা করলেন ‘দেশের ডাক’। এটিই বাঙালিদের জন্য ব্রিটেনে প্রথম প্রকাশনা। চার বছর পর আয়-রোজগারের প্রাথমিক পরিকল্পনা নিয়ে এই দম্পতি প্রতিষ্ঠা করলেন ‘দি গাঙ্গেজ’। সোহোর জোরার্ড স্ট্রিটের রেস্তোরাটি তার সময়ে লন্ডনের সবচেয়ে ভালো ও নামকরা রেস্তোরাগুলোর অন্যতম ছিল। তারা তৈরি করেছিলেন ‘দি গুড ফুড গাইড’। ব্রিটিশ-বাঙালি রেস্তোরা ব্যবসায়ীদের বিশ্বখ্যাত ‘তন্দুরি ওভেন’র ভবিষ্যত গড়ে দেওয়া প্রথম দিকের ভালো রেস্তোরাগুলোর অন্যতম এটি।

‘দি গাঙ্গেজ’ পরে চলে গিয়েছিল পেডিংটনে। সেখানে এটি ছিল ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে আসা মানুষদের আলোচনার আশ্রয়স্থল। রাজনীতিবিদ, কবি ও ব্রিটিশ রাজনীতির মৌলিক পরিবর্তনের কমীরা সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতেন। আর তারা বাংলাদেশের জন্য নানা পরিকল্পনা করতেন। যে দেশটির জন্ম হয়েছিল অনেক পরে-১৯৭১ সালে। তারা রেস্তোরাটিতে, ব্রিটেনের রাজধানীর সবচেয়ে ভালো এশিয়ান খাবারগুলোর কিছু খেতেন। এভাবে তাদের আলোচনাগুলো উন্নতিও লাভ করতো। এই খাবারগুলোর মেন্যু তৈরি করেছিলেন ও রেস্তোরাটি চালাতেন সমাজের ভালো করতে চাওয়া একজন মানুষ; তিনি ও তার স্ত্রী একটি পত্রিকার প্রকাশক। আকর্ষণীয়ভাবে সেসব ভাবনা, অঙ্গীকার ও আলোচনাগুলো তারা তাতে ছাপতেন। তাদের সংগঠনের অভ্যন্তরীন বুলেটিনেও তেমন আকর্ষণীয়ভাবে ছাপানো হতো।

এই সব কাজের প্রাণ যে মানুষ, তিনি ১৩ জন ভাইবোনের সবার বড়। বিরাট সেই পরিবারের বড় ছেলেটির জন্ম হয়েছিল ভারতবর্ষের আসামে; তারা মধ্যবিত্ত ছিলেন। এই ছেলেটির ভেতরে রাজনীতির প্রতি তুমুল আগ্রহের জন্ম হলো ধাপে, ধাপে, বিশ্রামহীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে। এরপর সিলেটে কলেজে পড়ার সময় তিনি ‘অল আসাম মুসলিম লীগ স্টুডেন্টস ফেডারেশন’র মহাসচিব হলেন। তাসাদ্দুক আহমেদ গণভোটে সিলেট পূর্ব পাকিস্তানে যোগ দেবার জন্য প্রচারাভিযান করেছেন। সেটিই হয়েছে। এরপর তো বাংলাদেশ নামে একটি নতুন দেশ হয়ে গেল পূর্ব পাকিস্তান।

তবে কেবল রাজনীতি নিয়ে পড়ে থাকেননি তিনি, লেখাপড়া করেছেন ভালোভাবে। গ্রাজুয়েশনের পর তাসাদ্দুক চলে এলেন রাজধানী ঢাকায়। এখানেই কর্মজীবনের শুরু হলো তার। ইংরেজি ও বাংলা সংবাদপত্রগুলোতে সাংবাদিক হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন তিনি। তবে তখন পূর্ব-পাকিস্তানের প্রধানত সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলা ভাষার মানুষরা পশ্চিম অংশের ব্যাপকভাবে উর্দু ভাষাভাষীদের কাছ থেকে নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। তাদের অধিকারগুলো উপেক্ষিত হচ্ছিল। পশ্চিম-পাকিস্তানভিত্তিক সরকার নানাভাবে তাদের বঞ্চিত করছিল। এরপর তাসাদ্দুক কমিউনিজমের দিকে চলে গেলেন। তবে তার নামে একটি গ্রেফতারি পরোয়ারা হচ্ছে জানতে পেরে ১৯৫২ সালে পালিয়ে চলে গেলেন লন্ডনে।

প্রথমে লন্ডন কাউন্টি কাউন্সিলে একজন ল্যাবরেটরি টেকনেশিয়ান হিসেবে কাজ করেছেন। তবে তার মৌলিক আগ্রহ পড়েছিল রাজনীতিতে। তাসাদ্দুক আহমেদ ‘দি পাকিস্তান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ প্রতিষ্ঠা করেছেন সেখানে। নতুন ও কেবল শুরু হওয়া বাংলা ভাষার আন্দোলনের একজন প্রধান সংগঠক হয়ে গেলেন। জাতীয় পরিচয়ের ভিত্তি হিসেবে তিনি বিশ্বাস করতেন, ভাষা সঠিকভাবে নির্ধারণ করে দিচ্ছে এমন একটি সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার ও অনুশীলন; ধর্ম নয়। বাংলা ভাষার জন্য ১৯৫২ সালের আন্দোলন পূর্ব পাকিস্তানের সমাপ্তি টানার পূর্ব লক্ষণ ও বাংলাদেশের উত্থানের কারণ-তার মনে হতো।

বিভিন্ন পরিকল্পনার অগ্রদূত ছিলেন তিনি। পাকিস্তান সরকার সেই দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রা এনে দেবার বিনিময়ে রপ্তানিকারকদের কমিশন দিয়েছিল। আহমেদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘অ্যাংলো-পাক এন্টারপ্রাইজেস’। যেটি লন্ডনের রান্নাঘরগুলোতে কাজ করা অভিবাসী শ্রমিকদের ও নামমাত্র মজুরিতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে বাধ্য হওয়া শ্রমিকদের অতিরিক্ত ও দীর্ঘস্থায়ী লাভ প্রদান করেছিল। পরিপূরক হিসেবে তারা যেন তাদের পরিবারগুলোর কাছে বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারেন সে ব্যবস্থাটি করেছে।

১৯৮২ সালে তার প্রিয়তমা স্ত্রী রোজমেরি মারা যান। ফলে গাঙ্গেজ বিক্রি করে দেন হতাশ ও বিষন্নতায় আক্রান্ত তাসাদ্দুক। চলে গেলেন ইস্ট এন্ডে; এটিই লন্ডনের বাংলাদেশীদের হৃদপিন্ড। এখানে তিনি বিপুল পরিমাণ সংগঠনে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। তবে তার সবই স্বেচ্ছাসেবায়। ব্রাডে সেন্টার থেকে শুরু করে কাজ করেছেন স্পিটালফিল্ডস স্মল বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনে (এসএসবিএ)। ব্রাডে সেন্টার সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো পরিচালনা করতো আর এসএসবিএ স্থানীয় নামমাত্র শ্রমের মজুরদের কম ভাড়ায় আধুনিক বাসা-বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দিত।

এসএসবিএ’র মাধ্যমে তাসাদ্দুক আহমেদ ব্রিটেনের যুবরাজ প্রিন্স চার্লসের একজন বন্ধু হয়ে গেলেন। তারা দুজনেই ইস্ট এন্ডের উন্নয়নের বিষয়ে একই ধরণের পরিকল্পনা করেছিলেন। সেগুলো বিনিময় করেছেন তারা। বিদ্যালয়গুলো থেকে ঝড়ে পড়াদের জন্য সেখানে একটি নৈশ বিদ্যালয় ছিল। নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অল্প বয়সের প্রজন্মটির জন্য ছিল ভাষা শেখার ক্লাসগুলো আর নারীদের জন্য ছিল একটি সামাজিক শিক্ষা কেন্দ্র।

বহু শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষায় জোর দিয়ে তাসাদ্দুক আহমেদ বাঙালিদের যেমন বাংলাদেশী সমাজ থেকে বের করে আনতে পেরেছিলেন, তেমনি বাইরের মানুষদের এই সমাজের ভেতরে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। ১৯৯৮ সালে একটি স্ট্রোক হলো তার। মস্তিস্কের এই রোগে হঠাৎ তার চৈতন্য ও চলাফেরার শক্তি লোপ পেয়েছিল। তার আগ পযন্ত তিনি তার প্রতিদিন স্পিটালফিল্ডস ঘুরে বেড়ানোর কাজটি করে গিয়েছেন। এখানে কাজ করেছেন নিজের ভেতরের অসীম অনুপ্রেরণা, আশাবাদ, মানবতা ও ভালোবাসায়।

বলেছিলেন-‘একজন মানুষের ভেতরের শক্তিকে কখনো দুর্বলভাবে দেখবেন না।’ আরেকবার বলেছেন, ‘একজন দুজনে পরিণত হন ও আপনি বেশিদিন একা থাকেন না। দুজন সাতজনে পরিণত হন ও এটি একটি দলে পরিণত হয়। সাতজন ৭০ জনে রূপ লাভ করে ও এটি একটি আন্দোলনে পরিণত হয়। ফলে আপনি যা করতে চান, তার যেকোনোকিছুই করতে পারেন।’

এত গুণের তাসাদ্দুক আহমেদ একজন রেস্তোরা ব্যবসায়ী হিসেবেও খ্যাতিমান ব্রিটেনে। তবে প্রধান পরিচয় তিনি সে দেশে বাঙালি কমিউনিটির জন্য কাজ করেছেন।

তাকে ১৯৮৯ সালে একজন এমবিই (অর্ডার অব দি ব্রিটিশ এম্পায়ার) পদকে ভূষিত করা হয়। ২০০০ সালে দি ফ্রিডম অব টাওয়ার হ্যামলেটস সম্মাননা গ্রহণ করেন।

২০০১ সালের ২ এপ্রিল মারা গিয়েছেন হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে, ৭৮ বছর বয়সে।

গার্ডিয়ান অবলম্বনে ২৫-১-২০২১।

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ছবি: সংগৃহীত

বারবার নিলাম ডেকেও এস আলম গ্রুপের বন্ধকী সম্পত্তির কোনো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না দেশের ব্যাংকগুলো। ফলে ঋণ আদায়ে এখন বাধ্য হয়ে অর্থ ঋণ আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে তারা। এতে পুরো প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত ও জটিল হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগোষ্ঠী ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জনতা ব্যাংক ১০,৭০০ কোটি টাকার বিপরীতে ছয়বার নিলাম ডেকেও কোনো সাড়া পায়নি। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকও সাত দফা নিলাম আয়োজন করেও ব্যর্থ হয়েছে, যার মধ্যে আইডিয়াল ফ্লাওয়ার মিলসের ১,১০০ কোটি টাকার ঋণ সংক্রান্ত নিলামও অন্তর্ভুক্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে এস আলম গ্রুপের একাধিক স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জমি নিলামে তোলা হলেও দরপত্র জমা পড়েনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া পূরণের জন্যই তারা এসব নিলাম ডাকছেন, যদিও আগ্রহী ক্রেতার দেখা মিলছে না। অনেকেই এই বিষয়টিকে ভয় পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপ সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণ জব্দ করে।

বর্তমানে এস আলম গ্রুপের ওপর কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ১৪ সদস্যের বিশেষ লিগ্যাল টিম। একই সঙ্গে তাদের জব্দকৃত শেয়ার বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য