বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘মানুষের ভেতরের শক্তিকে কখনো দুর্বলভাবে দেখবেন না’

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষ্যে ব্রিটেনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল পাঁচ বিশিষ্ট অভিবাসী বাংলাদেশীর নামে সেখানে পাঁচটি ভবনের নামকরণ করেছে। তাদের অন্যতম সমাজসেবক তাসাদ্দুক আহমেদ এমবিই। এই মানুষটি কে ছিলেন? কেমন ছিলেন?

১৯৬০ সালে, জার্মান স্ত্রী রোজমেরিকে নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মী তাসাদ্দুক আহমেদ প্রতিষ্ঠা করলেন ‘দেশের ডাক’। এটিই বাঙালিদের জন্য ব্রিটেনে প্রথম প্রকাশনা। চার বছর পর আয়-রোজগারের প্রাথমিক পরিকল্পনা নিয়ে এই দম্পতি প্রতিষ্ঠা করলেন ‘দি গাঙ্গেজ’। সোহোর জোরার্ড স্ট্রিটের রেস্তোরাটি তার সময়ে লন্ডনের সবচেয়ে ভালো ও নামকরা রেস্তোরাগুলোর অন্যতম ছিল। তারা তৈরি করেছিলেন ‘দি গুড ফুড গাইড’। ব্রিটিশ-বাঙালি রেস্তোরা ব্যবসায়ীদের বিশ্বখ্যাত ‘তন্দুরি ওভেন’র ভবিষ্যত গড়ে দেওয়া প্রথম দিকের ভালো রেস্তোরাগুলোর অন্যতম এটি।

‘দি গাঙ্গেজ’ পরে চলে গিয়েছিল পেডিংটনে। সেখানে এটি ছিল ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে আসা মানুষদের আলোচনার আশ্রয়স্থল। রাজনীতিবিদ, কবি ও ব্রিটিশ রাজনীতির মৌলিক পরিবর্তনের কমীরা সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতেন। আর তারা বাংলাদেশের জন্য নানা পরিকল্পনা করতেন। যে দেশটির জন্ম হয়েছিল অনেক পরে-১৯৭১ সালে। তারা রেস্তোরাটিতে, ব্রিটেনের রাজধানীর সবচেয়ে ভালো এশিয়ান খাবারগুলোর কিছু খেতেন। এভাবে তাদের আলোচনাগুলো উন্নতিও লাভ করতো। এই খাবারগুলোর মেন্যু তৈরি করেছিলেন ও রেস্তোরাটি চালাতেন সমাজের ভালো করতে চাওয়া একজন মানুষ; তিনি ও তার স্ত্রী একটি পত্রিকার প্রকাশক। আকর্ষণীয়ভাবে সেসব ভাবনা, অঙ্গীকার ও আলোচনাগুলো তারা তাতে ছাপতেন। তাদের সংগঠনের অভ্যন্তরীন বুলেটিনেও তেমন আকর্ষণীয়ভাবে ছাপানো হতো।

এই সব কাজের প্রাণ যে মানুষ, তিনি ১৩ জন ভাইবোনের সবার বড়। বিরাট সেই পরিবারের বড় ছেলেটির জন্ম হয়েছিল ভারতবর্ষের আসামে; তারা মধ্যবিত্ত ছিলেন। এই ছেলেটির ভেতরে রাজনীতির প্রতি তুমুল আগ্রহের জন্ম হলো ধাপে, ধাপে, বিশ্রামহীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে। এরপর সিলেটে কলেজে পড়ার সময় তিনি ‘অল আসাম মুসলিম লীগ স্টুডেন্টস ফেডারেশন’র মহাসচিব হলেন। তাসাদ্দুক আহমেদ গণভোটে সিলেট পূর্ব পাকিস্তানে যোগ দেবার জন্য প্রচারাভিযান করেছেন। সেটিই হয়েছে। এরপর তো বাংলাদেশ নামে একটি নতুন দেশ হয়ে গেল পূর্ব পাকিস্তান।

তবে কেবল রাজনীতি নিয়ে পড়ে থাকেননি তিনি, লেখাপড়া করেছেন ভালোভাবে। গ্রাজুয়েশনের পর তাসাদ্দুক চলে এলেন রাজধানী ঢাকায়। এখানেই কর্মজীবনের শুরু হলো তার। ইংরেজি ও বাংলা সংবাদপত্রগুলোতে সাংবাদিক হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন তিনি। তবে তখন পূর্ব-পাকিস্তানের প্রধানত সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলা ভাষার মানুষরা পশ্চিম অংশের ব্যাপকভাবে উর্দু ভাষাভাষীদের কাছ থেকে নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। তাদের অধিকারগুলো উপেক্ষিত হচ্ছিল। পশ্চিম-পাকিস্তানভিত্তিক সরকার নানাভাবে তাদের বঞ্চিত করছিল। এরপর তাসাদ্দুক কমিউনিজমের দিকে চলে গেলেন। তবে তার নামে একটি গ্রেফতারি পরোয়ারা হচ্ছে জানতে পেরে ১৯৫২ সালে পালিয়ে চলে গেলেন লন্ডনে।

প্রথমে লন্ডন কাউন্টি কাউন্সিলে একজন ল্যাবরেটরি টেকনেশিয়ান হিসেবে কাজ করেছেন। তবে তার মৌলিক আগ্রহ পড়েছিল রাজনীতিতে। তাসাদ্দুক আহমেদ ‘দি পাকিস্তান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ প্রতিষ্ঠা করেছেন সেখানে। নতুন ও কেবল শুরু হওয়া বাংলা ভাষার আন্দোলনের একজন প্রধান সংগঠক হয়ে গেলেন। জাতীয় পরিচয়ের ভিত্তি হিসেবে তিনি বিশ্বাস করতেন, ভাষা সঠিকভাবে নির্ধারণ করে দিচ্ছে এমন একটি সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার ও অনুশীলন; ধর্ম নয়। বাংলা ভাষার জন্য ১৯৫২ সালের আন্দোলন পূর্ব পাকিস্তানের সমাপ্তি টানার পূর্ব লক্ষণ ও বাংলাদেশের উত্থানের কারণ-তার মনে হতো।

বিভিন্ন পরিকল্পনার অগ্রদূত ছিলেন তিনি। পাকিস্তান সরকার সেই দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রা এনে দেবার বিনিময়ে রপ্তানিকারকদের কমিশন দিয়েছিল। আহমেদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘অ্যাংলো-পাক এন্টারপ্রাইজেস’। যেটি লন্ডনের রান্নাঘরগুলোতে কাজ করা অভিবাসী শ্রমিকদের ও নামমাত্র মজুরিতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে বাধ্য হওয়া শ্রমিকদের অতিরিক্ত ও দীর্ঘস্থায়ী লাভ প্রদান করেছিল। পরিপূরক হিসেবে তারা যেন তাদের পরিবারগুলোর কাছে বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারেন সে ব্যবস্থাটি করেছে।

১৯৮২ সালে তার প্রিয়তমা স্ত্রী রোজমেরি মারা যান। ফলে গাঙ্গেজ বিক্রি করে দেন হতাশ ও বিষন্নতায় আক্রান্ত তাসাদ্দুক। চলে গেলেন ইস্ট এন্ডে; এটিই লন্ডনের বাংলাদেশীদের হৃদপিন্ড। এখানে তিনি বিপুল পরিমাণ সংগঠনে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। তবে তার সবই স্বেচ্ছাসেবায়। ব্রাডে সেন্টার থেকে শুরু করে কাজ করেছেন স্পিটালফিল্ডস স্মল বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনে (এসএসবিএ)। ব্রাডে সেন্টার সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো পরিচালনা করতো আর এসএসবিএ স্থানীয় নামমাত্র শ্রমের মজুরদের কম ভাড়ায় আধুনিক বাসা-বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দিত।

এসএসবিএ’র মাধ্যমে তাসাদ্দুক আহমেদ ব্রিটেনের যুবরাজ প্রিন্স চার্লসের একজন বন্ধু হয়ে গেলেন। তারা দুজনেই ইস্ট এন্ডের উন্নয়নের বিষয়ে একই ধরণের পরিকল্পনা করেছিলেন। সেগুলো বিনিময় করেছেন তারা। বিদ্যালয়গুলো থেকে ঝড়ে পড়াদের জন্য সেখানে একটি নৈশ বিদ্যালয় ছিল। নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অল্প বয়সের প্রজন্মটির জন্য ছিল ভাষা শেখার ক্লাসগুলো আর নারীদের জন্য ছিল একটি সামাজিক শিক্ষা কেন্দ্র।

বহু শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষায় জোর দিয়ে তাসাদ্দুক আহমেদ বাঙালিদের যেমন বাংলাদেশী সমাজ থেকে বের করে আনতে পেরেছিলেন, তেমনি বাইরের মানুষদের এই সমাজের ভেতরে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। ১৯৯৮ সালে একটি স্ট্রোক হলো তার। মস্তিস্কের এই রোগে হঠাৎ তার চৈতন্য ও চলাফেরার শক্তি লোপ পেয়েছিল। তার আগ পযন্ত তিনি তার প্রতিদিন স্পিটালফিল্ডস ঘুরে বেড়ানোর কাজটি করে গিয়েছেন। এখানে কাজ করেছেন নিজের ভেতরের অসীম অনুপ্রেরণা, আশাবাদ, মানবতা ও ভালোবাসায়।

বলেছিলেন-‘একজন মানুষের ভেতরের শক্তিকে কখনো দুর্বলভাবে দেখবেন না।’ আরেকবার বলেছেন, ‘একজন দুজনে পরিণত হন ও আপনি বেশিদিন একা থাকেন না। দুজন সাতজনে পরিণত হন ও এটি একটি দলে পরিণত হয়। সাতজন ৭০ জনে রূপ লাভ করে ও এটি একটি আন্দোলনে পরিণত হয়। ফলে আপনি যা করতে চান, তার যেকোনোকিছুই করতে পারেন।’

এত গুণের তাসাদ্দুক আহমেদ একজন রেস্তোরা ব্যবসায়ী হিসেবেও খ্যাতিমান ব্রিটেনে। তবে প্রধান পরিচয় তিনি সে দেশে বাঙালি কমিউনিটির জন্য কাজ করেছেন।

তাকে ১৯৮৯ সালে একজন এমবিই (অর্ডার অব দি ব্রিটিশ এম্পায়ার) পদকে ভূষিত করা হয়। ২০০০ সালে দি ফ্রিডম অব টাওয়ার হ্যামলেটস সম্মাননা গ্রহণ করেন।

২০০১ সালের ২ এপ্রিল মারা গিয়েছেন হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে, ৭৮ বছর বয়সে।

গার্ডিয়ান অবলম্বনে ২৫-১-২০২১।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত