বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১৫ লাখ অভিবাসী নেবে কানাডা, আবেদন করবেন যেভাবে

ছবি: সংগৃহীত

অন্যতম অভিবাসন-বান্ধব দেশ কানাডা আগামী তিন বছরে কমপক্ষে ১৫ লাখ অভিবাসী নেবে । স্থানীয় সময় বুধবার (১ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত নতুন একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করে দেশটির সরকার। দেশটির অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী ম্যাক মিলার জানিয়েছেন করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপ কাটিয়ে ওঠার পর তীব্র কর্মী সঙ্কট মোকাবিলায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) তিনি আগামী তিন বছরে অর্থাৎ ২০২৪ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে কয় ধাপে এই রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী নেওয়া হবে তা বিস্তারিত জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চলতি বছর কানাডা তার বর্তমান অভিবাসন নীতিতে আর কোন পরিবর্তন আনবে না। তবে আগামী তিন বছরকে সামনে রেখে নতুন অভিবাসন নীতি ঘোষণা করা হবে।

বর্তমান অভিবাসন পরিকল্পনা অনুয়াযী, চলতি বছর চার লাখ ৬৫ হাজার অভিবাসী নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে কানাডার। তবে আগামী বছর নতুন করে চার লাখ ৮৫ হাজার অভিবাসী নেবে অটোয়া। আর পরবর্তী দুই বছরে ৫ লাখ করে মোট ১০ লাখ অভিবাসী নেবে কানাডা।

উত্তর আমেরিকার দেশটির অভিবাসনবিষয়ক সরকারি ওয়েবসাইট ‘ইমিগ্রেশন কানাডা’র (ওয়েব সাইট https://www.immigration.ca/canadas-immigration-levels-plan-targets-nearly-1-5-million-newcomers-in-2024-2026/) তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০২৪ সালে অর্থনৈতিক শ্রেণির (ইকোনমিক ক্লাস গ্রো) অধীনে দুই লাখ ৮১ হাজার ১৩৫ অভিবাসী নেবে দেশটি। আর পরবর্তী দুই বছর ২০২৫ ও ২০২৬ সালে এই ক্যাটাগরিতে নেওয়া অভিবাসীর সংখ্যা বছরপ্রতি তিন লাখ এক হাজার ২৫০ জনে উন্নীত করা হবে।

আগামী বছর পারিবারিক শ্রেণীতে (ফ্যামিলি ক্লাস) এক লাখ ১৪ হাজার অভিবাসী নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কানাডা, যা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ২৪ শতাংশ। ২০২৫ ও ২০২৬ সালে এই সংখ্যা বছরপ্রতি হবে এক লাখ ১৮ হাজার।

শরণার্থী ও সুরক্ষিত ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে (রিফিউজি) চলতি বছর ৭৬ হাজার ৩০৫ জন শরণার্থী নিচ্ছে কানাডা। ২০২৪ সালে এই ক্যাটাগরিতে ৭৬ হাজার ১১৫ শরণার্থী নেওয়া হবে। আর ২০২৫ ও ২০২৬ সালে প্রতি বছর ৭২ হাজার ৭৫০ জন শরণার্থী নেবে অটোয়া।

আবার, ২০২৪ সালে মানবিক ক্যাটাগরিতে ১৩ হাজার ৭৫০ জন অভিবাসী নেবে কানাডা। আর ২০২৫ ও ২০২৬ সালে এই ক্যাটাগরিতে অভিবাসন অনুমোদনের সংখ্যা ১৬ লাভ করা হবে (প্রতিবছর ৮ হাজার)।

অভিবাসনবিষয়ক নতুন লেভেল প্ল্যানে এক্সপ্রেস এন্ট্রি ও পিএনপির (প্রভিন্সিয়াল নমিনি প্রোগ্রাম) আওতা বাড়াবে অটোয়া। ২০২৪ সালে এক্সপ্রেস এন্ট্রির মাধ্যমে এক লাখ ১০ হাজার ৭৭০ জনকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেবে দেশটির ফেডারেল সরকার। ২০২৫-২০২৬ সালে এই সংখ্যা বছরপ্রতি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ জনে উন্নীত করা হবে।

এদিকে, প্রাদেশিকভাবে (পিএনপি) ২০২৪ সালের জন্য কানাডার লক্ষ্যমাত্রা হলো ১ লাখ ১০ হাজার। তবে ২০২৫-২০২৬ সালে এই ক্যাটাগরিতে প্রতি বছর ১ লাখ ২০ হাজার অভিবাসী কানাডায় স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পাবে। অন্যদিকে, ২০২৪ সালে ফ্যামিলি রিইউনিফেকেশন বা ফ্যামিলি ক্লাস স্পন্সরশিপ (স্বামী-স্ত্রী, পার্টনার ও সন্তানের জন্য স্পন্সরশিপ) প্রোগ্রামের আওতায় ৮২ হাজার অভিবাসী নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে কানাডা। আর ২০২৫-২০২৬ সালে এই ক্যাটাগরিতে প্রতি বছর ৮৪ হাজার জন্য অভিবাসন নেবে উত্তর আমেরিকার এ দেশ। আবার বাবা-মা, দাদা-দাদির জন্য পিজিপি প্রোগ্রামের আওতায় ২০২৪ সালের মধ্যে ৩২ হাজার অভিবাসী নেবে কানাডা। পরবর্তী দুই বছরেও এই সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকবে।

কানাডার ফেডারেল সিস্টেমের বাইরে থাকা কুইবেক প্রদেশও শনিবার (৪ অক্টোবর) অভিবাসন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ফরাসি ভাষা অধ্যুষিত এ প্রদেশ ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে তারা ১ লাখ অভিবাসী নেবে। কুইবেক কানাডার একমাত্র প্রদেশ, যাদের এককভাবে স্থায়ী অভিবাসী নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

অভিবাসীদের দেশ কানাডায় প্রতিবছর গড়ে তিন থেকে চার লাখ মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এসে বসবাস করেন। কেউ আসেন সরাসরি পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি ভিসা নিয়ে, কেউ শিক্ষার্থী হিসেবে পড়তে এসে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি নিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি নিয়ে এই দেশে থেকে যান। অনেকে নিজ দেশে বিভিন্ন সমস্যার কারণে রিফিউজি হিসেবে কানাডায় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। কেউ ভিজিট ভিসায় এসে চলে যান। আর অনেকে আসেন ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে। ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কয়েক বছর কাজ করার পর তারা নাগরিকত্ব লাভ করে।

উন্নত জীবনযাপন, চাকরি বা পড়াশুনার জন্য কানাডা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দেশ। জীবন মানের বিবেচনায় কানাডা অবস্থান শীর্ষ তিনে। কানাডা বিশ্বের অভিবাসিদের এক নম্বর পছন্দনীয় দেশ হিসেবে এরই মধ্যে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। আয়তনের তুলনায় দেশটিতে জনসংখ্যা কম এবং রাজনৈতিক বন্ধুত্বপূর্ণ সংস্কৃতির কারণে সেখানে বসবাসকারীরা নিরাপদ ও সুখী জীবনযাপন করেন। এজন্য পৃথিবীর বহু দেশ থেকে মানুষ কানাডা যাওয়ার চেষ্টা করে। দেশটিতে বর্তমানে ৩ কোটি ৮২ লাখ মানুষ বসবাস করে। যাদের মাথাপিছু আয় ৫২ হাজার ৮০ ডলার। দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) হচ্ছে প্রায় ২ হাজার বিলিয়ন ডলার।

উন্নত বিশ্বের দেশ থেকেও অনেক মানুষ কানাডায় অভিবাসী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন পূরণে অনেক সময় অবৈধ উপায় অবলম্বন করে নানা হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হয়। তবে অবৈধ পথে না গিয়ে বৈধভাবে কানাডা যাওয়ার নানা উপায় রয়েছে। বৈধভাবে বাংলাদেশিদেরও কানাডা যাওয়ার বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। কানাডা যাওয়ার সহজ ১০ উপায়ের অন্যতম হচ্ছে এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রাম। নতুন অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সব থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাসের জন্য একটি পথ হলো এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রাম। এটি একটি সহজ প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি কানাডায় অভিবাসন ও কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা হতে পারেন।

কানাডার অভিবাসন নীতিমালায় একটি কার্যকর উপায় হচ্ছে পরিবারের সদস্যের আমন্ত্রণে সেখানে যাওয়া যাকে বলে ফ্যামিলি রিইউনিফেকেশন বা ফ্যামিলি ক্লাস স্পন্সরশিপ। এর মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা স্থায়ীভাবে বসবাসের আমন্ত্রণ জানাতে পারে।

অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী ওয়ার্ক ভিসায় আবেদন করে কানাডায় চাকরির অফার নিয়ে যান। এই ক্ষেত্রে তাকে লেবার মার্কেট ইম্প্যাক্ট এসেসমেন্ট (এলএমআইএ) এর আওতায় আবেদন জমা দিতে হবে। এটি অপেক্ষাকৃত কঠিন প্রক্রিয়া। তবে এর মাধ্যমে কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া সহজ হয়।

কানাডায় অভিবাসী হওয়ার ক্ষেত্রে পিএনপি এখন জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কানাডার প্রদেশ যেমন আলবার্টা, অন্টারিও, ব্রিটিশ কলাম্বিয়াসহ অন্যান্য প্রদেশের নিজস্ব অভিবাসন নীতিমালা রয়েছে। ফেডারেল নীতিমালার চেয়ে এই পদ্ধতিতে অনেক দ্রুত অভিবাসী হওয়া যায়। তবে এ ক্ষেত্রে কানাডায় যাওয়ার পর তাকে ওই নির্দিষ্ট প্রদেশেই বসবাস করতে হবে।

১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী যুবকরা ইন্টারন্যাশনাল এক্সপেরিয়েন্স কানাডা (আইইসি) এর আওতায় চাকুরির অফার লেটার ছাড়াই কানাডা যেতে পারে। তবে এই সুবিধা যেকোনো দেশের নাগরিকের জন্য নয়। কানাডায় দক্ষ কর্মী নেয়ার জন্য বিশেষ ভিসার সুবিধা চালু রয়েছে। ৩৪৭টি পেশায় এই জনবল নিয়ে থাকে কানাডা। এর মধ্যে রয়েছে, হেয়ার স্টাইলিস্ট (নরসুন্দর), বিক্রয় কর্মী এবং প্রশাসনিক সহকারী।

কানাডা যাওয়া আরেকটি সহজ প্রক্রিয়া স্ট্যাডি ভিসা। তবে এজন্য আপনাকে কানাডার কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া আগেই সেরে ফেলতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি সেখানে চাকুরি করতে পারবেন শুধুমাত্র যে স্টেটে আপনি পড়ালেখা করছেন সেই স্টেটে। এই সুযোগ পৃথিবীর সব দেশের জন্য রয়েছে।

ভ্রমণ ভিসায় কানাডা যাওয়া সহজ। তবে ভিসা পাওয়া একটু কঠিন। ছুটি কাটাতে বা ভ্রমণ করতে যারা কানাডা যেতে চান তাদের ভিসা দিয়ে থাকে।

কানাডা সরকার আগামী এক বছরে ইকোনমিক প্রোগ্রাম মোট ১ লাখ ৯১ হাজার ৬০০ অভিবাসী নেবে।

কারো যদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে এবং তিনি কানাডায় ব্যবসা শুরু করতে চায় তাহলে কানাডা যাওয়া তার জন্য সহজ। তবে কেউ যদি কানাডায় ব্যবসা করতে না চায় তবে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কানাডার কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চুক্তি থাকে তবে কানাডায় যেতে পারবেন।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া