সিটি নির্বাচন রেখে যুক্তরাজ্যে দাওয়াতে ব্যস্ত জাকির
চারদিকে নির্বাচনের ডামাঢোল। কেন্দ্রীয় নেতারা আসছেন অভ্যন্তরীণ বিরোধ মিটিয়ে দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করতে। কিন্তু সিলেট মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হয়েও তার দেখা নেই। তিনি যুক্তরাজ্যে ব্যস্ত দাওয়াত, আপ্যায়নে। এই দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হলেন— সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। এনিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে এক ডজন প্রার্থীর সঙ্গে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনও প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচন কমিশন তারিখ ঘোষণার আগে তিনি যুক্তরাজ্যে ছিলেন। তারিখ ঘোষণার পর তড়িঘড়ি করে দেশে ফিরেন। দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেন। কিন্তু মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পান যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। মনোনয়ন না পেয়ে আবার দেশের বাইরে চলে যান অধ্যাপক জাকির হোসেন।
দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও আওয়ামী লীগে কিছুটা অভ্যন্তরীণ বিরোধ দেখা দেয়। প্রার্থিতা নিয়ে মনোনয়ন বঞ্চিতদের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ দেখা দেয়। বিরোধ মেটাতে সিলেট-১ আসনের এমপি ড. আব্দুল মোমেন জেলা ও মহানগর নেতাদের নিয়ে সভা করেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের উপস্থিতিতে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মূলত দলীয় ঐক্য মজবুদ ও দলীয় প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতেই দুটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ দুটি সমাবেশেই অনুপস্থিত ছিলেন মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।
সিটি করপোরেশনের মত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন বাদ দিয়ে তিনি সপরিবারে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। ঈদুল ফিতরও যুক্তরাজ্যে পালন করেন। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশিদের বাসায় দাওয়াত, আপ্যায়নে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। তার দাওয়াত খাওয়ার হাস্যজ্জ্বল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
নির্বাচনের এমন সময়ে অধ্যাপক জাকিরের যুক্তরাজ্যে অবস্থানে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দলীয় নেতা বলেন, তিনি নিজেও মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন, মনোনয়ন না পেয়ে দেশের বাইরে চলে গেছেন। নেতা-কর্মীরা নির্বাচন সামনে রেখে ঘরে ঘরে যাচ্ছেন, সভা সমাবেশ করছেন। অথচ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হয়েও তিনি দেশের বাইরে দাওয়াত খেতে ব্যস্ত। বিষয়টি দলের জন্য বিব্রতকর।
আরএ/