লুটন কাউন্সিল নির্বাচন: কাউন্সিলর পদে ২১ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত
যুক্তরাজ্যের লুটন বারা কাউন্সিলের আসন্ন নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কনজারভেটিভ, লেভারপার্টি, লিবডেম, স্বতন্ত্রসহ ২১ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে নির্বাচনী লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন। আগামী ৪ মে বারা কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
যুক্তরাজ্যের অন্যতম বাংলাদেশি প্রবাসী অধ্যুষিত শহর ব্যারিপার্ক। লুটন কাউন্সিল বর্তমানে লেবারপার্টির নিয়ন্ত্রিত। আসন্ন নির্বাচনে ২০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কনজারভেটিভ ছাড়াও লেভার পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেট (লিভডেম) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে রয়েছেন ২১ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে কনজারভেটিভের ৩ জন, লেভারপার্টির ১১ জন, লিভডেমের ২ জন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন ৫ জন। বাঙালি ভোটাদের টার্গেট করে এসব প্রার্থী জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রার্থীদের প্রচারণায় সরগরম বাঙালিপাড়াগুলো।
বিচ হিল ওয়ার্ডের লিবারেল ডেমোক্রেটের (লিভডেম) মাহবুবুল কারীম সুয়েদ বলেন, আমি বাঙালিপাড়া খ্যাত ব্যারিপার্ক এলাকার বিচ হিল ওয়ার্ডের প্রার্থী, আমি বাংলাদেশিসহ সবার ভোট ও সহযোগিতা কামনা করছি। নির্বাচিত হলে পর্যাপ্ত পার্কিং, পরিচ্ছন্নতা, আবাসন সমস্যা নিরসনসহ কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
ব্রামিংহাম ওয়ার্ডের কনজারভেটিভের প্রার্থী আজিজ আম্বিয়া বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এই ওয়ার্ডে বসবাস করছি, কমিউনিটির মানুষের সঙ্গে কাজ করছি। আমাকে নির্বাচিত করলে বয়স্ক মানুষ, তরুণদের নানা সমস্যা, যেমন- মানসিক ও চাকরির সমস্যার সমাধান এবং গ্যাং ক্রাইম প্রতিরোধে কাজ করব।
নর্থওয়েল ওয়ার্ডের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হুসেন বলেন, আমার ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা বড় সমস্যা। এ ছাড়া মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করলেও কোনোমসজিদ নেই। আমি নির্বাচিত হলে বিষয় দুটিতে গুরুত্ব দেব।
নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদেরও উৎসাহের কমতি নেই। বিচ হিল ওয়ার্ডের ভোটার মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, বাংলাদেশিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ আমাদের জন্য গর্বের ও আনন্দের। ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত। আমাদের দাবি, তারা নির্বাচিত হয়ে যেন বাঙালি কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করেন।
ডালু ওয়ার্ডের ভোটার মোহাম্মদ আলম অপু বলেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে তাদের গুরুত্ব ও প্রভাব বাড়বে।
এসজি