শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নিউইয়র্কে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে এক নম্বর সেক্টর কমাণ্ডের আওতায় গঠিত মাউন্টেইন ব্যাটালিয়ান কমাণ্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গন ও গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে দলীয় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার দাবির সঙ্গে এবার উচ্চারণ করেছেন আইন শৃঙ্খলা ও বিচার ব্যবস্থাকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখার দাবি।

তিনি বলেন, প্রতিটি বাংলাদেশির প্রাণের স্লোগান হওয়া উচিৎ ‘জয় বাংলা, জয় বাংলাদেশ।’ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবস উপলক্ষে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইউনিভার্সিটিজ আয়োজিত ‘বিজয়ের বায়ান্ন’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

উডসাইটের গুলশান টেরাসে নিউইয়র্কের পথিকৃৎ হোম কেয়ার প্রতিষ্ঠান বাংলা সিডিপাপ ও অ্যালেগ্রা যৌথভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে ওই অনুষ্ঠানের।

আবু জাফর মাহমুদ বলেন, সন্তানের ভ্রুণ থেকে শুরু করে প্রসব পর্যন্ত যে যন্ত্রণা, যে ভালোবাসা ও পরীক্ষা তা প্রতিটি মা উপলব্ধি করেন। সন্তান পৃথিবীর আলো দেখে বড় হয় পুরোটাই মায়ের মমতা ও যত্নে। মায়ের চেয়ে ভালো আর কেউ বোঝে না। এই সত্য প্রত্যেক জাতির সঙ্গেও মিলে যায়। কিন্তু আমাদের দেশে যারা যুদ্ধ করেছেন, যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা বাংলাদেশের সরকার গঠন করতে পারেননি। তাদেরকে দিয়ে আমরা সরকার গঠন করিনি। আমাদের ছিল না রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা। আমাদের কেউ মন্ত্রী ছিলেন না।

একমাত্র বঙ্গবন্ধু মন্ত্রী ছিলেন পাকিস্তান সরকারের, তাও কিছুদিনের জন্য। আমরা পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লির মেম্বার পর্যন্ত ছিলাম না। পূর্ব অভিজ্ঞতা ব্যতিরেকেই আমাদের বড় ভায়েরা সরকার গঠন করেন। তারাই আমাদের মুরুব্বি। আমরা তাদেরকেই মেনেছি। আমরা মেনে মেনেই এ পর্যন্ত এসেছি। এর ভেতরেই আমরা অনেক মূল্যবান সম্পদ হারিয়েছি। বহু জীবন হারিয়েছি। বহু নেতা ও মুরুব্বিদের হারিয়েছি।

জাফর নিজের জীবনচিন্তা ও ধর্মানুভূতির কথা তুলে ধরে বলেন, জাকাত দিলে সম্পদ পবিত্র হয়, আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন তা পবিত্র হয়। কিন্তু আল্লাহ যে জ্ঞান দিয়েছেন, যে ভালোবাসা দিয়েছেন তার জন্য কী করেছি, তার জাকাত কী? আমি বিশ্বাস করি, সেই জাকাতটিই হচ্ছে দেশের জন্য নিবেদিত হওয়া। সেই তাগিদ ও কর্তব্যের তাড়না থেকে, নতুন প্রজন্মের সামনে দেশপ্রেমের আদর্শ তুলে ধরার প্রয়াস হিসেবে, মহান মুক্তিযুদ্ধের শুদ্ধ ইতিহাস তুলে ধরার চিন্তা থেকেই এই আয়োজন।

তিনি ষাটের দশকের দূরদর্শী ছাত্রনেতা সিরাজুল আলম খানের কথা তুলে ধরে বলেন, তিনি জয় বাংলা স্লোগান তুলে গোটা ছাত্রসমাজকে আন্দোলিত করে গোটা জাতির মধ্যে তার প্রভাব ছড়িয়ে দেন। সেই শক্তির রেশ এখনও চলছে। কিন্তু আজকে ভারতের বাঙালিরাও ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়।

জাফর বলেন, আমরা আমাদের রাষ্ট্রগঠন করেছি, আমরাই আমাদের পতাকা নির্ধারণ করেছি, আমরাই আমাদের জাতীয় সংগীত নিয়েছি। তাই জয় বাংলা স্লোগান যখন দেন, তা যদি ভালোবেসে দেন, তাহলে তার সঙ্গে অবশ্যই রাষ্ট্র থাকতে হবে। বাংলাদেশ থাকতে হবে। জয় বাংলার পাশাপাশি স্লোগান হতে হবে ‘জয় বাংলাদেশ’। এটিই প্রতিটি বাংলাদেশির শ্লোগান।

অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জল ইতিহাস নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে নির্ধারিত সম্মাণিত অতিথি নিউইয়র্কের মেয়র এরিক এডাম্স উপস্থিত হতে না পারায় তার প্রতিনিধি ডেপুটি কমিশনার দিলিপ চৌহান যোগ দেন। তিনি অভিবাসীদের সুযোগ ও স্বপ্ন পুরণের প্রশ্নে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শহর নিউইয়র্কে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উদযাপনের ব্যতিক্রমী ও বর্ণাঢ্য আয়োজনকে দৃষ্টান্তমূলক বলে অভিহিত করেন।

তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদের হাতে মেয়র এরিক অ্যাডামসের পক্ষ থেকে প্রদত্ত সম্মানসূচক ‘রিসাইটেশন’ প্রদান করেন। দিলিপ চৌহান জানান, এটি মেয়রের পক্ষ থেকে দেয়া সর্বোচ্চ সম্মাননা। সেসময় মেয়রের জন্যও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইউনিভার্সিটিজ এর বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ড. ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক আজকাল-এর প্রধান সম্পাদক মনজুর আহমেদ, টাইম টিভি ইউএসএ’র সত্তাধিকারী ও বাংলা পত্রিকা সম্পাদক আবু তাহের, সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, নিউইয়র্ক মেয়রের উপদেষ্টা ফাহাদ সোলাইমান, জাতীয় চ্যাম্পিয়ন শুটার ও অলিম্পিয়ান এস এম ফেরদৌস, চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি কাজী আযম, সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, মূল ধারার রাজনীতিক মামনুনুল হক, অধ্যাপক এম রহমান সুজন, প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ডা. চৌধুরী সারওয়ার হাসান, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদব মনোয়ারুল ইসলাম, সাপ্তাহিক জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদারসহ নিউইয়র্কে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ধর্ম ও মানবতার বাণী প্রচার করা হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাদিক, বাইবেল থেকে পাঠ করেন রেভারেন্ড জেমস রয় এবং রামায়ণ ও গীতার শ্লোক থেকে আলোচনা করেন রাশেশ্বরী গোল্লাপুরি।

আলোচনা পর্ব শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গানসহ জনপ্রিয় সব দেশগান পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পী রিজিয়া পারভীন ও চন্দন চৌধুরি। আবৃত্তি করেন অভিনয় শিল্পী ও আবৃত্তিকার টনি ডায়েস ও মোস্তফা কামাল। নৃত্য পরিবেশন করেন প্রিয়া ডায়েস।

এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের