চলতি বছরের প্রথম তুষারপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনজীবন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (জানুয়ারি ৬) মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া তুষারপাত চলে শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত।
নিউ ইয়র্কসহ পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ১০-১২ ইঞ্চির বেশি বরফের স্তরে ঢেকে যায় রাস্তাঘাট। হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা প্রবাহিত হওয়ায় মানুষের স্বভাবিক চলাচলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
দশ ঘণ্টার লাগাতার তুষারপাতে ইতিমধ্যে অন্তত শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। রাস্তায় যানবাহন আটকে আছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস বন্ধসহ বহু বিমানের সময়সূচি বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছরে এটাই প্রথম বড় তুষারপাত বলে স্থানীয়রা উল্লেখ করেছেন।
ভয়াবহ এই তুষারপাতের পূর্বাভাসের পরই বিভিন্ন নগরের মেয়ররা নানা দিক নির্দেশনা জারি করেন। তারা বলেন, ‘সবাই ঘরে থাকুন। রাস্তাকে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন, যাতে জরুরি সেবা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। কোনো ভুল করবেন না।'
তুষারপাতের সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা বাতাস অধিকাংশ বাসিন্দাকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের অর্ধেকেরও বেশি অঙ্গরাজ্যে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেছে। তুষারপাত চলাকালে তাপমাত্রা ছিল অনেক কম। তবে বাতাসের কারণে এই ঠান্ডা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। এই সময়ে বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৫০ মাইল।
ওবায়দুল কাদের দেশেই আছেন দাবি সাংবাদিক ইলিয়াসের। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশেই আছেন বলে দাবি করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন। তিনি সোমবার (৩ মার্চ) সকালে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এই দাবি করেন।
পোস্টে ইলিয়াস হোসাইন বলেন, "অত্যন্ত বিশ্বস্ত সূত্রে জেনেছি, ওবায়দুল কাদের দেশেই আছেন। তিনি দেশ ছেড়েছেন কিংবা মারা গিয়েছেন এসব খবর পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে।"
এর আগে, ওবায়দুল কাদের মারা গেছেন- এই দাবিতে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে ৩টি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তবে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার এ তথ্যটি মিথ্যা বলে জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উক্ত গণমাধ্যমগুলো কোনো ফটোকার্ড কিংবা সংবাদ প্রকাশ করেনি। বরং সেসব গণমাধ্যমগুলোর ডিজাইন নকল করে আলোচিত ফটোকার্ডগুলো প্রচার করা হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে, এ ধরনের দাবিগুলোর সত্যতা যাচাইয়ের পর কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া যায়নি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছিল ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক এক প্রতিবাদের দিন। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সারা দেশের মতো রাজধানী ঢাকার বাড্ডায়ও ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়। সেই আন্দোলনে অংশ নেন সিএনজি চালক সুজন।
সকাল ৯টায় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পর সকাল ১০টার দিকে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় পাশে থাকা এক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে সুজন নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাকে উদ্ধারে এগিয়ে যান। তখন পুলিশের ছররা গুলিতে তার শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা অজ্ঞান অবস্থায় দেয়ালের পাশে পড়ে থাকেন তিনি। বিকেল ৪টার দিকে নিরাপত্তা বাহিনীর তাণ্ডব কিছুটা কমলে তিনটি বাসার দেয়াল ভেঙে তাকে উদ্ধার করে আফতাব নগরের নাগরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা না পেয়ে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অতিরিক্ত আহতদের ভিড়ে সেখানেও ভর্তি না হওয়ায় তাকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় সরকারি চিকিৎসা সেবা পেলেও অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসা সম্ভব হয়নি।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আকালু গ্রামের বাসিন্দা সুজনের বাবা মৃত আনছের আলী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি বড় এবং পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। বাবাকে হারানোর পর পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে প্রাইমারি স্কুলের পড়াশোনা ছেড়ে ঢাকায় রিকশা চালানো শুরু করেন। পরে তিনি সিএনজি চালানো শুরু করেন এবং জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি অলোয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিএনপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতেন।
বাড্ডার ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন সুজন। তার শরীরে এখনো প্রায় ৩০০ স্প্লিন্টার রয়েছে। চলাফেরা করতে পারলেও প্রচণ্ড ব্যথার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপন অসম্ভব হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, “আমি দরিদ্র মানুষ, কিন্তু অন্যায় সহ্য করতে পারি না। তাই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে গিয়েছিলাম। পুলিশের একতরফা গুলিতে ২৯৬টি স্প্লিন্টার আমার শরীরে লাগে। পরে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জ্ঞান ফেরে। এখনো শরীরে গুলির স্প্লিন্টার নিয়ে বেঁচে আছি, কিন্তু উন্নত চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাচ্ছি।”
অর্থাভাবের কারণে সুজন ও তার পরিবার চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে। তার স্ত্রী নূপুর বলেন, “আমার স্বামী আহত হওয়ার পর থেকেই সংসারে কোনো আয় নেই। বাবার বাড়ি বরিশাল থেকে ধার করে মাত্র ৮০০ টাকা সংগ্রহ করে ঢাকায় স্বামীকে উদ্ধার করতে যাই। এখন শ্বশুরবাড়ির মানুষদের কাছ থেকে ধার করে খেতে হচ্ছে। অনেক সময় রান্নার চুলো জ্বলে না। আমাদের তিন সন্তানের লেখাপড়াও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। আমার স্বামী পঙ্গু হয়ে পড়েছে, শাশুড়িও প্যারালাইসিসে ভুগছেন। সংসার চালানোর মতো কোনো উপায় নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সম্পদ বলতে মাত্র তিন শতাংশ জমিতে জরাজীর্ণ একটি ছোট ঘর, যা যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। উপজেলা প্রশাসন থেকে একবার কিছু সহায়তা পেয়েছিলাম, যা তখন কাজে লেগেছিল। কিন্তু এখন কোনো সাহায্য পাচ্ছি না, ফলে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. পপি খাতুন বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এ উপজেলায় একজন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছেন। সরকারি ও ব্যক্তিগতভাবে আহতদের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তবে এখনো কর্মসংস্থানের কোনো সরকারি নির্দেশনা আসেনি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে আহতরা কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হন।”
ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
আহত সুজন তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন। তাকে বিকাশ (০১৯২১-৬৯৪০৯১) অথবা সোনালী ব্যাংকের ভূঞাপুর শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর (৬০০৩৮০১০২২৩৫৩) -এর মাধ্যমে সহায়তা পাঠানো যেতে পারে।
দেশের বিভিন্ন কোল্ড স্টোরেজে আলু সংরক্ষণের সর্বোচ্চ ভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, কৃষি বিপণন আইনের ক্ষমতাবলে এই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন চলতি মৌসুমে প্রতিকেজি আলুর ভাড়া ৮ টাকা নির্ধারণের কথা জানিয়েছিল। সংগঠনটির সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু দাবি করেন, ২০২৫ সালের খরচ বিবেচনায় এই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি ব্যাখ্যায় বলেন, “১০ হাজার মেট্রিক টনের একটি হিমাগারে ব্যাংক ঋণের সুদ কেজিপ্রতি আলু সংরক্ষণের খরচ হিসেবে রূপান্তর করলে তা দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৮৬ টাকা। এর সঙ্গে বিদ্যুৎ খরচ ১ দশমিক ১০ টাকা যোগ করলে মোট খরচ হয় ৬ দশমিক ৯৬ টাকা।”
এর আগে, হিমাগারে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজশাহী, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর ও বগুড়ার কৃষকরা সড়কে আলু ফেলে বিক্ষোভ করেন।