বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, দেশের দুর্বল শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। বুধবার (৯ এপ্রিল) দশম বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলোর মধ্যে যেগুলো সমস্যাজর্জরিত, সেগুলোকে মার্জার বা একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
গভর্নর জানান, "ইসলামী ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং অনেক ব্যাংকই ঝামেলার মধ্যে রয়েছে। তবে এগুলোর একীভূত করার প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।" তিনি আরও বলেন, "বৈশ্বিক স্তরের ইসলামী ব্যাংকিং মডেল অনুসরণ করতে আমরা কাজ করছি এবং এই জন্য যথাযথ রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।"
গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার উদ্যোগ নেয় এবং এর আওতায় ১০টি দুর্বল ব্যাংককে মার্জার করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে ক্ষমতার পরিবর্তন এবং সরকারের পরিবর্তনের পর এই প্রক্রিয়া কিছুটা থমকে যায়। গভর্নর জানিয়েছেন, এবার এই উদ্যোগ পুনরায় চলমান রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, "যেসব ব্যাংকের বোর্ড কার্যকরভাবে কাজ করছে না, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেই ব্যাংকের বোর্ডে হস্তক্ষেপ করবে।"
এছাড়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এর মধ্যে ব্যাংকিং কোম্পানি আইন সংশোধন এবং ব্যাংক পরিচালনায় শাসনপদ্ধতিতে উন্নতি আনার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, "ব্যাংকের বোর্ড সদস্যদের যোগ্যতা যাচাই করা হবে এবং তা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে করা হবে।"
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরই মধ্যে কিছু ব্যাংকের কার্যক্রম পরিবর্তন করতে সফল হয়েছে এবং ব্যাংকিং খাতের উন্নতির জন্য আরও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, ডিজিটাল ব্যাংকিং এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) লেনদেন বৃদ্ধির প্রসঙ্গেও গভর্নর আশাবাদী, এবং ভবিষ্যতে এই সেক্টর থেকে আরও উন্নতির প্রত্যাশা করেছেন।
তিনি জানান, এজেন্ট ব্যাংকিংকে আরও শক্তিশালী করা হবে এবং নারীদের জন্য ৫০ শতাংশ এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সুযোগ দেওয়া হবে।