নিউ ইয়র্কে ডেমোক্রেট প্রাইমারি নির্বাচনে ৫ বাংলাদেশির জয়
নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজের ডেমোক্রেট প্রাইমারি নির্বাচনে অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ২৪ আসনে বিভিন্ন পদে ৫ জন বাংলাদেশি-আমেরিকান জয়ী হয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ জুন) প্রাইমারি নির্বাচনে স্ব স্ব দলের পক্ষ থেকে তারা নির্বাচিত হন।
জয়ী বাংলাদেশিরা হলেন—জামিলা উদ্দিন, মাহতাব খান, নুসরাত আলম, মোহাম্মদ সাবুল উদ্দিন ও জামি কাজী। আরেক বাংলাদেশি আমেরিকান প্রার্থী মাজেদা উদ্দিন ভালো ফল করলেও তার ভাগ্য ঝুলে আছে। অর্থাৎ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমান ভোট পেয়েছেন তিনি। এই পদে কে জয়ী হবেন তা নির্ভর করছে অ্যাবসেন্টি ব্যালট গণনার উপর।
অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ২৪ থেকে স্টেট কমিটির নেত্রী পদে বাংলাদেশি জামিলা উদ্দিন ২৩৩১ ভোট পেয়ে জয়ের পথে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামিয়া ভাট পেয়েছেন ১৫০৩ ভোট। ডিস্টিক্ট ২৪ থেকে জুডিশিয়াল ডেমোক্রেট প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন বাংলাদেশি আমেরিকান জামি কাজী (১৭৩৩ ভোট), মোহাম্মদ সাবুল উদ্দিন (১৬৭৮), মাহতাব খান (১৬১৮ ভোট) ও নুসরাত আলম (১৫০৩ ভোট)। জামিলা উদ্দিন অ্যাসাল প্রেসিডেন্ট মাফ মিসবা ও ডিস্ট্রিক্ট লিডার প্রার্থী মাজেদা উদ্দিনের কন্যা।
অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ২৪বি থেকে ডিস্ট্রিক্ট লিডার (নারী) প্রার্থী মাজেদা উদ্দিন পেয়েছেন ৫৯০ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রাবনিত কৌর পেয়েছেন সমানসংখ্যক ৫৯০ ভোট। এই পদে শতকরা ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে।
২৮ জুন মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গভর্নর, লেফটেন্যান্ট গভর্নর, অ্যাসেম্বলি মেম্বার, ডিস্ট্রিক্ট লিডার ও জুডিশিয়াল ডেলিগেটসহ ১৫টি পদে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান ডেমোক্রেট ভোটাররা। অন্যদিকে শুধুমাত্র গভর্নর, ডিস্ট্রিক্ট ৬৩ থেকে অ্যাসেম্বলি মেম্বার এবং ৭১টি কাউন্টি কমিটি পদে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান রিপাবলিকান ভোটাররা।
ডেমোক্রেট গভর্নর পদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান গভর্নর ক্যাথি হোকুল। লেফটেন্যান্ট গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন অ্যান্তেনিও ডেলগাডো।
নিউইয়র্ক স্টেটের এই নির্বাচনে আসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ২৪ বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এই আসনের বিভিন্ন পদে একাধিক বাংলাদেশি প্রতিদ্বদ্বিতা করেন। এখানে প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশি-আমেরিকান ভোটার রয়েছেন। তাদের অর্ধেক ভোটার ভোটকেন্দ্রে গেলে বাংলাদেশি প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনা প্রবল ছিল। কিন্তু বাংলাদেশিদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে অনীহা রয়েই গেছে। যার ফলে বিজয়ের সম্ভাবনা থাকার পরও ভালো ফল করতে পারেননি তারা।
আরএ/