স্পেনে রেমিট্যান্স পাঠাতে উদ্বুদ্ধকরণ সভা
বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে উদ্বুদ্ধকরণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে স্পেনের মাদ্রিদে অবস্থিত বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাকক্ষে।
বুধবার (২২ জুন) বেলা ১১টায় মাদ্রিদের বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন স্পেন এর সভাপতি আল মামুনসহ স্পেনে রেমিট্যান্স ব্যবসা পরিচালনাকারী নেতারা ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন, স্পেনে প্রায় ৫০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করছেন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে সমৃদ্ধ হয় বাংলাদেশের অর্থনীতি। স্পেন থেকে বাংলাদেশে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রতি বছর বাড়ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্পেন থেকে ৪৪ দশমিক ৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৩ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এ ছাড়া স্পেন সোর্স কান্ট্রি হিসেবে ২৩তম স্থান অধিকার করে।
তিনি আরও বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত প্রবাসী আয় পাঠানোর পরিমাণ ৫৭ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ সরকার রেমিট্যান্স পাঠাতে আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে পাঠানো রেমিট্যান্সের উপর ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধভাবে পাঠানো রেমিট্যান্সের জন্য এ প্রণোদনা প্রযোজ্য হবে।
তিনি বলেন, আমাদের জাতির গর্ব পদ্মা সেতু আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে আমরা নিজেরাই পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও যার গর্বিত অংশীদার। তিনি জাতির এ অর্জনে সব প্রবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ী ও প্রবাসীরা বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে নানা ধরনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন ব্রেক্সিটের পর বৃটেন ভিত্তিক রেমিট্যান্স হাউজগুলো স্পেনে কাজ করতে না পারায় দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে কিছু সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি একজন ব্যক্তির রেমিট্যান্স পাঠাতে ত্রৈমাসিক একটি সিলিং থাকায় এর বেশি পাঠানো সম্ভব হয় না। রাষ্ট্রদূত এসব সমস্যা সমাধানে স্পেন ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দেন।
তিনি স্পেন প্রবাসীদের বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করতে রেমিট্যান্স পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করেন। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বাংলাদেশে সর্বাধিক রেমিট্যান্স পাঠানো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
এসএন