বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ফোবানার বিলুপ্ত কমিটির শীর্ষ চারজনকে বহিষ্কার

ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকার (ফোবানা) বিলুপ্ত কমিটির চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ও জয়েন্ট সেক্রেটারিকে সংগঠনটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শীকাগোতে অনুষ্ঠিতব্য ৩৬তম ফোবানা সম্মেলন বাতিল ঘোষণা করে লস এঞ্জেলেসে সম্মেলনটি আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্প্রতি এক্সিকিউটিভ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।

মঙ্গলবার (২১ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা ফোবানার বিলুপ্ত কমিটির চেয়ারম্যান রেহান রেজা ও এক্সেকিউটিভ সেক্রেটারি মাসুদ রব চৌধুরীকে গুরুতর সাংগঠনিক অপকর্মের জন্য আজীবনের জন্য ফোবানা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান এম মাওলা দিলু ও জয়েন্ট সেক্রেটারি নাহিদুল খান সাহেলকে নানা অনৈতিক ও অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের জন্য ফোবানা থেকে ৫ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। গত পহেলা জুন ফোবানার সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম এজিএম এর দুই তৃতীয়াংশ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।

একই সভায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শীকাগোতে অনুষ্ঠিতব্য ৩৬তম ফোবানা সম্মেলন বাতিল ঘোষণা করে লস এঞ্জেলেসে সম্মেলনটি আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হয়।

বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান রেহান রেজার বিরুদ্ধে আনীত ও প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, ২০১৯ সালে সব চেয়ারম্যানদের মতামত ও অনুরোধ উপেক্ষা করে রেহান রেজা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হওয়ার পর থেকে বিগত বছরগুলোতে ফোবানার ভেতর বিভক্তির সৃষ্টি, স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে জোট বেঁধে গত বছর মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সম্মেলন বানচালের ষড়যন্ত্র, সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা, ফোবানার কার্যক্রম পরিচলানায় বাধা প্রদান, ফোবানাকে দুই ভাগ করার প্রকাশ্য ঘোষণা, চেয়ারম্যান সিলেক্ট হওয়ার পর থেকে ফোবানার ভেতর নোংরা গ্রুপিং সৃষ্টি করে ফোবানার পুরনো পরীক্ষিত নেতাদের ফোবানা থেকে বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র, অন্যায় ও অবৈধভাবে ফোবানা থেকে সদস্যদের বাদ দেয়া, উত্তর আমেরিকার জনপ্রিয় সংগঠগুলোকে বাদ দেয়ার নীলনকশা, ফোবানাকে করপোরেট সংগঠনে পরিণত করার অপচেষ্টা, চেয়ারম্যানের শপথ ভঙ্গ করে পরবর্তী নির্বাচনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা, চেয়ারম্যান হিসাবে সংগঠনকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে অসাধু এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারির প্রেসক্রিপশনে সংগঠন পরিচালনা করা, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা গিয়ে ফোবানার নাম ব্যবহার করে বেপোরোয়া চাঁদাবাজি, আদম ব্যবসাসহ বিভিন্ন অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ও ফোবানার ভেতরে বাইরে কোন্দলের সৃষ্টি করে ফোবানাতে ভাঙন সৃষ্টিতে মদদ দেওয়া।

এ ছাড়া ২০১৯ সালে নিজের কোনো সংগঠন না থাকায় অন্য একটি সংগঠনকে নিয়ে এসে আরেক স্টেটের লোক দিয়ে জাল ভোটপ্রদান করে ধরা পড়েন রেজা। ২০১১ সালে নিউজার্সি সম্মেলনে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ফোবানার কর্মকর্তাদের না জানিয়ে রেহান রেজা অবৈধভাবে ফোবানার প্যাড জাল করে তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়ে পরবর্তীতে আয়োজক কমিটির কাছে ধরা পড়লে কমিটির সদস্যদের বিরোধিতার মুখে মন্ত্রীকে অন্য ফোবানায় অতিথি হিসেবে প্রেরণ করা ও রাজউকের প্লটের জন্য তদবির করার মতো অভিযোগ তোলা হয় রেজার বিরুদ্ধে।

বিলুপ্ত করা এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি মাসুদ রব চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রমাণিত অভিযোগসমূহের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতে সাজাভুক্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও তিনি এই তথ্য গোপন করে ফোবানার কোষাধ্যক্ষ ও সেক্রেটারি পদে নির্বাচন করেছেন। কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হওয়ার পরে বিগত তিন বছর ধারাবাহিকভাবে ফোবানার নির্বাহী কমিটির পাশাপাশি ফোবানার 'লাইক মাইন্ডেড গ্রুপ' নামে একটি গ্রুপ তৈরি করে অবৈধ ও অসাংগঠনিকভাবে ফোবানার প্যারালাল কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এ ছাড়া তিনি ফোবানার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানসহ অধিকাংশ সাবেক চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিভিন্ন সময়ে অপমান-অপদস্ত করেছেন বলে অভিযোগ এসেছে। সেক্রেটারি থাকা অবস্থায় চেয়ারম্যানের রুলিং অমান্য করে নিজের খেয়ালখুশি মতো ফোবানার কার্যক্রম পরিচালনা, চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া ফোবানার ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফোবানার সব ক্রেডেন্সিয়াল হাইজ্যাক করা, অপছন্দের সংগঠন ও নেতাদের বাদ দেয়া ও ইমেইলে ব্লক করা, ফোবানার নির্বাহী কমিটির মিটিংয়ের তথ্যফাঁস করা যা অসাংগঠনিক ও সংবিধান পরিপন্থী, ভুয়া সংগঠন বানিয়ে ফোবানায় অন্তর্ভুক্তি করে দল ভারী করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার নীলনকশা করা , নিজের কোনো সংগঠন না থাকায় নিজের স্ত্রী ও শালার নামে ভুয়া সংগঠন বানিয়ে ফোবানায় অন্তর্ভুক্ত করা, সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাহী কমিটির সভায় সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চেয়ারম্যানের রুলিং না থাকা সত্ত্বেও তিনজন সিনিয়র চেয়ারম্যানকে 'বি কোয়াইট' বলে ধমক দিয়ে মাইক বন্ধ করে মিটিং থেকে বের করে দেয়া ও পরবর্তী পর্যায়ে চেয়ারম্যানের অনুরোধ সত্ত্বেও তিনজন সিনিয়র চেয়ারম্যানের জুম মিটিংয়ে মাইক সংযোগ না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বিলুপ্ত কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এম মওলা দিলুর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় আদালতে সাজাভুক্ত কয়েক ব্যক্তিসহ নানা অপশক্তির ইশারায় ফোবানার সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা, নির্বাহী কমিটির বিভিন্ন সভায় সিনিয়র নেতাদের নাম ধরে কটূক্তি করা। এ ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সাব-কমিটির কর্মকর্তাদের অসাংগঠনিক পন্থায় এককভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি জানিয়ে সাধারণ সদস্যদের কাছে ইমেইল প্রদানসহ নানা অপপ্রচারের অভিযোগে ভাইস চেয়ারম্যান দিলু মাওলাকে পাঁচ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

এ ছাড়াও যুগ্ম সম্পাদক নাহিদুল খান সাহেলের বিরুদ্ধে প্রমাণিত অভিযোগসমূহের মধ্যে রয়েছে, ২০২১ সালের ফোবানা সম্মেলনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ পালনে বাধা প্রদান, কোনো সংগঠন না থাকা সত্ত্বেও অর্থের বিনিময়ে ২০১৮ সালে ফোবানা সম্মেলনের সদস্যসচিব হয়ে আজ পর্যন্ত ফোবানায় সংযুক্ত থাকা ও মেম্বারশিপ কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে বৈধ সংগঠনগুলোকে ফোবানা থেকে বাদ দেওয়ার হুমকি, ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিতব্য ফোবানা সম্মেলন বাতিলের হুমকি, সম্প্রতিক সময়ে নির্বাহী কমিটির সভা পরিচালনা করতে গিয়ে সাবেক দুজন চেয়ারম্যানের মাইক বন্ধ করে ভার্চুয়াল সভা থেকে বের করে দেয়া, ফোবানা ইমেইল গ্রুপ ও মেসেঞ্জার গ্ৰুপে সিনিয়র নেতাদের কটাক্ষ করে বিভিন্ন উসকানিমূলক মেসেজ দেয়া ও ফোবানাকে করপোরেট সংগঠনে পরিণত করাসহ অসংখ্য অভিযোগে যুগ্ম সম্পাদক নাহিদুল খান সাহেলকে পাঁচ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

ফোবনা জানিয়েছে, ফোবানা নিয়ে বিভ্রান্তির কোন অবকাশ নেই। আইনগত ও সাংগঠনিকভাবে জনাব আতিকুর রহমান ও ড. রফিক খানের নেতৃত্বাধীন ফোবানাই হচ্ছে ফোবানার মূল সংগঠন।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

খুলনায় ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাস, বুলডোজারের আঘাতে মাটিতে মিশে গেল ‘শেখ বাড়ি’

ছবি: সংগৃহীত

খুলনার ময়লাপোতা এলাকায় ‘শেখ বাড়ি’ নামে পরিচিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র আজ (বুধবার) রাতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের আহ্বানে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা সেখানে জড়ো হয়ে বাড়িটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং সিটি করপোরেশনের দুটি বুলডোজার দিয়ে বাড়িটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে গত ৪ আগস্ট ‘শেখ বাড়ি’তে প্রথম দফায় আগুন লাগানো হয়। সেদিন বাড়িটি খালি থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর আবারও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়। একসময় যেখান থেকে খুলনা অঞ্চলের আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হতো, আজ সেটির অস্তিত্ব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো।

প্রসঙ্গত, ‘শেখ বাড়ি’ ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচার মালিকানাধীন। এ বাড়িতে তাঁর চাচাতো ভাই, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সোহেল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন পরিবারের সদস্য বসবাস করতেন। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে এ বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা ছিল।

বুলডোজার চালানোর সময় ছাত্র-জনতার বিপুল উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যায়। তাঁদের দাবি, বৈষম্যমূলক রাজনৈতিক শাসনের প্রতীক হয়ে উঠেছিল এই বাড়ি, তাই এটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য।

Header Ad
Header Ad

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছে। আজ বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, সন্ধ্যা ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জড়ো হয়। তারা স্লোগান দিতে দিতে জাদুঘরের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ জাদুঘরের বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করে।

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণের বিরোধিতা করে এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২' নামে একটি কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়, যেখানে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়। তবে, বুলডোজার ছাড়াই তারা নিজ হাতে ভাঙচুর চালায়।

এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও বিক্ষোভকারীদের থামাতে ব্যর্থ হয়। বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে পরিচিত, যেখানে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার আগে বসবাস করতেন।

Header Ad
Header Ad

আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা কী করলাম বা করলাম না- ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেটি দিয়ে আমাদের বিচার করবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, দেশের রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং এর ভিত্তিতেই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। তিনি আরও বলেন, "এটি জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। আমি জাতির পক্ষ থেকে কমিশনের দুই চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।"

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "এই দুটি প্রতিবেদন দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে। আপনি দরিদ্র, মধ্যবিত্ত বা ধনী যেই হোন না কেন, এই সংস্কারের প্রভাব থেকে কেউই বাদ যাবেন না।"

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নাগরিকরা তাদের প্রকৃত অধিকার ফিরে পাবেন। আমরা যেন সত্যিকারের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পাই, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।"

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, "যাতে সবাই মনে করতে পারে, এখানে প্রকৃত সত্য বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। আমাদের তো পণ্ডিত হতে হবে না এটি বোঝার জন্য, কারণ প্রতিদিনই আমরা নানা অবিচারের শিকার হই।"

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "সংস্কার কমিশনের কাজ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশ্বের দরবারে এটি তুলে ধরতে হলে এর ইংরেজি অনুবাদ করা প্রয়োজন।"

কমিশনের সদস্যদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, "আপনাদের প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা ও গবেষণার সংমিশ্রণে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দলিল হয়ে থাকবে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা কী করলাম বা করলাম না, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের সেই কাজের জন্যই বিচার করবে। তারা প্রশ্ন করতে পারে, আপনারা তো পেয়েছিলেন, তাহলে বাস্তবায়ন করেননি কেন? কারণ, সবকিছু তো বইয়ের পাতায় লেখা আছে। এই কাজ জাতির জন্য এক মূল্যবান স্মারক হয়ে থাকবে।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খুলনায় ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাস, বুলডোজারের আঘাতে মাটিতে মিশে গেল ‘শেখ বাড়ি’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা
আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার বিচারের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান
মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কোপালেন আ'লীগের কর্মিরা
খুব দ্রুতই জবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে: ছাত্রদল সভাপতি
বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব