নিউ ইয়র্কে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী ও বর্ষবরণ উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
এ উপলক্ষে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ জুন) কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয় দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আলোকে সজ্জিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বালাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতেমা, ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান, নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, নিউ ইয়র্কে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও কূটনীতিকরা ছিলেন। এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা ছিলেন।
কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম শুরুতে সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং পহেলা বৈশাখকে বাঙালির প্রাণের উৎসব বলে অভিহিত করেন।
কনসাল জেনারেল যোগ বলেন, পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘Intangible Cultural Heritage of Humanity’ বলে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। এখন এটি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক উৎসবের রূপ নিয়েছে।
কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশ তথা বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশে তাদের অবদান চিরস্মরণীয়। পহেলা বৈশাখের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য এবং রবীন্দ্র-নজরুলের চিন্তা চেতনা ও দর্শন বিশ্ব শান্তি, সাম্য-ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও কার্যকরী।
অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, গ্রাম-বাংলার লোকজ গান ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খ্যাতনামা শিল্পী একুশে পদকপ্রাপ্ত রথীন্দ্রনাথ রায় ও শহিদ হাসানের পরিবেশনায় কনস্যুলেটে মনোরম আবহ তৈরি হয়।
এসএন