বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

যুক্তরাষ্ট্রে ঈদের জামাতে জামাতে মার্কিন রাজনীতিবিদদের মুখে মুসলিমদের প্রশংসা

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ঈদ জামাতে জামাতে উপস্থিত হয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা। তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আজ মুসলিমদের জন্য গর্বিত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মুসলিম আমেরিকানরা আমাদের দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রেখে চলেছেন। তারা যে আমেরিকা তৈরিতে সহায়তা করছেন, মুসলমানরা নিজেরাও সেই আমেরিকার মতোই বিচিত্র ও প্রাণবন্ত।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাংলাদেশিরা আনন্দঘন পরিবেশে দেশীয় আমেজে উদযাপন করেছেনমুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।

স্থানীয় সময় সোমবার (২ মে) সকালে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশি পরিচালিত মসজিদ, মসজিদ সংলগ্ন মাঠ, পার্কের মাঠে ও গির্জার মিনলায়তনে ঈদের জামাতে অংশ নেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। যেসব এলাকায় মসজিদ নেই সেসব এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গির্জার মিনলায়তনেই জুমা ও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বাংলাদেশিদের পরিচালনাধীন পাঁচ শতাধিক মসজিদ বা তৎসংলগ্ন মাঠে ঈদ জামাতগুলো শুরু হয় সকাল ৭টা থেকে। এ ছাড়া অন্যান্য দেশের নাগরিকদের পরিচালনাধীন মসজিদেও পালা করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১০টা পর্যন্ত। ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় স্থানীয় প্রশাসন বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের শতাধিক ঈদগাহ মাঠে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন মার্কিন সিনেটর, কংগ্রেসম্যান, কংগ্রেসওমেন, গভর্নর, সিটি মেয়র ও কাউন্সিলম্যান।

তারা বলেন, আমেরিকান মুসলিমরা আমাদের কোভিড-১৯ মোকাবিলা কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ভ্যাকসিন তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন এবং সম্মুখসারির স্বাস্থ্যসেবাদানকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ের মালিক হিসেবে কর্মসংস্থান তৈরি করছেন, প্রথম সাড়াদানকারী হিসেবে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন, আমাদের স্কুলগুলোতে শিক্ষাদান করছেন, নিবেদিত সরকারি কর্মচারি হিসেবে দেশজুড়ে কাজ করছেন এবং জাতিগত সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের চলমান সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।

মার্কিন রাজনীতিবিদরা বলেন, এখনো মুসলিম আমেরিকানরা গালাগালি, অন্যায় ও ঘৃণার মতো অপরাধের শিকার হচ্ছেন। (তাদের সম্পর্কে) এই ধরনের পূর্ব-ধারণা এবং তাদের উপর আক্রমণ করা ভুল (কাজ)। যা অগ্রহণযোগ্য। এবং এগুলো অবশ্যই বন্ধ করা উচিত। আমেরিকাতে কারো নিজের বিশ্বাস প্রকাশ করার ভয় থাকা উচিত নয় এবং প্রশাসন সব মানুষের নিরাপত্তা এবং অধিকার রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করবে।

নিউ ইয়র্কের পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্য কানেকটিকাটের গভর্নর নেড ল্যামন্ট সোমবার (২ মে) সকালে হার্টফোর্ডের এক্সএল সেন্টারের ঈদুল ফিতরের বিশাল জামাতে অতিথি হয়ে এসেছিলেন। তিনি উপস্থিত মুসলিমদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, শুধু কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যেই নয়, গোট যুক্তরাষ্ট্র আজ মুসলিমদের জন্য গর্বিত। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সর্বস্তরেই মুসলিমরা দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রেখে চলেছেন। মুসলিমরা নিজেরাও সেই আমেরিকার মতোই বিচিত্র ও প্রাণবন্ত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫ সহস্রাধিক মুসল্লির অংশগ্রহণে এ জামাতে ইমামতি করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত তরুণ ইমাম খায়রুল আলম (নোয়েল)।

এদিকে, নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার জেএমসির উদ্যোগে ১৬৫ স্ট্রিটের টমাস এডিসন হাইস্কুলের মাঠে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয় ঈদুল ফিতরের বৃহৎ জামাত।

জ্যামাইকার দারুস সালাম মসজিদে সকাল সাতটায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল আটটায়, তৃতীয় জামাত সকাল নয়টায় এবং চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যও নামাজের ব্যবস্থা করা হয়। প্রথম জামাতে পুরুষেরা নামাজে অংশ নেন। বাকি তিনটি জামাতে মহিলারাও অংশ নেন এটি জ্যামাইকার ১৪৮ স্ট্রিটে অবস্থিত।

এস্টোরিয়ার আল আমিন জামে মসজিদ অ্যান্ড ইসলামিক সেন্টারে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় তিনটি। ৩৬ স্ট্রিটে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত সকাল সাতটায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল আটটায় এবং তৃতীয় জামাত সকাল নয়টায় অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় জামাতে মহিলারা নামাজে অংশ নেন।

আরাফা ইসলামিক সেন্টারের উদ্যোগে সুসান বি এন্থনি স্কুলের মাঠে সকাল নয়টায় ঈদের একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় ১৮১ স্ট্রিটে মসজিদের ভেতরে। সেখানে সকাল সাতটা, আটটা, নয়টা এবং ১০টায় এই চারটি জামাত হয়। সেখানে মহিলা ও শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ছিল।
ইস্ট এলমহার্স্ট জামে মসজিদ অ্যান্ড মুসলিম সেন্টারে ঈদের প্রথম জামাত হয় সকাল নয়টায়। এটি পিএস ১২৭ স্কুল প্লে গ্রাউন্ডে। প্রথম জামাত হয় সকাল আটটায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল নয়টায়।

নিউ ইয়র্ক ঈদগাহর উদ্যোগে ঈদের নামাজের আয়োজন করা হয়। সকাল সাতটা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পাঁচটি ঈদের জামাত জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত

আল নুর ইসলামিক সেন্টারের উদ্যোগে জ্যাকসন হাইটস ও উডসাইডে ঈদুল ফিতরের দুটি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়। উডসাইডে ৭৪ স্ট্রিটে আল নুর ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের সামনে সকাল সাড়ে সাতটায় খোলা স্থানে রাস্তার ওপর ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। আর জ্যাকসন হাইটসের ৭২ স্ট্রিটে সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

দারুল উলুম নিউ ইয়র্কের উদ্যোগে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় মসজিদের ভেতরে এবং সামনের খোলা স্থানে। সেখানে সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে একটি জামাতই হয় সকাল আটটায়। ব্রঙ্কসের বায়তুল ইসলাম মসজিদ অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারের উদ্যোগে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

আমেরিকান মুসলিম সেন্টারের উদ্যোগে পারসন্সের ১৫০ স্ট্রিটে ৯০ অ্যাভিনিউতে মসজিদের ভেতরে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ছয়টায়। এরপর রুফুলস কিং থিম পার্কে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ব্রুকলিনে দারুল জান্না মসজিদ অ্যান্ড ইসলামিক সেন্টারে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় মোট চারটি। এর আগের বছরগুলোতেও সেখানে চারটি করে জামায়াতের আয়োজন করা হয়। সাধারণত এখানে সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার অ্যান্ড ইসলামিক সেন্টারে ঈদের একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ব্রুকলিনে মসজিদ ভবনটি অনেক বড়। এ কারণে এখানে চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষের ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করা হয়।

ব্রুকলিনের হযরত বেলাল মসজিদের ভবনে ঈদের নামাজের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে মোট তিনটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বেলাল মসজিদে প্রথম জামাত হয় সকাল সাতটায়, দ্বিতীয় জামাত আটটায় এবং তৃতীয় জামাত হয় নয়টায়। প্রায় এক হাজার মানুষ এখানে নামাজ পড়েন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনে ধর্মপ্রাণ প্রবাসী বাংলাদেশিরাদের প্রচেষ্টায় এবার খোলা মাঠে সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল নয়টায়। ইসলামিক কালচারাল সেন্টার অব মেডফোর্ড (আইসিসিএম) বোস্টনের পার্শ্ববর্তী মেডফোর্ডের হোরমেল স্টেডিয়াম (৯০ লোকাস স্ট্রিট)-এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের জনবহুল ও বাংলাদেশি অধুষ্যিত নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, ম্যাসাচুসেটস, কানেকটিকাট, পেনসিলভানিয়া, ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, ওহাইও, ইলিনয়স, কলারাডো, ডেলাওয়ার, জর্জিয়া, কানসাস, ম্যারিল্যান্ড, মিশিগান, সাউথ ক্যারোলিনা, ওয়াশিংটন ডিসি ও কেন্টাকির ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এসব ঈদগাহ মাঠে উপস্থিত হয়ে মার্কিন রাজনীতিবিদরা মুসলিম সম্প্রদায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমে রয়েছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ও পরেই অবস্থান করছে ইহুদিরা। ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ৩.৪৫ মিলিয়ন, যা মোট জনসংখ্যার শতকরা ১.১ ভাগ।

এক গবেষণায় বলা হয় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠী হিসেবে মুসলমানরা আবির্ভূত হবে। আর তা ২০৪০ সালের মধ্যেই হবে।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, প্রতি বছর ১ লাখ মুসলিম যোগ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। মুসলমান অভিবাসী এবং একই সঙ্গে আমেরিকান মুসলমানদের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি থাকার কারণে এমনটা হচ্ছে। ইহুদি জনগোষ্ঠীর তুলনায় মুসলমানদের সংখ্যা অনেক দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

জাবিতে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের ঘোষণা  

রাত ১২টায় উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানান। ছবিঃ সংগৃহীত

শিক্ষার্থীর দাবির মুখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পোষ্য কোটা বাতিল ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন (জাবি)।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টায় উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির জরুরি সভা শেষে এ ঘোষণা দেন।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। আজকে প্রায় সাত ঘণ্টা যাবৎ তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করেছে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা আজ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নেতাদের সাথে আলোচনা করি। আলোচনায় তারা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের ভূমিকা নিয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের মত দেয়। এরপর আমরা কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির জরুরি সভায় আলোচনা করে ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিল করি।”

এ ঘোষণা শুনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান বলেন, “পোষ্য কোটা বাতিল ঘোষণা করায় উপাচার্য স্যারকে ধন্যবাদ। আমরা দীর্ঘ সাত ঘণ্টা ধরে এখানে অবস্থান করার ফল আমরা পেয়েছি। এইজন্য আমরা আনন্দিত।”

উল্লেখ্য, রবিবার রাতে দুইদিন ধরে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে অনশন ভাঙান উপাচার্য। এদিকে, পোষ্যদের কোটা সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সোমবার সকলে আন্দোলন শুরু করে কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতণ্ডা হলে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

Header Ad
Header Ad

মুসলিম লীগ যেমন বিলুপ্ত হয়েছে, আওয়ামী লীগও বিলুপ্ত হবে : সলিমুল্লাহ খান

ড. সলিমুল্লাহ খান। ছবিঃ সংগৃহীত

প্রথিতযশা বাংলাদেশী চিন্তাবিদ ও লেখক এবং রাজনীতি, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের বিশ্লেষণ অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, যেভাবে মুসলিম লীগ বিলুপ্ত হয়েছে, একইভাবে আওয়ামী লীগও একদিন বিলুপ্ত হবে।

প্রবাসী সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দিনের এক অনলাইন আলোচনায় যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং নিজের বিশ্লেষণধর্মী মতামত তুলে ধরার এক পর্যায়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগ আর কখনো উঠে দাঁড়াতে পারবে না। যদি পারে, তাহলে আমার রাজনৈতিক পড়াশোনার সবকিছুই বৃথা যাবে।

তিনি দাবি করেন, আমি শুনেছি, আওয়ামী লীগের একজন প্রথম সারির নেতা বলেছেন, দলটি এখন জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত, কিন্তু তাদের নেত্রী কখনোই এ কথা বলেন নি। তবে ক্ষমা চাইলেও খুনের অপরাধের মার্জনা হয় না। যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার ফৌজদারি আদালতের মাধ্যমেই হবে।

ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, আমি মনে করি, আওয়ামী লীগ তাদের রাজনীতি করার নৈতিক বৈধতা হারিয়েছে। তিনি শামসুর রহমানের প্রথম কবিতার বই 'প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে'-এর উদাহরণ টেনে বলেন, "বাকশাল গঠনের আগে আওয়ামী লীগ যেমন নিজেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছিল, তেমনি এখন তারা আবার দ্বিতীয়বার আত্মবিলুপ্তির পথে হাঁটছে।"

ড. সলিমুল্লাহ খান আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ঐতিহাসিকভাবে প্রতিশোধপরায়ণ নন, যদিও শেখ হাসিনাকে নিয়ে বলা হয় যে তিনি ভয়ানক প্রতিশোধপরায়ণ।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, শেখ হাসিনার প্রধান সমস্যা হলো তিনি লেখাপড়া জানতেন না। তার কথা বলার ধরন থেকে কখনোই মনে হয়নি যে তিনি প্রজ্ঞাবান।

এ আলোচনা শেষে তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক বাস্তবতা পরিবর্তনশীল এবং সময়ই বলে দেবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী হতে যাচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৮ বুয়েট শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার  

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে গত বছর মার্চে ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) রাজনীতি ফেরাতে বেশ সরব ছিলেন সংগঠনটির একদল নেতাকর্মী। এর অন্যতম সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের ছাত্র ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বী। এ ঘটনায় রাব্বীসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এমন ৮ জন শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। আর বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার ও শোকজ করা হয়েছে ৫২ জনকে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম মাসুদ বলেন, বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ। কিন্তু শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা গত মার্চে ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় রাজনীতি ফেরাতে বেশ সরব ছিলেন। সেসব বিষয় তদন্ত করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাব্বী ছাড়া আজীবন বহিষ্কার হওয়া বাকি শিক্ষার্থীরা হলেন, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের তানভীর মাহমুদ স্বপ্নীল ও মিশু দত্ত চাঁদ, কেমিকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের অরিত্র ঘোষ, সাগর বিশ্বাস জয়, আশিক আলম ও আসগর দাস এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৯তম ব্যাচের আসিফ আল জাবের।

শাস্তি-শোকজ হওয়া ৬০ জনই ছাত্রলীগের সাথে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন শহীদ আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি লেখেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাথে প্রকাশ্যে বা গোপনে যুক্ত থাকা, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিডিয়ায় মিথ্যা ইন্টারভিউ দেওয়া, ক্যাম্পাসের নিরাপদ পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা করেছে এমন বুয়েটের ৮ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার, ১২ জনকে ৬-৪ টার্ম বহিষ্কার, ৬ জনকে ২ টার্ম এবং ৩৪ জনকে ওয়ার্নিং ও হল বহিষ্কার করা হয়েছে আজ। অর্থাৎ মোট ৬০জনকে প্রায় ৫মাস তদন্তের পরে শাস্তি দেওয়া হলো।

তিনি আরও লেখেন, মূলত গত বছরের এপ্রিল থেকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালুর যে চেষ্টা হয়েছিলো, এরা তার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল। ভবিষ্যতে যারা পুনরায় একই ধরনের চেষ্টা করার কথা ভাবছেন, আশা করি ফলাফল কেমন হতে পারে তা স্মরণে রেখে নিজেকে বিরত রাখবেন।

এর আগে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় বুয়েটের আট শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও আরও ৫২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি ও শোকজ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুয়েটের ডিএসডাব্লিউ অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ।

তিনি বলেন, আমাদের এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ৮ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে টার্ম বহিষ্কার করা হয়েছে। ছয়জনকে দুই টার্মের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে এবং শেষ বারের মতো সতর্ক করা হয়েছে। হলের সিট বাতিল করা হয়েছে সাতজন শিক্ষার্থীর ও ২৭ জনকে সতর্ক করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাবিতে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের ঘোষণা  
মুসলিম লীগ যেমন বিলুপ্ত হয়েছে, আওয়ামী লীগও বিলুপ্ত হবে : সলিমুল্লাহ খান
ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৮ বুয়েট শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার  
জীবননগর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি যুবক আটক
নগদের সাবেক চেয়ারম্যান-এমডিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা জালিয়াতির মামলা
৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে নতুন মার্কিন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
ক্যাম্পাসের মসজিদে কোরআন পুড়িয়েছে রাবি ছাত্র, জানা গেল পরিচয়
মার্কিন ভিসার জন্য প্রার্থনা করতে মন্দিরে ভিড় ভারতীয়দের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন আটক
পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়ন
বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে ২১ কোম্পানির বাস চলবে টিকিট-কাউন্টার ভিত্তিতে
পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কানাডার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
২০ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে হবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
নিহত যুবদল নেতা তৌহিদুলের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস সেনাবাহিনীর
১৭ বছর পর বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই সাকিব
সিরিয়ায় নির্বাচন হতে লাগবে আরও ৪-৫ বছর: অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা
ভোটার তালিকা হালনাগাদে যুক্ত হচ্ছে ৫০ লাখ নতুন ভোটার: ইসি সচিব
রাঙামাটিতে তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে গলা কেটে হত্যা
টিকটকে প্রেম নওগাঁর মোমিনের সাথে পালায় সুবা  
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত প্রায় ৬২ হাজার, ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজারো মরদেহ