যুক্তরাজ্যে কালো তালিকায় বাংলাদেশের পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়
ভুয়া সার্টিফিকেট প্রদানসহ নানা অভিযোগে বাংলাদেশের পাঁচ বেসরকারি বিশ্বাবদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাজ্যের গোল্ড র্যাকিংয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে সিলেটের একটি আলোচিত বিশ্ববিদ্যালয়সহ কুমিল্লার দুটি ও ঢাকার দুটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। হঠাৎ করে কালো তালিকাভুক্ত করায় বিপাকে পড়েছেন এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট নিয়ে যুক্তরাজ্যে আসতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে আসা অনেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পাস না করে ভুয়া সার্টিফিকেট গ্রহণ, পড়াশোনা না করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট সংগ্রহের অভিযোগ ছিল বছরখানেক ধরেই। এরকম অভিযোগে অনেক শিক্ষার্থীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থী পাঠানোর ক্ষেত্রে এজেন্সিগুলোকে এসব বিষয়ে বারবার সর্তক করে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। তার পরও অনেক এজেন্সি ভুয়া সার্টিফিকেটে শিক্ষার্থী পাঠানো অব্যাহত রাখে। সম্প্রতি বিষয়টি ব্যাপক আকার ধারণ করে।
কয়েক দিন আগে যুক্তরাজ্যের পরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টস বাংলাদেশের পাঁচ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করে। প্রতিষ্ঠানটি কালো তালিকাভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অফার লেটার না দেওয়ার সিদ্বান্ত নিয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে লন্ডনের এজেন্সিগুলোকে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কালো তালিকাভুক্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো–সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি, দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা, দ্য রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা, অতীশ দিপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এসএ এক্সপ্রেসের পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের গোল্ড র্যাকিংয়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিভাসিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টস। তারা কয়েক দিন আগে আমাদের মেইল করে জানিয়েছে, বাংলাদেশের পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ডিগ্রি তারা গ্রহণ করবে না। অনুসন্ধান করে তারা জানতে পেরেছে, পড়াশোনা না করেই এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক শিক্ষার্থী সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছে। আইইএলটিএস থাকলেও এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থীকে তারা অফার লেটার দিবে না। তবে চলতি বছরের ৪ এপ্রিলের আগে যারা আনকন্ডিশনাল অফার লেটার পেয়েছেন, তাদের গ্রহণ করবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে।’
আনিসুর রহমান আরও জানান, ইউনিভার্সিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টসকে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অনুসরণ করে। এতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় এমন সিদ্বান্ত নিতে পারে।
যুক্তরাজ্যে পড়তে আসা শিক্ষার্থী তানভীর আলম পিয়াস বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী ও ভার্সিটির এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে আমরা বিব্রত, প্রকৃত শিক্ষার্থীরা এতে ভোগান্তিতে পড়বে। কর্তৃপক্ষের এসব বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।’
এসএ/