টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিউ ইয়র্ক কনসাল জেনারেলের বৈঠক
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনের টাফটস ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নিউ ইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্লেচার স্কুল অব ল’ অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসির শীর্ষ কর্মকর্তা ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্যে রাখেন ডিনের উপদেষ্টা জেরার্ড শিহান। তিনি বলেন, ১৯৫৮ সালে ফ্লেচার স্কুলে লিডারশিপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ফ্লেচার স্কুল থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন বলে তিনি জানান। ফ্লেচার স্কুল বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় গর্বিত এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির কথা উল্লেখ করেন এবং এ সম্পর্কের অগ্রযাত্রায় ফ্লেচার স্কুলের ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশি ফ্লেচার গ্রাজুয়েটদের অবদান উল্লেখ করেন। ভবিষ্যতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন কনসাল জেনারেল।
বৈঠকে অধ্যাপক আল নূর ইব্রাহিম, ভর্তি ও বৃত্তি শাখার পরিচালক ড্যানিয়েল বার্ডসাল, নির্বাহী শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক হিলারি প্রাইস ও সহযোগী পরিচালক জেনি স্ট্র্যাকোভস্কি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, বর্তমানে ফ্লেচার স্কুলে অধ্যয়নরত বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদ বৈঠকে অংশ নেন।
পরে ফ্লেচারে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ‘এশিয়া-প্যাসিফিক ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভূ-রাজনীতি ও যোগাযোগ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। সেমিনারে বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্ব ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কূটনীতিকদের ভূমিকা ও দায়িত্ব সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা করা হয়। সেমিনার শেষে কনসাল জেনারেল ফ্লেচার স্কুলের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
এসএন