মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ডব্লিউএফবিবি সভাপতি বসুমিত্র, মহাসচিব সুহাস

ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব বাংলাদেশি বুড্ডিষ্টস (ডব্লিউএফবিবি) বা বিশ্ব বাংলাদেশি বৌদ্ধ সংঘের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে ড. বসুমিত্র বড়ুয়া সভাপতি এবং সুহাস বড়ুয়াকে মহাসচিব করে ৯১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়।

শিকড়ের টানে প্রবাসী বৌদ্ধদের ঐক্যের সেতুবন্ধন সৃষ্টি, ভাষা ও কৃষ্টি-সংস্কৃতি রক্ষার তাগিদে বৌদ্ধদের আন্তর্জাতিক ঐক্যের লক্ষ্যে এ সংগঠন গঠন করা হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।

বিশ্বময় বাংলাদেশি বৌদ্ধ পল্লী খ্যাত ‘ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব বাংলাদেশি বুদ্ধিস্টস (ডব্লিউএফবিবি) এর আন্তর্জাতিক ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনের মাধ্যমে গত শনিবার (৯ এপ্রিল) আমেরিকার আরিজোনা থেকে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. বসুমিত্র বড়ুয়াকে সভাপতি এবং বোষ্টনে বসবাসরত বিশিষ্ট সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার সুহাস বড়ুয়াকে মহাসচিব করে ৯১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়।

উপস্থিত সদস্যদের প্রস্তাব ও সর্বাধিক সদস্যদের সমর্থনের মাধ্যমে কমিটির বিভিন্ন পদে সদস্যরা চার বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে সদস্যাদের পরিচিতি সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ড. বসুমিত্র বড়ুয়া।

শুরুতে পবিত্র ত্রিপিটক থেকে সুত্রপাঠ করেন জেনেভার অরুন জ্যোতি বড়ুয়া, প্রায় পাঁচ ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত নির্বাচন কার্যক্রম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সদস্য সচিব সুহাস বড়ুয়া এবং ফ্রান্স থেকে যুগ্ম-সদস্য সচিব তাপস বড়ুয়া রিপন।

মোট ৯১ সদস্যবিশিষ্ট নব নির্বাচিত কমিটির বিভিন্ন পদে পাচঁটি মহাদেশের বিভিন্ন দেশ থেকে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের তালিকা প্রকাশ করেন।

ড. বসুমিত্র বড়ুয়া সভাপতি (আরিজোনা, যুক্তরাষ্ট্র), সিনিয়র সহসভাপতি উদয়ন বড়ুয়া (প্যারিস,ফ্রান্স), সহসভাপতি আশিষ বড়ুয়া (টরন্টো,কানাডা), ইঞ্জিনিয়ার আশীষ বড়ুয়া (দুবাই, সংযুক্ত আরব-আমীরাত ),পবন বড়ুয়া (লন্ডন,যুক্তরাজ্য)
ইঞ্জিনিয়ার সৌমেন বড়ুয়া (নাগপুর,ভারত), অরুন জ্যোতি বড়ুয়া (জেনেভা, সুইজারল্যান্ড), মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার সুহাস বড়ুয়া (বোষ্টন, যুক্তরাষ্ট্র), যুগ্ম-মহাসচিব তাপস বড়ুয়া রিপন (প্যারিস, ফ্রান্স), সসীম গৌরী চরণ বড়ুয়া (জেনেভা, সুইজারল্যান্ড), অনুত্তর বড়ুয়া (সারজা, সংযুক্ত আরব-আমীরাত), মৃদুল বড়ুয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড), শৈবাল বড়ুয়া (সাউথ আফ্রিকা), নীতিশ বড়ুয়া (সিডনি, অস্ট্রেলিয়া), অর্থ মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার সুমেধ তাপস বড়ুয়া (ভেনিস,ইতালী), যুগ্ম- অর্থসচিব কানন বড়ুয়া (টরন্টো, কানাডা), যুগ্ন অর্থ সচিব দিপু কান্তি বড়ুয়া (প্যারিস,ফ্রান্স), যুগ্ন অর্থ সচিব অভি বড়ুয়া (লন্ডন,যুক্তরাজ্য), যুগ্ন অর্থ সচিব প্ৰজয় বড়ুয়া (বোস্টন, যুক্তরাষ্ট্র), যুগ্ম- অর্থ সচিব রাজীব বড়ুয়া (সাউথ আফ্রিকা), যুগ্ম-অর্থ সচিব জনি বড়ুয়া (আজমান, মধ্যপ্রাচ্য), যুগ্ম-অর্থ সচিব পঙ্কজ বড়ুয়া (সিডনি, অস্ট্রেলিয়া), সাংগঠনিক সম্পাদক সচিব রনবীর বড়ুয়া (নিউইয়র্ক,যুক্তরাষ্ট্র), যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক সচিব মিঠু বড়ুয়া (প্যারিস, ফ্রান্স), যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক সচিব বিকাশ বড়ুয়া ছোটন (আবুধাবী, মধ্যপ্রাচ্য), যুগ্ম-সাংগঠনিক সচিব সুজন বড়ুয়া (লন্ডন, যুক্তরাজ্য), যুগ্ম-সাংগঠনিক সচিব কানন বড়ুয়া (টোকিও, জাপান), যুগ্ম-সাংগঠনিক সচিব রুবেল চৌধুরী (সাউথ আফ্রিকা),
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিব সুমন বড়ুয়া (কোলকাতা, ভারত), আন্তর্জাতিক বিষয়ক যুগ্ম-সচিব অনিক বড়ুয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড), আন্তর্জাতিক বিষয়ক যুগ্ম-সচিব, প্ৰতিনু বড়ুয়া (প্যারিস, ফ্রান্স), সংবাদ ও গণমাধ্যম সচিব অসীম বিকাশ বড়ুয়া (সিউল,সাউথ কোরিয়া), যুগ্ম -সংবাদ ও গণমাধ্যম সচিব শুভাশীষ বড়ুয়া (নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র), যুগ্ম-সংবাদ ও গণমাধ্যম সচিব সুনন্দন বড়ুয়া (প্যারিস, ফ্রান্স), সংবাদ ও গণমাধ্যম যুগ্ম-সচিব কাঞ্চন বড়ুয়া (আবুধাবী, মধ্যপ্রাচ্য), প্রচার ও প্রকাশনা সচিব শিমুল বড়ুয়া (বোষ্টন, যুক্তরাষ্ট্র), যুগ্ম-প্রচার ও প্রকাশনা সচিব অমিয় বড়ুয়া (প্যারিস, ফ্রান্স), যুগ্ম-প্রচার ও প্রকাশনা সচিব দীপক বড়ুয়া (লন্ডন, যুক্তরাজ্য), শিক্ষা, সাহিত্য এবং শিল্পকলা সচিব সুব্রত বড়ুয়া (দিল্লি, ভারত), সাংস্কৃতিক সচিব মধুশ্রী চৌধুরী (কোলকাতা, ভারত), যুগ্ম- সাংস্কৃতিক সচিব মিসেস শ্রাবনী বড়ুয়া শীলা (টরোন্টো, কানাডা) যুগ্ম- সাংস্কৃতিক সচিব শর্মিলা বড়ুয়া (মাসকট, ওমান), যুগ্ম-সাংস্কৃতিক সচিব কানন বড়ুয়া ডানাল (মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র), যুগ্ম-সাংস্কৃতিক সচিব বরণ বড়ুয়া (প্যারিস, ফ্রান্স), সমাজ কল্যাণ সচিব মিসেস শিপ্রা বড়ুয়া (মন্ট্রিয়েল, কানাডা), সমাজ কল্যাণ যুগ্ম-সচিব শেকু বড়ুয়া (ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র), নারী ও শিশু বিষয়ক সচিব মিসেস ঝর্ণা বড়ুয়া (ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র), নারী ও শিশু বিষয়ক যুগ্ম- সচিব টগর বড়ুয়া (প্যারিস, ফ্রান্স), মানবাধিকার বিষয়ক সচিব স্বদেশ বড়ুয়া(প্যারিস, ফ্রান্স)।
মানবাধিকার বিষয়ক যুগ্ম-সচিব রানা বড়ুয়া (ক্যালিফর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র), মানবাধিকার বিষয়ক যুগ্ম-সচিব শিপন বড়ুয়া (লন্ডন, যুক্তরাজ্য), মানবাধিকার বিষয়ক যুগ্ম-সচিব সুমন চাকমা (জেনেভা, সুইজারল্যান্ড), মানবিক ও জনসেবা সচিব লাবলু বড়ুয়া (নরওয়ে), মানবিক ও জনসেবা যুগ্ম-সচিব রূপেশ বড়ুয়া (আয়ারল্যান্ড), যুব ও নেতৃত্ব উন্নয়ন সচিব বিপ্লব বড়ুয়া ( মাদ্রিদ,স্পেইন), যুব ও নেতৃত্ব উন্নয়ন যুগ্ম- সচিব সোহেল বড়ুয়া (ম্যাসাচুসেট্স, যুক্তরাষ্ট্র), যুব ও নেতৃত্ব উন্নয়ন যুগ্ম-সচিব অজিত বড়ুয়া (মাদ্রিদ, স্পেইন), যুব ও নেতৃত্ব উন্নয়ন যুগ্ম-সচিব আবু বড়ুয়া (সারজা, মধ্যপ্রাচ্য), যুব ও নেতৃত্ব উন্নয়ন যুগ্ম- সচিব খোকান বড়ুয়া (ওমান), ধর্ম এবং আন্তঃধর্মীয় সচিব সৈকত বড়ুয়া (টরোন্টো,কানাডা), ধর্ম এবং আন্তঃধর্মীয় যুগ্ম- সচিব দীপন বড়ুয়া (প্যারিস,ফ্রান্স), ধর্ম এবং আন্তঃধর্মীয় যুগ্ম-সচিব মানিক বড়ুয়া (সারজা,মধ্যপ্রাচ্য), তথ্য প্রযুক্তি সচিব সৌমিত্র বড়ুয়া (টোকিও, জাপান), তথ্য প্রযুক্তি যুগ্ম-সচিব প্রসেনজিৎ বড়ুয়া (নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র), তথ্য প্রযুক্তি যুগ্ম-সচিব রাজীব বড়ুয়া (প্যারিস, ফ্রান্স), তথ্য প্রযুক্তি যুগ্ম-সচিব অভিজিৎ বড়ুয়া (লন্ডন, যুক্তরাজ্য), তথ্য প্রযুক্তি যুগ্ম- সচিব ইঞ্জিনিয়ার রণজয় বড়ুয়া (নর্থ ক্যারোলিনা, যুক্তরাষ্ট্র), শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবন উন্নয়ন সচিব সঞ্জয় বড়ুয়া চৌধুরী (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড), শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবন উন্নয়ন যুগ্ন সচিব প্রতীক বড়ুয়া (টোকিও, জাপান), অভিবাসন ও আইন বিষয়ক সচিব সুমন বড়ুয়া (ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র), যুগ্ম-অভিবাসন ও আইন বিষয়ক সচিব অজিত বড়ুয়া (প্যারিস, ফ্রান্স), অভিবাসন ও আইন বিষয়ক যুগ্ম-সচিব সুমন অরিয়ন বড়ুয়া (লন্ডন, যুক্তরাজ্য), আদিবাসী কল্যাণ সচিব সুমন চাকমা (বাৰ্লিন, জার্মানী), আদিবাসী কল্যাণ যুগ্ম- সচিব রানা বড়ুয়া জি সাং (সাউথ কোরিয়া), আদিবাসী কল্যাণ সচিব সুমন বড়ুয়া (স্পেইন), স্বাস্থ্য এবং ক্রীড়া সচিব বিদ্যুৎ বড়ুয়া জনি দীপ (ক্যালিফোর্ণিয়া,যুক্তরাষ্ট্র), যুগ্ম-স্বাস্থ্য এবং ক্রীড়া সচিব সজল বড়ুয়া (প্যারিস, ফ্রান্স), যুগ্ম-স্বাস্থ্য এবং ক্রীড়া সচিব অশোক বড়ুয়া (স্পেইন), পরিকল্পনা এবং পরিবেশ বিষয়ক সচিব ইঞ্জিনিয়ার সুপায়ন বড়ুয়া (সারজা,মধ্যপ্রাচ্য) পরিকল্পনা এবং পরিবেশ বিষয়ক যুগ্ন সচিব ইঞ্জিনিয়ার কিরণ বড়ুয়া (ক্যালিফর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র) নির্বাহী সদস্যঃ ইঞ্জিনিয়ার অসীম তালুকদার (মধ্যপ্রাচ্য), শেখর বড়ুয়া (ফিলিপাইন), অসীম বড়ুয়া (অস্ট্রিয়া), সুশোভন বড়ুয়া (সিঙ্গাপুর) ধনঞ্জয় বড়ুয়া (ফ্রান্স), অপু বড়ুয়া (স্পেইন), দীপংকর বড়ুয়া(তাইওয়ান), সজীব বড়ুয়া (হংকং), অলক বড়ুয়া (ফিলিপাইন), সুজয় বড়ুয়া (সিডনী, অস্ট্রেলিয়া), সসীম বড়ুয়া (মালয়েশিয়া), বিদ্যুৎ বড়ুয়া করুনা তিসস্ (তাইওয়ান)।

বাংলাদেশে হাজার বছরের মেধা ও গৌরব, কীর্তির অধিকারী বাংলাদেশের এই বৌদ্ধরা যাতে বিভিন্ন দেশে গিয়ে তাদের হাজার বছরের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ধর্মকে হারিয়ে না ফেলে এবং আত্মীয়তা, সামাজিক সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে না যায়, তারই মহান লক্ষ্যে গঠিত হয়, ‘ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ বাংলাদেশি বুড্ডিষ্টস’ নামক এই আন্তর্জাতিক সংগঠন, এমনটাই জানান সংগঠনের নেতারা। বর্তমানে এই সংগঠনে বিশ্বের পাঁচটি মহাদেশের প্রায় ৩৫টি দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি বৌদ্ধদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।

এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ছবি: সংগৃহীত

বারবার নিলাম ডেকেও এস আলম গ্রুপের বন্ধকী সম্পত্তির কোনো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না দেশের ব্যাংকগুলো। ফলে ঋণ আদায়ে এখন বাধ্য হয়ে অর্থ ঋণ আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে তারা। এতে পুরো প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত ও জটিল হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগোষ্ঠী ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জনতা ব্যাংক ১০,৭০০ কোটি টাকার বিপরীতে ছয়বার নিলাম ডেকেও কোনো সাড়া পায়নি। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকও সাত দফা নিলাম আয়োজন করেও ব্যর্থ হয়েছে, যার মধ্যে আইডিয়াল ফ্লাওয়ার মিলসের ১,১০০ কোটি টাকার ঋণ সংক্রান্ত নিলামও অন্তর্ভুক্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে এস আলম গ্রুপের একাধিক স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জমি নিলামে তোলা হলেও দরপত্র জমা পড়েনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া পূরণের জন্যই তারা এসব নিলাম ডাকছেন, যদিও আগ্রহী ক্রেতার দেখা মিলছে না। অনেকেই এই বিষয়টিকে ভয় পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপ সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণ জব্দ করে।

বর্তমানে এস আলম গ্রুপের ওপর কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ১৪ সদস্যের বিশেষ লিগ্যাল টিম। একই সঙ্গে তাদের জব্দকৃত শেয়ার বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য