স্বাধীনতার ৫১ বছর পূর্তিতে প্যারিসে বর্ণিল আয়োজন
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১ বছর পূর্তি, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রান্স ও ইউনেস্কোর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্যারিস অভিজাত প্যাভিলিয়ন রয়্যাল হলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বর্ণিল এক অনুষ্ঠান।
বুধবার (৩০ মার্চ) প্যারিসের বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক ডেলিগেশন। বাংরাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ,সাংবাদিক সহ উপস্থিত ছিল বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড দল 'শিরোনামহীন'। তারা বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তুলে ধরে সংগীত পরিবেশন করেন।
ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সময়োপযোগী এই আয়োজন ফ্রান্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্মরণকালের অন্যতম সেরা একটি আয়োজন।
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের উপস্থিতিতে এটি একটি কুটনৈতিক মিলন মেলায় পরিণত হয়। বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে এমন আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা।
বাংলাদেশ-ফ্রান্সের কুটনৈতিক সম্পর্ক অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে আরো জোরদার ও দীর্ঘজীবী হবে বলেও তিনি আশা করেন।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা।
তিনি বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। স্বাধীনতা পরবর্তী যেসকল দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করেন ফ্রান্স তাদের মধ্যে প্রথম সারির দেশ।
তিনি বলেন, ফ্রান্সের অর্থনৈতিক সংস্থাগুলোর তৃতীয় বিনিয়োগের খাত এখন বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ৪১ এর বড় অর্থনৈতিক সহযোগী হবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেই লক্ষ্যে ফ্রান্সের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করে যাচ্ছে দূতাবাস।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা বিষয়ক ডিরেক্টর ব্যারট্রান্ড লোরথোলারি দুই দেশের বন্ধুত্ব ও কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের প্রথম সচিব মাহবুবুল আলম, দূতাবাস প্রধান ওয়ালিদ বিন কাশেম সহ দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
সভায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ, কুটনৈতিকগণ, ফ্রান্সের ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ সহ কমিউনিটির সকল রাজনৈতিক, সামাজিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্যারিস থেকে দেবেশ বড়ুয়া
এনএইচবি/এমএমএ/