স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস
বাংলাদেশের দিল্লি হাইকমিশনের আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করেছে।
ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. রাজকুমার রঞ্জন সিং। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন দেশটির আরেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মীনাকাশী লেখি।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় ডা. রাজকুমার সিং বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতা শুধু বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করছে না, এটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
রাজকুমার সিং উল্লেখ করেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ গত বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ সফর করায় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক একটি সুবর্ণ অধ্যায় অতিক্রম করছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাজকুমার সিংবলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়কই নন, ভারতেও বীর হিসেবে বিবেচিত।
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করে ভারতের এই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশিদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অংশীদার হতে পেরে ভারত গর্বিত।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান তার বক্তৃতায় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন বছরের পর বছর ধরে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে সহযোগিতার সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রকে অন্তর্ভূক্ত করে একটি ব্যাপক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক একটি সোনালী অধ্যায়ে পৌঁছেছে।
বিভিন্ন যৌথ উদ্যোগের কর্মসূচির তালিকা করে ইমরান বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ-ভারত পুরানো সংযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের দূরবর্তী অঞ্চলে সংযোগের জন্য নতুন রুট খোলার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে।
উন্নত যোগাযোগ এবং উভয় পক্ষের ভিসা ব্যবস্থায় নমনীয়তার কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জনগণের যোগাযোগ বহুগুণ বেেড়ছে বলেও মন্তব্য করে হাইকমিশনার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ব্যান্ড বাদ্যযন্ত্রের সুরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে। এ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন ছাড়াও কেক কাটা হয়।
বাংলাদেশের বিখ্যাত ‘ফখরুদ্দিন বিরিয়ানি’ বাংলাদেশি অন্যান্য খাবারের সঙ্গে বিশিষ্ট অতিথিদের পরিবেশন করা হয়।
যুদ্ধের প্রবীণ সৈনিক, বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতসহ কূটনীতিকরা, সামরিক অ্যাটাশে, উচ্চ সরকারি কর্মকর্তা, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক শিক্ষাবিদ এবং বাংলাদেশের বন্ধুরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চ্যান্সারি, বাংলাদেশ হাউস এবং হাইকমিশনারের বাসভবনে আলোকসজ্জা করা হয়।
বাসস/আরইউ/এমএমএ/