ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালন
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশের দূতাবাস ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করেছে। ২৫শে মার্চ কালো রাতে 'অপারেশন সার্চলাইট' নামে পাকিস্তান সামরিক জান্তার হাতে নির্দয়ভাবে নিহত শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে দূতাবাস গত শুক্রবার (২৫ মার্চ) নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এর পরে ‘১৯৭১ বাংলাদেশ গণহত্যার স্বীকৃতি: ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য একটি আপিল’ শিরোনামের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ফেরদৌসী শাহরিয়ার বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত হামলার পর ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর নির্ভীক নেতৃত্বে বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।
লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সহ-সভাপতি অধ্যাপক ম্যাসিমিনো তার বক্তব্যে বাংলাদেশে গণহত্যার শিকারদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতি ও পরিচয়ের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। তিনি গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে দূতাবাসের কর্মসূচি শেষ হয়।
আরএ/