৬ অধ্যাপক ও দুই ছাত্র-ছাত্রী ইরাসমাস মুন্ডাজ শিক্ষাবৃত্তিতে তুরস্ক
রায়হান মাহবুব, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বিশ্বখ্যাত ও মর্যাদাপূণ ‘ইরাসমাস মুন্ডাজ’ গবেষণা ও শিক্ষাবৃত্তিতে শিক্ষাদান, প্রশিক্ষণ, গবেষণা প্রকল্প সম্পন্ন করবেন তারা। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সবচেয়ে বিখ্যাত ও সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় জন অধ্যাপক ও দুই ছাত্র-ছাত্রী।
উপ-উপাচার্য ও আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশলের অধ্যাপক ড মনিরুজ্জামান, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম তুরস্কের চানকিরি কারাতেকিন ইউনিভাসিটিতে শিক্ষাদান কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন।
একই শিক্ষাবৃত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেবেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন ভূঁইয়া ও অধ্যাপক ড. মাঞ্জারুল আলম এবং গণিতের অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান।
তারা সবাই ১২ মার্চ, রাত ১১ টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তুরস্কের উদ্দেশ্যে বিমানে উঠেছেন, জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ।
তিনি বলেছেন, ‘আজ ১৪ মার্চ, সোমবার থেকে তাদের উচ্চতর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলবে ১৮ মার্চ।’
অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ আরো জানিয়েছেন, শিক্ষকদের এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পৌঁছানোর ৮ দিন আগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন ছাত্র, ছাত্রী গবেষণা প্রকল্পে হাতে-কলমে শিক্ষাগ্রহণ করতে এই চানকিরি কারাতেকিন ইউনিভার্সিটিতে পৌঁছেছেন। তারা হলেন- মাস্টার্স ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী আঞ্জুমানারা জান্নাতি নূর ও অর্থনীতির ছাত্র নাজমুস সাকিব।
তারা টানা তিনটি মাস উচ্চতর গবেষণা প্রকল্পে কাজ করবেন তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।
শিক্ষা-গবেষণা কার্যক্রমে উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণ করতে যাওয়া অধ্যাপকদের প্রধান ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান যাওয়ার আগে এই প্রতিবেদককে বলেছেন ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন, পাঠন ও গবেষণা কার্যক্রমের সঙ্গে তুরস্কের চানকিরি কারাতেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কারিকুলাম, পাঠদান, গবেষণাক্ষেত্র কার্যক্রমের বিনিময় হবে। তাছাড়াও আমরা তাদের এবং আমাদের শিক্ষার্থীরা কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে সেসব বিষয়ে বিনিময় কার্যক্রম পরিচালনা করব। ফলে আমাদের একাডেমিক এক্সেলেন্সি বৃদ্ধি পাবে।’
ওএস।