শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিএনপি আসলে নির্বাচন বানচাল করতে চায় : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ না নিয়ে বিএনপি আসলে নির্বাচনটা বানচাল করতে চায়। রবিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র টিএসসি সড়কদ্বীপে পোস্টার সাংস্কৃতিক সংসদ ও বজ্রকণ্ঠ সংগঠনদ্বয় আয়োজিত দিন বদলের মেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করার লক্ষ্যে সংলাপের আয়োজন করেছেন যা বিএনপি কখনো করেনি। বিএনপি সেই সংলাপে যাবে না এবং সংলাপের বিরুদ্ধে নানাধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছে কারণ আসলে বিএনপির উদ্দেশ্য হচ্ছে আগামী নির্বাচনটাকে বানচাল করা। তারা যেভাবে ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিলো, ২০১৮ সালে নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করেছিলো একইভাবে তারা আগামী নির্বাচনটাকে বানচাল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু দেশের মানুষ তাদেরকে সেই সুযোগ দেবে না।’ খবর বাসসের।

পোস্টার সাংস্কৃতিক সংসদ সভাপতি এস এম জামাল উদ্দিন ইউসুফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বাবলুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান উদ্বোধক হিসেবে, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বিশেষ অতিথি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: শাহে আলম মুরাদ সম্মানিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দিন বদল হয়েছে, কিন্তু এই দিন বদল অনেকের পছন্দ নয়। দেশের মানুষ ভালো আছে, এটি অনেকের পছন্দ নয়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যখন পদ্মাসেতু নির্মাণ শুরু করলাম, তখন খালেদা জিয়া এবং বিএনপি নেতারা বললেন, আওয়ামী লীগ এটা করতে পারবে না। তারা ক্ষমতায় গেলে এ সঙ্গে দু’টা পদ্মাসেতু করবে। এখন তো পদ্মাসেতু হয়েই গেছে। পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ক’দিন আগে গাড়ি চালিয়ে এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে গেছেন। আবার ঐ প্রান্ত থেকে গাড়ি চালিয়ে এ প্রান্তে ফিরে এসেছেন। এখন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায়। আর আমরা অপেক্ষায় আছি, যারা পদ্মাসেতু হবে না বলেছিলো তারা গাড়ি চালিয়ে পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে যায়, না কি আওয়ামী লীগের মার্কা নৌকায় এপার থেকে ওপার যায়, সেটা দেখার জন্য।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা (বিএনপি) ফ্লাইওভার দিয়ে বিমানবন্দরে যায় আর গিয়ে বলে দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। এই হঠকারি রাজনীতি বন্ধ হওয়া আবশ্যক। গত ১৩ বছরে দেশ আরও অনেক এগিয়ে যেতে পারতো যদি বিএনপি-জামাত এবং তাদের দোসরদের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যার রাজনীতি, দিনের পর দিন মানুষকে অবরোধ করার রাজনীতি না থাকতো এবং দেশের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালানোর অপরাজনীতি যদি তারা না করতো। আজ থেকে ১০ বছর পর বাংলাদেশ ২০৩১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা রচনা করতে চাই, সেই স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছুতে হলে এই অপরাজনীতির অবসান হতে হবে।’

দেশকে এগিয়ে নিতে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার চেতনাকে যদি সমুন্নত রাখতে হয় একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না থাকে, তাহলে এই কবিতা পাঠের আসর, সংস্কৃতির চর্চা ভবিষ্যতে হবে কি না সন্দেহ আছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্বে না থাকেন, তাহলে দেশের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর গলা চিপে ধরা হবে। কারণ বিএনপি-জামাত তাদের সঙ্গে জোট করেছে, যারা এই দেশটাকে তালেবানী রাষ্ট্র বানাতে চায়। এই অপশক্তির যাতে বিনাশ হয় ও চিরতরে দূরীভূত হয় সেই চেতনা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সারাদেশে একটি সাংস্কৃতিক গণজোয়ার তৈরির জন্য আমি সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে অনুরোধ জানাবো। তাহলে নতুন প্রজন্মকে আমাদের আবহমান সংস্কৃতির সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারবো। একই সঙ্গে মাদকাসক্তি এবং মৌলবাদ-আসক্তি থেকে তাদেরকে মুক্ত রাখা সম্ভবপর হবে।

আলোচক হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল চৌধুরী, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবিএম আশরাফুল ইসলাম মারুফ, স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফোরকান মিঞা, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-পরিষদ সদস্য সুজন হালদার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা এবং মেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার আলী আসগর স্বাগত বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। কবি ও সাহিত্যিকদের মধ্যে কবিতা আবৃত্তি করেন ড. শাহাদৎ হোসেন নিপু, অসীম সাহা, আসলাম সানি, অঞ্জনা সাহা, তপন বাগচী, রহিম শাহ, বাপ্পি রহমান, ইউসুফ রেজা প্রমুখ।

 

Header Ad
Header Ad

আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের একটি অনলাইন পোর্টালে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে জড়িয়ে প্রকাশিত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ ধরনের প্রতিবেদন সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও সত্যের পরিপন্থী বলেও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতে ওই বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নিউজ অ্যারেনা ইন্ডিয়া অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সম্পর্কে একাধিক মিথ্যা, মানহানিকর ও দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছে। প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল অ্যাডভাইজার মিটস টপ লস্কর–ই–তাইয়েবার অপারেটিভ পোস্ট জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর অ্যাটাক’।

প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পর লস্কর-ই-তাইয়েবার একজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাক্ষাৎ করেছেন, যা পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিক।

প্রতিবেদনে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের ভুল পরিচয়ে তুলে ধরা হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশে বৈধভাবে পরিচালিত আলেম ও  ইসলামি সংগঠনগুলোর একটি প্ল্যাটফর্ম। প্রতিবেদনে যাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হেফাজতে ইসলামের নেতা, কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে তারা যুক্ত নন। শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনামলে হাজার হাজার হেফাজত সদস্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ও সাজানো মামলার শিকার হন। অন্তর্বর্তী সরকারের বিচার ও আইনি সংস্কারের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে আসিফ নজরুল তার দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে হেফাজতের এই ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের আবেদন শুনতে হেফাজতের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন।

হেফাজতের নেতাদের সঙ্গে আইন উপদেষ্টার বৈঠক যেদিন হয়েছে বলে নিউজ অ্যারেনা ইন্ডিয়া উল্লেখ করেছে, তার অন্তত তিন দিন আগেই ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার বিষয় ছিল শুধু আইনি প্রক্রিয়া ও মামলার তালিকা হস্তান্তর। বৈঠকের শেষে প্রতিনিধিদলের অনুরোধে একটি ছবি তোলা হয়, যা এমন সভায় প্রচলিত ও স্বাভাবিক রীতি।

হেফাজতের বর্তমান নেতৃত্ব বাংলাদেশের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রাজনৈতিক সংলাপে অংশগ্রহণ করে। হেফাজতের নেতারা ঢাকায় পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাসগুলোর সঙ্গেও নিয়মিত বৈঠক করে থাকেন, যা তাদের রাজনৈতিক বৈধতা ও আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার বিষয়টিকে প্রতিফলিত করে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ স্বাধীন মানবাধিকার সংগঠনগুলো পূর্ববর্তী সরকারের দমনমূলক কর্মকাণ্ড ও হেফাজতসহ বিরোধীদলীয় কর্মীদের ওপর নিপীড়নের ঘটনাগুলো নথিবদ্ধ করেছে, সমালোচনাও করেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সেই প্রতিবেদনগুলো প্রমাণ করে যে হেফাজতের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে এসব মামলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ছিল, যা বর্তমান সরকারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।

ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তার ফেসবুক পেজে ভারতের নেতাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, আসলে বিষয়টি হলো ওই পোস্ট ছিল একজন ভারতীয়র লেখা, যিনি নিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে সমালোচনা করেন। সেই পোস্টটি শেয়ার করে পেহেলগামে হামলার নিন্দা জানান আসিফ নজরুল। পরে সম্ভাব্য বিভ্রান্তির আশঙ্কা করে তিনি স্বেচ্ছায় পোস্টটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুছে ফেলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা সকল গণমাধ্যমকে অনুরোধ করছি, যেন তারা সংবাদ প্রকাশের আগে যথাযথ যাচাই করে এবং দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতি অনুসরণ করে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে, নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। একই সঙ্গে পেহেলগামের হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী

ছবি: সংগৃহীত

চরম উত্তেজনার মধ্যেই নজিরবিহীন এক ঘটনার জন্ম দিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ)। শত্রু নয়, বরং নিজ দেশের মধ্যেই এক আবাসিক এলাকায় বিমান হামলার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। তবে বিমান বাহিনীর দাবি, এটি একটি ‘দুর্ভাগ্যজনক অসাবধানতা’।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলার পিছোর শহরে। সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় শিক্ষক মনোজ সাগরের বাড়ির ছাদে আকস্মিকভাবে একটি ভারী ধাতব বস্তু পড়ে। বিস্ফোরণের মতো শব্দ হয়, ফেটে যায় ছাদ, উঠানে তৈরি হয় বিশাল গর্ত। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাড়ির দুটি কক্ষ এবং পাশে পার্ক করা একটি গাড়ি। তবে সৌভাগ্যক্রমে কেউ আহত হয়নি।

ঘটনার পরপরই আইএএফ এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, বিমান থেকে একটি “অ-বিস্ফোরক বায়বীয় স্টোর” অসাবধানতাবশত পড়ে যায়। সম্পত্তির ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তারা জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

শিবপুরীর পুলিশ সুপার আমান সিং রাঠোর নিশ্চিত করেছেন, পরিবারটির চার সদস্য অক্ষত আছেন এবং পুলিশ-প্রশাসনের দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার প্রশান্ত শর্মা জানান, ধাতব বস্তুটিতে পোড়ার চিহ্ন রয়েছে এবং এটি খুবই শক্ত পদার্থ বলে মনে হচ্ছে। ঘটনার উৎস জানতে গোয়ালিয়র বিমানঘাঁটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

এদিকে, এই ঘটনা এমন সময় ঘটল যখন ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক চরম উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর নয়াদিল্লি ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নেয়। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও ভারতীয় বিমান চলাচল ও সীমান্ত ব্যবস্থায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের টানা বিমান হামলায় ফের রক্তাক্ত হলো ফিলিস্তিন। গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চালানো বিমান অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮৪ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ১৬৮ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেক মানুষ চাপা পড়ে আছেন, যাদের এখনো উদ্ধার করা যায়নি। ফলে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে আকস্মিক হামলার পর থেকেই গাজায় শুরু হয় সামরিক অভিযান। প্রায় দেড় বছরের এই সহিংসতায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ৪০০ জনে এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪১৬ জন। নিহত ও আহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবরের হামলায় হামাসের যোদ্ধারা ১,২০০ ইসরায়েলি নাগরিককে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এরপরই হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ।

চাপের মুখে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও, বন্দি বিনিময় ও জিম্মিদের মুক্তি ইস্যুতে মতানৈক্যের জেরে ১৮ মার্চ থেকে আবারও দ্বিতীয় দফার অভিযান শুরু করে তারা। এই নতুন অভিযানে গত ৩৮ দিনে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ২,০৬০ জন এবং আহত হয়েছেন ৫,৩৭৫ জন ফিলিস্তিনি।

বর্তমানে ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ২৫১ জনের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনো জীবিত। ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, যেকোনো মূল্যে এই জিম্মিদের উদ্ধারের জন্য অভিযান চলবে।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাধিকবার আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে দিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণভাবে দুর্বল না করা এবং জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত এই অভিযান থামবে না।

এদিকে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. তাসনিম জারা
ভারত-পাকিস্তান বিরোধে উত্তেজনা, শান্তির বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলো ইরান
তারেক রহমানকে নিয়ে দ্য উইকের কাভার স্টোরি ‘নিয়তির সন্তান’
কুয়েটের ভিসি ও প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
মেধাসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বেনাপোলে ৬ নারী ছিনতাইকারী গ্রেফতার
‘সংস্কার না নির্বাচন’ এই খেলা বাদ দিয়ে বিচার করুন: সারজিস আলম
যুদ্ধ বন্ধের আলোচনার মধ্যেই মস্কোয় গাড়িবোমা হামলায় রুশ জেনারেল নিহত
পোপ ফ্রান্সিসকে শেষ বিদায় জানাতে রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
পাকিস্তানে বোমা বিস্ফোরণে নিরাপত্তা বাহিনীর ৪ সদস্য নিহত
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
নওগাঁয় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ১
শিগগিরই স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে সরকার: প্রেস সচিব
টাঙ্গাইলে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মাছ ব্যবসায়ী খুন
সৌদিতে মক্কার কাছেই জেনিফার লোপেজের নাচ-গান, ক্ষুব্ধ মুসল্লিরা
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে, যা বলল জাতিসংঘ