‘শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিলে আওয়ামী লীগ বসে থাকবে না’
মিজা ফখরুলকে আগুন নিয়ে না খেলার পরামশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুন নিয়ে যদি খেলেন পরিণতি ভালো হবে না। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বসে থাকবে না।
মঙ্গলবার (৩১ মে) সকাল ১১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভার শুরুতে ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের এমন স্লোগানের প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের এ সব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছাত্রদলকে ব্যবহার করে বিএনপি ক্যাম্পাস অশান্ত করার চেষ্টা করেছে। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের সামনে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেবেন আওয়ামী লীগ কি মরে গেছে? আওয়ামী লীগ কি রাজপথ কাউকে ইজারা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে এসেছে, রাজপথে আছে। আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাসের জবাব আমরা রাজপথে দেব।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনে বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা পদ্মা সেতু নিয়ে কত বিদ্রুপ, ঠাট্টা করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, পদ্মা সেতুতে উঠবেন না, পড়ে যাবেন। আজ শেখ হাসিনার হিমালয় সমান দৃঢ়তার কারণে পদ্মা সেতু হয়েছে। এখন তাদের বুকে বিষ জ্বালা ধরেছে।
ওবায়দুল কাদেরের সূচনা বক্তব্যের পর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের যৌথ সভা শুরু হয়।
জানা গেছে, সভায় আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন, ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের কার্যক্রম এবং মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আহমদ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজীত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া সভায় আওয়ামী মহিলা লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতি লীগ, যুব মহিলা লীগ ও মৎস্যজীবী লীগ, ছাত্রলীগ ও জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসএম/আরএ/