দেশপ্রেমিক শক্তি মজলুমের বন্ধু: ড. রেজা কিবরিয়া
গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, দেশপ্রেমিক শক্তি মজলুমের বন্ধু। আজকে দেশকে অস্থিতিশীল করার মাধ্যমে স্বৈরাচারি সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার যে ষড়যন্ত্র করছে তার অংশ হিসেবেই দেশের প্রখ্যাত আলেম-উলামাদের চরিত্র হননের জন্যই ১১৬ জন আলেমের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
রবিবার (২৯ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি নজরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় জনতা ফেরাম আয়োজিত ‘এক হাজার মাদ্রাসা নিয়ে প্রকাশিত শ্বেতপত্রে মিথ্যা বানোয়াট (দুদকে) তথাকথিত গণকমিশনের রিপোর্টের বৈধতা চ্যালেঞ্জ’ গণকমিশনের সাম্প্রদায়িক উস্কানি: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আলেম উলামাদের চরিত্র হনন মুলত রাষ্ট্র ও সমাজের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র। দেশের আলেমদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। সমাজে অবস্থিত ষড়যন্ত্রকারীরা আলেমদের ছোট করে রাষ্ট্রে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়।
আলেম ওলামাদের ধর্মব্যবসায়ী ও অর্থপাচারকারী হিসাবে চিহ্নিত করে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রকৃত দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারীদের আড়াল করতে চায়। ১১৬ জন আলেমের চরিত্র হনন যারা করছে তাদের সহ দুর্নীতিাবাজ, সমাজের ক্ষত ৫১১ জনের তালিকা প্রনয়ন করে জনগনের সামনে উপস্থাপন করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ও ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দিয়ে চুবাতে হবে’ বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য জাতিকে লজ্জিত করে, আতঙ্কিত করে।’
সংলাপে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ কর্নেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদের সভাপতিত্বে ও মানবাধিকার সংগঠক মো. মঞ্জু হোসেন ঈসার সঞ্চালানায় বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, এবি পার্টির সদস্য সচিব মো. মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ইসলামি কালচারাল ফোরামের সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা নাজমুল হক, মাদানী কাফেলা বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন নগরী, জাতীয় জনতা ফেরামের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার, মহাসচিব কবি এনামুল হক কাফী প্রমুখ।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসূফী বলেন, দেশের প্রকৃত সংকট আড়াল করতেই আলেমদের এই তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। মনে রাখতে হবে আলেমদের চরিত্র হনন করে দুর্নীতিাবাজ, লুটেরাদের শেষ রক্ষা হবে না।
ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ বলেন, প্রকৃত দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের আড়াল করতে আলেমদের চরিত্র যারা হনন করছেন তারাও দুর্নীতিবাজদের সঙ্গী। দুর্নীতিবাজদের লেজুরবৃত্তি করে জাতির মুক্তি আসবে না। এক লুটেরার পরিবর্তে আরেক লুটেরা যাতে ক্ষমতায় বসতে না পারে সেজন্য দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য প্রয়োজন।
এবি পার্টির সদস্য সচিব মো. মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘এই মুহুর্তে দেশ বাচানোর জন্য একটা দেশপ্রেমিক সরকার প্রয়োজন। ‘বাংলাদেশ আলো নাকি অন্ধকার পথে হাটবে’ তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজনীতিকদের। পথভ্রষ্ট এক দল এই তালিকা প্রনয়নের মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে আলেমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই যুদ্ধ বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চক্রান্ত করছে, আর যারা তাদের দালাল হয়ে এদেশে কাজ করছেন আমাদের তাদের চিহ্নিত করতে হবে। যারা ইসলাম, এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও আলেম-ওলামাদের বিপক্ষে গিয়ে পক্ষপাতিত্ব করছেন তাদের প্রতিরোধ করতে আলেম উলামা ও দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য প্রয়োজন।
সভাপতির বক্তব্যে কর্নেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদ বলেন, এক আল্লাহ, এক রাসুল ও এক কোরআনের ভিত্তিতেই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই।
এমএইচ/এমএমএ/