‘পদ্মা সেতুর দুর্নীতি প্রমাণ করতে না পারলে ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে’
পদ্মাসেতুতে দুর্নীতির কাল্পনিক অভিযোগ বিএনপি মহাসচিব করছেন, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিয়ে যদি প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে মেগা প্রকল্প নিয়ে মেগা মিথ্যাচারের জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শতভাগ স্বচ্ছতা নিয়েই পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ মে) সকালে তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্মাসেতুর নির্মাণ ঠেকাতে না পেরে বিএনপি এখন সেতু উদ্বোধনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে লাশ ফেলার ষড়যন্ত্র করছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেলসহ মেগা প্রকল্পগুলো দেখে বিএনপি নেতাদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে।
পলিটিক্যাল হ্যালুসিনেশনে ভুগতে থাকা বিএনপি মহাসচিব একের পর এক মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ্মাসেতু দেখে বিএনপি অন্তর জ্বালায় ভুগছে, এ সত্য স্বীকার করে নেওয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধন্যবাদ জানান।
বিএনপি মহাসচিব পদ্মাসেতু নিয়ে বারবার লুটপাটের যে কাল্পনিক অভিযোগ করে যাচ্ছেন, সে প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন এটা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিকৃত মস্তিষ্কের নতুন আবিষ্কার।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আবারও স্পষ্ট করে বলেন, শতভাগ স্বচ্ছতা নিয়েই পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে পদ্মাসেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়েছিল, এর পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এমনটা জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতুর দুর্নীতি নিয়ে যে অভিযোগ বিশ্বব্যাংক করেছিলেন, পরবর্তীতে কানাডার আদালত পদ্মাসেতুর দুর্নীতি নিয়ে তা নাকচ করে বাংলাদেশকে নির্দোষ রায় দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, তারপর বিশ্বব্যাংকই স্বীকার করছে পদ্মাসেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়ে তারা ভুল করেছে।
এরপরও কী বিএনপি মহাসচিব পদ্মাসেতুর স্বচ্ছতা নিয়ে মিথ্যাচার করবেন? প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের।
এসএম/আরএ/