মাইর দেওয়ার অভ্যাস করতে হবে: আওয়ামী লীগকে গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, 'আমাদের উপর হাত তুলেন, আমাদের হাত আর পকেট থাকবে না। প্রতিবাদ করার অধিকার আমাদের আছে। সাংবিধানিকভাবে গণতন্ত্রের জন্য আমরা লড়াই করেছি।'
তিনি আরও বলেন, 'গতকাল (২৪ মে) ছাত্রদল মার খেয়েছে, তার জন্য মর্মাহত কিন্তু ধন্যবাদ ও সংগ্রামী অভিনন্দন জানাই যে তারা পাল্টা প্রতিরোধ করেছে। সুতরাং এখন থেকে যেখানে আঘাত আসবে পাল্টা প্রতিরোধ করতে হবে, আঘাত করতে হবে। এই আঘাত করার জন্য আমাদেরকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। এখন থেকে মাইর দেওয়ার অভ্যাস করতে হবে। আমরা পাকিস্তানকে পরাজিত করছি, এখন যারা লাফালাফি করে তাদেরকে পরাস্ত করতে বেশি সময় লাগবে না।'
বুধবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়া ও নোবেল বিজয়ী ডঃ ইউনুসের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহার এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোর দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, 'শেখ হাসিনা গুম-খুন করতে পারবে, জেলে ঢুকাতে পারবে কিন্তু দেশের মানুষের আহার নিবারণ করতে পারবে না। এই ক্ষমতা শেখ হাসিনার নাই। দেশে যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে, সেই দুর্ভিক্ষের হাত থেকে দেশের মানুষ রক্ষা পাবে না।'
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, 'এখনও সময় আছে বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়ে ক্ষমা চান। আর অপকর্ম করবেন না। ক্ষমতা ছাড়ুন নিজে ভালো থাকুন দেশবাসীকে ভালো রাখুন। তাতে হয়তো আপনার জন্য ভালো হবে। জনগণের এবং আমাদের পাশে ও দেশে থাকতে পারবেন।'
গয়েশ্বর বলেন, শ্রীলঙ্কার মতো এই দেশ থেকেও হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। দেশের রিজার্ভের এ টাকা লুট করে রিজার্ভ খালি করা হয়েছে। দেশের ব্যাংকগুলো এখন দেউলিয়া ঘোষণা করলে শ্রীলংকার মতো অবস্থা হবে।
পুলিশের উদ্দেশে বিএপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, খুব সুন্দর ভাষায় পুলিশ আমাদের নামে মামলা দেয় যে আমরা পুলিশের কর্তব্যে বাধা দিচ্ছি, কি কর্তব্য করেন আপনারা? আপনারা একটা কর্তব্য পালন করেছেন জনগণের ভোট শেখ হাসিনাকে দিয়ে দিছেন। আপনারা যদি কর্তব্য পালন করেন নারী, শিশু ধর্ষণ হয় কেন? আপনারা যদি জনগণকে পাহারা দেন তাহলে যেখানে সেখানে ছিনতাই হয় কেন? কিছুদিন পরপর আমাদের ঠিকানা জানতে আমাদের কাছে যান। কিন্তু আপনারা আপনাদের ঠিকানা লিখে যাচ্ছেন এটা মনে করিয়ে দেই। এই যে ৩৫ লাখ মামলা করেছেন, প্রতিটি মামলার এক এক জন আইও আছে। আর এই মিথ্যা মামলার কারণে আমরা হেনস্থার শিকার হচ্ছি, টাকা-পয়সা যাচ্ছে, পরিবার হেনস্থার শিকার হচ্ছে। যারা আইও তারা যাবেন কোথায়? তাদের ঠিকানা তো সরকারিভাবে লিপিবদ্ধ করা আছে। সেটা মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকেন।
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, 'এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না, নির্বাচন হবে না। সুতরাং চুপচাপ বসে থাকেন। কারো ইচ্ছা বাস্তবায়ন করার সুযোগ আপনাদের দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা যাব না। ওদের (আওয়ামী লীগ) সাহস থাকলে নির্বাচন করুক, আমাদের ক্ষমতা থাকলে আমরা প্রতিরোধ করব।'
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক প্রমুখ।
এসআইএইচ