আন্দোলনকে বৃহত্তর রূপ দিতে আলোচনা হয়েছে: মান্না
নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আজকের এই বৈঠক আনুষ্ঠানিক তো বটেই, তবে ওই রকম সরাম্বরপুর্ন তেমন কিছু ছিল না। আন্দোলনে আমরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছি, এবং আন্দোলনের একটা পর্যায়ে চলে এসেছি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি'র সঙ্গে আমাদের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কথা হয়েছে। আগে তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বলতে চেয়েছিলেন সেই পর্যায়েও একবার আলোচনা হয়েছে। ওই অর্থে এটা দ্বিতীয় পর্যায় আলোচনা। আজ আনুষ্ঠানিক তবে আমরা অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা চালিয়ে আসছিলাম।'
তিনি বলেন, 'আমরা অত্যন্ত আন্তরিক ভাবে কথা বলেছি- আমাদের মধ্যে সম্পর্কটাও আন্তরিক। আন্দোলন গড়ে তুলবার জন্য যা করণীয় তার মৌলিক সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।' মঙ্গলবার ২৪ মে বিকাল সোয়া ৫ টা নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সাথে এই আনুষ্ঠানিক বৈঠক এর যাত্রা শুরু করেছেন। রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে নাগরিকত্বের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, 'এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ভালো নির্বাচন হতে পারে না। এটা দেশের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দল বলেছেন, এবং এরই ভিত্তিতে এই সরকার চলে যাবার পরে একটা সরকার, পরবর্তী নির্বাচন, সরকার পদ্ধতি আমরা যেভাবে যে নামেই ডাকি না কেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন এই দাবির ভিত্তিতে আমরা বিজয় পর্যন্ত লড়াই করব এই চিন্তার ভিত্তিতে কাজ কর ছিলাম। আজকের এই প্রথম বৈঠকে আমরা সেই কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি। এটাই আমাদের ভিত্তি ছিল। পরবর্তীতে চলমান আন্দোলনকে একটি যুক্তি পরিণতির দিকে কিভাবে নিয়ে যাওয়া যায় সেই বিষয়ে দলগুলোর পারস্পরিক বোঝাপড়া সমঝোতা, দলগুলোর নিজেদের সমস্যা, কোন রাজনৈতিক সংকট এগুলো নিয়ে কথা বার্তা বলা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'বিএনপি'র পক্ষ থেকে আমাদেরকে একটি কথা বলা হয়েছে, আমরা আগেও ভেবেছি এখনো উপলব্ধি করি- এই সরকারের আমলে বিএনপি'র উপরে অত্যাচার নির্যাতন বেশি হয়েছে আমাদের উপর তুলনামূলক কম হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা একমত তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা এবং দলটির মুল নেত্রী চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের নাম করে এক ধরনের আটকে রাখা হয়েছে। সেইগুলো বিবেচনায় নিয়ে আন্দোলনটাকে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে রূপ দিতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।'
এএজেড