বাংলাদেশ-আরব আমিরাতের সম্পর্ক অনেক গভীর: আমির খসরু
আরব আমিরাতের প্রসিডেন্ট খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে ঢাকাস্থ দূতাবাসে বিএনপির পক্ষ থেকে শোক জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আমির খসরু মাহমুদ চৌধরী।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) গুলশান-২ এর আরব আমিরাতের দূতাবাসে গিয়ে শোক জানিয়ে শোক বইতে সই করে আসেন আমির খসরু।
আমির খসরু বলেন, উনার মৃত্যুতে আজকে আমরা শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। শোক বইতে সই করতে এসেছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতে সম্পর্ক অনেক গভীর। অনেক দিনের সম্পর্ক। বিশেষ করে সম্পর্কটা স্থায়ী করার পেছনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়িউর রহমানের অনেক অবদান রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তার মূল ভিত্তি স্থাপন করেছেন জিয়াউর রহমান।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আজকে আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যে যে শ্রম শক্তি যাচ্ছে, সেটা প্রথম পাঠিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। তাই আমরা মনে করেছি যে, জিয়াউর রহমান যে সুসম্পর্ক স্থাপন করেছে সেটা অব্যাহত রাখতে হবে আমাদের।
আরব আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের অনেক ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে বলে উল্লেখ করে খসরু বলেন, শ্রম বাজারের সম্পর্ক আছে, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক একটা দৃঢ় সম্পর্ক আছে। আমরা চাই সেই, সম্পর্ক অব্যাহত থাকুক। সেটাই আমি বলেছি এবং শোক বইতে লিখেছি।
আমির খসরু বলেন, বিশেষ করে আমাদের নিন্ম আয়ের অনেক শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করে। তার রেমিট্যান্সের ওপর এখন বাংলাদেশের অর্থনীতি নির্ভরশীল। বিশেষ করে দেশের অর্থনীতি এখন যে বিপাকে পড়েছে, সেটা বাঁচিয়ে রেখেছে রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশের শ্রমিকদের আরব আমিরাতে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়- এ বিষয়ে আমাদের করণীয় কী জানতে চাইলে আমির খসরু বলেস, এটা তো বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব, যে সমস্যা হচ্ছে তার সমাধানে মূলে যাওয়া। আমাদের শ্রমিকদের যাওয়াটা যেন সঠিকভাবে হয়, যাওয়ার পরে সেই দেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলা, শ্রমিকরা যারা কাজ করছে তাদের জীবনের নিরাপত্তা, চাকরির নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা এগুলো তো আমাদের দায়িত্ব।
পদ্মা সেতুতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের চলাচল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক এ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছে, তার উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। যে ধরনের বক্তব্য এসেছে তার প্রতি উত্তরে কিছু বলার ভাষা আমার কাছে নেই। তাই আমি কিছু বলতে পারছি না, দুঃখিত।
এ সময় আর উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইয়াসের খান চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিড়িয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমূখ।
এসএন