হাসিনাকে সরিয়ে তারেককে চাই না: কাদের সিদ্দিকী
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এই সরকারকে হঠাতে আমরা শিগগিরই মাঠে নামব। আমরা রাজপথে নামলে এক সপ্তাহের মধ্যে খেলা ফাইনাল হয়ে যাবে। সেই রকম প্রস্তুতি নিয়েই আমরা মাঠে নামার চেষ্টা করছি।’
মান্না বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে কোনো নির্বাচন করা হবে না-এ বিষয়ে আমরা একমত। আর যারা শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত হবেন।’
মঙ্গলবার (১৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) উদ্যোগে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে ঈদ পুনর্মিলনী এবং ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই’-শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সরকার হঠাতে যুগপৎ আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়ে মান্না বলেন, অভিন্ন ইস্যুতে ৪/৫টি মঞ্চ বা জোট হতে পারে। আর আন্দোলনেই ঠিক হবে পরবর্তীতে কী ধরনের সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। আমরা এমন সরকার চাই-যারা ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা, ন্যায় বিচার, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করবে। নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে সেই সরকার কতদিন ক্ষমতায় থাকবে সেটার নিষ্পত্তি করেই শিগগিরই আমরা মাঠে নামব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতা, অব্যবস্থাপনা ও কথা না রাখার জন্য আমরা শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ চাই। তবে শেখ হাসিনাকে সরিয়ে আমরা খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমানকে চাই না। আমরা এমন একটি সরকার চাই, যারা সত্যিকার অর্থে জনগণের জন্য কাজ করবে।’
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত থাকলে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করা হোক। তবে জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা না-এটা কোনোভাবেই মানতে পারি না।
বিরোধী দলের সরকারবিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, জনগণকে সম্পৃক্ত করতে না পারলে এই আন্দোলনে সফলতা আসবে না। তাই আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন নয় জানিয়ে গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, আমরা সবাই অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এজন্য এই সরকারকে বিদায়ে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে-এটা অর্জন করতে গিয়ে আমরা যেন নিজেদের পথ হারিয়ে না ফেলি।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি এক ছাতার নিচে দাঁড়াতে না পারি, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে না পারি-তাহলে এই সরকারকে হঠানো যাবে না।’
বিপিপির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারীর সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব মো. আব্দুল কাদেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন-গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস, বিপিপির পারভীন নাসের খান ভাসানী, অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন, রানী শেখ প্রমুখ।
এমএইচ/এমএমএ/